অল্পতেই হতাশ হয়ে যাওয়া
অল্পতেই হতাশ হয়ে যাওয়া
নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপের দশম ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা আমার পক্ষ থেকে। আপনারা যারা আছেন বর্তমানে তারা ৯০ টি সেশন নিয়মিত করার চেষ্টা করবেন। মন থেকে একটা কথা সবাই মুছে দিতে হবে সেটা হচ্ছে আমি ব্যর্থ হতে পারব না। ব্যর্থতা কখনোই আমাকে নিজের মতো করে নিতে পারবে না আমি অবশ্যই হতাশাগ্রস্থ হব না। আমাদের জীবনে যে সমস্যাটা হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে হতাশাগ্রস্থ। অল্পতেই আমরা হতাশ হয়ে যাই কে জানে কি হবে, কি হবে, আমার ভবিষ্যৎ কি, আমার সামনে কি, করে আমি করে সামনে অগ্রসর হবো???????
এটাই হচ্ছে একজন উদ্যোক্তা তৈরীর সবচাইতে বড় বাঁধা, এবাঁধা অবশ্যই আমাদেরকে অতিক্রম করতে হবে।
কিন্তু কত দিন মনের মধ্যে এই হতাশাকে বাসা বাঁধতে দিবেন? আপনি কি জানেন আপনি নিজেই নিজের ক্ষতি করছেন? আমাদেরকে মন থেকে হতাশা কে চিরদিনের জন্য দূর করতে হবে, হতাশ হওয়া যাবে না। নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস টাকে শক্ত করতে হবে।
কথায় বলে, "একটি সুন্দর উক্তি রত্নের চেয়েও মূল্যবান" বা
"একটি চমৎকার অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি দুর্বলকে যোগায় শক্তি,দিশেহারাকে দেখায় পথ, অন্ধকারে জ্বালায় আলোর মশাল " হতাশা, ব্যর্থতা, গ্লানির তিক্ত অনুভূতিগুলো যখন ঘিরে ধরে তখন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সম্বল হয় একটু আশা, একটুখানি সম্ভাবনার হাতছানি। আর সেই সম্ভাবনা পাওয়াে জায়গা হচ্ছে শুধু আমাদের প্রিয় প্ল্যাটফর্ম এখান থেকে নিশ্চিন্তে আমরা ঠান্ডা মনে সুন্দরভাবে ফিরে দাঁড়াতে পারি কারণ স্যার আমাকে প্রতিদিন সেশন শিখাচ্ছে সেই সাথে সাথে ভিডিও করে বুঝিয়ে দিচ্ছে, জীবনের কঠিন সময়গুলোতে তোমার বা আমার মনোবল ধরে রাখতে হবে। আমাদের প্রিয় স্যার বলে থাকেন যে কখনো হতাশ হওয়া যাবে না হতাশ হলেই আপনার ব্যর্থতা আপনাকে ঘিরে ফেলবে। আমাদের ভেতরে লুকিয়ে থাকা হতাশাটা কে আমরা দূর করতে আমাদেরই ৯০ দিনের সেশন করা খুবই জরুরী। নেলসন ম্যান্ডেলার মতে,
"কোনো কিছু করার আগ পর্যন্ত সবসময়ই সেটা অসম্ভব বলে মনে হয় " তা ব্যাখ্যা হিসেবে আমি বলি আমরা যখন ব্রিজে ওঠার সময় চিন্তা করি কি? ব্রিজ যদি ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায় আমি যদি নিচে পড়ে যায় এরকম কখনো ভাবি? কেন ভাবি না? জানেন তার কারণ হচ্ছে ব্রিচ যখন তৈরি করে তখনই আমাদের ভয় গুলো দূর হয়ে যাই আমরা তখন দেখি রড সিমেন্ট ইট পাথর দিয়ে সুন্দরভাবে তৈরি করছে, আর তৈরি করার পরে এভাবে আর থাকে না ভয় গুলো আমাদের মনের ভেতর তখন একটা ভরসার জন্ম নেয়।
এজন্যে প্রিয় ভাই বোনেরা আপনাদের কে বলবো কখনো হতাশা হওয়া যাবে না কোন কিছু করতে হলে তার পিছনে লাগতে হবে, লেগে থাকতেই হবে স্যার বলেন স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন, লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই। কেন বলে জানেন যে কোন একটা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে তার পেছনে আপনাকে সময় দিতে হবে মনে করে দেখুন আমার মা যদি ছোটবেলা আমার পিছে সময় না দিতো তাহলে কি আমি সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারতাম?
