🍁হাসি কান্নার গল্প 🍁

🍁বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম🍁

~~~~  ~~~~~~~  ~~~~~~   ~~~~~~

🌼আসসালামু আলাইকুম ওরহমাতুল্লাহ🌼

সর্বপ্রথম ঐ মহান আল্লাহ তা'আলার প্রশংসায় সেজদায় অ‌‌বনত হচ্ছি🕋, যিনি আমাদের এবং আমাদের পরিবারকে সুস্থ, সুন্দর রেখেছেন। তার জন্য মহান আল্লাহতালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি ,আলহামদুলিল্লাহ।  

দুরুদ ও সালম পেশ করছি মানবতার মুক্তির দূত, দু জাহানের সরদার,সায়্যিদুস্সাক্বালাইন, খাতামুন্নাবিয়্যন হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মুবারকে,। 

💐💐কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সেই মানুষটার প্রতি, যিনি সুখ খুঁজে না আপন নীড়ে, প্রাণের টানে এই আঙিনায় বারে বারে আসে ফিরে, যার চিন্তা ভাবনা এই স্বপ্নের প্ল্যাটফর্ম কে ঘিরে, যিনি সবসময় যুক্তিময় উক্তি দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করেন, তিনি হলেন আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। যার অনুপ্রেরণায় আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে হাজারো শুকরিয়া,স্যার সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে এসেছে ❤️

🖊️নিজের জীবনের গল্পটা নিজেকেই লিখতে হয়। যদি কেউ তা শুনে হাসে বুঝবেন আপনার গল্পটা এখন বিনদনের পর্যায় রয়েছে,  যদি কেই উৎসাহ দেয় বুঝতে হবে রাস্তা তৈরি হচ্ছে কিন্তু হাটতে হবে নিজেকেই, আর যদি কেউ হাত বাড়িয়ে দেয় বুঝতে হবে আমার জন্য লিফটের ব্যবস্তা হচ্ছে।  উপরে উঠাটা দ্রুত হবে, 

প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটি ভুলতে না পারার অধ্যায় রয়েছে  তেমনি আমার জীবনেও একটি ভুলতে না পারার অধ্যায় রয়েছে 

সব গল্পের শুরুটা খারাপ হয়না, তেমনি,সব গল্পের শেষ টা সুন্দর হয়না, কিছু গল্প সবসময় ব্যাতিক্রম থাকে, 

জীবনে একটা সময় এমন ছিলো,যখন ছোট ছোট বিষয় নিয়েও অনেক মন খারাপ করতাম,,কিন্তু কালের পরিবর্তনে,এখন সব কিছু বদলে গেছে,এখন আর আগের মত মন খারাপ হয়না ছোট ছোট বিষয়ে, তার কারন হলো,এখন অনেক কিছু বুঝতে শিখেগেছি, এবং শিখেছি,বিপদে,কিভাবে নিজেকে নিজেই বাঁচাতে হয়, দুনিয়ার কারো করুনার আশা করা শুধুই বোকামি,,যেখনে অন্ধকারে নিজের ছায়া ই নিজের থেকে চলে জায়,,তাই নিজেকে ধীরে ধীরে তৈরি করেছি একা ছলার, 

🏃‍♂️চলুন তাহলে ১০ বছর আগে..

