কখনো নিজেদের অসহায় মনে করবেননা, নিজের মনে জোড় রেখে সৎ সাহসের সাথে
🎀🎀একটি জীবনের গল্প🎀🎀
🌹🌹আস্সালামুআলা মানিত্বাবালহুদা🌹🌹
❤️পরম করুণাময় মহান রাব্বুল আলামিনের নামে শুরু করছি যিনি এই ধরণীতে আমাকে সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব হিসেবে পাঠিয়েছেন🤲
💖❤️দরুদে সালাম পাঠ করছি আমার প্রিয় নবীজি মুহাম্মদ (সঃ) এর নামে যিনির উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে,❤️❤️
💚💚শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার এই দুনিয়ার আগমনের উছিলা আমার মমতাময়ী মা, বাবার প্রতি যাদের ছায়া ছাড়া আমার পৃথিবীতে আশার সৌভাগ্য হতোনা। উনাদের প্রতি কখনো কৃতজ্ঞতা শেষ করতে পারবোনা 💝💖
💓💓 কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সাথে শরণ করছি প্রিয় শিক্ষক লাখো কোটি স্বপ্নবাজ মানুষের আইডল 💗💗 জনাব Iqbal Bahar Zahid 💗💗 স্যার এর প্রতি যার মাধ্যমে এই প্লাটফর্মে জীবনের না বলা কথাগুলো লিখতে পারছি, যেখানে নিজের পরিবারের বাইরে আরো একটি পরিবার খুঁজে পেয়েছি, যেখানে পেয়েছি লাখো ভাই, বোনের ভালবাসা, এতো এতো ভালবাসা প্রাপ্তি সত্যিই বলে শেষ করা যাবেনা,
স্যারকে আল্লাহ্ সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করুক, এবং পরিবার নিয়ে হাসি, খুশিতে রাখুক আজীবন আমীন🤲
🌺🌺জীবনের কথা গুলো তুলে ধরলাম, কষ্ট করে সময় নিয়ে আমার প্রাণ প্রিয় ভাই, বোনরা যদি পড়ে নেন, তাহলে আমার লিখা সার্থক হবে🙏 অনুপ্রেরণা পাবো 🌺🌺
🏵️🏵️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয় 🏵️
আমি সাজেদা খাতুন, ফেনী জেলার পরশুরাম থানায় ধনীকুন্ডা গ্রামে আমার জন্ম,
আমরা ৩ ভাই, ২বোন,, বাবা সরকারী চাকুরী করতেন অগ্রণী ব্যাংকে এবং আমার মা একজন গৃহীণী। এটা আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, বিস্তারিত নিচে লিখছি, ধৈর্য্য ধারণ করে পড়ার অনুরোধ রইলো🙏
❤️🌳🌳🌳 সর্ব প্রথমে আমার পরিবারের বট বৃক্ষ আমার প্রিয় বন্ধু আমার অভিভাবক আমার অণুপ্রেরণা আমার সকল গল্পের নায়ক, আমার প্রতিটি দীর্ঘ শ্বাস,💖 আমার প্রাণ প্রিয় বাবার কথা 😥
জানিনা আব্বু (বাবা) নামটি নিলেই বা মনে করলেই কেনো আমার এত কষ্ট লাগে😥 না বলতেই চোখের পানি অনবরত ঝরে,
🙏🙏ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে আমার কষ্টের কথা গুলো লিখছি, সুখের গল্পের জায়গায় আমার দুঃখের কাহীনিটা লিখছি,, যদি কখনো সুখের গল্প লিখতে পারি তাহলে নিজেকে সব থেকে বেশি ধন্য মনে করবো।
🌻🌻🌻 আমার বাবারা ছিলেন ছয় ভাই, এক বোন, বাবা সব ভাই, বোন এবং কি আমাদের বংশের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন, আমার আব্বুর যখন ৬মাস বয়স তখন আমার দাদা মারা যান, "ইন্নার ইলাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন" আল্লাহ্ দাদাজানকে জান্নাত দান করুণ, আমীন,
