এই উদ্যোক্তা প্লাটফর্মে এসে নিজেকে কতটুকু পরিবর্তন করেছি
এই উদ্যোক্তা প্লাটফর্মে এসে নিজেকে কতটুকু পরিবর্তন করেছি সেটার হিসাব করতে গিয়ে দেখলাম অনেক কিছু কিন্তু তার মধ্যে একটি হলো, ইদানিং লেখার অভ্যাসটা মনে হয় ফুটে উঠেছে বেশি।
কারো বউ, কারো জামাই, কারো ছেলে, কারো মেয়ে, কারো ভাই, কারো বোন, কারো চাচা- মামা ইত্যাদি এই সকল গল্প লিখলে বছরজুড়েই লিখতে পারবো। কিন্তু নিজের জীবনের গল্প গুলো লিখতে কি যে মজা সেটা যারা লিখে তারাই একমাত্র বলতে পারবে।
কোম্পানি পুরো রানিং অবস্থায়, আমি অফিসে বসে চা পান করছিলাম। ঠিক ওই সময় অফিসের আমার কক্ষে নক করলো ঢোকার জন্য কেউ একজন। আমি আসতে বললাম- আমাদেরই এক বাংলাদেশি ভাইয়া। আমি ফোনটা কম রিসিভ করি, একটা বদঅভ্যাস বলতে পারেন। তারই বদৌলতে সাক্ষাৎ করতে আসেন। উনার বাসায় দাওয়াত দিলো উইকলি অফের দিনের জন্য। আমার সহজে দাওয়াতে যাওয়া হয়ে ওঠে না। যাই হোক আমার ড্রাইভারসহ 2 কেস ঠান্ডা নিয়ে পৌঁছে গেলাম গন্তব্যস্থলে। ওই বিল্ডিং এ আমাদের বাংলাদেশী আরো কাছের কিছু প্রিয় ভাইয়েরা ছিলো। তারাও এসে হাজির কিছুক্ষণের ভিতরে, জমজমাট আড্ডা হচ্ছিলো এবং সকলের দুঃখ কষ্ট শেয়ার করছিলো অনেকেই। হঠাৎ একজনের মায়ের মৃত্যুর খবর আসলো জমজমাট আনন্দ নিমিষেই দুঃখের বৃষ্টি বইতে থাকলো সেই দিন দুঃখের বৃষ্টিতে আমরা সকলেই ভিজেছি।
মায়ের একমাত্র ছেলে ছিলো আমাদের ওই ভাইটি। বাঙালি ভাইয়েরা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন কিন্তু তিনি কারো থেকে নিতে রাজি হলো না। এদিকে বসের অর্ডারে হিউম্যান রিসোর্স ফরমালিটি মেনটেন করে খুব দ্রুত যাওয়ার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত করে। কিন্তু হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিলেন মাত্র তিন মাস হলো প্রবাসী ছুটি থেকে এসেছি, আমার ভীষণ কষ্ট হয়ে যাবে, অনেক কান্নাকাটি করতে করতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অন্যরা সবাই বুঝতে পারছিলো ব্যাপারটি, আমিও না বুঝে নেই। আমি বসের সাথে পার্সোনালি কথা বলে ওনার সম্পূর্ণ খরচ কোম্পানি থেকে ব্যবস্থা করি যা তিনি এনটাইটেল নয়। এবার হয়তো আমি ওখানে ছিলাম সবকিছু স্বচক্ষে দেখছিলাম এবং নিজের ইমোশন কাজ করেছিলো। সম্পর্কটা কেনো জানি গভীর ভাবে নিয়েছিলাম, এটাই ছিলো আমার নেটওয়ার্কিং সফলতা। যদি ঐদিন আমার নেটওয়ার্ক ভালো না হতো, আমি এতকিছু নাও করতে পারতাম। জানি না হয়তো করতাম। তাই আমাদের জীবনে চলার পথে যে যাই করি নিজেদের নেটওয়ার্কটা বৃদ্ধি করা অতি জরুরী, নেটওয়ার্ক তৈরি হয় সম্পর্কের মাধ্যমে। সম্পর্ক এমন একটা জিনিস নেগেটিভিটিকেও জয় করা যায়। তিনি