আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান
আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ۔আমরা পাঁচ ভাই ও এক বোন ۔বোনটি আমার বড় আর আমি ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয় আমার বাবা এলাকার অনেক সুপরিচিত মানুষ আমাদের দু চার এলাকায় উনাকে একনামেই সবাই চিনেন ۔তাই আমাদের সব সময় হিসাব করেই চলতে হতো কারণ চোঁখে খারাপ কিছু ধরা পড়লেই সাথে সাথে বাবার কানে চলে যাবে তাই সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করে চলতাম যাতে কেউ খারাপ বলার সুযোগ না পায় ۔এই কারণে ছোট বেলায় থেকে বলা চলে কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যেই আমরা বড় হয়েছি ۔প্রথমেই বলেছি আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ۔তাই নিশ্চয় বুজতে পারছেন ۔যে সমস্যা তো লেগেই থাকতো কারণ নাম দিয়ে তো আর সংসার চলেনা ۔তখন পাচঁ ভাই ও বোন সব মিলিয়ে আমরা ছয়জন সবাই পড়া লিখা করতেছি ۔সম্পদ বলতে আমাদের কিছু ধানি জমি ছিল তা দিয়ে চলতো কিন্তু অনেক কষ্ট হতো কারণ বাবা না বললে ও মা মাঝে মাঝে আমাদের বুজাইতেন তার পর ও বাবা নামের বট গাছ টি কখনো আমাদের বুজতে দিতেন না ۔অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতন গুলো কয়েক মাস পর্যন্ত বকেয়া থাকতো ۔পরিস্থিতি এমন দেখে বড় ভাই সিদ্ধান্ত নিলেন পড়া লিখা ছেড়ে বিদেশ চলে যাবেন ۔তখন আমার ছোট কাকা ওমান থাকতেন উনি একটা ভিসা দিলেন বড় ভাই প্রবাসে চলে গেলেন ۔প্রবাস থেকে উনি যে টাকা পাঠিতেন তাতে ভালোই চলছিল এর ভিতর বোনটিকে বিয়ে দেওয়া হলো আমাদের পড়া লিখা ভালোই চলছিল ۔
সবে মাত্র উচ্চমাধ্যমিক ( সমমান )পরীক্ষায় পাশ করে বিশ্বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য বিভিন্ন দিকে খোঁজ নিচ্ছিলাম মাধ্যমিক এবং উচ্চমধ্যমিক দুটোতে রেজাল্ট ও ভালো ছিল তাই আরো ভালো কিছু করার উদ্দেশ্যে ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অনেক ইচ্ছা ছিল জানতাম না মধ্যবিত্ততদের অনেক আশাই অপূর্ণতাই রয়ে যায় ۔হটাৎ একটা টেলিফোন কল এ সব কিছু উলোট পালট করে দিলো ۔আমার ভাই যিনি কিনা সবাইর ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে প্রবাস চলে গেলেন ۔তিনি আর এই দুনিয়াতে নেই ۔একসিডেন্টে মারা গেছেন ۔আমাদের সব কিছু যেন অন্ধকার হয়ে গেলো ۔সেই মর্মান্তিক ঘটনার দিকে গেলে হয়তো লিখাটা বড় হয়ে যাবে ۔তাই সে দিকে না গিয়ে ۔আমার নিজের গল্পটাই বলি
বড় ভাই মারা যাওয়ার পর মা বাবা অনেকটাই ভেঙে পড়লেন ۔তাই কি করবো কিছুই বুজে উঠতে পারছিলাম না পড়া লিখা করবো নাকি ছেড়ে দেব ۔এসব চিন্তা করতে করতে ভর্তি হওয়ার সময় টা চলে যাচ্ছে তাই এক বন্দুর পরামর্শে সাধারণ একটা কলেজে ভর্তি হয়ে গেলাম ۔
