আমার ও প্রিয় স্যারের সম্পর্ক
সু রুমে আমি বসে আছি, কিছুক্ষণ পর টাঙ্গাইল জেলার Abu Sayim ভাই ইবনে সাইম রানা ভাই খন্দকার শরিফুল ইসলামভাই কোন কারনে ময়মনসিংহে যাবে। তাই তারা টাঙ্গাইল থেকে ফুলবাড়িয়া হয়ে ময়মনসিংহ যাবে। আর একটি কথা যেহেতু আমার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া সেহেতু তারা আমার সাথে দেখা করবে বলে ভাবে। সে অনুসারে আমার শোরুমে কিছুক্ষণ পর তারা আসলো, দেখে আমি এত অভিভূত হলাম শুধু তাদের সাথে আমার মেসেঞ্জারে কথা হয়েছিল তাতে করে আমাকে এত কাছে টেনে নিয়েছে আমার খুব ভাবতেই ভালো লাগছে, তাদেরকে পেয়ে আমিও খুব আনন্দিত। তাদের সকলের সাথে আলিঙ্গন করলাম তারা বসলো এবং শুরু হলো জগতের সকল আলাপ-আলোচনা।
আলহামদুলিল্লাহ কিছুক্ষণ পরে এমন এক ঘটনা ঘটল যা আমিনা আমার সাথে যারা আছে এখানে তারাও কখনো কল্পনা করতে পারে নাই, এরকম হতে পারে। হঠাৎ করে গাড়ি থেকে নামল একজন অসম্ভব ভদ্রলোক, প্রথমে আমার চোখ পরল আমি তো এক চোখে তাকিয়ে আছি তার দিকে এটাকে আদৌ সত্য হতে পারে। হঠাৎ করে দেখি আমাদের স্বপ্ন গুরু প্রাণপ্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার আমি বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলাম তখন সবাই আমার দিকে তাকিয়ে। আমি যখন বাহিরে দিকে তাকিয়ে মুখে একটা হাসি নিয়ে সালাম দিচ্ছি তখন তারা বাইরের দিকে তাকালো এবং স্যারকে দেখে তারা কি বলবে চিন্তা করতে পারতেছে না তারাও তিনজনে একসাথে সালাম দিল মনে হল প্যারেড গ্রাউন্ডে সালাম প্রদর্শন চলছে। স্যারকে সাদরে বসার জন্য অনুরোধ করলাম আমার চেম্বারে প্রধান চেয়ার স্যারকে বসার অনুরোধ করলাম এবং বসালাম। স্যারকে আমরা কি বলবো মুখ দিয়ে কথা আসতেছিল না কারণ শুধুমাত্র একটা হাসি ছিল সবার মুখে, যে হাসি টাকা দিয়ে ক্রয় করা যাবে না। তারপর আস্তে আস্তে আমরা নরমাল হতে লাগলাম স্যার কে পেয়ে আমাদের আনন্দের কথা বলতে লাগলাম, স্যার একটি কথাই বললো তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য না বলে চলে আসলাম, আমার যে তখন কি ভালো লাগতেছিল বলে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না,স্যার কে বললাম স্যার আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ এত অল্প সময় আমাকে এতটা ভালোবাসা দিলেন।
এর মাঝে একটা কথা বলি আমার শোরুমের বাহিরে আপনি চিন্তা করতে পারবেন না কতগুলা লোক জড়ো হয়ে গেছে অসম্ভব ব্যাপার, লোকের উপর দিয়ে কেউ কেউ আবার উঁকি মারছে আমি দেখছি আমার এক বন্ধু যে কিনা আমাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করত এই গ্রুপে সময় দেই কারণে সেই বন্ধু উঁকি মারছে। তাকে আমি বাহির থেকে নিয়ে আসলাম স্যারকে পরিচয় করে দিলাম ওর মুখের হাসি আমার দেখার মত। তারপর স্যারকে কি দিয়ে আপ্যায়ন করি স্যারকে তখন বললাম স্যার বিস্কিট কেক ঠান্ডা পানি নিয়ে আসি স্যার বলতেছে ওগুলো থাক, তোমার কাছে লাল চিনি আছে দেখি তুমি হেলো ঢাকা পোগ্রামে নিয়ে যাও নাই সেখানে হয়তো বা খেতে পারতাম,আমি বললাম ওকে স্যার। আমি কাউন্টারের নিচ থেকে একটি বয়াম বাহির করলাম স্যারকে বললাম স্যার এই লাল চিনি। স্যার তিন অঙ্গুলের চিমটি দিয়ে লাল চিনি মুখে দিলেন, স্যার মনে হল ২০ সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে রাখলেন এবং স্বাদ নিলেন স্যার বলল ওয়াও এটা তো মনে হচ্ছে যেন আখের রসের গন্ধ বাইর হয়ে আছে, খুব ভাল লাগল স্যার বলল, স্যার এটাও বললো এত একটা ভালো প্রোডাক্ট আমি চিন্তাও করতে পারিনি তারপরও মানুষ কেন এটা খাচ্ছে না। আমি স্যারকে বললাম এটা কেউ বাজারজাত করার চিন্তা করতে পারে নাই এটা পেরেছি একমাত্র আপনার কারণে। যাক তারপর আবার একজনকে কেক বিস্কিট পানি নিয়ে আসতে বলছিলাম সে নিয়ে আসছে, স্যার কে দিলাম স্যার আমাদেরকে সহ নিয়ে খেলো এবং স্যার আরেকটি কাজ করলো বাইরে থাকা লোকজনের জন্য স্যারের পকেট থেকে টাকা বাহির করে দিলো তাদের কে খাবার কিনে দেওয়ার জন্য। তারপর আরেক জনকে পাঠালাম তাদেরকে খাবার খাওয়ানোর জন্য। পর্যায় ক্রমে মানুষ বেড়েই চলেছে সবাই স্যার কে দেখছে।
