স্বপ্ন দেখতে শিখেছি। স্বপ্নের সাথে সাহস করে লেগে থাকা শিখেছি।
🕋বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 🕋
🌺জীবনের গল্প 🌺
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
শুকরিয়া আদায় করছি সেই রাব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে প্রেরণ করেছেন এবং সর্ব শ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন
দোয়া ও ভালোবাসা মা বাবার জন্য যাদের উছিলায় এত সুন্দর এই পৃথিবীতে আমি এসেছি আমাকে লালন পালন করে নিজের পায়ে দাঁড়াবার মত অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করছি আমাদের প্রিয় মেন্টর, প্রিয় শিক্ষক , লাখো তরুন তরুণীর পথ প্রদর্শক প্রিয় আইডল @Iqbal Bahar zahid স্যারকে যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন পেয়েছি লক্ষ লক্ষ ভাল মানুষের একটি পরিবার দেখতে পেরেছি সফল হওয়ার অনেক বড় স্বপ্ন
অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো সম্মানিত মডারেটর কোর ভলেন্টিয়ার সহ সকল দায়িত্বশীলদের প্রতি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই পরিবার দুর্দান্ত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে
ভালোবাসা প্রকাশ করছি @Jahangir Alam @Ali Murtaza @modhud Ahmed Samrat ভাই সহ সৌদি আরব দায়িত্বশীল ও সদস্য সকলকে যাদের অনুপ্রেরণায় আজ নিজের বলার মতো একটা গল্প লিখতে বসেছি
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন যদি না থাকতো তাহলে আমার জীবনের গল্প হয়তো কখনো এভাবে বলা হত না। তাই নিজের সাথে শপথ করছি গল্পের মধ্যে কোন কাল্পনিক কিছু বলার চেষ্টা করব না, ইনশাআল্লাহ আশা করি সকলে ভালোবেসে মনোযোগ দিয়ে পড়বেন
আমার পরিচয়
আমি মিজানুর রহমান * পিতা ইদ্রিস মিয়া *মাতা সাফিয়া খাতুন *নোয়াখালী বেগমগঞ্জ *১২ নং কুতুবপুর ইউনিয়ন *মৌলভী ইব্রাহীম সাহেবের বাড়ি *নিজ বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করি 1/6/1982সালে।
⛹️আমার শৈশব 🤾
শৈশবে আমি খুবই দুষ্টু এবং মেধাবী ছিলাম। যে কোন কাজই একবার দেখলে বা একবার পড়লেই মুখস্ত হয়ে যেত। প্রাইমারিতে পড়াশোনা করি প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত রোল এক ছিল। আমার আব্বা পুলিশে জব করতো, আমার জন্মের কিছুদিন আগেই রিটায়ার্ড হয়ে বাড়িতে চলে আসে। উনি খুবই সৎ এবং গরম মেজাজ ওয়ালা লোক ছিল। পড়াশোনা জন্য কোন ছাড় দিতেন না, কোন অন্যায়ের ব্যাপারে ছাড় পেতাম না। তাই খুব ভয়ে ভয়ে জীবন অতিবাহিত হচ্ছিল আমার। আম্মু আমাকে খুবই আদর করতেন সকল দু*ষ্টুমি এবং ভুলগুলো তিনি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করতেন বাবার