তারপর থেকে আমার দাদু অনেক কষ্ট করে আমার বাবা, জেঠাদের মানুষ করেন,
আমার আব্বু ছয়মাস বয়স থেকেই বাবা হারা😥
আব্বু পড়া লেখায় অনেক ভালো ছিলেন, ছোট থেকেই আব্বুর জীবন সংগ্রাম শুরু হয়, বড় ভাইরা কখনো পড়া লেখার জন্য টাকা দিতো আবার কখনো দিতোনা, নিজে কোন রকম কষ্ট করে আমার দাদুর সহায়তায় এস এস সি পাশ করেন অনেক ভালো রেজাল্ট করেন, পাশের খবর শুনে খুশিতে তখন আব্বু ফেনী থেকে পায়ে হেঁটে পরশুরাম এর ধনীকুন্ডায় (বাড়িতে) চলে আসেন,
আব্বু এবং দাদু সব সময় এই কথাটা বলতেন, যখন আমরা পড়া, লেখা করতে চাইতামনা তখন আব্বুর উদাহরণ দেখাতেন আমার দাদু☹️
আসলে আব্বুকে নিয়ে লিখতে গেলে লিখা শেষ হবেনা, জীবনের যত গুলো বছর বেঁচে ছিলেন শুধু জীবনের সাথে যুদ্ধ করে গেছেন, আমার আব্বু বাংলায় লেখা পড়া করলে ও তিনি একদম ধর্মীয় ভাবে চলাফেরা করে গেছেন, সবাই আমার আব্বুকে হুজুর নামেই ডাকতেন, জীবনে অনেক মানুষের উপকার করে গেছেন আলহামদুলিল্লাহ্ । এখনো আব্বুর কথা উঠলে সবাই শুধু এটাই বলেন, অনেক ভালো মানুষ ছিলেন, জীবনে শুধু মানুষের উপকার করেছেন, বিনিময়ে কোন টাকা পয়সা নেন নাই, মানুষের মুখে এমন কথা শুনলে নিজেকে ধন্য মনে হয়, এমন বাবার মেয়ে হয়েছি, চেষ্টা করি সবসময় আব্বুর মতো হতে, আব্বুর কথা লিখে শেষ করা যাবেনা, সময় নিয়ে অন্যদিন শুধু আব্বুকে নিয়েই লিখবো ইনশা আল্লাহ্। আমার আব্বু আমাদের ছেড়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন😥 ২০০৪ সালের মে মাসের ২৪ তারিখ,,"ইন্নার ইলাহি ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন" হে আল্লাহ্ তুমি আমার আব্বুকে জান্নাত দান করো,, সবাই আমার আব্বুর জন্য দোয়া করবেন🙏
🌻🌻❤️আমার মা'কে নিয়ে কিছু কথা,,,,
আমার বাবা যখন মারা যান তখন আমার বড় ভাই দশম শ্রেণীতে, আমি ৮ম শ্রেণী শেষ করছি মাত্র, আমার ছোট ভাই বোন গুলো ৫ম শ্রণী ২য় শ্রেণীতে, আর সবার ছোট ভাই মাত্র ৩ বছর,, আমাদের পরিবারে বাবা ছাড়া রোজগারের কেউই ছিলোনা তখন, আমরা পড়ালেখা অবস্থায় ছিলাম সবাই, ছোট ছোট ভাই, বোন নিয়ে আমার মা অনেক কষ্ট করেছেন, যদিও আব্বুর সরকারি চাকুরি ছিলো, তখন বেসিক ছিলো কম, আব্বুর মৃত্যুর পরের মাস মানে জুন মাস থেকে বেতেন দ্বিগুণ হয়ে যায়, তখন থেকে প্রতি বছরই বেতন বাড়তো, হয়তো আমাদের ভাগ্যে ছিলোনা তাই হয়তো😢 তবুও আলহামদুলিল্লাহ্ শুকরিয়া মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে, আমার মা আমাদের ৫ ভাই, বোন নিয়ে কষ্ট করলেও কারো কাছে হাত পাততে হয়নি, আমাদের কষ্ট বুঝতে দেয়নি কখনো, আমার আব্বুর অল্প কিছু পেনশনের টাকা আর আমাদের নিজস্ব জমীনের সামান্য কিছু আয় দিয়ে চলছিলো মোটামুটি, আমার মা আমাদের সকলেরই লেখা পড়া খাওয়া সব কিছুই চালিয়েছেন নিজে একা হাতে। আলহামদুলিল্লাহ্ আমরা সব ভাই বোন গ্যাজুয়েশান করেছি, আমার ছোট ভাই কোরআন হাফেজ 😍 এবং এখন ফেনী আলিয়া মাদ্রাসায় থেকে আলিম পড়তেছে, বড় ভাইকে বিদেশে পাঠিয়েছেন,। মেঝো ভাইকে পুলিশে দিয়েছেন, এবং আমাদের দুই বোনের বিয়ে, আমার মা একা হাতে আলহামদুলিল্লাহ্ সব করেছেন, মা এর ঋণ কখনো শোধ করা যায় না, আর আমরাতো কখনোই পারবোনা। মা' কে স্যালুট যদিও সেইরুকুম কখনো বলা হয়নি,
সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ্ যেনো আমার মা' কে দীর্ঘ নেক হায়াত দিয়ে পৃথিবীর বুকে আরো হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখেন আমাদের মাথার ছায়া করে আমীন🤲। এখনো আছি ছেলেকে নিয়ে মায়ের ছায়ায়☹️।
🍁🍁 আমার জীবনী🍁🍁
আমার ছোটবেলা কেটে ছিলো অনেক সুন্দরভাবে, হাস্যজ্জ্বল ছিলো প্রতিটি মূহুর্ত, আব্বু ছিলেন একমাত্র বন্ধু, আব্বু যখন ঢাকায় থাকতেন, সেই সময়টাতে সব কথা জমিয়ে রাখতান, আব্বু আসলেই বলে দিতাম😐 এটা প্রথম কাজ। ঘুরা ফেরা, সাইকেল চালানো, খেলাধুলা সব সময় মেতে থাকতাম, ৪ বছর বয়সেই আব্বু আমায় স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়, কারণ সব কিছুতেই চতুর ছিলাম, আর মা'কে খুব জ্বালাইতাম, তাই স্কুলে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে যাই, তাই পড়া লেখায় এগিয়ে যাই, এক এক করে চলতে থাকে হাসি খুশির জীবন গুলো, আসলে সুখের দিনগুলি তাড়াতাড়িই ফুরিয়ে যায়😢
২০০৪ সালে আব্বু মারা যায়, সবকিছুই হয়ে যায় অন্যরকম, তখন আমি ৮ম শ্রেণীতে, আব্বুর মৃত্যুতে সব যেন অনেকটাই থমকে যায়, আমার মা ও যেনো আমাদের ৫ ভাই, বোন নিয়ে, সবাইকে সামলানো জটিল হয়ে পরে,
২০০৭ সালে যখন এস,এস, সি পরীক্ষা দেই, ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই আমার বিয়ের জন্য চারদিক থেকে মা'কে বিরক্ত করে ফেলছে সবাই, মা বাধ্য হয়ে আমার জেঠাদের কথায়, (তারাই তখন গার্জিয়ান) ভালো করে না জেনে শুনে আমায় বিয়ে দিয়ে দেয়, যেনো খেলা থেকে ধরে এনেই আমায় বিয়ে দিয়ে দিলো😥 আমার বয়স তখন ১৫ শেষ হয়েছে মাত্র, এস, এস,সি পরীক্ষা দিলে ও আমার বয়স কম ছিলো কারণ আমি পড়া লেখায় এগিয়ে ছিলাম, মা ও চাচা,জেঠাদের কিছু বলতে পারছেনা, কারণ তখন বাবা নেই, আমাদের নিয়ে মা বড় অসহায়😢 তাদের কথা মানতেই হচ্ছে, আমার বড় ভাই এর ও তখন অতটুকু জ্ঞান হয়নি বোনকে দেখে শুনে বিয়ে দেওয়ার মতো, তাই বাহিরের লোকের কথা শুনে আমায় একদিনের মধ্যে জোড় করে যেনো সাগরে বাসিয়ে দিলো😥, খুব কান্না করেছি বলেছিলাম, সবাইকে পুলিশে দিবো, আমার এখনো ১৮ বছর হয়নি, কিন্তু কেউ শুনেনি আমার কথা😥
যার সাথে বিয়ে দিলো সেই আমার বয়সের দিগুণ থেকেও বেশি ছিলো, বিয়ের দিন বর দেখেই আমার মা অজ্ঞাণ হয়ে যায়, তবুও আমায় সেখানে বিয়ে দিলো, আমি যেনো নিয়তির কাছে বন্ধী হয়ে গেলাম😥 মায়ের কষ্ট পরিবারের কষ্ট ছিলো আমার কাছে বড়,
শত শত স্বপ্ন ছিলো আমার সব যেনো ধূলিসাৎ হয়ে গেলো এক নিমেষে,