সবকিছু ব্যবস্থা করার পর মানা করছিলেন সেটা আমার জন্য ম্যানেজ করা কষ্ট হতো না, তবে পরবর্তী কাজের জন্য নেগেটিভ মানসিকতা কাজ করতো। কিন্তু আমার মনের ভিতর পজিটিভিটি কাজ করার কারণে ওই চিন্তা মাথায় এলো না মাথায় শুধু এটাই ছিলো ওনাকে কিভাবে মায়ের মুখ খানি দেখানো যায়। তবে আল্লাহ্ না চাইলে আমরা শত চেষ্টা করলেও সেটা পারব না। মানুষ কদিন বাঁচে বেঁচে থাকে মানুষের কর্ম গুলো সেই দিন আমি এই লাইনটির কথা চিন্তা করিনি শুধু চিন্তা করেছিলাম মানুষের সাথে কিভাবে সুন্দর ভাবে চলা যায় মানুষকে কিভাবে ভালো রাখা যায় প্রবাসে। একটা কোম্পানিতে আমাদের যে দেশীয় টান আছে, তারপরও সব সময় চেষ্টা করতাম নিরপেক্ষ থেকেও পজিটিভিটি দিয়ে, ভালো পারফরমেন্স করিয়ে অন্যদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকতো অপরিসীম চেষ্টা।
আমার কাছে পার্টটাইম চাকরি ছিল না, আসলেই বস সব সময় বিজি রাখতো, এটা হয়ে উঠতো না। আল্লাহর রহমতে দরকারও ছিল না তবে আসলে মন্দ হতো না। আর কাজে চলার সময় নতুন নতুন আইডিয়া কিলবিল করতো এবং আমি আমার ক্লোজ যারা ছিলেন মাঝে মাঝে শেয়ার করতাম। শুধু হাসতো কারণ তারা জানতো যত কিছুই আমি বলি, বসকে ব্যতিরেকে কিছুই করতে পারবোনা, এটাই আমার একাগ্রতা ও সিনসিয়ারিটি। যখন যেটা করবো খুব মনোযোগ সহকারে করব সেখানে কোন টাইমিং থাকবে না, তবে একটু ইন্ডিপেন্ডেন্ট হলে কথাই নেই। যা সব সময় বস দিতো।
কিছুদিনের ভেতর কোম্পানির কিছু পরিবর্তন আসছিলো, কিছু প্রজেক্ট বাড়ানো এবং মেশিনারিজ চেঞ্জিং এর জন্য। কোম্পানির কিছু বড় বড় কাজ বাইরের ঠিকাদাররা নিয়ে যাচ্ছিলো এবং অনেক বড় বড় কোটেশন এসে জমা পড়েছে পারচেজ ডিপার্টমেন্টে। ওখান থেকে বসের কাছে ফাইনালের জন্য ফাইল ছিলো ফাইলটি আমাকে চেক করার জন্য অর্ডার দিলো বস এবং যদি কোন আইডিয়া থাকে সেটা পার্সোনালি বলার জন্য। ঠিক ওই সময় আমার মাথায় একটা ছোট আইডিয়া আসলো।
যাই হোক একটি বন্ধ এরিয়া খোলার জন্য কোটেশন ছিলো, সেটি আমি মার্ক করলাম বসের সাথে কথা বললাম। বস এই কাজটা আমি করে দিবো কোন এক্সট্রা টাকা পয়সা লাগবে না। বস বলল কিভাবে? আমি বললাম কাজটা আমি করে দেই কিন্তু কিছু ফ্যাসিলিটি প্রয়োজন এতে শুধু কয়েকজনের ওভারটাইমের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া লাগবে। যদি আপনার কাজ ভালো লাগে, তাহলে কোটেশনের টাকার চার ভাগের এক ভাগ ওদেরকে দিবেন। বস বলল গো আহেড।
কয়েকজনকে ফোন দিলাম তারাও সায় দিলো আমার সাথে থাকার। কাজটা বেশি একটা বড় ছিল না 5 দিনের কাজ 3 দিনে শেষ করে দিলাম।