কারণ বড় ভাই মারা যাওয়ার পর সংসারে আমিই বড় ۔বাবা নিষেধ করতেছেন না আবার বলতেছেন ও না পড়া লিখা করবো কি করবোনা ۔কারণ সংসারের আয়ের পথ একেবারেই বন্ধ ۔কলেজে ভর্তি হয়ে চাকুরী খুঁজতে লাগলাম ۔কারণ ব্যবসা করার মতো পুঁজি বা সাহস কোনটাই ছিলোনা ۔কারণ তখন তো আর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের মতো এমন মহৎ ব্যক্তি ছিলোনা যিনি বিনে পয়সায় মাসের পর মাস বৎসরের পর বৎসর বিরতিহীন ভাবে শিক্ষা দিয়ে যাবেন যে কিভাবে একজন উদ্যোক্তা হবো কি ভাবে একজন ভালো মানুষ হবো কি ভাবে সাবলম্ভি হবো আজ মনে অনেক আপ্সুস লাগে উনার মতো মানুষের দেখা যদি তখন পেতাম তাহলে হয়তো জীবন টা অন্য রুকুম হতো ۔
যাক অনেক চেষ্টার পর একটা ইসলামিক এনজিও তে চাকুরী পেলাম ۔সকাল বেলায় একটা টিউশনি করাইতাম তাতে আমার চলে যেত ۔কিন্তু নিজেকে অপরাধী মনে হতে লাগলো আমি বড় হয়ে সংসারের জন্য কিছুই করতে পারছিনা ۔পরে অনেকটা নিরুপায় হয়ে আমার মামাকে ফোন করলাম তিনি কাতার থাকতেন ۔বললাম যে ভাবে পারেন একটা ভিসার ব্যবস্থা করেন ۔
মামা আমাদের অবস্থা জানেন তাই বললেন আমি চেষ্টা করতেছি কিন্তু এখানে কাজের সংকট এসে কি করবি শুধু ফ্রি ভিসা ছাড়া অন্য কোন ভিসা নেই ۔ আমি বললাম যে কোন ভিসা সমস্যা নেই
আপনি ব্যবস্থা করেন ۔অনেক চেষ্টার পর মামা একটা ভিসা দিলো ۔এইদিকে ফাইনাল পরীক্ষার সময় ও হয়ে গেলো তাই পরীক্ষা দেওয়ার কয়েকদিন পর ۔
কাতারে চলে এলাম ۔৯৮ তে মামা যে ভিসা টা দিয়েছিল তা ছিল ফ্রি ভিসা ۔আসলে ফ্রি ভিসা বলতে কোনো ভিসা নেই ফ্রি ভিসা মানেই ۔কপিল বা স্পন্সরের বাহিরে কাজ করার মুখিক সম্মতি যার কোন আইনি বৈধতা নেই ۔
তাই কাতার এসে এক অনিশ্চয়তার ভিতর পড়ে গেলাম একতো কাজের সংকট অন্যদিকে প্রচন্ড গরম ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করবো অনেক দিন রুমে বেকার বসে রইলাম ۔যাদের লোকজন আছে তারা তাদের লোকজন কে কাজে নিয়ে যায় তাও কনস্ট্রাকশন কাজের হেল্পার হিসাবে ۔আমি অনেক কে বলার পর ও কেউ নিতে চায় না ,যারা চিনে ওরা ভাবে এ পারবেনা কারণ কখনো এমন পরিশ্রমের কাজ করেনি আর যারা চিনেনা তারা তো নিবেই না ,মহা সংকটে পড়ে গেলাম ۔একদিন একজনকে অনেক রিকোয়েস্ট করে কোনো রুকুম তার সাথে গেলাম ইলিক্ট্রিসিয়ানের হেল্পার হিসাবে সে প্রথম দিন ফ্লোর ভাঙার কাজে লাগিয়ে দিলো পুরো দিন কাজ করে বাসায় এসে দেখি দু হাতে ফোস্কা পড়ে গেছে ۔রাত্রে শুলাম গুম আসলোনা পুরো শরীরে প্রচন্ড ব্যথা ۔পরের দিন আর ঐ কাজে যাওয়া হয়নি ۔এই দিকে বাড়িথেকে আসলাম চার মাস অতিক্রান্ত হতে চললো কি করবো কিছুই বুঝতেছিনা এই দিকে মামা ও দেশে চলে গেলো পরিচিত বলতে কেউ নেই ۔