কাছ থেকে। আমার বড় দুই বোন, তারপর আমরা তিন ভাই, তারাও আমাকে খুবই আদর যত্ন বড় করেছেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে আমি মেজো। তাই হয়তো দুষ্টামিটা একটু বেশি করতাম, পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত যেভাবে পড়াশোনা করেছি ওভাবে করলে হয়তো পড়াশোনাটা আমার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। আমার আব্বার শখ ছিল একটা ছেলে মাদ্রাসাতে পড়াবে তাই উনি আমাকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করার পর কাজিরহাট আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। যেহেতু আমি স্কুলে পড়াশোনা করেছি তাই মাদ্রাসার জের জবর বিহীন কিতাব গুলো পড়তে খুবই কষ্ট হতো।প্রতিদিনই শিক্ষকের কাছে মার খেতে হতো ৪/৫বিষয় ক্লাস করে পালিয়ে চলে আসতে হতো অংক ইংরেজি বাংলা এগুলা আমার কাছে কোন ব্যাপারে ছিল না, আরবিটা নিয়েই ছিল যত সমস্যা। এভাবেই তিন মাস আসা যাওয়ার পর আমি আর পারছি না, তাই বাবাকে বলে অনেক রিকুয়েস্টের পর আবার কাজিরহাট হাইস্কুলে ভর্তি হই । চার মাস পর ভর্তি হওয়ার কারণে রোল নং ছিল ৬৭,
ক্লাসের এক নম্বর রোল নং ওয়ালা আমি যদি ৬৭ তে যায় তখন বলেন কেমন লাগে কিছুতেই পড়াশোনায় মন বসাতে পারছিনা। তারপরও চেষ্টা করেছি ষষ্ঠ শ্রেণি কোনরকম পাস করে সপ্তম শ্রেণীতে আরেকটু ভালো করেছি অষ্টম শ্রেণীতে রোল নং এসেছে ১২ এর ভিতরে। আমাদের স্কুলের হেড স্যারের ছেলে আমাদের সকল ছাত্রদেরকে নিয়ে ট্রাক বাড়া করে মিছিল করার জন্য মেইন রোড়ে নিয়ে যায় পুরো স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকে বই খাতা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দোকানে রেখে গিয়েছে, আমিও সেই একটি বন্ধ দোকানের ভিতর বইগুলা রেখে যাই সকলকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে তাই। ওখান থেকে বিকেলে এসে দেখি আমার বইগুলো নেই
কে যেন নিয়ে গিয়েছে আমি ভয়ে ভয়ে বাড়িতে গেলাম আব্বাকে তো জানানো যাবে না । তাই কিছু
পুরনো বই খাতা নিয়ে সব সময় স্কুলে আসতাম কিছু বন্ধুদের থেকে নিয়ে আর কিছুদিন পড়ালেখা করলাম যখন আব্বা জানতে পারলো তখন খুবই মা*র*ধর করলো এবং আমি রাগ করে বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম চলে যাই আমাদের গরুর দুধ বিক্রি করা ৪০ টাকা নিয়ে। তারপর অনেক খোঁজাখুঁজি পর আমাকে চট্টগ্রাম থেকে আব্বা গিয়ে নিয়ে আসে, এরপর আর স্কুলে যাওয়া হলো না
👷আমার কর্মজীবন👷
আব্বা তার এক বন্ধুর কাছে ইলেকট্রিক কাজ শিখতে দেয়, সেখানে এক বছর কাজ শিখার পর নোয়াখালী চৌমুহনী গিয়ে আমার এক দুঃসম্পর্কের মামার কাছে কাজ শিখি। আরো এক বছরের ভিতরে বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে
আল্লাহ আমার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন (আমিন) বাবা বেঁচে থাকতে শাসন করতো আর বারবার একই কথা বলতো আমি থাকতে বুঝতেছনা মরার পরে টের পাবি। কিছুদিন পর বড় ভাই চকবাজারে জব করে সেই সুবাদে চলে যাই ঢাকা চকবাজার। ঢাকা ইলেকট্রিকেল কিছুদিন কাজ করার পর আমার কাজের অভিজ্ঞতা দেখে মালিক চানমিয়া আমাকে খুবই আ*দর করত এবং প্রত্যেকটা কাজই আমার উপর ছেড়ে দিত। সবাইকে বেচেলার রুমে রাখলেও আমাকে তার ফ্ল্যাটের একটি রুমে যত্ন সহকারে রাখতো। ওখানে চার পাঁচ বছর খুব সুনামের সাথে কাজ করি এবং অনেককে কাজও শিখিয়েছি। এখন হয়তো তারা অনেক বড় ইলেকট্রিশিয়ান। কেউ প্রবাসে, কেউ দেশে। ২০০২ সাল হবে তখন প্রতি মাসে ইনকাম ছিল 4 থেকে 5 হাজার আর টাকা। ইলেকট্রিক এর দোকানের ম্যানেজার বেতন ছিল 1500 টাকা। আমি প্রতি এক মাস দুই মাস পর পর বাড়িতে যেতাম, মায়ের খেয়াল রাখতাম। আর আমার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজনের পিছে পুরো টাকা শেষ আর সেই ম্যানেজার প্রতি মাসে ই ৫০০-১০০০ করে ব্যাংকে জমা রাখত। আনুমানিক 15 বছর চাকরি করার পর নিজে নিজে একটি দোকান দিলো। বর্তমানে তার দোকানের কোটি টাকার উপরে মাল আছে। সেলুট ফয়েজ ভাই আপনাকে। চক বাজারে যারা আছে এই প্লাটফর্ম এর সকলের ঢাকা ইলেকট্রিক এবং ফয়েজ ভাইয়ের ইলেকট্রিক সম্বন্ধে ধারণা আছে। ফয়েজ ভাই খুবই ভালো মানুষ, মানুষের সাথে মিষ্টি মুখে কথা বলে এই জন্য তার ব্যবসায় সফল হতে বেশি দেরি হয় নাই। আমিও কিছুদিন ফয়েজ ভাইয়ের দোকানে বসে বাইরে কাজ করেছি, ভাইয়ের জন্য দোয়া রইল তারপর নিজে নিজেই কাজ শুরু করি। প্রথমে লালবাগ এরিয়া পরবর্তীতে মিরপুর উত্তরা বিভিন্ন সেক্টরে বিল্ডিং কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজ করতাম ভালোই কাটছিল দিনকাল। টাকা পয়সা যায় ইনকাম করতাম বাড়িতে কিছু দিতাম বাকি এই খরচ করে ফেলতাম। নিজের শখ বলতে কোন কিছু বাকি রাখি নাই। হাসিখুশি আনন্দে কেটে দিলাম ২০০৯ সাল পর্যন্ত। এক মাস কাজ করে দুই মাস ভ্রমণ করতাম বাংলাদেশের মোটামুটি পর্যটন কেন্দ্র সবগুলোতেই দুই চার ছয় মাস করে থাকা হয়েছে । ছিল না বাবা, ছিল না উপদেশ দেওয়ার মত কোন শিক্ষক
হয়তো যদি @Iqbal Bahar jahid স্যারের মতো কোনো শিক্ষক পেতাম তাহলে আজ অনেক বড় ব্যবসায়ী বলে নিজেকে পরিচয় দিতে পারতাম। শুধু কামিয়েছি আর খরচ করেছি। ভবিষ্যতে টাকার কি প্রয়োজন সেটা বুঝতে পারিনি। দুনিয়ার সব রং তামাশা দেখা শেষ তাই আখেরাতের দিকে মনোযোগ দিয়ে তাব*লীগে চলে যাই ১২০ দিনের জন্য সেখান থেকে দ্বীন শিক্ষা করে এসে দশ দিন এর মাথায় বিয়ে করি।
👉ব্যবসায়িক জীবন👈