বসতো খুশি! এবং বলল কোটেশনের যা আছে পুরো টাকা তাদের জন্য বরাদ্দ করতে কোটেশন তেমন বড় ছিল না। কিন্তু যারা কাজ করেছিলেন সকলেই খুব খুশি ছিলো, আনএক্সপেক্টেড কিছু একটা পেয়েছে, যদিও তারা ডিউটি টাইম এর ভিতর কাজটা করেছিলো। ওই কোটেশন লিস্টে থাকা আরও একটা কনট্রাক ছিলো ওয়্যারহাউস প্রজেক্ট- 24 লাইন করে, 48 লাইনের পাঁচতলা, পাঁচ উডেন প্যালেটের 12 ফুট বাই 12 ফুট রাখার প্রজেক্ট প্রায় বারোশো উডেন প্যালেটের জায়গা।
রেকিং সিস্টেম গুলো কেনা, শুধু ফিক্সিং করা বাকি। সাধারণভাবে ফিক্সিং করা যাবে না, অনেক বড় কাজ। 120000 রিয়ালের কন্ট্রাক্ট বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ঘুরে পারচেজ ডিপার্টমেন্টের ও ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট ফাইনাল করে বসকে দিয়েছে, অনলি ফরমালিটি হিসেবে সিগনেচার এর জন্য। সেইখানে আমি হাত লাগানোর প্রশ্নই ওঠে না।
কিন্তু কাজে আমার আগ্রহ ও কাজের উৎসাহ দেখে এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় কাজটি আমি বসকে বলা মাত্রই দিয়ে দেয়। কাজ তো পাস করিয়ে নিয়ে নিলাম, কিন্তু সফলতা কিভাবে আসবে?
আসুন গল্পটা শেয়ার করেই ফেলি-
আমাদের কোম্পানিতে যারা আগে ওই ছোট কাজটা করছিলো, সকলকে পাশে রেখে দুজন ওয়েল্ডার ও মেনটেনেন্স ডিপার্টমেন্ট এর একজনের সাথে পার্সোনাল বৈঠক করলাম। সবাই ভয় পাচ্ছিলো শুধু আমি ওয়ান বাই ওয়ান জিজ্ঞেস করেছিলাম ড্রিল ও হিন্ট্রি চালাতে পারবেন কিনা? এবং আগে যারা ক্লিনিং এর ও মেশিন ফিক্সিংয়ের হেলপার হিসেবে ছিলো তারা পর্যাপ্ত সময় দিতে পারবেন কিনা? সকলেই বলেছেন আপনি যেখানে আছেন, আমরা সবাই কষ্ট করতে পারবো ইনশাআল্লাহ যত কঠিন হোক। কিন্তু আমারও নিজস্ব আইডিয়া নেই। তবে ম্যাপ দেখে আইডিয়া করে নিলাম এবং সবাইকে কাছে পাবো কনফিডেন্স ছিলো। আমি একজনকে দায়িত্ব দিয়ে বললাম লিস্ট করতে যারা বর্তমানে আছেন এর বাইরেও যদি কোন লোক লাগে, আমাকে টেক্সট করার জন্য। ফর্কলিফট অপারেটিং এর কথা কাউকে জিজ্ঞেস করলাম না। কারণ মনে মনে ছিলো কোম্পানির দেয়া আমার পার্সোনাল ড্রাইভারকে দিয়ে কাজটা সেরে নিবো। কোথাও কোনো সর্টিং দরকার হলে আমি নিজে লেগে যাবো। সবশেষে পর আমি আমাদের কোম্পানির অপারেশন অ্যান্ড টেকনিক্যাল এজিএম এর সাথে আলাপ করি পার্সোনালি কথা বলে ভালো আইডিয়া নেয়ার চেষ্টা করি যেহেতু আমার সাথে তার রিলেশন খুব ভালো ছিল সেহেতু কোন বাধা আমাদের ভিতরে ছিলো না। মেনটেনেন্স ডিপার্টমেন্ট এর হেড দের সাথে কথা বলার সিদ্ধান্ত ছিলো কিন্তু আর কারো সাথে কথা বলার দরকার হয়নি।
প্রডাকশনের লোকজন যারা ওভারটাইম করছিলো এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করছিলো। তাদেরকে ছাড়া যেই কোন নাম দেয়ার অনুরোধ করলো এবং সর্বাত্বক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলো। সেই হিসাবে আমি তাকে এপ্রিশিয়েট করে আসলাম।