এই দিকে নিজের রুম ভাড়া খানা খরচ কিভাবে যে কি করি বুজে উঠেতে পারতেছিলাম না দেশে তো অন্তত থাকার খাওয়ার সমস্যা ছিলোনা কিন্তু এইখানে পয়সা না দিলে থাকতে ও পারবোনা এই কয়েক মাস আমার জীবনের সব চেয়ে কঠিন কষ্টকর সময় পারকরছিলাম সেই গুলো লিখলে লিখা অনেক বড় হয়ে যাবে তাই দীর্ঘয়িত করলাম না ۔তখন চিটির মাধ্যমে যোগাযোগ হতো বাড়ি থেকে চিঠি আসলে যে মিথ্যায় ভরা তার রিপ্লাই দিতাম বলতাম আমি অনেক ভালো আছি প্রবাসীদের এই একটা মহৎ গুন্ পরিবারের খুশির স্বার্থে মিথ্যা টা ভালোই বলতে পারে ততদিনে আমি ও এই গুন্ টা অর্জন করে ফেলেছি ۔
একবার ভাবলাম দেশে চলে যাবো পরে চিন্তা করলাম আমার দিকে সবাই চেয়ে আছে আমি ব্যর্থ হয়ে চলে গেলে সব এলোমেলো হয়েযাবে তাই আবারো চেষ্টা করতে লাগলকম কিছু দিন চেষ্টার পর একটা কাজ পেলাম hyper market নাম food place কাজ হলো Empty কাটুন গুলো ডাসবিনে পালানো বাকি সময় কাউন্টারে হেল্প করা কাস্টমার এর আইটেম গুলো বেগে ভর্তি করে দেওয়া ডিউটি ১২ ঘন্টা বেতন ৭০০ রিয়্যাল ۔মন্দের ভালো বলতে যা বুজায় আর কি কিন্তু তাতে বেশি দিন থাকা গেলোনা চতুর দিকে প্রচুর চেক চলতেচে তাই তিন মাস কাজ করার পর ওরা বললো তুমি আপাতত রুমে অবস্থান করো পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তোমায় আবার ডাকবো ۔আবারো বেকার ۔বেকারত্বের অভিশাপ যেন পিছু ছাড়ছেনা ۔এই দিক ঐদিক চেষ্টার পর এইবার একটা light এর দোখানে কাজ পেলাম indoor সেলস ম্যান ۔Al jabri lighting shope ۔ ডিউটি 9 ঘন্টা বেতন ৮০০ রিয়্যাল ۔এখানে কাজে থেকে বিভিন্ন দিকে চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম ۔এর ভিতর খবর পেলাম মদিনা খলিফা জামেয়া তে ক্যাশিয়ার হিসাবে কিছু লোক নিয়গ দিবে ۔সুন্দর করে একটা cv বানিয়ে যথা সময়ে জমা দিয়ে এলাম ۔এর কয়েকদিন পর ইন্টারভিউর জন্য কল করলো এবং গেলাম গিয়ে দেখি অনেক লোক ইন্টারভিউর জন্য উপস্থিত ৬০/৭০ জন হবে লোক নিবে অল্প কয়েকজন ۔চিন্তা করলাম এতো লোকের মাজে ইন্টারভিউ দিয়ে টিকা সম্বভ না চলেই যাই ۔পরে আবার ভাবলাম ট্যাক্সি ভাড়া দিয়ে চলে এসেছি ইন্টারভিউ দিয়েই দেখি ۔۔ইন্টারভিউ তে এটেন্ড করলাম পজিটিভ মনে হলো তার তিন দিন পর তারা কল দিলো প্রয়জনীয় কাগজ জমা দেয়ার জন্য ۔ঐখানে গিয়ে দেখি মাত্র চার জন কে সিলেক্ট করছে দু জন বাংলাদেশি আর দু জন ইন্ডিয়ান ۔বাংলাদেশী দু জনের মধ্যে একজন আমি ۔মনে মনে অনেক খুশি এইবার যাক একটা ভালো কিছু হবে দুঃখটা কিছু কমবে ۔