বিয়ের কিছুদিন বাড়িতে থাকার পর চলে আসি ঢাকা। এসে কেরানীগঞ্জ কদমতলীর পাশে একটা ইলেকট্রিক দোকান দিই। আমার ছোট বোন থেকে টাকা ধার নিয়ে ব্যবসা শুরু করি যেহেতু নতুন বিবাহিত জীবন তাই দুই মাস বাড়িতে আসা-যাওয়া করি তারপর ওয়াইফকে নিয়ে একটা ছোট রুম ভাড়া করে নিয়ে আসি। মোটামুটি কিছুদিন দোকানটা করি, নতুন দোকান পরিচিত হতে কিছু সময় লাগবে এদিকে বোনের টাকার জন্য বারবার বলতেছিল। তাই কোন রাস্তা না পেয়ে দোকানটা ছেড়ে দিই। এদিকে আমার প্রথম সন্তান হবে তাই ওয়াইফকে বাড়িতে নিতে হইবে তাই আবার বাড়িতে চলে যাই। হাতের কাজ জানা ছিল তাই এদিক সেদিক ছোটখাটো কাজ করে নিজেকে চালিয়ে নিতে পারতাম। ইলেকট্রিক কাজের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স সেনেটারি সহ অন্যান্য কাজও শিখে যাই ।কিছুদিন বাড়িতে থাকার পর প্রথম মেয়ে হল, এর ভিতরে আমি এলাকাতে কিছু টুকটাক কাজ করি।তারপর বড় বোনের থেকে কিছু টাকা নিয়ে আবার চকবাজার ছুড়ী*হাট্টা বন্ধু টেলিকম নামে একটি টেলিকমের দোকান শুরু করি, সাথে সাথে বাইরে ইলেকট্রিক কাজ চালিয়ে যাই। বড় কিছু ইলেকট্রিক কাজ করে মোটামুটি 5/6 লাখ টাকা ইনকাম করি এর ভিতরে ছোট ভাই একটি কসমেটিক দোকান দেয় কিল্লার মোড় লিলি শপিং কমপ্লেক্স এ
ওই মার্কেটে একতলা দোতালার প্রায় সব শোরুমে আমার হাতে ইলেকট্রিক কাজ করা। কাজের শেষের দিন মার্কেট উদ্বোধন হবে সেই ঘটে গেল অ্যা*ক্সি*ডেন্ট। ডান হাতের হাড় ভেঙ্গে যায় উপর থেকে পড়ে। অনেকদিন অসুস্থ থাকার কারণে আমার দোকানটাও বড় ভাগিনা কে দিয়ে চালানোর চেষ্টা করেছি। ছেলে মানুষ টাকা পয়সা ঠিকমতো রাখতে পারেনি। ছেড়ে দিতে হয়, তারপর বাড়িতে চলে যাই, বাবার পুরনো ঘর ভেঙে নতুন একটি বিল্ডিং তৈরি করার চেষ্টা করি, ছোট ভাই থেকেও কিছু টাকা ধার নিয়ে নিজের টাকাসহ কিছু টাকা ধারও করি। এভাবেই দুই তিন বছর চলে যায় আমার আর একটি মেয়ে জন্মগ্রহণ করে সংসারে ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে। কি করব ভেবে পাচ্ছিনা হাতের জন্য ভারী কোন কাজও করতে পারি না। এদিকে সবাই ঋণ পরিশোধের জন্য বলছে, বিল্ডিং এর পিছনে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা ঋণ, কিছু ভেবে না পেয়ে এক আত্মীয়র মাধ্যমে খবর পাই সৌদি আরবের ভিসা আছে, তাই এক বছর ট্রাই করার পর আসতে সক্ষম হয়েছি।
👷প্রবাস জীবন👷
ছয় লক্ষ টাকার মতো ঋণ হয়ে গিয়েছে
ঘর করার পিছনে আরো ৪ লক্ষ টাকা।
