২০২২সালে জানুয়ারি তে আমার ২টি জমজ ছেলে জন্ম নেয় তারা আকারে ছোট ৬০০/৮০০গ্রাম করে ডাক্তারদের কথায় বাচার আশন্খা ছিলনা ৯৯%


এই গল্পের কোথাও কাল্পনিক একটি শব্দ ও ব্যবহার করব না।








=============
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ
তায়ালার জন্য, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমাকে এখানো সুস্থ ও ভালো রেখেছেন৷৷ আলহামদুল্লিহ৷৷এবং দরুদ ও সালাম পেশ করছি প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যিনি হাশরের ময়দানে আমাদের কে হাউজে কাউসারের পানি পান করাবেন ।




==============
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার সকল ওস্তাদ দের প্রতি যাদের শিক্ষার আলোয় আজ দু'কলম লিখতে শিখেছি।
সেই সাথে ★তারুণ্যের অহংকার সময়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক লাখো তরুণ তরুণীর আশার প্রদীপ আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন, শতাব্দীর জীবন্ত কিংবদন্তি প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি রইলো আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি ভালো মানুষের পরিবার,
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন।


এই প্ল্যাটফর্মের আমার প্রাণ প্রিয় সহপাঠী ভাই বোন ও বন্ধুদের প্রতি যারা আমাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন...

================= =====জীবনের অনেক কথা বলা হয়নি কোনো দিন বলার মত ভাই বোন বন্ধু পাইনি বলে। !!!



=====================
আমি বাবা মার ৩নাম্বার সন্তান। আমরা ২ভাই ২বোন প্রথম থেকেই লেখাপড়ায় খুব মেধাবী ছিলাম।মা বাবা দুজনেই খুব ভালোবাসতেন।



আমি চাঁদপুর জেলার বড় হয়ে উঠি।



বাবা কথা বলে শেষ করা যাবে না।আর আমার মা একজন আরবী শিক্ষক।






আমার মা অতি সাধারন সাদামাটা নরম মনের মানুষ।


আমার পড়ালেখার অধ্যায় শুরুতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ক্লাসেই প্রথম স্থান, দ্বিতীয় ক্লাসেও সেইম তৃতীয় ক্লাসেও সেইম।এরপর থেকে লেখাপরা জীবন শুরু, যথারীতি পঞ্চম শেনী শেষ করলাম। শুরু হলো নতুন সপ্ন দেখা।পাশাপাশি আমার উপরের ক্লাসের কবিতা, গান,গজল এইসব মুখস্থ করে বাড়িতে গলা ছেড়ে গেয়ে যেতাম আপন সুরে...
এটি বাবা এবং মা এর চোখে পড়লে উনারা উতসাহ দিতেন।




২০১২সাল, আমি যখন ক্লাস সেভেনে তখন আমার জীবনে ১টা ব্যতিক্রম ঘটে মানে প্রেমের অফার আসে
প্রথমে এভাউট করলেও পরে ধীরেধীরে ভালোলাগে।২/৩বার কথা বলা ঠিক ২মাস পর সবাই যেনে যাবারপর বিদ্যালয় চেন্জ করতে হয় পরিবারের কথায় অবশেষে ২জন পৃথক ভাবে পড়াশোমা করি। উনি আমার ৫বছরের সিনিয়র ছিলেন।২০১৫সালে আমারা নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করি, তখন আমার বর ভালো অবস্থানে ছিলনা পরিবারের অনেকেই প্রথমে আমাদের কে মেনে নেয়নি
লোকসমাজ অনেক কটু কথা আর বাজে মন্তব্য করতেন, অভাব দেখলে ভালবাসা থাকবেনা বা ১টা সন্তান হয়ে সংসার ছেড়ে চলে আসব বাবারবাড়ী এই নানান কথা
এককথায় লোকসমাজ ও পরিবারের কারোর কথায় কান না দিয়ে শুরু করলাম সংসার জীবন ২০১৭সালের শেষে শনিরআখরা থাকাকালীন আমাদের ঘরে কন্যা সন্তান আসে
আলহামদুলিল্লাহ সব সমস্যাকে মোকাবেলা করে এগিয়ে চলছে আমার বর ১টা প্রাইভেট কম্পানিতে যব করত ।









২০১৯সালে আমাদের দেশেরবাড়ী থাকাকালীন আমাদের পরিবার একটু সমস্যার ভুগছিল,হঠাৎ বিয়ে, সংসার,সন্তান,পরিবার সব মিলিয় চালাতে খুব হিমশিম খেতে হতো।তার মধ্যে আমার আব্বু অনেক অসুস্থ হয়ে ১৪দিন হসপিটাল থেকে বাসায় বিশানায় পরে যায়।
ঠিক ২৯দিনের মাথায় রমজান মাসে লিভার কেন্সারে আমার আব্বু মৃত্যু বরন করেন

বাবা হারা মেয়েটার কষ্ট আরো বেড়ে গেলো
চারোপাশে একটাই কথা একা বিয়ে করছে এখন বাবাও নেই। বুকের মাঝে কষ্টের পাহাড় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আস্তে আস্তে করোনা যাওয়ারপর ২০২০সালের শেষে আমার বরের সাথে ঢাকায় আসি। আমাদের মেয়েকে হাতে খড়ি দেওয়ার সাথে সাথে পাশাপাশি আমি যাত্রাবাড়ী এক মাদ্রাসায় ইসলামিক নূরানি ও জেনারেল বিষয় নিয়ে শিক্ষকতা শুরু করি তখন আমি অনার্স বিবিএ ফিনার্স গ্রুপে ভর্তি হই