কারণ বেতন ও ভালো আরো অন্যান্য অনেক সুযোগ সুবিধা আছে ۔আমি যে light এর দোখানে কাজ করতাম ওরা কিছুতেই ছাড়তে চাচ্ছিলোনা অনেকটা রাগারাগী করে ওদের ঐখান থেকে পাসপোর্ট টা নিতে হয়েছিল চাকরিটা চলে গেলো ۔নতুন জায়গা পাসপোর্ট ও প্রয়জনীয় কাগজ জমা দিলাম ওরা বললো একমাসের মধ্যে সব কমপ্লিট হয়ে যাবে তাই এক মাস অপেক্ষা করতে ۔বেকার হয়ে বাসায় অপেক্ষা করতে লাগলাম ۔একমাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর ওদের অফিস এ গেলাম ۔ওরা আমাকে আমার কাগজ গুলো দেখালো ঐখানে মূল কাগজ স্পনসরশিপ চেঞ্জ এর যে পেপার ওটাতে রেড পেন দিয়ে লিখা দু বৎসর পুরো হতে আরো 4 মাস ২২ দিন বাকি ۔তাই এখন চেঞ্জ হচ্ছেনা ۔আবারো অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে গেলাম ۔সব দিকে অন্দ্বকার দেখতে লাগলাম কারণ এখানে একটা চাকুরী পাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার ۔কিছুদিন বেকার থাকার পর এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেলাম ۔Ali bin Ali printing press এর store এর জন্য store keeper টেম্পিরারি লোক লাগবে দু মাসের জন্য বেকার থাকার চেয়ে এই কাজ টাই ভালো হবে তাছাড়া অভিজ্ঞতা ও হবে এই ভেবে ইন্টারভিউ দিতে চলে গেলাম ۔সিলেক্ট ও হলাম দু মাস কাজ করে কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম ۔.
তার পর যার রিপ্লেসে কাজ করছিলাম সে ছুটি কাটিয়ে আসার পর তাকে হ্যান্ডওভার করে ۔আবার কয়েকদিন বেকার ,তবে এইবার বেশী সমস্যা হলোনা কারণ
কিছুটা অভিজ্ঞতা ও কথা বার্থা ও শিখে গেছি তাই বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করতে লাগলাম ۔অনেক জায়গায় ইন্টারভিউ ও দিলাম ۔
অবশেষে সব দিক বিবেচনা করে বর্তমানে যে কোম্পানিতে আছি ( Al jaleel trading co ) এদের প্রোডাক্ট ۔printing press এ যাহা ব্যবহার করে যেমন পেপার ক্যামিক্যাল ও পেলেট ۔এই সব গুলো supply দেয় ۔সাথে photo copy paper ও সব size এর Envelopes আরো অনেক প্রায় ৫০০০ হাজারের উপরে এদের items আছে )এটা তে জয়েন করলাম কারণ অনেক বড় কোম্পানি স্যালারি ও মোটামুটি ভালো তখনকার অবস্থায়. পজিশন store keeper .এখানেই জয়েন করার পর যেন সফলতার মুখ দেখতে পেলাম ۔ছোট দু ভাইকে বিদেশ পাঠাইলাম ,একজন কে সৌদি পাঠাইলাম সে কিছুদিন থেকে চলে এলো ۔আবার অন্যজন কে ওমান পাঠাইলাম তার ও কপিল এর সমস্যা বলে চলে এলো ۔তৃতীয়জন কে কিছু ফুজি দিয়ে দেশে ব্যবসা করতে বললাম