তখন যেনো বাবাকে হারানোর ব্যথা আরো দিগুণ হয়ে গেলো, পৃথিবীতে বাবা না থাকলে বুঝি মেয়েদের জীবন এমন হয়😥😭 আমিই তার বাস্তব উদাহরণ।
তবুও মায়ের কষ্টের কথা চিন্তা করে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করলাম, এস, এস,সি রেজাল্ট দিলো পাশ করলাম, ভেবেছি পড়াশুনা করবো, পড়াশুনা করে নিজে কিছু করার চিন্তা ভাবনা সবসময় ছিলো, ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিলো চাকুরি করার, নিজে কিছু করার, কিন্তু জীবন শুরু করার আগেই যেনো আমায় শেষ করে দিলো, আমায় আর পড়া লেখা করতে দিবেনা, শশুড় বাড়ির সবাইর ইচ্ছে থাকলেও স্বামীর ইচ্ছে ছিলোনা, সে বিয়ে করেই বিদেশ চলে যায়, বিদেশ গিয়ে তেমন কোন যোগাযোগ করতো না, শাশুড়ি, দেবর, ভাসুররা কল করে বলতো আমার কাছে কল করতে তারপর মাসে একবার কল করতো, টাকা পয়সা দিতে চাইতোনা, তাই বাবার বাড়িতেই বেশি থাকতাম, না হয় ননদরা তাদের কাছে নিয়ে রাখতো, সেখানে থাকতাম, কারণ ছোট ছিলাম সবাই খুব আদর করতো, ননদ, ভাসুরের ছেলে মেয়েরা আমার বয়সী ছিলো তাদের সাথেই সময় পার হয়ে যেতো,
শাশুড়ি ও আমায় মায়ের মতো আদর করতেন, কিছুদিন পর শাশুড়ি মারা যায়😥😭 তখন যেনো একেবারেই একা হয়ে গেলাম, মায়ের মৃত্যুর কথা শুনে ছেলে আসে দেশে, ৫মাস পর আবার চলে যায়,
কিন্তু তার চলাফেরার কোন পরিবর্তন নেই সবাই আমাকে সান্তনা দিতো হয়তো একটা বাচ্চা হলে ঠিক হয়ে যাবে, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার ফুটফুটে একটা ছেলে বাবু হয় কিন্তু আমার স্বামীর কোন পরিবর্তন নেই😥 সে উগ্র চলাফেরা করতো, কখনো আমার খোঁজ খবর নিতে চাইতোনা, এমনকি বাচ্চার খবর ও না। আমার বাচ্চাটা জন্মের পর থেকে এখন পর্যন্ত একবার বাবা ডাকতে পারেনি মন খুলে😥। আমি আমার বাবাকে নিয়ে গর্ব করি। আর আমার ছেলে তার বাবা জীবিত আছে অতচ ছেলে বাবা বললে বাবা দায়িত্বের ভয়ে যেনো পালিয়ে বেড়ায়😥
যাইহোক যখন আমার ছেলে পৃথিবীতে আসলো তারপরেও যখন তার বাবা এমন, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি আবার পড়ালেখা কন্টিনিউ করবো, ৫বছর এর মধ্যে অতিবাহিত হয়ে যায়, এক ফ্রেন্ডের উৎসাহ পেয়ে শশুর বাড়ির কাউকে না জানিয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারে ভর্তি হই কারণ তখন জেনারেলে ভর্তি হওয়ার কোন সুযোগ নেই,
তখন ফেনী ও ভালো করে চিনতাম না, বোন এর সাথে কোন রকম গিয়ে ২০১৩ সালে ভর্তি হই ফেনী কলেজে,
ছোট বাচ্চা নিয়ে কাউকে না জানিয়ে পড়ালেখা চালানো খুব কঠিন ছিলো, শশুড় বাড়ি আমার নিজ বাড়ি কিছুটা কাছাকাছি থাকাতে সুবিধা হতো মাঝে মাঝে মায়ের কাছে রেখে যেতাম, ইন্টারে ইংলিশ প্রাইভেট পড়তে হতো ২মাস বাচ্চা নিয়ে গিয়ে পড়ছি, শশুড় বাড়ি থেকে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে, তাও স্বামী দেশের বাহিরে থাকাতে,