আমার বয়স তখন ১১ বছর, 

ভর্তি করিয়ে দিলো বডিং মাদ্রাসায়, একা থাকা একা খাওয়া একা ঘুমানো,একা একা সব কিছু, আব্বু আম্মু ছাড়া,খুব কষ্ট হচ্ছিলো,খুব কান্নাকাটি করতাম প্রথম প্রথম, তারপর,আস্তে আস্তে, মন শক্ত হলো,মানিয়ে নিলাম পরিবেশের সাথে নিজেকে, কিছু বন্ধু পেলাম, তাদের সাথে খেলা ধুলা, করতাম বিকালে,, এভাবেই দিন কাটছিলো, দেখতে দেখতে ক্যালন্ডারের পাতা ঘুরে ১ মাস হলো,এর মাঝখানে প্রতি সপ্তাহে আব্বু এসে দেখে যেতেন, আমাকে, একমাস হলে বাড়ীতে জাওয়ার একটা নিয়ম আছে,তাই আব্বু কে বললাম, বাড়ীতে যাবো,আব্বু রাজি হলো,কিন্তু একটা শর্ত দিলো, জে সময় মত, আবার মাদ্রাসায় আসতে হবে,আমি রাজি হলাম, তারপর বাড়ীতে আসলাম, অনেক দিন পর বাড়ী আসার কারনে সব কিছু অন্যরকম লাগছিলো,১ দিন বাড়ীতে  থেকে আবার মাদ্রাসায় চলে আসলাম, এসে আবার আগের মত পড়াশোনা আর বন্ধুদের সাথে খেলা ধুলা, একপর্যায়ে একটা ছেলের সাথো আমার খুব ভালে বন্ধুত্ব হয়ে জায়, আমার তুলনায় সে পুরাতন ছিলো মাদ্রাসায়,তাই সে আমাকে অনেক কিছু বলে দিতো, দেখিয়ে দিতো, ধীরে আমাদের বন্ধুুত্ব আরো গভীর হলো, আমরা একসাথে নাস্তা করতাম খাওয়া খেতাম, খেলাধুলা সব কিছু তার সাথেই করতাম, একদিন, আমার বন্ধুু টি অসুস্থ হয়ে পড়লো,অনেক জ্বর তার শরীরের, কি করবো, হুজুর থেকে বলে তার জন্য মেডিসিন আনলাম, কিন্তু জ্বর কিছুতেই ভালো হচ্ছিলোনা,তাই তাকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো, এ দিকে আমি তো একা হয়ে গেলাম, বন্ধু বিহীন, সবসময় মন খারাপ থাকতো, করো সাথে তেমন কথা বলতামনা, তাকে খুব মিস করতাম,, কিছু ভালো লাগছিলোনা, পড়ায় ও ঠিকমতো মন বসতোনা,৫ দিন পর হঠাৎ এক বিকেলে তাকে দেখলাম বাড়ী থেকে মাদ্রাসায় আসছে,দেখেই কেমন যেন, মন টা ভালো হয়ে গেলো,তাড়াতাড়ি করে তার সাথে মুসাফাহা করলাম,  তারপর,কি ভাবে বাড়িতে গেলো, বাড়ীতে কি কি করলো সব কিছু আমাকে বললো, ক্লাসে সে পড়া না পরলে আমি বলে দেওয়ার চেষ্টা করতাম,, সব মিলিয়ে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলো সে এভাবে প্রায় ৪ বছর পার করলাম,আমাদের বন্ধুত্ব দেখে অনেকে হিংসা করতো,এবং অনেকে আমাদেরকে উদাহরণ দিতো যাইহোক, যখন হাফেজ হলাম, এবং মাদ্রাসা,পরিবর্তন করলাম, তখন তার থেকে আলাদা হয়ে গেলাম, সে এক জয়গায় আমি আরেক জায়গায়, প্রথম প্রথম খুব মিস করতাম তাকে, মাঝে মাঝে ইচ্ছে করতো, তার কাছে চলে জাই, আবার মনকে বুজাতাম, যে জীবনে কিছু পেতে হলে কিছু ছাড়তে হয়, তাই নিজেকে ধীরে ধীরে শক্ত করলাম, সময়ের সাথে সাথে, তার কথাও ভুলতে লগলাম,এখন আর আগের মত মনে পড়েনা,আগের মতো আর মন খারাপ হয়না, এভাবেই তাকে ছাড়া পার হয়ে গেলো তিন বছর,হঠাৎ একদিন, এক মাহফিলে তার সাথে দেখা, দেখেই তাকে জড়িয়ে ধরলাম, সেও জড়িয়ে ধরলো আমাকে, তারপর কথা জমানে কথা তার সাথে শেয়ার করলাম, সেও তার অনেক কথা আমার সাথে শেয়ার করলো, তারপর একসাথে ঝালমুড়ি, ফুচকা খেলাম,এবং কিছু সময় আড্ডা দিলাম,কিন্তু এত কিছুর মাঝেও তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করলাম, আমিন,আর সেটা হলে,আগে যে রকম বন্ধু বন্ধু বলে ডাকতো, এখন আর বলেনা, তাই আমারও বলতে কেমন জানি লাগছিলো তাই আমিও বলিনি, আর একটা বিষয় কিন্তু সত্যি যে কারো সাথে যদি অনেক দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে তাহলে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে জায়, যেমন কথা বার্তা,ইত্যাদি ইত্যাদি.......  এটাই প্রকৃতির নিয়ম,,, 