পরবর্তীতে বাকি দু জন কে কিছু কিছু ফুজি দিয়ে ব্যবসা করতে দিলাম ۔আলহামদুলিল্লাহ এখন তিন জনই দেশে ব্যবসা করতেচে ۔ এই দিকে আমার ও কোম্পানিতে প্রমশন হলো store supervisor হিসাবে বেতন ও বাড়ালো সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে 2018 ডিসেম্বরে ম্যানেজমেন্ট এর সিদ্ধ্বান্তে আমাকে purchaseing committee তে অন্তুর্ভুক্ত করা এই কমিটির GM সহ আমরা সদস্য হলাম পাঁচ জন এটা আমার জীবনে অনেক বড় অর্জন বলে আমি মনে করি ۔
আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেটাই সফল আজ কিছু করার জন্য ফুজি ও সাহস দুটোই আমি সঞ্চয় করেছি ۔আর্থিক সঞ্চয় টা হয়েছে এই কোম্পানিতে কাজ করে ۔আর সাহস হয়েছে নিজের বলার মতো গল্প গরূপে জয়েন করে ۔
এইবার আসি আমি কিভাবে এই গরূপে যুক্ত হলাম সে প্রসঙ্গে একটু না বললেই নয় ۔
ফেইসবুক ব্যবহার করি সে দীর্গদিন থেকেই ,۔2019 সালের নভেম্বর মাস ছোট ভাই abdul motaleb কে দেখলাম কয়েকজনের সাথে একটা মিট আপের ছবি আপলোড দিলো তার id তে তাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাস করাতে সে গ্রূপ সমন্ধে বিস্তারিত বললো ۔সব শুনে নিজের আগ্রহ টা বেড়ে গেলো গরূপে জয়েন করার জন্য ,ঐ দিনেই নভেম্বরের ১৭ তারিখ রেজিস্টেশন করলাম তার সহযোগিতায় ۔হয়েগেলাম প্রিয় গ্রূপের এক জন গর্বিত সদস্য এর পর ডিসেম্বর মাসের ১৩ তারিখে আমাদের আরেক ভাই ইয়াকুব ভাইয়ের সাথে গিয়ে চতুর্থ মিটাআপে অংশগ্রন করে সবাইর সাথে পরিচিত হলাম ۔অনেক ভালো লাগলো বিশেষ করে .MD sawkat ali ভাই Al amin ভাই ও cm hasan ভাই saiful ভাই habib ভাই সহ সবাইর সাথে পরিচত হলাম সবাইর আচরণে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ۔এদের কারো সাথে আমার আগে পরিচয় ছিলোনা ঐ একদিনেই যেন অনেকদিনের পরিচত মনে হলো ۔তার পর 5 ম মিটাআপে ও অংশগ্রহণ করলাম যা ছিল ৩১ এ জানুয়ারি 2020 ۔
আমি যখন গরূপে জয়েন করি তখন স্যারের ২৮ তম সেশন চলছিল ۔তার পরের সেশন গুলোতে আমি অংশগ্রন করলেও তেমন এক্টিভ ছিলাম না কিছুটা কাজের ব্যস্ততা নিজের অলসতা ও ছিল ۔তবে নবম ব্যাচে চেষ্টা করেছি প্রত্যেকটা সেশন থেকে কিছু শিখার ۔এখনো লেগেই আছি শিখতেছি কারণ শিখার কোনো শেষ নেই ۔তবে স্যারের দেওয়া এই সেশন গুলো থেকে আমি কি শিখলাম তা সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু উল্লেখ করতেছি ۔
এখন আমি সাহস করেই বলতে পারি আমি একজন ভালো মানুষ কারণ ভালো মানুষের যে গুণাবলী থাকা দরকার তা অনেকটাই শিক্ষা অর্জন করেছি এই প্রিয় গ্রূপ থেকে কারণ এখানে সবাই ভালো মানুষ কথায় আছে সৎ সঙ্গে স্বর্গে বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ
আমি এখন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখি এই গ্রূপের কল্যানেই ۔সাহস টা সঞ্চয় করেছি এই গ্রূপ থেকে অনেকের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প শুনে নিজেকে ও সে অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি ۔
