অামার জীবনে যদি কোন ভাগ্য, চমক, মিরাকল ঘটে থাকে, তা ঘটেছে শুধুমাত্র মা-বাবার দোয়া অার ভালোবাসার কারণে"!
অাসসালামু-অালাইকুম।
আলহামদুলিল্লাহ গ্রুপে আজকে আমার এক বছর পূর্ণ হল।
আশাকরি প্রত্যেকেই প্রত্যেকের অবস্থান থেকে ভালো আছেন।
সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে। যিনি আমাকে এবং আপনাদেরকে সুস্থ রেখেছেন ভালো রেখেছেন বাঁচিয়ে রেখেছেন। তারপর
#মা ,বাবার প্রতি ভালোবাসা
কেননা অাজ পর্যন্ত মা বাবা অামাদের ভাই বোন অখুশি রাখেনি। যখন যা চেয়েছি নিজে কষ্ট করে হলেও হাসিমুখে অামাদের অাবদার পূরণ করেছে। অামি অামার বাবা-মায়ের কাছে চির কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাদের প্রত্যেকেরই ভালোবাসার মানুষ মা, এবং বাবা যিনারা আমাদেরকে এ পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গিয়েছেন আমাদেরকে লালন-পালন করার জন্য। মা-বাবার মুখের হাসিই মানুষের জীবনে একমাত্র চমক হতে পারে। দোয়া করবেন অামার মা-বাবার জন্য।
কারণ স্যার বলেছেন " যাদের মা-বাবা এখনো জীবিত তারাই প্রকৃত ভাগ্যবান"!
তারপর
কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর জনাবIqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি যিনি অামাদের কে স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য এত সুন্দর একটি প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন। স্যারের প্রতি রইল ভালোবাসা এবং দোয়া এবং গ্রুপের সকল ভাই বোনদের প্রতি রইল প্রীতি, ভালবাসা ,শুভেচ্ছা।
আলহামদুলিল্লাহ দেখতে দেখতে এই পরিবারের নিজের বলার মতো একটা গল্প প্লাটফর্ম, পরিবারের মেম্বার হয়েছি একটা বছর হয়ে গেল।
এই এক বছরে কি পেলাম এই গ্রুপ থেকে তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমার জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য স্বপ্ন সকল কিছু ছিল আমি একজন গভমেন্ট জব হোল্ডার বা একজন পুলিশ অফিসার হবো এটা যেমন আমার স্বপ্ন তেমন আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দুই দুইবার পুলিশের পরীক্ষা দিয়েও জব টা হলো না হয়তোবা আমার কিসমত ছিলনা সে কারণে। চাকরিটা না হওয়ার কারণে আমি অনেক বেশি ভেঙে পরি। অনেক বেশি আপসেড হয়ে যাই যা হয়তো আপনাদেরকে বলে বুঝাতে পারব না আমি অনেক বেশি কান্না করি। খোঁজ করতে থাকি আমার ঘাটতি গুলা কোথায়। শত চেষ্টা করেও খুঁজে পেলাম না। তারপর এভাবে দিন যাচ্ছে তারপর আমার একজন প্রিয় ভাইয়া Md Millad Hossain এসে আমাকে বলে কি করো ভাইজান তুমি বললাম যে ভাই আমি তো বেকার পুলিশের জবের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।উনি আমাকে বললেন যে পুলিশের জবের জন্য চেষ্টা করো সমস্যা নেই।তার পাশাপাশি আমি একটা প্লাটফর্মে আছি সাথে আছি তুমি সেখানে সময় দাও হয়তো তোমার কিছু একটা পরিবর্তন হয়ে যাবে।আমি সেখানকার সৌদি কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর।আমি তো শুনে অবাক সেটা আবার কি এম্বাসেডর অনেক বড় পদ। সেখানে হয়তো লাখ লাখ টাকা ইনকাম।বেসিক্যালি আমরা যে কোন একটা প্রোডাক্ট এর এড দিতে গেলে যিনি অ্যাম্বাসেডর হয় উনাকে কিন্তু লাখ লাখ টাকা দিতে হয়। আমি ভাবলাম হয়তো উনিও সেরকম একজন এম্বাসেডর।