 ভাবতেই কেমন যেন অবাক লাগে একটা সময় ছিলো যখন বন্ধুকে ছাড়া কোথাও যেতাম না, কিন্ত এখন নিজে  নিজেই সবখানে যাই, এখন আর বন্ধুর আশায় বসে থাকতে হয়না অন্যের উপর নির্ভর না করে জত তাড়াতাড়ি নিজের পায়ে নিজে দাড়াতে পরবেন ততই আপনার আপনার জীবন সুন্দর ও পরিপাটি হবে, সময় কারো জন্য অপেক্ষা করেনা, জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়, যার জন্য আজ আপনি না খেয়ে বসে আছেন সে হয়তো অন্য কারো সাথে কোন দামী রেষ্টুরেন্টে কাচ্চি খাচ্ছে জার জন্য আজ আপনি স্কুল মিস দিলেন সে হয়তো একদিন আপনার ফ্রাইবেট টিচার হিসাবে আপনাকে পড়াতে আসবে,এই বরং রের দুনিয়ায় সব কিছুই সম্ভব,কারো জন্য নিজেকে ছোট করার কোন মানে হয় না, 

অভিজ্ঞতার গল্প বলবো

কথায় বলে সবাইকে বিশ্বাস করা ঠিক নয়

কিন্তু আমি বলবো সবাইকে আবার অবিশ্বাস করাও ঠিক নয়, এটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,

১৯ সালের কথা, ঢাকা থেকে বাড়ী ফিরছিলাম 

আমি সাধারনত লঞ্চে আসা জাওয়া করি ঢাকায়, যাইহোক ঐ দিন ডাকা থেকে রওনা দিয়েছিলাম বিকাল ৩ টা বাজে, লঞ্চ থেকে চাঁদপুর নামলাম সন্ধায়,তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ীর উদ্দেশ্য সি, এন,জি তে উঠলাম,আসতে আসতে প্রায় ২ ঘন্টার মত লেগেছে, ২ ঘন্টা পর সি,এন,জি থেকে নামলাম,  আমাদের রামগঞ্জ বাজারে, বাজারে নামার পর ভাবলাম, বাড়ীর জন্য কিছু ফল কিনে নেই, তারপর,ফলের দোকানে গিয়ে ফল কিনলাম, এবং মানিব্যাগ বের করে টকা দিলাম, তারপর, সি,এনজি, করে বাড়ীর সমানে  আসলাম, এবার ভাড়া দিয়ে ড্রাইভার কে বিদায়

দেওয়ার পালা, টকা দেওয়ার জন্য পাঞ্জাবির পকেটে হাত দিয়ে দেখি পকেট খালি, আজব ব্যাপার, মানিব্যাগ নেই, আমিতো হতবাক, মানিব্যাগ কই গেলো?  

কিছুই মাথায় কাজ করতেছিলনা,কি আর  করা বুজলাম হয়তো কেউ নিয়ে গেছে নয়তো কোথাও পড়ে হারিয়ে গেছে, যাইহোক এখন তো ড্রাইভার কে টাকা দিতে হবে এখন টাকা দিবো কোথায় থেকে?

 আমার পকেট পুরা খালি সব টাকা মানিব্যাগে ছিলো, ভাগ্যিস ড্রাইভার আমাদের এলাকার ও পরিচিত ছিলো,তাই বললাম ভাই আমি কালকে আপনার টাকা আপনাকে বাজারে গিয়ে দিয়ে আসবো, তিনিও বুজলেন বিষয় টা  এবং খুব আফসোস করলেন,,বাসায় এসে, চিন্তা করতে লাগলাম, কই রাখছি, কি ভাবে হারালো ইত্যাদি ইত্যাদি.... 

তারপর মনে হলো হয়তো ফলের দোকান থেকে টকা দিয়ে আর  মানিব্যাগ পকেটে নিই নি, আবার মনে হলো নিছি,  মানে সব কিছু অস্পষ্ট, আম্মু জিজ্ঞেস করলো, কি হয়েছে, কি চিন্তা করতাছি আমি, বলতে ছাইনি,তারপর, আম্মুর পিড়াপিড়ি দেখে বলতে বাধ্য হলাম, আম্মু ও আফসুস করতাছে, কি আর কারা, এটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিলাম, এবং মানিব্যাগের আশা বাদ দিয়ে দিলাম, তার কয়েকদিন পর আমি কোন কাজে রামগঞ্জ গিয়েছিলাম, মনে পড়লো মানিব্যাগের কথা, ভবালাম, একবার না হয় জিজ্ঞেস করি ঐ ফলের দোকান দার কে, হয়তো ভাগ্য থাকলে পাইতেও পারি, বাকি আমার অতটা পাওয়ার আশা ছিলনা, কারন, মানুষ টাকা সহ মানিব্যাগ পেলে বুজি আবার ফেরত দিবে  তাই অতটা পাওয়ার আশা ছিলনা, তারপর দোকানদার কে জিজ্ঞেস করলাম ভাই আমি গত কয়েক দিন আগে আপনার দোকান থেকে ফল কিনছিলাম, এবং আমার মানিব্যাগ টা এখানে কোথাও হয়তো রেখে গিয়েছি ভুলে, আপনি দেখছেন?

