দেখতে দেখতে সেইখানে কয়েক দিনের মাথায় তা ছাড়িয়ে প্রায় দু'লক্ষ হয়ে গেল
গরিব দেশের রাজা
ছিলেন দিশেহারা,
স্বপ্নবাজ প্রজারা তাই
ধরলো দেশের চাকা।।
অনেক অনেক দিন আগে পৃথিবীর বুকে সবুজ অরণ্যে ভরা অত্যন্ত মায়াবী এক দেশে ছিল। যেখানে প্রধান পেশা ছিল কৃষি। তাদের দেশের প্রধান আয়ের উৎস ছিল কৃষিখাত। এবং সেই দেশের কৃষকরা ও ছিল খুবই সৎ পরিশ্রমী। তারা অনেক কষ্ট করে রোদ বাদল সহ্য করে মাঠে হাল চালিয়ে ফসল ফলাতো। কিন্তু তাদের দেশের জনগণ এত ছিল যার ফলে তাদের রাজাকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হতো রাজ্য চালানোর জন্য।
তাই অনেকেই গ্রাম অঞ্চল ছেড়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে পাড়ি জমায় যাতে করে তাদের রাজ্যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারে যাতে করে তাদের রাজ্য আরও সমৃদ্ধ হতে পারে।।
কিন্তু তারপরও রাজাকে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাদের রাজ্যকে সুন্দর করে পরিচালনা করতে গিয়ে।।
কারণ তাদের রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ ছিল বেকার। তারা সব সময় চাকরির অন্বেষন করত। কিন্তু রাজ্যের সীমিত কিছু খাত ছিল, যেখানে লোকবল নিয়োগ করা যেতে পারে। তার তুলনায় তাদের দেশের বেকার এর হার অনেক বেশি ছিল।।।
যখন রাজা এক প্রকার ব্যর্থ হয়ে গেলেন বেকারদের কাজে লাগাতে ও দেশকে আরো বেশি সমৃদ্ধশীল করে গড়ে তুলতে। তখন যেন স্বর্গ দূতের নেই সেই রাজ্যের প্রজারা ধরল রাজ্যের হাল।।।
হাজার প্রজার মধ্যে একজন ছিল এতই ভালো। সে নিজের সাথে সাথে অন্যের চিন্তা ও করত। সে নিজেকে উপরে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অন্যদেরকেও উপরে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করত। সেই চিন্তা থেকে শুরু করলো উদ্যোক্তা তৈরীর কাজ নিজের বলার মত একটি গল্প গ্রুপ 164 জন প্রজাকে তার সাথে করে নিয়ে শুরু করে দিলো উদ্যোক্তা তৈরি করার মিশন।।। দেখতে দেখতে সেইখানে কয়েক দিনের মাথায় তা ছাড়িয়ে প্রায় দু'লক্ষ হয়ে গেল।।।
তার স্পর্শ পেয়ে রাজ্যে এক বছরের মাথায় প্রায় 1000 এর উপর উদ্যোক্তা তৈরি হয়ে গেল যারা চাকরির অন্বেষণ করা বাদ দিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করল। যার ফলে 1000 উদ্যোক্তাদের জন্য আরো অনেক বেকারের চাকরির সুযোগ হলো।।
যারা রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য বিদেশে গিয়েছিল তারাও নতুন প্রাণের স্পর্শ পেল সেই প্রজার মাধ্যমে।তারাও আস্তে আস্তে নিজ রাজ্যে ফিরতে শুরু করলো। দেশে ফিরে তারা আর কেউ বেকার রইল না। কারণ দেশে ফেরার পূর্বেই তারা তাদের ব্যবসা দাঁড় করিয়ে এসেছিল।।
জীবন বদলে যেতে শুরু করল সেই রাজ্যের।।
এখন সেই রাজ্যের অধিকাংশ লোকই আর চাকরি খুঁজে না। নিজে নিজের গল্প লিখতে চায়, নিজেকে নিয়ে যেতে চায় অনবিল এক চূড়ায়। যেখানে সে নিজে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।। ঘরে তুলতে পারবে নিজের বলার মত একটি গল্প।।।
যেই প্রজাটি তার রাজ্যের দুঃসময়ে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিল। নিজের চিন্তা ভাবনা গুলোকে সকলের মাঝে তুলে ধরেছিল। সে ছিল মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী।।
তাদের রাজ্যের অন্য সকল প্রজারা তখন সেই মহান ব্যক্তি কে সম্মানের সাথে স্মরণ করত এবং সব সময় তার সৎ পরামর্শ গ্রহণ করত। যার ফলে তাদের রাজ্যটি আগের তুলনায় অনেক ভালোভাবে চলতে শুরু করলো।।
তারা একজন আরেকজনের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ে। যেকোনো মহামারীতে তারা পিছুপা হয়না। গরিব, মধ্যবিত্ত সবাইকেই তারা সাহায্য করে নিশ্চুপে।।।
ভালো থাকোক সেই রাজ্যের সেই মহান প্রজা, ভালো থাকো সেই সোনালী সবুজ অরণ্যে ভরা রাজ্যটি।।।।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- 212
Date:- 02/05/2020
মো: মুকিত খান
কান্ট্রি এম্বাসেডর দাম্মাম সৌদি আরব
মৌলভীবাজার
পঞ্চম ব্যাচ
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার 680
নিজের বলার মতো একটি গল্প গ্রুপ