যাইহোক একটা কস্টিং বের করলাম কোম্পানিতে যা যা ইকুইপমেন্ট আছে সেগুলোই ইউজ করবো যেমন ড্রীল, পাওয়ার কেবল ইত্যাদি। বাকি রইলো লোকজনের সেলারি, ট্রানস্পর্টেশন, ইলেকট্রিক বিল, হাউস, ওভারটাইম, সামান্য কিছু নতুন ইকুপমেন্ট ও খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে। 20000 রিয়াল এর বেশি নয়।
যাই হোক সবকিছু মিলিয়ে কাজটি শুরু করি, প্রথম দিনই সবাইকে এক জায়গায় নেইনি কারণ কোম্পানি প্রডাকশন চালু ছিলো। মাত্র চারজনকে নিয়ে কাজটা শুরু করি। দুইদিন শুধু আইডিয়া করতে আর জিনিসপত্র জোগাড় করতেই গেলো। শুরুটা হয়ে উঠছিল না, যেহেতু সবাই নতুন কিন্তু আমার ভিতরে ছিলো কাজটি শেষ করার উচ্চ আকাঙ্ক্ষা, আমি টেকনিক করে অপারেশন এন্ড টেকনিক্যালকে নিয়ে আসি এবং তাকে বলি সামনে দাঁড়াতে। তার সাথে এসেছিলো দুজন মেনটেনেন্স এর ভাইয়া, তারাও কিছু বুঝে উঠতে পারলো না। আমি ম্যাপটা বের করে তিনটি রেক দাড়া করানোর জন্য অনুরোধ করলাম এবং ম্যাপ অনুযায়ী চক দিয়ে মার্ক করার অনুরোধ করলাম। এরপর বাকি অনেক কিছুই তারা বুঝা গেলো প্রফেশনাল না হলেও বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে করতে অভিজ্ঞতার ভান্ডার নিয়ে চলেন ভাইয়ারা কিন্তু দুই লাইন শেষ করার পরে লাইনটা কেমন জানি আঁকাবাঁকা হলো। ম্যাপ অনুযায়ী সঠিক লাগানো হয়েছে, আসলে রেকিং এ দুই লাইন করার পর এটা অনুধাবন করেছে। আগে পিছনে ছোট বড় একটা মাপকাঠি থাকে তা উল্টা ও ভাল্টা হয়ে গেছে, সেখানেই সমস্যাটা। যেখানে সমস্যা ছিলো সেটা সমাধান করে নিলো।
যাই হোক আর কোন প্রাথমিক সমস্যা হলো না। প্রজেক্ট এর কাজ শুরুর সময়তে অনেক সমস্যা হয়েছিলো, যেহেতু মাপকাঠি নতুন অভিজ্ঞতার ব্যাপার। 10 জন কাজটি এক মাসে সমাপ্ত করে। চারজন চারজন করে ভাগ করে নিলো কাজটি। যেহেতু ভারী কাজ পাশাপাশি ফরকলিফট এর মাঝে মাঝে দরকার হতো। সেটা ড্রাইভারকে দিয়ে করেছিলাম এবং আমি যেহেতু পুরো রাত ওখানে থাকতাম ওদের সাথে। আমি নিজেও এটাতে হেল্প করতাম। যদিও তারা এটা পছন্দ করতো না, তারপরও আমি এটাকে কোথাও বেড়াতে এসেছি এরকম একটা পরিবেশ তৈরি করে মাঝে মাঝে হেল্প করতে থাকলাম। এতে করে সকলের সাথে সখ্যতা গভীর হয়ে ওঠে এবং কাজের গতি আনন্দ-উচ্ছ্বাসে সাথে বেড়ে যায়। তারা জানতো আমি যেখানে আছি সেখানে কোন রকম খারাপ কিছু ভর করবে না ইনশা-আল্লাহ এবং অশুভ শক্তির আক্রমণ আসা সম্ভব নয়। কাজটি রানিং থাকা অবস্থায় বসকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছবিগুলো দিতে থাকলাম। বস খুবই আনন্দিত হত। যদিও এইটা উনার বা আমার