এই গ্রূপ থেকে শিখতে পেরেছি শুরুটা টা কি ভাবে করবো ۔শুধু পয়সা থাকলেই হবেনা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিরাট লসের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ۔
স্বল্প পুঁজিতে কি ভাবে ব্যবসা শুরু করা যায় সেই শিক্ষাটা ও পেয়েছি এই গ্রূপ থেকে
এখান থেকে শিখতে পেরেছি কমিটমেন্ট রক্ষা করার গুর্রুত্ব ۔অনেক সময় কমিটমেন্ট রক্ষা করতে গিয়ে সাময়িক সমস্যার সম্মুখীন হলে ও পরক্ষনে আমাদের জন্য অনেক লাভ অপেক্ষা করছে এই শিক্ষা টা ও পেয়েছি স্যারের কাছ থেকে ۔
আরো জেনেছি জীবনে সফলতার জন্য 4 " স " অপরিহার্য ۔ সুশিক্ষা ,সুস্বাস্থ্য ,সুখ ও সম্পদ ,
আরো জেনেছি মার্কেটিং প্লানিং কিভাবে করতে হবে ۔এবং কিভাবে নেট ওয়ার্কিং বৃদ্ধি করতে হবে ۔কারণ টাকা থাকলেই হবেনা ভুল প্লানিং এর কারণে হয়তো লসের খাতায় সব চলে যাবে ۔
আরো অনেক অনেক কিছু শিক্ষা অর্জন করেছি এই গ্রূপ থেকে, যা লিখে শেষ করা যাবেনা ۔কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই সেটা মূলত সার্টিফিকেট নির্ভর হয়ে থাকে ۔আর এইখানে শিক্ষা দেয়া হয় নীতি নৈতিকতা সামাজিক দায়বদ্বতা মানবতা সর্বোপরি চারিত্রিক সব গুন্ অর্জনের শিক্ষা ۔
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে যিনি আমাদের কে এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ,
আর ধন্যবাদ জানাই আমাদের ফেনী জেলা টিম কে কারণ আমি ফেনী জেলার একজন গর্বিত সন্তান ۔
আমি NRB কাতারের গর্বিত সদস্য হতে পেরে কাতার টিম কে ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি ۔সবাইর সাথে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যেন আজীবন অটুট থাকে সবার সহযোগিতায় নিয়ে প্রতিনিয়ত নিজেকে গড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং এটা কন্টিনিউ করে যাবো ইনশাআল্লাহ
স্যারের দেওয়া এই শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেছি সবাইর প্রতি দোয়ার দরখাস্ত রইলো যেন আমি আমার উদ্দশ্যে সফল হতে পারি
পরিশেষে স্যার কে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটা গরূপে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা সব সময় স্যারের জন্য আল্লাহ উনাকে সব সময় সুস্থ রাখুন ۔কারণ উনার সুস্থতা মানেই লক্ষ লক্ষ বেকার তরুণ তরুণীর আশা জেগে থাকা ۔
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- 205
Date:- 25/04/2020
ইকবাল হোসেন
অষ্টম ব্যাচ
রেজি.নং: ৬০৯৬
জেলা:ফেনী
ব্লাড-গ্রুপ o +
কাতার প্রবাসী