অথবা ইকবাল বাহার স্যারের ৯০ দিনের সেশন যদি না করতাম তাহলে কি নিজে শতভাগ ভালো মানুষ হিসেবে দাবি করতে পারতাম?
এভাবেই আমরা আমাদের প্রতিটি কাজের পেছনে বা স্বপ্নের পেছনে লেগে থাকতে হবে আর লেগে থাকাটাই আমাদেরকে স্যার শিখাচ্ছেন।
হতাশাগ্রস্ত যারা তাদেরকে যে জিনিস গুলো করতে হবে সেগুলো হলো :-
★ চিন্তা করবেন আপনি কী করতে পারছেন, কখনো চিন্তা করবেন না কী হারিয়েছেন।
★ মনে রাখবেন, আপনার হতাশার জন্য অন্যরা দোষী হলেও তাদের দোষারোপ করে হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।
★ হতাশা আপনাকে চেষ্টা থেকে বিরত রাখতে পারবে না; আপনার চেষ্টার একটা না একটা পথ খোলা আছেই।
★ সবসময় নিজের ওপর বিশ্বাস রাখবেন অটল যে আমাকে দিয়েই হবে ।
★ নিয়মিত বই পড়েন।
★ নামাজ পড়ুন সেই সাথে কোরআন তিলোয়াত করুন।
★ খেলাধুলা করুন।
★ কাছের বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন।
★ এতিম বাচ্চা বা গরিবকে একবেলা খাবার নিজ হাতে খাওয়ান।
★ মা-বাবার কাছে গিয়ে দোয়া নিয়ে আসুন।
★ সব সমময় নতুন কিছুতে ব্যস্ত থাকতে হবে কারন ব্যাস্ত থাকলে হতাশা আপনার মনে স্থান পাবে না।
আপনি মাঝেমধ্যে নিজের সাথে নিজে কথা বলতে হবে যা আমাদের স্যার আমাদেরকে শিখিয়েছেন নিজের সাথে নিজে কথা বললে নিজের ভিতর হতাশাগুলো কে আয়নার সামনে বের হয়ে আসতে দেখবেন আর এতেই আপনি আপনার উন্নতি করতে পারবেন।
আসলে একটা সময় আমিও ভাবতাম যে আসলে হতাশা বুঝি আমাকে ঘিরে ফেলবে কিন্তু বিশ্বাস করেন এখন আর হতাশা কে নিয়ে কখনও চিন্তিত নয় বরং হতাশ আমাকে নিয়ে চিন্তিত দেশে কখন আমাকে গ্রাস করতে পারবে কিন্তু তার কাছে সেই সুযোগ নাই আমি হতাশা কি সেই সুযোগ দিচ্ছি না আর দিব না আমি শিখে গেছি কি করে হতাশা থেকে মুক্তি পেতে হয়।
আসুন আমরা সবাই হতাশাকে জয় করে নেই, সবাই একটু বাস্তববাদী হতে চেষ্টা করি এবং বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করে সমাজের সফল অর্জন করতে শিখি।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- 206
Date:- 26/04/2020
সিএম হাসান
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
সদস্যঃ 'রিসার্চ এন্ড প্রোমোশন টিম
তৃতীয় ব্যাচ
রেজি.নং: ৩৫২৭
প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোগতা : QB Fashion World
অনারেবল ডাইরেক্টর: নুজুম গ্রুপ
ব্লাড গ্রুপ: A+
লক্ষ্মীপুর জেলা