দেখার বিষয় নয়, যেহেতু উনি কোম্পানির সিইও। কাজ শেষ করার পর ওনারা সাধারণত বেশি হতে বেশি ভিজিট করবে এতটুকুই। কিন্তু উনি মজা পাচ্ছিলো ব্যপারগুলো এবং আমার ব্যাপারগুলো তার নজর কাটা শুরু করলো বেশি বেশি। কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি সকলের জন্য যে ওভারটাইম দেয়ার কথা বলেছিলো, সেটা বরাবর রেখে সকলকে 3 হাজার রিয়াল করে পুরস্কার ঘোষণা করলো এবং আমাকে 20000 রিয়াল অফার করলো। কারণ এর আগেও আমাকে টাকা দেয়া হয়নি এবং ম্যানেজম্যান্টে থাকায়, কোন ওভারটাইম ছিলো না আমার। পাশাপাশি সেলারি ইনক্রিমেন্টের কথা দিলো। ইনক্রিমেন্টের কথায় খুশি ছিলাম কিন্তু আমি 20000 রিয়াল নিতে রাজি হলাম না। শুধু বললাম ওই ছেলেদের কে প্রমোশন দেয়ার জন্য ডিপার্টমেন্ট ওয়াইজ। আর 20000 রিয়াল তাদের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার জন্য। তবে তিনি খুব রাগান্বিত হলেন বললেন যা আমার ডিক্লিয়ার সেটাই। তবে তুমি ওদের প্রমোশনাল যে ব্যাপারটা বলেছো তার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তুমি ডিপার্টমেন্ট ওয়াইজ মেইলের ব্যবস্থা করো তাদের নামের রিকুয়েস্ট দেয়ার জন্য। সেভাবেই আমি সেক্রেটলি পার্সোনালি অপারেশন টেকনিক্যাল হেড এর সাথে কথা বলে, বসকে সিসি করে হিউম্যান রিসোর্স এ ইমেইল পাঠানোর ব্যবস্থা করি। হিউম্যান রিসোর্স থেকে আর কোন ফর্মালিটির দরকার হয়নি যেহেতু আমি আগেই কথা বলে রেখেছিলাম বসের মাধ্যমে। আলহামদুলিল্লাহ ভালো লেগেছিলো সেদিন নিজেকে নিজে সেলুট দিচ্ছিলাম। যদিও সকলে আমাকে বাহাবা দিয়েছিলো। আসলে ঐদিন ওই ভাইয়ের বাসায় গিয়ে দাওয়াত খাওয়া আর মা বাবার দোয়ায় আল্লাহর রহমতে সকলের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলা, সবই ছিলো আমার জন্য miracle'। ওই দিন ছিলো লাইফের আরেকটি টার্নিং পয়েন্ট।
নেটওয়ার্কিং এবং নিজের পজিটিভ বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে কিছু করা আমার পুরনো অভ্যাস। এ প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে নিজের পুরনো অভ্যাস গুলোকে ঝালাই করার পুরোপুরি সুযোগ করে দিয়েছেন প্রিয় শিক্ষক জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার।
স্যালুট আপনাকে।
"লেখার ট্র্যাকে ভুল থাকতে পারে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী"
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- 210
Date:- 30/04/2020
ধন্যবাদ ,
মোঃ ইফতেখার আলম মজুমদার
কান্ট্রি এম্বাসেডর
চট্টগ্রাম ব্যবসা
জেদ্দা সৌদি আরবিয়া
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার 1378
রক্তের গ্রুপ এ পজেটিভ
জেলা ফেনী