আমি অবাক হয়ে গেলাম তারপরও বললাম আচ্ছা ঠিক আছে ভাই আমাকে আপনি গ্রুপে জয়েন করে দেন। এভাবে করে দিন যাচ্ছে আমার কোন খোঁজ খবর নেই গ্রুপে সময় দিচ্ছি না।আর গ্রুপে সময় দিব বা কেন আমার কাছে মনে হচ্ছিল তখন এই কথাগুলো তো আমি জানি বুঝি।এগুলো জ্ঞান মূলক বাক্য আমি জানি আমার জন্য দরকার নেই। তারপর মাঝে মাঝে দেখতাম আমাদের প্রাণপ্রিয় মেন্টরকে সবাই স্যার স্যার বলতেছে সম্বোধন করতেছে। আমি মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম এত আদিখ্যেতা কেন। আর উনাকেও বা আমি কেন স্যার ডাকবো। তারপর মোটামুটি মিটিং গুলোর ছবি দেখতে ছিলাম প্রোগ্রাম গুলোর ছবি দেখতে ছিলাম। অনুদানের ছবি দেখতে ছিলাম।আমার মনের ভিতর জাগল কি ব্যাপার এখান থেকে মানুষকে আবার অনুদান দেয় ব্যাপারটা তো ভাবনার বিষয় জানার বিষয় একটু একটু গ্রুপে সময় দিতে লাগলাম পোস্ট করতে লাগলাম মনের আবেগ গুলো জানাতে লাগলাম তখন কিন্তু আমি রেজিস্ট্রেশন করিনি। আমি পোস্ট করলাম অ্যাপ্রুভ হলো।কিন্তু সবাই এসে শুধু আমাকে আমার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার কত ব্যাচ নাম্বার কত গুলো জিজ্ঞেস করতেছে।আমি তো বুঝে উঠতে পারতেছি না কি ব্যাপার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার কি ব্যাচ নাম্বার কি আবার।মনে মনে প্রশ্ন জাগতে থাকলো কাউকে কিছু বললাম না গ্রুপে সময় দিতে লাগলাম। তারপরে আমার প্রিয় একজন Mezbah Ahamed ভাই উনি আমাকে বলতে লাগল গ্রুপে সময় দে । চল আমরা মিটআপ গুলোতে এটেন্ড করি।আমি বলতে লাগলাম না ভাই আমার সময় নেই অথচ আমি তখনো বেকার সময় ছিল। কিন্তু যাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছিল না।কেননা আমি কি শিখবো আমি তো সব জানি হয়তো সবকিছু জানি। সময় যেতে লাগলো। দুই তিনটা পোস্ট করার পরে তিন নাম্বার পোস্টটা করার পর আমার অনেকগুলো কমেন্ট আসলো।ভালই লাগতেছে কি ব্যাপার সবাই এত বড় লেখা লিখলাম সবাই পড়তেছে ব্যাপারটা কি এবং অনেকে এসে জিজ্ঞেস করতেছে ভাই আপনার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার গুলো লিখে দেন নাম্বার লিখেন।আগে যারাই বলছে তখন মাথায় নেয়নি কিন্তু এখন মাথায় নিতেছি কি ব্যাপার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার কি ব্যাচ নাম্বার কি এখানে রেজিস্ট্রেশন করে কিভাবে। এ প্রশ্নগুলো মাথার ভিতরে কিলবিল করতেছে। কল দিলাম মিসবা ভাইকে ভাই বলল আমি ব্যস্ত পরে কথা বলব ঠিক আছে। তারপরও মন মানল না সবাই যেহেতু জিজ্ঞেস করে আপনার ব্যাচ কত রেজিস্ট্রেশন নাম্বার কত সম্পর্কে আমার তো জানতে হবে আমি কল দিলাম মো:মিল্লাদ পাটোয়ারী ভাইকে।
উনি আমাকে উনি আমাকে বলল যে তোমার ডিটেলস গুলো আমাকে দাও। আমি দিলাম কিন্তু নি আবার কি মনে করে বলল যে রেজিস্ট্রেশন টা তুমি করে ফেলো উনি আমাকে ফরমেট দিলো লিংক দিল এবং সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিল কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করব এবং কলে রেখে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করল। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা মিল্লাত ভাইয়ের প্রতি। তারপর থেকে গ্রুপে সময় দেওয়া তারপর থেকে মাঝেমধ্যে মিল্লাত ভাই খোঁজখবর নিতে কি অবস্থা। তারপর থেকে ভালোভাবে গ্রুপের সময় দেওয়া ।
