'বইটি অসাধারণ, বইটি পড়ে আমি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি
'বইটি অসাধারণ, বইটি পড়ে আমি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি '
এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রথমেই আমার সৌভাগ্য হয়েছিল, এই মহান দেশপ্রেমিক, শিক্ষাগুরু,মেন্টর,জনদরদী, নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগী অলরাউন্ডার,# ইকবাল বাহার জাহিদ #স্যারের সঙ্গে দেখা করার।
যার নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগে যার বিনা পয়সায় দেশ বিদেশের মানুষ নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে,পরিচয় দিতে পারছে।এর চেয়ে বড়ো পাওয়া আর কি হতে পারে।
যখন জানলাম স্যার১৪ ই ফেব্রুয়ারিতে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মেলায় থাকবেন। ভাবলাম অনেক বছর মেলায় যাওয়া হয় না, গল্পের বইও কেনা হয় না।
তাছাড়া আমার ছোট মেয়ে জন্মের পর, একটার পর একটা পারিবারিক সমস্যার কারণে, কোন মেলাতেই যাওয়া হয়না। ভাবলাম এই সুযোগটা মিস করবো না।
আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে চললাম মেলার উদ্দেশ্য,
মেলার মেন গেটের রাস্তা বন্ধ তাই,শাহবাগেই নেমে যায়।আসলে মেলাতে একা,কোন সময় যাওয়া হয়নি তাই ঐ রাস্তা আমি চিনতাম না।
রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছি,দেখছি অনেক ফুলের দোকান, আমার মেয়ের জন্য মাথার মুকুট নিলাম ও স্যারের জন্য ফুলের তোড়া নিলাম।
তারপর হাটা শুরু করলাম,সেদিন যেহেতু বিশেষ একটা দিন ছিল,তাই মানুষের ভীড় অনেক বেশিই ছিল।
ঐ ভিড় কে উপেক্ষা করে আমি ও আমার মেয়েকে নিয়ে অনেক ঘোরাঘুরি করে স্যার এর বই এর স্টলটি দেখা পায়। আমার মেয়ে তো প্রচুর হাঁটাহাঁটি করে টায়াড।
আমি হাটছি আর ভাবছি,স্যার যদি চলে যায়, বার বার ঘড়ি দেখছি,যেহেতু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
যাক /শেষ পর্যন্ত সময়মতো পৌঁছাতে পেরেছিলাম।
তারপর ঐখানে গ্রুপের তিন ভাই ছিলো,আমি তাদের কাউকে চিনতাম না।
তারা ঐ ভীড় ঠেলে আমাকে স্যার এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলো।আমার মেয়ের হাতে ফুলের তোড়া ছিল, স্যারকে দিতে বললাম,আার স্যারের অটোগ্রাফ সহ বই নিলাম,স্যারের নিজের হাতে লেখা।
সে এক অন্যরকম অনুভূতি,সেটা বলে বোঝানো যাবে না।
সেখানে সেলিম ভাই, কাজী হাসান মাহমুদ ভাই, আর অন্য ভাই ছিল, তার নাম জানিনা,তারা আমাকে যথেষ্ট হেল্প করেছিল।
হ্যালো ঢাকা প্রোগ্রাম এ আমার যাওয়ার কথা ছিল।
সেলিম ভাই ও ফখরুদদীন ইমেল ভাই আমার টিকিটের ব্যবস্থা করেছিল,কিন্তু দুঃখের বিষয় পারিবারিক সমস্যার জন্য যেতে পারিনি।
একদিন বসন্ত মেলায় গিয়েছিলাম বারিধারাতে।সেই দিন মেলার শেষ দিন ছিল, ভাবলাম, গ্রুপের মানুষদের সঙ্গে দেখা করে আসি, রাস্তায় জ্যাম এর কারণ একটু দেরী হয়ে গিয়েছিল,আার একটু দেরি হলে,কারো সঙ্গে আমার হয়তো দেখাও হতো না।
আলহামদুলিল্লাহ সবার সঙ্গে দেখা করার পর যখন আমার পরিচয় দিলাম, তখন তারা আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করলো।
সেখানে স্যারের বোনের সঙ্গে দেখা হলো, ফখরুদদীন ইমেল ভাইয়ের সঙ্গে আরো দুই জন ভাই ছিলো, তাদের নাম আমি জানিনা।আমি তাদের সবার ব্যবহারে অনেক মুগ্ধ।
