নিজের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা সফল মানুষটিকে জাগিয়ে তোলা
একটা লোক বাজারে বেলুন বিক্রি করে জিবিকা নির্ভরাহ করতেন। তার বেলুন বিক্রি যখন কমে যেত তখন সে বেলুনের মধ্যে হিলিয়াম গ্যাস ভরে আকাশে উরিয়ে দিত। এই উরন্ত বেলুন দেখে বাচ্ছারা এসে বেগুনওয়ালার কাছে ভিড় জমাতো এবং বেলুন ওয়ালার বেলুন কিনে বিক্রি বারিয়ে দিত।
একদিন বেলুন ওয়ালা হেঁটে যাচ্ছে হাঠাৎ পেছন থেকে পাঞ্জাবিতে টান পরলো।
বেলুন ওয়ালা ঘুড়ে দেখল একটা ছোট ছেলে পাঞ্জাবি টেনে ধরেছে। ছেলেটা বললো আচ্ছা কালো রংয়ের বেলুনও কি আকাশে উড়বে ?
ছেলেটার জানার আগ্রহ দেখে বেলুন ওয়ালা তাকে আশ্বস্ত করে বললেন রংয়ের জন্য বেলুন আকাশে ওড়েনা,ভেতরের গ্যাস বেলুনকে আকাশে উড়ায়।
মানুষের জীবনেও একথা সত্য। আমাদের ভিতরে কি আছে সেটাই প্রধান। আমাদের ভিতরের যে জিনিষটি আমাদের সফল হতে সাহায্য করে তা হলো আমাদের পজিটিভ মানুষিকতা। আমরা নিজের বলার মতো একটা গল্প গুরুপ থেকে অনেক কিছু জানবো, কিন্তু
জানাকে মানায় রুপান্তরিত করতে না পারলে সে জানা অর্থহীন। তাই জানুন ও পজিটিভ বিষয়গুলো মানুন নিজের মধ্যে আয়ত্ত করুন সফলতা আসবেই আসবে।
মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব, কিন্তু এই আমরা সেরা জীব হয়েও খুব কম মানুষেই নিজেকে,ফ্যামিলিকে ও দেশকে সেরাটা উপহার দিতে পারি।
বেশির ভাগ মানুষেই জীবনে ব্যার্থ হয়, কারন আমরা জানিই না যে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে এক জন ব্যার্থ ও একজন সফল মানুষ ঘুমিয়ে আছে।
আমরা এই গুরুপে প্রতিনিয়ত ভাল মানুষি চর্চা করি। আর আমাদের সাথে আছেন বর্তমান যুগের এক মহা ভাল মানুষ জনাব।ইকবার বাহার জাহিদ স্যার
কথায় বলে, চন্দনের কাছে থাকলে চন্দনের বাউ আর সরারর কাছে থাকলে সরার বাউ লাগে।
আমাদের স্যার সবার জন্য চন্দনের চেয়েও মূল্যবান।
আমাদের শুধু দায়িত্ব এই ভাল মানুষটিকে ফলো করা।
এবং নিজের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা সফল মানুষটিকে জাগিয়ে তোলা।
আমরা যদী একবার ভাবি যেকোন একটা বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করবো তাহলে দেখবেন নিজের ভেতর থেকে সেই সফল মানুষটি কাজটা করার জন্য বার বার আমাদেরকে তাগিদ দিচ্ছে যাও করো, তুমি পারবে আর আমি আছিতো তোমার সাথে।
তার পরেও অমরা কিছুই করতে পারিনা কারন, আমাদেরকে পথ দেখানোর কেই নাই। মনে হয় ইস্
কেউ একটু বলে দিতো কিভাবে,কোনটা কোথা থেকে শুরু করবো তাহলে হয়তো পারতাম।
আমাদের স্যার সব সময় বলেন স্বপ্ন দেখুন,সাহস করুন,শুরু করুন,লেগে থাকুন সফলতা আসবেই।
তাই আমি বলি এখন আমাদের আর সেই ভয় নাই কারন পথ দেখানর জন্য আমাদের পথের দিশা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের সকলের প্রিয়
ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।
একটা কথা সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে নিজেকে সফলতার আসনে বসাতে চাইলে আগে ভাল মানুষ হতে হবে।
আপনি আগে ভাল মানুষ হোন তাহলে
ইকবাল বাহার জাহিদ হতে পারবেন
আমাদের স্যার ইকবাল বাহার জাহিদ ভাল মানুষের ফেরিওয়ালা।
প্রতিনিয়ত আমাদেরকে কিভাবে ভাল মানুষ হওয়া যায় সেই ট্রেনিং দিয়ে যাচ্ছেন ননইস্টপ।এটা ভাল মানুষের গুরুপ, এখানে সব পজিটিভি শেখানো হয়।
এটা যে ভাল মানুষের গুরুপ তার অনেক প্রমান আছে,
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় দুইএকটা :
দেশে যখন বন্যা হয়েছিল চারিদিকে থৈ থৈ পানি তখন আমাদের এই নিজের বলার মতো গল্প গুরুপের সদস্যরা নিজ দায়িত্বে নিজেদের অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় ত্রান বিতরণ করেছেন অসহায় জলাবদ্ধ মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন,দিনরাত মেহনত করেছেন জনসার্থে নিঃসার্থ ভাবে, যেটা প্রশংসার দাবিদার।