#এবার আসেন আমি গ্রুপ থেকে কি কি পেলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
গ্রুপ থেকে আমি আসলে অনেক কিছু পেয়েছি আমার বাস্তব জীবনে প্রয়োগের জন্য। আমার জীবনে আমি অনেক ট্রেনিং করেছি ,মাইন্ড সেটআপ বলেন। ডিপ্রেশন থেকে উঠা, মোটিভেশন, মানুষকে কনভিন্স করা, রাগ কমানো, অনেকগুলো ট্রেনিং করেছি জীবনে।প্রত্যেকটি ট্রেনিং আমি মনোযোগ দিয়ে লিখে রাখতাম ডাইরির পাতায়। সেই কথাগুলোর সাথে আমাদের স্যারের কথাগুলো মিলিয়ে নিতাম। হুবহু মিলে যেত। এবং খুঁজতে লাগলাম আমাদের স্যারের এখানে লাভটা কি কেন উনি এভাবে সময় দিচ্ছেন।
উনার পোস্ট গুলো দেখতে লাগলাম সেগুলো পড়তে লাগলাম। যখন থেকে উনি বললেন আমাদের রোজকার শুধু আমাদের হক নেই আরো কয়েকজনের হক আছে তখন থেকে আমি অবাক হলাম কি ব্যাপার ইনকাম করবো আমি কিন্তু হক সবার এটা কেমন কথা আস্তে আস্তে জানতে লাগলাম বুঝতে লাগলাম শিখতে লাগলাম।পরবর্তীতে স্যারের সেশন গুলো সব আয়ত্ত্ব করতে লাগলাম। এবং নিজে ডিপ্রেশন এত বেশি ছিলাম যা বলে বুঝাতে পারব না ডিপ্রেশন থেকে উঠতে লাগলাম । আমার লাইফে আমি কখনো চিন্তা করি নাই আমি ছোটখাটো ব্যবসা করব।যদি যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করতো আমাকে সরাসরি বলতাম যে ভাই আমি গভমেন্ট জব করব।কিন্তু স্যারের শিক্ষা পেয়ে সেই ভাবনা চিন্তা মাথা থেকে চলে গেল।
স্যার এর প্রতিটা সেশন মনোযোগ দিতে লাগলাম।
প্রিয় ইকবাল বাহার স্যারের ছোঁয়ায় এবং অাপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় এই গ্রুপের মাধ্যমে কীভাবে অামার জীবনটা বদলে যাচ্ছে সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি।
অামি অাশা করছি একটু কষ্ট করে হলেও অাপনারা এই গল্পটি একবার পড়বেন।
ভালো মানুষদের এই প্লাটফর্মে আজকের এই দিনে জয়েন করা। এবং দেখতে দেখতে ১ বছর কেটে গেল।
অামি অামার মাঝে অাজ বদলে যাওয়ার বা নিজেকে পরিবর্তন করার যে পার্টগুলো শেয়ার করবো অাপনাদের সাথে শুধুমাত্র তাহা সম্ভব হয়েছে স্যারের এই প্রিয় গ্রুপের অসাধারণ কর্মশালায় যুক্ত হয়ে। অাজ এত পরিবর্তন শুধু স্যারের জন্য। অামি জানি,,স্যার কে ধন্যবাদ জানিয়ে বা অন্য কিছু করেও স্যারের ঋণ পরিশোধ করতে পারবো না। স্যার অাপনার কাছে অামি চির কৃতজ্ঞ থাকবো। স্যার বলেছিলেন যে, প্রতিটা মানুষের জীবনে একটা টার্নিং পয়েন্ট থাকে। অার অামার থেকে পরিষ্কারভাবে মনে হচ্ছে যে, এই গ্রুপের যুক্ত হওয়া অামার জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্ট।
🤝সামাজিক কাজ ও ভলান্টিয়ারিং
মানুষ সামাজিক জীব,,তাই অামাদের কে সমাজবদ্ধ বা দলবদ্ধ হয়েই বসবাস করতে হয়। কিন্তু অামাদের বেশির ভাগ মানুষই এই সমাজের জন্য কোন অবদান রাখতে পারিনা। স্যারের ৯০ দিনের সেশনে অামি প্র্যাকটিক্যালি শিখেছি কিভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সামাজিক কাজ ও ভলান্টিয়ারিং করতে হয়।
এবং নিজের স্বার্থ না রেখে নিজের স্বার্থ না খুঁজে অন্যকে সহযোগিতা করা অামি এই শিক্ষাটা পেয়েছি জনাব ইকবাল বাহার স্যারের কাছ থেকে। তাই সামনের দিনগুলোতেও অামি অামার সামাজিক কাজ ও ভলান্টিয়ারিং করে যাবো।
এবং আমি হয়েছি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
আগে আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করতো ভাই আপনি কি করেন বলতাম যে বেকার কিছু করি না সারাদিন ঘুমাই আর খাই।