একদিন সাগর বণিক ভায়ের কাছে বই এর অডার করেছিলাম,সময় মতো গ্রুপের সোহাগ আল মামুন ভাইয়ের মাধ্যমে,আমাকে বাসায় পৌঁছিয়ে দিয়েছিল।
সাগর বণিক ভাই ও সোহাগ আল মামুন ভাই, দুজনেই খুব ভালো মনের মানুষ।
ফখরুদদীন ইমেল ভাই আামাকে বলেছিল আমি তেজগাঁও তে যেতে পারবো কিনা, ত্রাণ দেওয়ার জন্য,কিন্তু এই মহামারীর জন্য আমাকে বাসা থেকে বের হতে দেয়নি অনেক ইচ্ছে ছিল। স্যার সেখানে যাবে আমি জানতাম না,অনেক আফসোস করি।
আসলে আমার জীবনটাই এরকম অনেক ভালো ভালো সুযোগ মিস করি।
অনেকেই দেখি,সুধু টাকা ও ক্ষমতার পেছনে ছুটে, যেখানে লাভ শুধু লাভটাই দেখে।
একটা ভালো মানুষ যখন মারা যায়, তখন আমরা সাধারণত অনেকেই বলি,লোকটি অনেক ভালো ছিল।
একথা আমরা কেউ বলিনা লোকটির অনেক টাকা ছিল ও ক্ষমতা ছিল।তখন আমরা মানুষ টাকেই নির্বাচন করি।
আমরা টাকাকে কিছু ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারি,বিলাসিতা, অপচয় না করে,আমরা সহজেই দুস্থ মানুষের পাশে দাড়াতে পারি,
এতিম বাচ্চাদের পাশে দাড়াতে পারি,
আমি অবশ্য একটা মাদ্রাসার পুরো রমজান মাসে খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছি।
একটি সত্যিকারের ভালো মানুষের মধ্যে যা যা পাওয়া যায়, তার সব শিক্ষা কিন্তু আমরা এই প্ল্যাটফর্ম থেকেই পাই।
স্যারের মতো অবশ্য আমরা এতটা পরিশ্রমী হতে পারবোনা, কিন্তু ভাল মানুষ তো হতে পারব।
স্যার একটা কথা প্রায়ই বলে,এটা হচ্ছে ভালো মানুষের ব্র্যান্ড।
সত্যিকার অর্থে এটা ভালো মানুষের ব্র্যান্ড।
আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি,একটা মানুষ কিভাবে সবদিক এতোটা মেইন টেন করে চলে।
কিছু মানুষ ত্যাগের জন্যই জন্মায়।
তার উদাহরণ আমাদের #ইকবাল_বাহার_জাহিদ_স্যার
প্রকৃত ভালোমানুষ সঠিক কর্মের মাধ্যমে তা প্রকাশ করে। ভালো মানুষগুলো সব সময় তার গন্তব্যে না পৌঁছালেও আত্মতৃপ্তি নিয়ে জীবনে পথ চলতে পারে।
মনের শান্তি নিয়ে সে জীবনে ভালো মানুষের ছায়া হয়ে বেঁচে থাকে।
স্যার এর শিক্ষা,আদর্শ ফলো করে, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে যারা উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে,ব্যবসা করছে, এখনো যারা এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে বিশেষ করে ভলেন্টিয়ার হিসাবে যুক্ত আছে, তারা খুব ভালো মানসিকতার মানুষ।
সোভন ভাইয়ের কাছে আমি এখন ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শিখছি।
আশা করি নিজেকে ঐ জায়গায় নিয়ে যেতে চাই,যা নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরী করতে পারি।
আমার সৌভাগ্য, যে যাদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে, তারা অসম্ভব ভালো মনের মানুষ।
আমি মনে করি আপনারাই স্যার এর অনুপ্রেরণা, আপনারাই স্যারের অনেক কষ্টের এই প্ল্যাটফর্মের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবেন।
আমরা আমাদের সাধ্যমত স্যারের দেখানো পথেই, আপনাদের উৎসাহ দিয়ে যাবো ও স্যারের সপ্ন পূরণে সহায়ক হবো।
বাংলাদেশের জন্য একটা গর্ব, এই নিজের বলার মতো একটি গল্পের প্ল্যাটফর্ম।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- 208
Date: 28/04/2020
নামঃনাজনীন আরা
ব্যাচঃ-নবম,রেজিঃ-১০৩৬৪
ঢাকা,গুলশান জোন।