এখন সারা বিশ্বে যখন করোনার প্রকট হানা, চারিদিকে মৃত্যুর মিছিল সবাই ভয়ে কাতর, কারন এটা ছোয়াছে ভাইরাস।
যেখানে মানুষ জীবন ভয়ে একে অপরের কাছ থেকে অনেক দূরে, কাজ কর্ম কল কারখানা সব বন্ধ। মানুষ হয়ে গেছে বেকার, অনেক গরীব মানুষ জানেনা তারা কি খাবে আর কোথায় পাবে খাবার। চিন্তায় মানুষ দিশেহারা নির্বাক। যখন সরকার ঘোষিত সাধারন মানুষের জন্য বরাদ্দ ত্রান সামগ্রি এক শ্রেণির মানুষ লুটেপুটে খাওয়ায় ব্যাস্ত।
ঠিক তখনই আমাদের স্যারের গড়া
নিজের বলার মতো একটা গল্প গুরুপের প্রাণপ্রিয় সদস্যরা স্যারের আদেশে দীন আনি দীন খাই কর্মসূচি ঘোষণা করলেন।
এই কর্মসূচিতে দেশ বিদেশে থাকা সদস্যরা নিজ দায়িত্বে নিজ অর্থায়নে মানুষের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে ত্রান পৌছাইয়া দিচ্ছেন।
আমাদের গুরুপের বেশ কয়েকজন সদস্য কভিট ১৯ এ আক্রান্তও হয়েছেন। তবুও থেমে নাই আমাদের ভাল মানুষগুলোর ত্রান কার্যক্রম।
একটা কথা না বললেই নয় স্যার সব সময় প্রবাসীদের খুব ভাল বাসেন। বর্তনাম পরিস্থিতিতে যখন প্রবাসীরা দেশে বিভিন্ন ভাবে লানচিতো হচ্ছেন,যেখানে সরকার প্রধানরা বলছেন প্রবাসীরা নাকি করোনা ভাইরাস দেশে চালান করেছে,প্রবাসীদের বাড়ী ঘড় পর্যন্ত ভেঙ্গে দেওয়ার দৃষ্যও আমরা দেখেছি। তখনও স্যার আমরা প্রবাাীদের পক্ষে কথা বলেছেন
এখানে আমরা প্রায় ৩ লক্ষ সদস্য আছি দেশ ও বিদেশে, যে যেখানেই থাকি সবাই এই গুরুপে আমরা এক ছাতার নিচে এক পরিবারের। আর এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রাণ প্রিয় ম্যানটর জনাব
ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের কারনে
এখন প্রশ্ন : যদী আমরা এই গুরুপে এসে নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়তে না পারতাম তাহলে কি আমাদের দ্বারা এই ভাল কাজগুলো করা আদৌ সম্ভব হতো কি ?
আসল কথা হচ্ছে বাহিরের অবয়বের থেকে অন্তর্নিহিত বস্তু অনেক বেশি তুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজের মধ্যেকার নিজেকে আবিষ্কার করুন।
উদ্যোগ না নিলে প্রতিটি কাজই অসম্ভব মনে হয়।
একটু উদ্যামী হতে হবে আমাদের, পথে নামলেই কেবল সঠিক পথের দেখা মিলবে। বিশ্বাস হারাবেন না। বিশ্বাস থেকে বিচ্যুতির প্রথম ধাপই হলো সংসয়। সব সময় বিশ্বাসকে সংসয় মুক্ত রাখতে হবে। নচেৎ চেনা পথে হাটলেও পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নিজেদের কর্মক্ষমতা ও শক্তি সম্পর্কে বেশি বেশি ভাবতে হবে।যা কিছু ভাল পারি তার একটা তালিকা তৈরি করতে হবে। গুনগুলোকে যত বেশি বিকশিত করব সিমাবন্ধতা ততবেশি অতিক্রম করতে পারবো।
নিজেকে সফল দেখতে চাইলে সফল হওয়ার জন্য নিজের দায়িত্ব নিজেই নিতে হবে। যখন কেউ দায়িত্ব গ্রহন করেন তখন তার উন্নতি হয়। জীবনে যদী কিছু চাইতে হয় তাহলে নিজের কাছে চান চাওয়ার মতো চান দেখবেন সফলতা আপনার দ্বার প্রান্তে। বিশ্বাস রাখুন আপনি পারবেন তাহলে দেখবেন আপনি অবশ্যই পারবেন। আসুন গুরুপ থেকে পাওয়া স্যারের শিক্ষাকে কাজে গালিয়ে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলি। আর বর্জ কন্ঠে আওয়াজ তুলি, চাকুরি করবো না চাকুরি দিবো।
পরি শেষে সবার মঙ্গল ও সুস্থ্যতা কামনা করে
এবং যার অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ ও বিদেশে আমরা প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের একটা পরিবার আজ এক ছাতার নিচে যিনি নিয়ে এসেছেন, তিনি হলেন আমার প্রিয় স্যার নিজের বলার মতো একটা গপ্ল গুরুপের ফাউনডার
জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে সালাম জানিয়ে ও সুসাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো বিদায়।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- 211
Date:- 01/05/2020
আব্দুস শাকুর
৭ ম ব্যাচ রেজিস্ট্রেশন নং ৮৫৩
পাবনা, সৌদী রিয়াদ।