আর এখন যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে ভাই আপনি কি করেন এবং বিজনেস করি ব্যবসা করি হোক সেটা সঠিক সেটা বড় কিন্তু এখন আমার পরিচয় দিতে পারি আমি একজন ব্যবসায়ী ভালোলাগে এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রাণপ্রিয় মেন্টরের প্রিয় স্যার জনাব ইকবাল বাহার বাহার এর জন্যে।
একটা সময় ছিলো যখন বন্ধুদের সাথে অযথা অাড্ডা দিয়ে অনেক সময় নষ্ট করতাম। অপ্রয়োজনীয়ভাবে ফেসবুকিং করে ঘণ্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করতাম। কিন্তু কখনো নিজেকে সময় দেওয়ার সময় হয়নি।
তবে বর্তমানে অামি প্রতিদিন নিজেকে সময় দিই। নিজের অাত্ম-সমালোচনা গুলো প্রতিদিন করি। চিন্তা করি গতকালকের দিনটি থেকে অাজকের দিনটি কিভাবে অারো বেশি ইফেক্টিভ করা যায়। আমার জীবনে অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি অযথা এখন একটু সময় নষ্ট হলে আফসোস লাগে আল্লাহ এত তাড়াতাড়ি সময়গুলো কিভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং স্যারের উক্তি
"সময় নষ্ট করা যাবে না, কারন সময় একদিন অার অামাকে সময় দিবে না"।
একটা সময় অামি খুব হতাশ ছিলাম । আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। মনে ভিতরে প্রায়ই বাসা বাঁধতো হাজারো নেগেটিভিটির ছায়া। আমি একটা নেগেটিভ পারমাণবিক বোমা হয়ে গেছিলাম।
নেগেটিভ শুধু নেগেটিভের জন্ম দেয়! অামি যদিও কথাগুলো জানতাম আমার কাছে কথাগুলো মনে হতো শুধুই জ্ঞানমূলক ।
নেগেটিভ ভাববো ততবেশি নেগেটিভ জিনিস অামার সামনে এসে দাঁড়াবে বারবার"!
—এই শিক্ষাটা যখন অামি স্যারের কাছ থেকে পেলাম তখন থেকেই অামার পজিটিভিটির চর্চা শুরু করি।আমার লাইফে আমি অনেক বেশি নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা করতাম।
আর আমি ভুলে গেছিলাম পজিটিভ চিন্তাভাবনা করা একটা চর্চার বিষয়।
অার এখন অামি স্যারের এই উক্তিটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং লালন করি যে,," জীবনে বড়, সফল ও সুখী হবার জন্য পজিটিভিটির কোন বিকল্প নেই"।
আমার জীবনে আমি অনেক সময় নষ্ট করেছি ফেসবুকে। লাইক কমেন্ট শেয়ার মেসেজ।
কিন্তু এই গ্রুপের মত উদার ভালোবাসার মানুষ আমার ফেসবুক জীবন আমি পাইনি।বাস্তব জীবন এবং ফেসবুক জীবন অনেক বেশি তফাৎ মনে হলো আমার কাছে। এবং আমি গ্রুপের প্রত্যেকটা ব্যক্তির ভালোবাসায় শিহরিত হয়ে গেলাম। প্রত্যেকটা মানুষ এত বেশি উদার এত বেশি হেল্প করে আমি অবাক হয়ে গেলাম।যখন আমি দেখতে লাগলাম এই গ্রুপ থেকে আমি কিছু শিখতে চাই জানতে চাই অন্যান্য গ্রুপ থেকে আমি লিভ নিয়ে নিলাম।
সবার সাথে ভালো নেটওয়ার্কিং।
অাজকে অালহামদুলিল্লাহ অামার অনেকের সাথেই পরিচয় অাছে শুধুমাত্র এই গ্রুপের মাধ্যমে। এমন অনেক ভাইয়া/অাপুরা অাছে যাদের সাথে যোগাযোগ না করে একটা দিনও পার করা যায় না। এমন কিছু উদ্যেক্তা,ব্যবসায়ী, ভালো মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে যা অামাকে অামার অাগামী দিনের উদ্যেক্তা ও ব্যবসায়ী হওয়ার পথটাকে অারো সুগম করে দিয়েছে। এ জন্য সবার প্রতি অামি আনন্দিত কৃতজ্ঞ।
"অামার জীবনে যদি কোন ভাগ্য, চমক, মিরাকল ঘটে থাকে, তা ঘটেছে শুধুমাত্র মা-বাবার দোয়া অার ভালোবাসার কারণে"!