কারণ পড়া লেখা আবার শুরু না করে আমার উপায় ছিলো না, যে স্বামী বউ বাচ্চার খবর রাখেনা, আর যাই হোক তার কাছ থেকে সাহায্যের আশা কখনো করা যায়না, নিজে বাচ্চা নিয়ে চলতে আমার খুব কষ্ট হতো মায়ের কাছে এসে থাকতাম কিছুদিন শশুড় বাড়িতে থাকতাম, সেলাই করতাম, সেইভাবে চলতো কোনরকম এর মধ্যে বাচ্চার বাবা দেশে আসলো বিশাল কাহিনী করে,
সে অনেক কথা শেষ হবেনা শুরু হলে, আসলে সব ভাগ্য😢 ছেলের বয়স ৪বছর একবার ও দেখে নাই ছেলেকে, মোবাইল ইন্টারনেটের যোগে ঐ লোক ছিলো আদিম মানুষ,
দেশে এসে ও ছেলেকে আমাকে আমাদের যেনো তার সহ্য হয়না, আমাদের খাওয়াতে নাকি তার সব টাকা শেষ হয়ে যাবে, ঈদে বাড়িতে ছেলের সাথে ১ম ঈদ তাও ছেলেকে একটা জামা কিনে দেয়নি, কারণ ঈদে জামার দাম বেশি, ঈদের পরে দাম কমলে কিনে দিবে আরো ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়। পরবর্তিতে তাকে সহ্য করা আমার পক্ষে কষ্ট দায়ক হয়ে পরে, এমন ও দিন যেতো ৬/৭দিন পর্যন্ত খাবারতো দূরের কথা একটু পানিও মুখে দিতামনা😢 কারণ খুব করে চাইতাম মৃত্যু,, মৃত্যু হয়ে গেলে আর কোন জ্বালা থাকবেনা, মা ও আমাকে নিয়ে জ্বলতে হবেনা,
২৫/২৬ বছরে ও মেয়েদের বিয়ে হয়না, আর আমি সেই ২৪ বছর বয়সে ৪বছরের বাচ্চা নিয়ে রাগ করে চলে আসি আর যাবোনা বলে, এর পর এক টানা ৩বছর বাবার বাড়িতে থাকি কিন্তু পাশাপাশি গ্রাম কখনো খোঁজ নেয়নি ছেলেটা কেমন আছে?😥 কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে মামাদের কাছে ভালোই আছে।
পরে ভাইয়েরা ডিভোর্স দিতে বলে, অন্য জায়গায় বিয়ে দিবে বলে। পরবর্তিতে ডিভোর্স হয়, কিন্তু আমার বাবা হারা ছেলেকে আমি কিভাবে একা ফেলে চলে যাবো😥,,
তাই প্রতিনিয়ত মায়ের সাথে এই নিয়েও ঝামেলা, পড়ালেখা আল্লাহর রহমতে করছি, ডিগ্রি শেষ করে এখন মাস্টার্স প্রিলি পরীক্ষা দিবো দোয়া করবেন সবাই,🤲
বাবার বাড়িতে আজ ৭ বছর আছি, মা বাহিরে জব করতে দেয়না তাই এক বান্ধবীর মাধ্যমে ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে আজ ৭বছর পার্ট টাইম জব করি ঘরে বসেই, এবং সেলাই কাজ করি, মোটামুটি ওখান থেকে আয় আসে এতে আমার আর ছেলের পড়ার খরচ চলে, ভাইদের উপর তেমন ডিপেন্ড করতে হয়না আলহামদুলিল্লাহ্,
পরিশ্রম করতে আমি ভালবাসি, কম্পিউটার শিখেছি ৬মাস তার মধ্যে ৬মাসই ৫ কিলোমিটার হেঁটে গেছি আসছি শুধু ৩০ টাকা ভাড়া বাঁচানোর জন্য, অবশ্যই প্রচন্ড গরমে হাঁটার কারণে ১মাস টাইফেডে বিছানায় ছিলাম, তবুও যুদ্ধ চলছে প্রতিনিয়ত এইভাবে আরো কত চলবে জানিনা,
💝💝প্রিয় ফাউন্ডেশন যুক্ত💝💝