এরি মধ্যে ২০২১সালে আমি প্রেগন্যান্ট হই। ডাক্তারি চেকআাপ আমার টুইনবেবী জানা যায়।
মাশাআল্লাহ সবাই খুশী ছিল।দিন যতই যাচ্ছে শারীরিক সমস্যা ততইবারছে।
পাশে থাকার মতো আমার বর ও ছোট খালামনি ছাড়া কেউ ছিলনা। টুইনবেবীর মায়েরাই যানে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়।যাক সব সমস্যা নিয়েই ৭মাসের আগেই২০২২সালে জানুয়ারি তে আমার ২টি জমজ ছেলে জন্ম নেয় তারা আকারে ছোট ৬০০/৮০০গ্রাম করে ডাক্তারদের কথায় বাচার আশন্খা ছিলনা ৯৯%পরে আর্থিক সমস্যা ও N.I.C.Uতে সিট না থাকার কারনে অন্য হসপিটাল নিয়ে যাওয়ার সময় ৬০০গ্রাম বেবীটা চলে যায় না ফেরার দেশে
পরে ৮০০গ্রাম বেবী(N.I.C.U/life saport)থেকে সেই রাতেই মৃত বলে যানায়

১সাথে ২ছেলেকে হারিয়ে একবুক কষ্ট নিয়ে এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি মনে হচ্ছিল আমি বেশেই লড়াই করে যাচ্ছি।











এখন আলহামদুলিল্লাহ খুব ভাল আছি জীবনের শুরুটা হয়েছে লড়াই করে এবং প্রতিনিয়ত সমস্যার সমাধান দিয়েই আজ এতটুকু আসলাম।এখন আমরা মা মেয়ে বরকে নিয়ে সুখে আছি আমাদের সংসার ৮বছর চলছে। তাই যে কোন পরিস্থিতিতে সমস্যা যতই বড় হোকনা কেন সমাধানের পথটা নিজেকেই খুজতে হবে এবং ধৈর্য সৎ সাহস একজন ভাল মানুষ হয়ে লড়াইকরে যেতে পারলে সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ




আমি টিউশন করি, আমি একজন আর্টিস এবং মহিলাদের ও বাচ্চাদের পোশাক তৈরী করে কিছু মূলধন জোগাড় করি আর পাশাপাশি বাংলা সাত্যিক্য কাব্য নিয়ে, আমি আমার মেয়ে হামদ,গজল, নাত চর্চা করে থাকি আলহামদুলিল্লাহ খুব ভাল চলছি।




চাকরি দেব না চাকরি করব এমন একটা প্রতিষ্ঠান হবে যেখানে অনেক মানুষের কর্মস্থান হবে ইনশাআল্লাহ এবং টাকা হলে নিজ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান করবো।



নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন গ্রুপটা আমি আমার খালামনির কাছ থেকে পেয়েছি এবং @sk Mazedul islamভাইয়া আমাকে ফাউন্ডেশনে যুক্ত করে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন এবং Hazral aliভাইয়া আমাকে ওয়ারী জুনের মেসেঞ্জারে যুক্ত করে দিয়েছেন অসংখ্য ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই ওনাদের প্রতি ওনাদের অছিলায় এত বড় একটা ভালোবাসার প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি 





ভালো মানুষের চর্চা করা, ভালো মানুষের সম্পর্ক গড়ে তোলা, জীবনের সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা, সময়কে মূল্যায়ন করা, অসৎ কাজ বা ব্যবসা না করা, ও ধৈর্যশীল হওয়া,
কথা দিয়ে কথা রাখা কাউকে ঠকাবো না, মা-বাবা সেবা যত্ন করা এবং অসহায় মানুষের পাশে থাকা, সফল না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকা এবং নিজেকে ভালবাসতে শেখা নিজের প্রতি আস্থা রাখা

স্যার মেয়েদের জন্য এই ফাউন্ডেশনে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছেন। প্রতিটা মেয়ে নিরাপদে কাজ করতে পারে। এখানের ভাইয়ারাও খুব সাপোর্টেট।সবার মাঝে ভাই বোনের সম্পর্ক সবাই সবাইকে সাহায্য করে একসাথে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। 








কৃতজ্ঞতার সাথে বলছি লাখ লাখ তরুণ তরুণীদের আইডল জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার, স্যার আমাদেরকে নিঃস্বার্থ ভাবে শিখিয়ে যাচ্ছে কিভাবে একজন ভালো মানুষ হওয়া যায় এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমি ধন্য এমন একজন শিক্ষক পেয়েছি, বর্তমানে স্বার্থ ছাড়া কেউ কাউকে সাহায্য করে না কিন্তু স্যার নিঃস্বার্থ ভাবে আমাদের জন্য কাজ করেই যাচ্ছেন। এবং প্রতিনিয়ত গাইড সেশন দিয়ে যাচ্ছেন আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং অন্তরের অন্তস্তল থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা দোয়া এবং ভালবাসা রইলো।


এবং শুভকামনা

"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে" ৯০৯
০১/১২/২২


নামঃ লুবাইনা খাঁনম
ব্যাচঃ২০
রিজিষ্টি নংঃ১০৯৫৫০
নিজ জেলাঃচাঁদপুর
বর্তমান অবস্থাঃকদমতলী থানা শনিরআখরা ওয়ারী জোন।