দুই বোন/ভাই/ শালা/ বন্ধুদের থেকে নিয়ে চলে আসি। প্রবাস জীবনে সৌদি আরব জেদ্দা প্রথমে একটি মালিকের কাছে তিন মাস কাজ করি, ঠিকমতো টাকা দিত না, তাই তাকে বলে অনেক রিকোয়েস্ট করে তার এক ভাইয়ের কাছে কাপালা হয়ে যাই। বেতন বাংলাদেশের ২০ হাজার তার সাথে এভাবে কথা হয়েছিল তার কাজ শেষ করে অন্য জায়গায় কিছু করা যাবে। আগে থেকেই টাকা খরচ করার অভ্যাস তাই দশ হাজার টাকা আমার নিজেরই খরচ লাগতো বাকি দশ হাজার টাকা দিয়ে কোনরকম সংসার চালিয়ে নিলাম কিন্তু ১০ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা মাথার উপরে যারা বেশি চাপাচাপি করতো একজন থেকে নিয়ে আরেকজনকে দিতাম। এভাবে দুই বছর কেটে গেল। দুই বছরে দুই লক্ষ টাকার ঋণ কমলো, বাকি ৮ লক্ষ টাকা আমি প্রবাসে আসার ৮ মাস পরে আমার একটি ছেলে সন্তান জন্ম হলো, দুই মেয়ে এক ছেলে মা ও স্ত্রী সংসারে খরচ বাড়ছে, এর ভিতরে প্রবাস জীবন দুই বছর পূর্ণ হল ছেলেকে দেখার জন্য মনটা ব্যাকুল তাই ছুটি নিয়ে বাড়িতে গেলাম ওরকম কোন টাকা পয়সা নিয়ে যেতে পারি নাই তাই ছুটিতে গিয়েও বাড়িতে অন্যের কাজ করতে হয়েছে। ভাগ্যের নি*র্মম পরিহাস যে তারিখে বিদেশ আসবো পাঁচদিন আগেই ফ্লাইট বন্ধ করু*নার কারণে আর বুঝি বিদেশে আসা হলো না
😭জীবনের সবচেয়ে ক*ষ্টের মুহূর্ত😭
ওই মুহূর্তটা আমার খুবই কষ্টে কাটছিল। প্রবাস থেকে গিয়েছি তাই তেমন কাজও করতে পারতাম না। কাজের কথা বলতেও ল*জ্জা করত তারপরও কিছু কাজ করে নিজের সংসারটা কোনরকম চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে দেনার জন্য ছোট বোন, বড় বোন, ছোট ভাই সহ সকলে ভীষণ চাপের মধ্যে রেখেছে। বিভিন্ন কথা শুনতে হচ্ছে, সবাই মনে করছে বিদেশ থেকে দুই বছর পর গিয়েছি অনেক টাকা নিয়ে এসেছি। তাদেরকে টাকা দিচ্ছি না। কেউ কেউ বলছে ফ্লাট কিনেছি ঢাকাতে, টাকা জমিয়ে রেখেছি, তাদের টাকা দিচ্ছি না। অপমানের আর সীমা নেই, ওই ক*ষ্টের সময় স্কুল জীবনের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন কাউকে পাশে পাইনি। ছোট শালা ফরহাদ মাঝে মধ্যে সহযোগিতা করতো।
চলে গেলাম ঢাকায় কিছুদিন মোবাইল শোরুমে জব করলাম, এর ভিতরে বিদেশে ফ্লাইট চালু হয়েছে,
একটা মোবাইলও ছিল না, মালিকের সাথে যোগাযোগ করব আর এক সময় ছিল পুরো এলাকাতে আমার হাতে মোবাইল ছিল। গ্রামীন সিম কিনেছি 5200 টাকা দিয়ে প্রতি মিনিট কল রেট 7 টাকা টার্চ মোবাইল বাংলাদেশ আসার সাথে সাথে কিনেছি, যাইহোক যে দোকানে চাকরি করি ওখান থেকে নতুন মোবাইলে রাত্রে হোয়াটসঅ্যাপে মালিকের সাথে যোগাযোগ করি। কোনরকম রিটার্ন টিকেট ওকে করে আবার চলে আসলাম আগের জায়গায় এই বুঝি মোর কপাল খুললো। আসার পরে এই দুই মাস পরে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে মালিকের কাজের সাথে সাথে কিছু পার্ট টাইম কাজকরা শুরু করলাম প্রতি মাসে ইনকাম ৮০ থেকে ১ লক্ষ। ১ বছরের ভিতরেই সকলের ঋণ পরিশোধ করে দিলাম। বাকি এক বছরে সংসারের স্ত্রী সন্তানদের চাহিদা আত্মীয়-স্বজন এর কিছু চাহিদা পূরণ করে বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সকলেই দোয়া করবেন