উনি বললো জ্বি ভাইয়া, আমি সে দিন রাতে একটা মানিব্যাগ পেয়েছি, আমি ভাবলাম কার না কার তাই বাড়ীতে রেখে দিয়েছি, আমি বললাম জ্বি ভাই সেটা আমার মানিব্যাগ, ভুলে ফেলে গিয়েছি, তারপর, উনি বাড়ী থেকে মানিব্যাগ টা আনালেন, এবং আমাকে দিলেন, তারপরে দেখলাম টাকা পয়সা সব কিছুই ঠিক আছে, তারপর তাকে অনেক ধন্যবাদ দিলাম, 

ঐ দিন আমার  সুন্দর কিছু অভিজ্ঞতা হলো

১> বিপদে পড়লেও হাল ছেড়ে দিতে নেই,আল্লাহর উপর সবসময় ভরসা করতে হয়

২> সব মানুষকে অনুমান করে অবিশ্বাস করা বা দোষারোপ করা উচিৎ নয়

৩> ধৈর্যের ফল সবসময় সু- মিষ্ট হয়

আমার মনে হয় আমার জীবনের বাস্তব ঘটনা পড়ে আপনাদেরও জীবনের অনেক অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেছে,, আশা করছি আপনার ও আপনাদের অভিজ্ঞতার কথা আমাদের সবার সাথে শেয়ার করবেন, 

আর যদি আমার লিখায় কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এবং কমেন্ট করে ভুল গুলো জানিয়ে অবহিত করবেন, তাহলে আপানাদের নিকট কৃতজ্ঞ থাকবো ~~~~~~

জাওয়ার আগে চোট্ট দুটি কথা বলে রাখি

আপনি কারো জন্য কিছু করে থাকলে সেটা চিরতরে ভুলে যান। কারণ সেটা যতদিন আপনি মনে রাখবেন ততদিন সেটা আপনাকে অহংকারী করে তুলবে।

 আবার কেউ যদি আপনার জন্য খুব ছোট কিছুও করে থাকে, তবে সেটা আজীবন মনে রাখবেন। কারণ এটা আপনাকে বিনয়ী ও কৃতজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখবে।

💻বর্তমানে কাজ করছি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে

🧭পেইজ লিংক https://www.facebook.com/Alif-Graphics-design-100780982356827/

🖊কাজের বিবরণ 

👉পেইজ লোগো

👉ওয়েব ব্যানার

👉ফেসবুক প্রোফাইল ও কাভারফটো

👉ভিজিটিং কার্ড 

👉গ্রুফ লোগো

👉ব্যানার ও শুভেচ্ছা কার্ড 

👉নাম কালিগ্রাফি ডিজাইন

👉 লোগো ডিজাইন (থ্রীডি প্রিমিয়াম কোয়ালিটি)

👉 ইউনিক বিজনেস কার্ড

👉 বিজনেস পেইজ সেট আপ

যে ফাইলগুলিতে পাবেন JPG,PNG,PSD,PDF,AI,WORD

নোট :

১. আমরা প্রিন্টিংয়ের কাজ করি না।

২. ডিজাইনে কোনো প্রকার হারাম এলিমেন্টস ব্যাবহার করি না। 

Contact us

Call : 01309770746(Whatsapp)

আসুন আমরা সবাই ভালো মানুষ হওয়ার প্রতিজ্ঞা করি নিজের সাথে নিজেই, 

📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭১২

Date:- ০১/০১/২০২২ইং

🥀নাঈমুল হাসান(বিপ্লব) 

🥀কমিনিটি ভলেন্টিয়ার

🥀জেলা★লক্ষীপুর

🥀থানা★রামগন্জ

🥀ব্যাচ★১৫

🥀রেজিঃ★৬৭৬৫০