স্যারের এই শিক্ষাটিকে অামি অাজীবনের শিক্ষা হিসেবে নিয়েছি।
অাগে ভাবতাম সেই সফল মানুষ যার যত বেশি টাকা অাছে,,সম্পদ অাছে।
সেই সুখি যার অর্থ-কড়ি, টাকা-পয়সা অনেক বেশি কিন্তু এখন স্যারের শিক্ষা পেয়ে অামি বুঝতে পেরেছি প্রকৃত অর্থে এসব কোনটিই আসলেই সফলতা নয় ।
কেননা অামি বাস্তবিক শিক্ষা পেয়ে বুঝতে শিখেছি যে, সমাজে অনেক টাকা-পয়সা ওয়াল মানুষ রয়েছেন কিন্তু তারা অনেকেই অন্যের উপকারে কিছু করেননি বা করার সুযোগ হয়নি। বা কারো জীবনে নিজের বলার মত কোন গল্প নেই। তাই এটাকে সফলতা বলা যায় না।
জীবনে সবচেয়ে বড় সফলতা হলো খুশি থাকা। অার খুশি থাকাটা তৈরি হয় অন্যের উপকার সাধনের মাধ্যমে। এবং নিজের বলার মত গল্প থাকতে হবে।
অামার কাছে সফলতার মানে অাত্মার প্রশান্তি,,সুশিক্ষা,,সুস্বাস্থ্য,, অার হালাল উপায়ে অর্জিত সম্পদ।
ভালো লাগা, ভালোবাসার যায়গা এই প্ল্যাটফর্ম নিজের বলার মতো একটা গল্প থেকেই বিজনেস অাইডিয়া খুঁজে পাওয়া।
স্বপ্ন দেখা, সাহস করা, শুরু করা, এবং লেগে থাকা।
যদিও প্রিয় স্যারের স্লোগানগুলো আমার জানা ছিল কিন্তু মানতাম না।কিন্তু গ্রুপ থেকে শিক্ষা পেয়ে এখন মানতেচি
অালহামদুলিল্লাহ অাপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা অার স্যারের অনুপ্রেরণায় অামি অামার মনে অনেক সাহস জুগিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আপনাদের দোয়ায় এবং স্যারের ভালোবাসা শুরু করে দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ চলতেছে আমি ইলেকট্রনিক্স পণ্য এবং চা পাতা নিয়ে কাজ করি ঢবাং চা পাতা। অার শুরু করার পর লেগে থাকতে হবে কিভাবে তার শিক্ষাটাও অামি পেয়েছি স্যারের কাছ থেকে। কারণ, অামি বিশ্বাস করি প্রিয় স্যার অামাকে সে শিক্ষা দিতে সক্ষম হয়েছে।
স্যার অাপনার জন্যই অাজ এত পরিবর্তন, এত এত ভালো মানুষের সমাগম। অাপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ এবং ঋণী স্যার ।
জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন একজন ভালো মানুষ হওয়া। এখন আমি বুক ফুলিয়ে বলতে পারি একজন ভালো মানুষ অামি ।এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে, ভালো মানুষের অনুপ্রেরণায়, নির্দেশনায়, ভালো মানুষদের সাথে থেকে অামি নিজেও একজন ভালো মানুষ হতে পেরেছি।
অামার অাশে-পাশের মানুষ গুলো জানে অামি কাউকে ঠকাতে পারিনা। এরচেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে। আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ঠকেছি অনেক টাকা লস করেছি। কারণ অামি জানি, ভালো মানুষ কখনো কাউকে ঠকাতে পারেনা।
আমাদের প্রিয় স্যার বলেছেন
যে জিতবে সে বার বার পরবে, অাবার উঠে দাঁড়াবে, কিন্তু হাল ছাড়বে না"!
প্রত্যেকের সফলতা কামনা করি প্রত্যেকে সফল হোক ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক এই কামনাই করি ধন্যবাদ।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৯৩
০৩-০৮-২০২০
আমি মোহাম্মদ জামশেদ হোসেন (বাপ্পি)
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
"নিজের বলার মতো একটা গল্প" গ্রুপ
👥 রেজিস্ট্রেশন টিমের একজন সদস্য
🏠জেলা - চাঁদপুর
🤝 একজন উদ্যেক্তা
💉ব্লাড গ্রুপ - A+
🌡️ ব্লাড ডোনেট ম্যানেজমেন্ট এর সদস্য
👥ব্যাচ নাম্বার নং ৯য়
✍️রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার - ১৩৪০৭
🎓 মাস্টার্স কমপ্লিট ঢাকা ইউনিভার্সিটি
🕴️একজন উদ্যেক্তা
🌐 পেইজ https://www.facebook.com/A-113503427047158/