See More Post

অদ্ভূত আকর্ষন, অন্যরকম আসক্তি, ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা। প্রতিদিন স্যারের কথাগুলো শুনি।ইউটিউবে স্যারের লাইভ গুলো



           আজ অল্প কিছু লিখবো।এই গ্রুপে আমি ৬ষ্ট ব্যাচ থেকেই আছি।অদ্ভূত আকর্ষন, অন্যরকম আসক্তি,

ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা। প্রতিদিন স্যারের কথাগুলো শুনি।ইউটিউবে স্যারের লাইভ গুলো দেখি।

গ্রুপের ভাই - বোনদের পোষ্ট গুলো পড়ি।একটু একটু

করে সাহসটা বাড়তে থাকে। কেন জানি মনে হতে লাগলো এই প্লাটফর্ম আমার উপযুক্ত জায়গা।কেননা

এখানে আমি আমাকে জানান দিতে পারবো।

           জীবনের অনেকটা সময় হয়তো অতিবাহিত হয়ে গেছে তাতে কি? শিক্ষার যেমন কোন সময় নেই।

তেমনি আমি মনে করি শুরু করার ও বয়স নেই।সবার

সফলতা ২০/৩০ভিতর হয়না,আবার হয়েও যায়।কারো

কারো জীবনে যেকোন সময় সফলতা আসে সেটা হউক না ৫৫/৬০/৬৫ কিংবা ৭০। পৃথিবীর ইতিহাসে

এ রকম হাজার ও সফলতার গল্প আছে।

            স্যার সুন্দর করে বলেছেন স্বপ্ন দেখুন,সাহস করুন,লেগে থাকুন।স্যারের এই তিনটি কথার একটা

কথা ছোট বেলা থেকেই আমার ভিতরে ছিলো।সব

সময় স্বপ্ন দেখেছি। কিন্ত সাহস করা আর লেগে থাকা

এ দুটো কথা আমি কখনও কাজে লাগাতে পারিনি।

আমার জীবনের চরম ব্যর্থতা।

             চরম ব্যর্থতার প্রধান কারন আমি যখন ১২ বছর বয়সের কিশোরী তখন বাবাকে হারাই।হঠাৎ

করেই আমাদের বাবা না ফেরার দেশে চলে যান।পড়া

শুনায় বরাবরই ভালো ছিলাম।পুরো স্কুল জুড়ে স্যার

ম্যাডামদের চোখের মনি।এস,এস,সি পরীক্ষা ৪টা বিষয়ে অংশ গ্রহন করার পর একটা দূর্ঘটনায় থেমে

গেল জীবনের গতিবেগ। আবার ও হোঁচট, ওঠে দাড়ালাম এস,এস,সি আর এইচ,এচ,সি পাশ করলাম।

ভালোভাবেই করলাম।

              বাবা নেই, বাড়ীর বড় মেয়ে আর পড়তে হবেনা।ভালো প্রস্তাব আসল,ছেলে ভালো।বংশ পরিচয়

ভালো।সব মিলিয়ে বাড়ীর অভিভাবক রা বিয়ে ঠিক

করলেন।যাই হোক ঈশ্বরের ইচ্ছায় যা হয়ছিলো সবটাই

মানিয়ে নিয়েছিলাম।বিয়ের পর বি,কম পরীক্ষা দেই কিন্তু ভালো হয়নি।তারপর হাল ছেড়ে দেই।যৌথ পরিবার, কন্যা সন্তানের জননী হয়ে সংসারী হয়ে ওঠি।

ভালোই চলছিল।এরপর ২য় কন্যার মা।এভাবে ১২ বছর সংসার জীবন।

              শুরুই তো হলনা থেমে গেল। 

জীবনের অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্ক্ষিত গল্পের শুরু মাএ

তো এয়োদশী আমি। মেয়েদের বাবা হঠাৎ করেই মারা গেলেন।যে বয়সে জীবনের শুরু সেই বয়সেই আমার শেষ।

         দীর্ঘ একটা বছর মানুষটা মারা যাওয়ার পর ভেবেছিলাম আমার সীমাবদ্ধ আমিতেই।নিজেকে

গুটিয়ে ফেলি ভাবতে থাকি সবকিছু শেষ।আমার অস্তিত্ব, আমার দুটো মেয়ে, আমার সংসার কোনটাই

আমাকে আকৃষ্ট করেনা।আমার জীবন থেকে সবি যেন

হারিয়ে গেছে।অন্ধকারে নিজেকে আড়াল করি।

         সমাজে বৈধব্য কতটা অভিশাপ,সেটা এই বিংশ

শতাব্দীতে আমি জ্বলন্ত প্রমান।কতটা অসহায় এই বয়সের বিধবারা।বিধবা এই শব্দ টাই তো শুনতে কতটা

বিধঘুতে।আধুনিকতার যত বড়াই আমরা করিনা কেন কুসংস্কারের বেড়াজাল বিধবাদের চারিদিকে বিস্তৃত। 

    এক বছরের মাথায় ভয়ানক অসুস্হ হয়ে পড়ি। 

       বাবার বয়ছি ডাক্তার অনেক সময় নিয়ে আমাকে বুজানোর চেষ্টা করেন।উনার সেদিনের একটা কথাই বারবার মনে পড়ে।"মারে তোকে এখন তোর জন্য নয়

তোর মাতৃত্বের জন্য সুস্হ হয়ে বাঁচতে হবে। ঈশ্বরের আশীর্বাদে, এই দুই কন্যা সন্তান তোর অমূল্য সম্পদ।"

আবার ও নতুন করে বেঁচে থাকার সংগ্রাম।সবার আশীর্বাদে আমি আজ এই অবস্হানে।জীবনের গল্প

সবটা লিখে ও লিখা হয়না।

                 নিজের বলার মতো গল্প গ্রুপেএই প্লাটফর্মে 

আমি আমাকে উপস্হাপন করতে পারবো এটা আমার জীবনে অনেক বড় প্রাপ্তি।

                 অনেক ত্যাগ, অনেক কষ্ট,অনেক ব্যর্থতা

সবকিছু পিছনে ফেলে,সমালোচনা,পাছে লোকে কিছু

বলে উপেক্ষা করে আমি আজ এই অবস্হানে।কি পেলাম আর কি পেলাম না সব কিছু হিসেবের উর্ধ্বে

রেখে আজ আমি নিজের বলার মতো একটা গল্প  লিখতে পারার চেষ্টা।

                 স্যার এবং প্রিয় ভাই বোনদের আর্শীবাদ

কামনা করি।সবার আর্শীবাদে আমি অনেক সাড়া

পেয়েছি এবং পাচ্ছি।আশা করি এভাবে পাশে থেকে

সবাই সহোযোগিতা করবেন।


                   গ্রুপের ছোট - বড় ভাই,বোনদের আমার

প্রতি সহোযোগিতার গল্প তুলে ধরবো কোন একদিন।

স্যারের মূলমন্ত্র ধারন করে এগিয়ে যাচ্ছি। 

            ভূলত্রুটি মার্জনীয়।


https://www.facebook.com/অন্তরা-ফ্যাশন-111816183836268/


স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৯৩

০৩-০৮-২০২০

অন্তরা সাহা। 

ব্যাচ নংঃ ৭ ম। 

জেলাঃ সিলেট।

রেজিষ্ট্রেশন নংঃ ১৬৪২৭।

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।