মার্চ মাসে যুক্ত হয়েছি ১৭ তম ব্যাচ এর ৫১ তম সেশনে রেজিস্ট্রেশন করি একদিনেই, আসলে আমি সেইদিন এতটাই ভেঙে পড়েছিলাম কারণ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি তবুও শুধু বাঁধা প্রতিটি কাজে, একজন মেয়ে হলে নাকি কিছুই করতে পারবেনা কারণ মানুষে এটা বলবে সেটা বলবে, একটা মেয়ে শুধু ঘর সংসারই করবে সে নাকি আর কিছুই করতে পারবেনা, আর আমার প্রতিদিনের সংগ্রাম আমি কিছু করবো, আর আমার ছেলে মানুষ করবো, বাবারা তাদের বাচ্চা মানুষ করতে পারলে আমরা নারীরা কেনো পারবোনা, আমি দেখিয়ে দেবো একজন সিঙ্গেল মাদার হয়ে বাচ্চা কিভাবে মানুষ করে ইনশা আল্লাহ্। এই নিয়ে ঝামেলা চলছিলো। তখন মোবাইলে ফেইসবুকে ঢুকতেই প্রিয় স্যারের সেশন আমার চোখে পরে, তখন যেনো ১সেকেন্ডেই আমার মৃত্যুর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলি, একটানা অনেক গুলো ভিডিও সেশন শুনি তারপর নিজে নিজে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলি, রোজা সামনে তাই গ্রুপে সেল পোষ্ট না করলেও অফলাইনের ঈদের বেচা কেনা তো শুরু করতে পারি যেই ভাবা সেই কাজ, ছেলের জমানো ২৪ হজার টাকা দিয়ে শুরু করে দিলাম, পরে আবার ২০ হাজার একজনের থেকে নিলাম সব মিলিয়ে লাভ সহ ৬০/৭০ হাজার টাকার জামা কাপড় নিলাম, আলহামদুলিল্লাহ্ অফলাইনে সেল ভালোই ছিলো, অনলাইনে আবার একটা পেইজ খুললাম ওখান থেকে ২/৪ টা অর্ডার ছিলো নতুন পেইজ তাও আলহামদুলিল্লাহ্ তার মধ্যে স্যার এর সেশন গুলা এক এক করে সব ভিডিও UTV LIVE গুলোতো দেখছিই,,,
আসলে আমাদের মেয়েদের জন্য এই সাপোর্টটা হলে আলহামদুলিল্লাহ্ আর কিছুই লাগেনা।
সর্বোপরি স্যার এর দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করি আল্লাহ্ স্যারকে সুস্থ রাখুক ভালো রাখুক,
👉👉 সবার উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলবো বিশেষ করে নারীরা, কখনো নিজেদের অসহায় মনে করবেননা, নিজের মনে জোড় রেখে সৎ সাহসের সাথে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে নিজের লক্ষ্যে শুধু পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন, আল্লাহ্ অবশ্যই সাহায্য করবেন, তবে নিজের অবশ্যই সৎ সাহসিকতা থাকতে হবে, আমাদের বাবা, মায়েরা মনে করেন বিয়ে দিলেই সব সমাধান, এক জায়গায় থাকতে না পাড়লে আবার বিয়ে দিবে, এতে বাচ্চা থাকলে বাচ্চাটার জীবনতো ধ্বংস হবেই সাথে নিজের ও, তাই নিজেকে তৈরি করতে হবে এমনভাবে যেনো আমাকে দেখে আরো দশটা মেয়ে বাঁচার সাহস পায়। জীবনকে থামতে দিলে হবেনা, বাঁচার সম্ভবনায় সূর্যটা উদীত করতে হবে ইনশা আল্লাহ্। ✌️😍
সকলে দোয়া করবেন যেনো আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি,🤲
কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে এতক্ষন ধৈর্য্য ধরে আমার গল্পটা পড়ার জন্য❤️, আমার ছেলেটার জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ্ যেনো আমার ছেলেকে প্রকৃত ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেন আমীন🤲
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৬০
২৬-০৮-২০২২ইং
💌 সাজেদা খাতুন
💌 উপজেলা : পরশুরাম
💌 জেলা : ফেনী
💌 ব্যাচ : ১৭/৯২২৮৪
💌 পেইজ লিংকhttps://www.facebook.com/107351951931074/posts/114670281199241/