♥️যে কথা হয়নি বলা♥️
আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমার স্ত্রী। যাকে আমি আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছি। বর্তমান যুগে এমন স্ত্রী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি যতটুকু তাকে ভালোবাসি তার চাইতে অনেক অনেক গুণ বেশি সে আমাকে ভালোবাসে। প্রত্যেকটা কাজে আমাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে। প্রত্যেকটা কষ্টের সময় সে আল্লাহর কাছে রোনা জারি করে আমার জন্য দোয়া করে।যখন আমার পাশে ক*ষ্টের সময় কেউ ছিল না, তখন একমাত্র সেই আমাকে উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিয়েছে। আমাকে কেউ কিছু বললে সে আমার হয়ে সবাইকে সঠিক জবাব দিতো। আমাকে কেউ খারাপ বললে তার স*হ্য হতো না। আলহামদুলিল্লাহ আমার বাড়িতে, তার বাড়িতে সকলের কাছে আমাকে হিরো বানিয়ে রেখেছে তার চোখে নাকি আমার মত ভাল মানুষ আর পড়ে না। ১৪ বছর সংসার জীবনে কোন বড় ধরনের ঝ*গড়া হয় নাই ।আল্লাহ তা'য়ালা তাকে নেক হায়াত দান করুক। আমাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। আল্লাহ যেন বাকি জীবন আমাদের এভাবেই সুখে কাটিয়ে দেন।
🌻জীবন থেকে শিক্ষা🌻
যে কারণে আজও সফল হতে পারেনি
কোন কাজেই ধৈর্য না থাকার কারণে।
পরামর্শ দেওয়ার মত কোন শিক্ষক না থাকার কারণে।
ইনকাম অনুসারে সঞ্চয় না করার কারণে।
জীবনে কি করব কোন লক্ষ্য না থাকার কারণে।
🌻প্লাটফর্ম থেকে যে শিক্ষাগুলা পেয়েছি🌻
আমি নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প এই প্লাটফর্মে যুক্ত হবার পর যে শিক্ষা নিয়েছিঃ
🌷প্রিয় স্যার বলেছেন।🌷
🌹স্বপ্ন দেখুন
🌹 সাহস করুন
🌹শুরু করুন
🌹 লেগে থাকুন
🌹 সফলতা আসবেই
👉স্বপ্ন দেখতে শিখেছি। স্বপ্নের সাথে সাহস করে লেগে থাকা শিখেছি।
👉নিজেকে এবং অন্যকে ভালবাসতে শিখেছি। তাই লেগে থাকব প্রিয় ফাউন্ডেশন এর সাথে, একজন সফল উদ্যোক্তা না হওয়া পর্যন্ত এবং নিজের বলার মত একটা গল্প তৈরি করব। ইনশাআল্লাহ্।
👉সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি
👉পরিশেষে আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
👉আপনাদের মহা মূল্যবান সময় ব্যায় করে আমার জীবনের গল্প পড়ার জন্য।
👉অনেক কিছুই লেখা হয় নাই যতটুকু লিখেছি ভুল ভ্রান্তি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৭৭
তারিখ ২৮-০৯-২০২২ইং
🌹 মিজানুর রহমান
🌹জেলা নোয়াখালী
🌹 বর্তমান রেমিটেন্স যোদ্ধা সৌদি আরব জেদ্দা
🌹 ব্যাচ 19
🌹 রেজিস্ট্রেশন 104478
🌹 নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত সদস্য