কেরানীগঞ্জ জোনের প্রতিবেদন
কেরানীগঞ্জ জোনের প্রতিবেদনঃ
প্রতিবেদনঃ
কেরানীগঞ্জ নামের ইতিহাসঃ
কেরানীগঞ্জ নামের পেছনে সম্ভাব্য ঐতিহাসিক ঘটনাকে সূত্র ধরে জানা যায় নবাব শায়েস্তা খানের শাসনামলে নবাবের পাইক পেয়াদা এবং কেরানীরা বুড়িগঙ্গার ওপারে থাকতেন।ধারনা করা হয় এই কেরানির নামানুসারে কেরানীগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছে।
আয়তন ও অবস্থানঃ
কেরানীগঞ্জ ২৩.৬৮°উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৯০.৩১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। ঢাকা শহরের দক্ষিণ পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর উপকন্ঠে কেরানীগঞ্জ অবস্থিত। ১৬৬.৮৭ বর্গ কি.মি. এলাকা নিয়ে গঠিত কেরানীগঞ্জ উপজেলার উত্তরে(মোহাম্মদপুর,হাজারীবাগ,কামরাঙ্গীচর, লালবাগ,কোতায়লী,সূত্রাপুর এবং সাভার উপজেলা পূর্বে শ্যামপুর থানা এবং নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলা,দক্ষিণ সিরাজদিখান উপজেলা এবং পশ্চিমে নবাবগঞ্জ উপজেলা এবং সিঙ্গাইর উপজেলা অবস্থিত।
প্রধান নদী" বুড়িগঙ্গা" এবং "ধলেশ্বরী "
৩ টি আধুনিক সেতু ( বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু, যা বুড়িগঙ্গা সেতু -১ নামে পরিচিত,বাবুবাজার ব্রিজ,যা বুড়িগঙ্গা সেতু -২ নামে পরিচিত এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু, যা বুড়িগঙ্গা সেতু -৩ নামে পরিচিত) দ্বারা রাজধানী ঢাকার সাথে কেরানীগঞ্জ সংযুক্ত।
প্রশাসনিক এলাকাঃ
পুলিশ প্রশাসনের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ এখন ২ টি থানায় বিভক্ত।যথাঃ কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এবং ইউনিয়নগুলো হলো-হযরতপুর,কলাতিয়া,তারানগর,রোহিতপুর,শাক্তা,বাস্তা,কালিন্দী, শুভাঢ্যা,জিনজিরা,তেঘরিয়া,কোন্ডা এবং আগানগর ইউনিয়ন।
কেরানীগঞ্জ বিখ্যাত যার জন্যঃ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কৌশলগত বিশেষত গেরিলা যুদ্ধের ক্ষেত্রে কেরানীগঞ্জ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
কালিগঞ্জে বাংলাদেশের বৃহত্তম হোলসেল মার্কেট রয়েছে যা তাদের উৎপাদিত পোশাক দেশের চাহিদা পূরনের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করে থাকে।
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এক স্থাপনার নাম দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ।প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর অপূর্ব নিদর্শন,শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহু ইতিহাস আর ঘটনার সাক্ষী এই মসজিদটি ২০২১ সালে Unesco Asia Pacific Awards For Cultural Heriteg Conservasion Awards of Merit জিতেছে।
এছাড়া ও রয়েছে জিনজিরা প্রাসাদ,সাউত টাউন,সারিঘাট,বিভিন্ন রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট,মিনি কক্সবাজার মৈনট ঘাট,দোহার।
কেরানীগঞ্জ জোনের কার্যক্রমঃ
কেরানীগঞ্জ জোনের বর্তমান সদস্য সংখ্যা-৪৫০ জন
উদ্যোক্তা হয়েছেন -৬০ জন
নারী উদ্যোক্তা-২০ জন
পুরুষ উদ্যোক্তা -৪০ জন
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার - ৩০ জন
তুলে ধরছি দুরন্ত কেরানীগঞ্জ জোনের সামাজিক কার্যক্রম
## নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ১০০০ তম দিন উপলক্ষে কেরানীগঞ্জ জোন ১৯৫ জন এতিম অসহায় ছাত্রদের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল স্যার নিজেই ঐ প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন।
## কেরানীগঞ্জ জোন থেকে ১১৫টি গাছ রুপন করা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
## পারিবারিক বনভোজন ও পিকনিক এর আয়োজন করা হয়েছে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের কোর-ভলান্টিয়ার ও মডারেটর।
## রিক্সা চালক ও গরীবদের মাঝে মাক্স ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে।
## শীতবস্ত্র বিতরণের নবম ধাপে ৪০০ কম্বল কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ,দোহার ও শাহবাগ এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে।
## প্রতি সপ্তাহে আমরা উদ্যোক্তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভিজিট করে তাদের প্রমোটিং করে থাকি এবং প্রতি শুক্রবার চা আড্ডায় মাধ্যমে ফাউন্ডেশন নিয়ে এবং কেরানীগঞ্জ জোনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আলোচনা করে থাকি ।
## এছাড়াও একজন অসহায় গরীব মেয়েকে তার বিবাহ দেয়ার জন্য কেরানীগঞ্জ জোন তার ফ্যামিলিকে ১৪০০০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছে।
## ফুলকলি বিদ্যানিকেতনে গরীব শিশুদেরকে ২৫০ জন শিশুকে একবেলা খাবার এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
##দ্বীনিয়া মাদ্রাসার ১০০+ ছাত্রদের সাথে ইফতার এর আয়োজন করা হয়েছিলো।
# এছাড়া কেরানীগঞ্জ জোন এর একজন নারী উদ্যোগক্তা কে উদ্যোগক্তা হওয়ার জন্য ঢাকা জেলা এম্বাসেডর মনির মন ভাই ১১০০০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন।
#২০২২ সালের ঢাকা জেলার ১১ টি জোনের স্বাধীনতা T10 টুর্নামেন্ট এর উদ্ভোবনী অনুষ্ঠান কেরানীগঞ্জ জোন কতৃক আয়োজন করা হয়েছিলো।
এবং স্বাধীনতা T10 কাপ টুর্নামেন্ট এ কেরানীগঞ্জ জোন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরভ অর্জন করেছেন,,,
#কেরানীগঞ্জ জোনের ৩৫টি অনলাইন মিটাপ হয়েছে এবং অফলাইন মিটাপ হয়েছে ২৫ টি ও চায়ের আড্ডা ত প্রতি মাসে ৩-৪ টা হয়,,,।।
#কেরানীগঞ্জ জোনের পরিকল্পনা
১, কেরানীগঞ্জ জোনের প্রতিটি স্কুল,কলেজ ইউনিভার্সিটিতে ক্যাম্পাস এম্বাসেডর তৈরি করা
২, উদ্যোক্তা ক্লাব গঠন করা,
৩, কেরানীগঞ্জ জোনের প্রতিটি ঘরে ঘরে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সদস্য তৈরি করা,
৪, সকল সদস্যদের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা,
৫, কেরানীগঞ্জ জোনে কোন বেকার যুব সমাজ থাকবেনা।
৬, সামাজিক ও মানবিক কাজ গুলোর সাথে প্রিয় মেন্টর এর স্বপ্ন গুলোকে ও আমাদের স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবায়ন করা,,
৭, এবং আনএক্টিভ মেম্বার গুলোকে এক্টিভ করা।
কেরানীগঞ্জ জোন কে এগিয়ে নেয়ার জন্য যারা কঠোর পরিশ্রম ও বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার করছেন। তারা হলেনঃ
ফাউন্ডেশনের
★কোর ভলান্টিয়ারঃ
হাজী ফরিদ হোসাইন ভাই সহ সকল জেলা এম্বাসেডর, জোন এম্বাসেডর, উপজেলা এম্বাসেডর, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ও আজীবন সদস্যগন,,,
ইনশাআল্লাহ এই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাবে দুরান্ত কেরানীগঞ্জ জোন।