দেশ বিদেশের বেকার সমস্যা ও ছোট্ট সমাধান
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ , কৃতজ্ঞতা সেই মহান সত্বার যার হাতে সবার প্রান।
আশা করছি কোন না কোন ভাবে সবাই ভালো থাকার চেষ্টা করছেন।
ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রিয় স্যার ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে।

দেশের ব্যপারে বলতে গেলে যারা দিন আনে দিন খায় ওরা যেভাবে হোক চলে যাচ্ছে। সমস্যাটা হচ্ছে দু যায়গায় এক যারা শিক্ষিত বেকার, দুই যারা বিদেশগামি বেকার। বিদেশগামি বেকার যারা তারা বেশিরভাগ হাইস্কুল থেকেই লেখাপড়া ছেড়ে দেয় তারপর ৪/৫ বছর দেশেই ঘুরেফিরে আর বাপ ভাইয়ের টাকা নস্ট করে।
আর যারা শিক্ষিত বেকার তারা পাশের পর পাশ দিয়ে এমন পর্যায় যায়, না পারে ছোট কিছু করতে না পায় ভালো চাকরি। এখন আমাদের দেশ হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশ প্রতিবছর এত এত পাশ দেয়া যুবকদের কোথায় চাকরি দিবে সরকার? এখন এদের কাছে রাস্তা দুটি -


এই সমস্যা সমাধানে যুগে যুগে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে বিশিষ্ট জনেরা। আজ আমি আমার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ও আমার ছোট্ট গবেষণা থেকে কিছু বলবো।

আমি আমার সিমিত জ্ঞান দিয়ে যতটুকু বুজি তা তুলে ধরলাম।
আমাদের প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ টা জিনিষ বাধ্যতামুলক করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশ তথা বিদেশে কিছু একটা করে খেতে পারবে বলে আমার দৃর বিশ্বাস।
১/ কারিগিরি শিক্ষা :- একটা দেশের জনগণ যত বেশি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত সেই দেশের শ্রমশক্তি ততবেশি সাবলম্বি ( দেশে ও বিদেশে)। আমার প্রবাস জীবন ১৫ বছর হতে চলল, আমি আমার এই ছোট্ট কর্ম জীবনে যা দেখলাম তা থেকে বলছি। আমাদের দেশের যত শ্রমিক আসে ওরা না জানে কোন কাজ না জানে ভাষা, অন্যথায় পার্শবর্তি দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ফিলিপাইন এই সব গুলো দেশের জনগন আমাদের দেশের জনগন থেকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত এবং ভাষা( ইংরেজি) ও ভালো জানে। ফলে কি হয় আমরা যেহেতু কোন কাজ বা ভাষা জানি না আমরা হয়ে যাই ওদের লেভার, নাহয় ক্লিনার খুব কম আছে যারা একটু ভিন্ন But মুষ্টিমেয় জনগনের এই হাল, এটাই বাস্তব।
এইত গেল বিদেশের কথা।

২/ ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, ( ইংরেজিতে কথা বলার যোগ্যতা)।
আমাদের দেশে যে ভাবে ইংরেজি পড়ানো হয় ঐভাবে ৩২ বছর লেখা পড়া করলেও ইংরেজিতে নিজের পরিচয় দেয়া সম্ভব হয় না। গত পরশু ৩ জন বাংলাদেশি ছেলের ইন্টার্ভিউ নিলাম দেশ থেকে BA পাশ করে এসেছে, নিজের পরিচয় টা দিতে পারল না ইংরেজিতে। কারন আমরা স্পিকিং থেকে বেশি গুরুত্ব দেই গ্রামার কে, কত রকম ফরমুলা যে মেন্টেন্ট করতে হয় একটা বাক্য বলতে গেলে। পক্ষান্তরে অন্য দেশের লোকেরা অনর্গল ইংরেজি বলতেছে কোন গ্রামারের বালাই নাই। দিব্বি চলে যাচ্ছে তাদের আমাদের চলে না। System বদলাতে হবে ইংরেজিতে ছাত্রছাত্রীদের কথা বলা বাধ্যতামূলক করতে হবে Class One থেকে।এতো গ্রামারের বোঝা না দিয়ে সহজ করে শিখাতে হবে। তানাহলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা খুব কঠিন হয়ে দাড়াবে আমাদের ছেলেমেয়েদের।



Date:- 02/05/2020

