কিছুক্ষণ পর এক কাস্টমার এসেছে একটা এলইডি ক্রয় করার জন্য, আমি তাকে বললাম এখন হবে না পরে আসবেন আমি আস্তে করে বলেছি লোকটাকে। স্যার বুঝার পর স্যার বলতেছে উনাকে নিয়ে আসেন নিয়ে আসলাম উনি উনাকে বলল আপনি কোন এলইডি নেবেন, উনি বললো বত্রিশ ইঞ্চি। স্যার আমাকে বলল দিয়ে দেন আমি দেয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম এবং 5 মিনিটে তাকে বিদায় করলাম। কিছুক্ষণ পর স্যার আমাদেরকে নিয়ে অনেক রকম কথা বলতেছে আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কথা বলতেছে এবং স্যারের সাথে অনেক ছবি তোলার আশা পূরণ হয়ে গেল। যেটা এর আগে হয় নাই সাথে সাথে রানা ভাই সায়েম ভাই শরিফুল ভাই তারাও অনেক ছবি তুলল।
কিছুক্ষণ পর স্যার বলতেছে উনি চলে যাবে আমি স্যারকে বললাম স্যার আপনি যে ভালোবাসা দিলেন আপনার কাছ থেকে আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি এরকমটা হতে পারে। আপনাকে আমি আমার বাড়িতে থাকার আমন্ত্রণ জানাব এটা আমি বলতে পারতেছি না, কারণ আপনি থাকবেন না তখন আমার দু চোখের কোনে ভালোবাসার কারণে শ্রদ্ধার কারণে একটু পানি চলে এসেছে মনে হয়। তারপর আমাকে যখন বুকে টেনে নিল তখন যে কি ভালো লাগলো সেটা কি দিয়ে বুঝাবো, সবার কাছ থেকে বিদায় নিলো তার গাড়িতে উঠলো চলে গেল সত্যিই অভাবনীয়।
এমনটা হলে খুব ভালো লাগতো পুরোটাই দেখলাম স্বপ্ন, আজ দ্বিতীয় রমজানের জন্য সেহরি খাওয়ার পর নামাজ পরে যখন ঘুমালাম কিছুক্ষণ পরপর স্বপ্ন দেখছি বারবার জেগে উঠছি, আবার স্বপ্ন দেখছি একই স্বপ্ন। এই স্বপ্ন থেকে বাহির হতে পারলাম না এবং অনেকবার সজাগ হয়েছি আবার ঘুমিয়েছি কিন্তু স্বপ্ন একটাই দেখেছি। এটা যখন ঘুম থেকে উঠার পর আমার ওয়াইফ কে বললাম সে আমাকে উত্তর দিল যেরকম তুমি ভাবো ওরকমই স্বপ্ন দেখো, আমি শুনে হাসলাম ও আরেকটা স্বপ্ন দেখছে এই সময়ে আমাকে বলল, আমাকে নাকি পুলিশে ধরেছে কি কারনে আমি আজকে সকালে কিছু বাজার করার জন্য বাজারে যাব বলেছিলাম। আমি ওর কথা শুনে হাসলাম তুমিও বেশি আমাকে নিয়ে ভাবো তাই এই স্বপ্ন দেখেছো।
একজন ভালো মানুষ কে নিয়ে যখন ভাবতে পারি তখন নিজেকে ভাল মনে হয়। উনি এমন এক ধরনের মানুষ উনি স্বপ্ন দেখার মতো, উনার সাথে দেখা হওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার আমার কাছে। আমার ভাগ্য হয়েছে তার সাথে দেখা করার তার সাথে কথা বলার। তার জন্য শুধু একটা দোয়া করব বেঁচে থাকুন হাজার হাজার বছর তাহলে আমাদের মত লাখো লাখো তরুণের ভালো কিছু হবে আশা করি। আল্লাহ তাআলা আপনাকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন অবশ্যই মানুষের উপকার হবে আপনি যদি কখনো চলে যান আপনি মনে রাখবেন লাখো লাখো তরুণ চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেনা, আমি লিখতে গিয়ে চোখে পানি চলে এসেছে স্যার আপনাকে এত ভালোবাসি.
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- 206
Date:- 26/04/2020
মোঃ আব্দুর রউফ মন্ডল
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার লাল চিনি
৮ ম ব্যাচ
রেজিস্ট্রেশন:৮৯৫৬.
মোবা:০১৯১৭২৮২৬১১
ব্লাড গ্রুপ ঃ বি+ লাল চিনি
ফুলবাড়িয়া ময়মনসিংহ
ফাউন্ডার এ টু জেড বেস্ট প্রাইভেট কোম্পানি
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার লাল চিনি
৮ ম ব্যাচ
রেজিস্ট্রেশন:৮৯৫৬.
মোবা:০১৯১৭২৮২৬১১
ব্লাড গ্রুপ ঃ বি+ লাল চিনি
ফুলবাড়িয়া ময়মনসিংহ
ফাউন্ডার এ টু জেড বেস্ট প্রাইভেট কোম্পানি