See More Post

অসহায় মানুষের প্রতি সসহানুভূমি।

🕍🕍বিসমিল্লাহি রাহমানের রাহিম।🕍🕍


🌼আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহে ওবারাকাতুহ🌼


  🌹এক প্রবাসীর ছেলের জীবন কাহিন🌹


❤️আমি সর্বপ্রথম শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে যিনি আমাকে একজন সুস্থ মানুষ  হিসেবে পৃথিবীতে আমাকে প্রেরণ করেছেন।


❤️হাজারো দরুদ ও সালাম প্রেরণ করছি।মানবতার মুক্তির দিশারী হরযত মোহাম্মদ (সা:) এর প্রতি দরূদ সালাম প্রেরণ করি।


❤আমি কৃতজ্ঞতা যাপন করছি আমার জন্মদাতা মা বাবা প্রতি যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে লালন পালন করে বড় করেছেন।


❤💞💞আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমাদের প্রিয় শিক্ষক, মেন্টর, লাখো তরুণ তরুণীর স্বপ্নদ্রষ্টা, দিক হারা মানুষের পথপ্রদর্শক,  হতাশাগ্রস্থ মানুষের আশার  প্রদীপ জনাব "ইকবাল বাহার জাহিদ" স্যারের প্রতি। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের জন্য। 

নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন উপহার দিয়েছে। এটা এরকম একটা প্লাটফর্ম যেখানে শুধু উদ্যোক্তা হতে শেখায় না,  একজন বিনয়ী মানুষ,  মানবিক মানুষ হতে শেখায়,

  তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমাদের জন্য নিরলস  ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন যা আজ অবধি পৃথিবীর আর কোন লোক করে দেখাতে পারেনি।


     🌹আমার পরিচয়:


আমি খান জুয়েল। আমার জন্ম ১৯৮৬ সালে। গ্রাম- মাহাতাব নগর , জেলা-ঢাকা, দোহার থানায় অবস্থিত।আমি গ্রামের একটি ছেলে । গ্রামের  ৫\১০ টা ছেলেদের মতো বেড়ে ওঠা। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার তার মাঝে আমার জীবন যাপন। আমরা দুই ভাই এক বড় বোন, আমি হচ্ছি মেঝো। আমার বাবা ছিল সরকারি রেলওয়ের কর্মরত। তারপর সে প্রবাসে পা ফেলে। আমার মা একজন গৃহিনী।


    🌹শৈশব জীবন:


           আমার জীবনটা ছিল একটা গল্পের মত। জন্মের পর থেকে নানা বাড়িতে থাকা। বাবা সরকারি রেলওয়ের চাকরি করার কারণে আমাদের কমলাপুর এসে থাকতে হয়। আমাদের ওখানে দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করতে হয়। বাবা বেতন কম হওয়ার কারণে জীবনে বিলাসিতা করতে পারেনি। সময়টা কেটেছে অনেক দুঃখে। সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায় বাবার।তাই বাবা সরকারি চাকরি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেন। সেখানেও বাবার সংগ্রামী জীবন।বাবা ঠিকমত টাকা পাঠাতে পারে না।এর কারণে আমাদের নানা বাড়িতে কাটাতে হয়।


    🌹‍কৌশোর জীবনঃ


 কৌশোর কালে কেটেছে  নানার বাড়িতে।নানা বাড়ি থেকে আমার হাতে ঘড়ি। জীবনে প্রতিটি সুখ দুঃখের মুহূর্তে কাটিয়েছে নানার বাড়ি। মামাতো খালাতো ভাই বোনদের সাথে বেড়ে ওঠা। খেলার চলে আনন্দ মুহূর্ত কেটেছে আমার দিন। পড়াশোনা করেছি আমাদের প্রিয় স্কুল বান্দুরা হলিক্রস হাই স্কুল এন্ড কলেজ। আমাদের বিদ্যালয় অনেক চমৎকার শিক্ষা খেলাধুলার ব্যবস্থা সেখানে আমি H.S.C.  পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পেরেছি।


   🌹যৌবনকাল: 


প্রতিটি মানুষের জীবনে যৌবন কাল আসে ঠিক তেমনি আমার জীবনে যৌবন কাল এসেছে। আমিও কোন মেয়ের প্রেমে পড়েছি। সময় কাটিয়েছি প্রেমের পিছনে কিন্তু কোন প্রকার সফলতা আসেনি। 


     🌹প্রবাস জীবন:


 পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে আমি H.S.C. পর্যন্ত পড়তে পেরেছি ।তারপর আমি ব্যবসা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার পরিবারের থেকে কোন প্রকার আর্থিক সাহায্য পাইনি, পাইনি কোন ভরসা। তারা আমাকে ব্যবসা করতে দেবে না। তারা ব্যবসা করতে না দিলে কি হবে, তারা আমাকে দিয়েছে প্রবাসী জীবন। এই জীবনে নাকি অনেক সাফল্য তাই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য ১৯ বছর বয়সে আমাকে প্রবাস জীবন বেছে নিতে হয়েছে।

প্রবাস মানেই সোনার হরিণ,

সোনার তরী চাই?

  তাইতো আমি প্রবাস নামক,

প্রবাসী হয়ে যাই।

জীবন মানেই সোনার হরিণ,

পেলাম না কভু কাছে! 

জীবন নামক বয়ে বেড়াই,

সকাল সন্ধ্যা সাজে।

মনটা যখন থাকে না ভালো, 

ফেসবুকে তে যাই।

তখন আমি ফেসবুকে তে,

"নিজের বলার মতো একটি গল্প "খুঁজে পায়।

এখন আমার মনটা ভালো ,

কাটাই সারা দিন।

ভালোবাসার প্লাটফরমটি থাকবে যতদিন,

এই প্লাটফর্মে যুক্ত আমি থাকবো ততদিন। 


আমি ১৬ প্লাস বছর পর্যন্ত প্রবাসে থাকা সত্ত্বেও জীবনে কিছুই করতে পারিনি। প্রবাসের জীবন আমার অনেক কষ্টে কেটেছে। না খেয়ে না দেয় সময় মতো বেতন না পেয়ে আমার জীবন কাটিয়েছি। তবুও কোনো সাফল্য পায়নি আমার জীবনে। জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে সংগ্রাম করছি। এর নাম হচ্ছে প্রবাস জীবন।


🌹বিবাহিত জীবন: 


প্রতিটি মানুষের জীবনে একটা সুখের মুহূর্ত আসে আমার জীবনেও এসেছে ২০১১সালে।সেটা হয়েছে আমার বিবাহিত জীবন। আমার সহধর্মিনী কে প্রথম দেখাতে আমার ভালো লাগে এবং আমাদের পরিবারের সবাই পছন্দ করে। তাই প্রথম দেখাতে আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু কি ভাগ্যের খেলা। বিয়ের সাত দিন পরে আমাকে প্রবাসের চলে আসতে হয়। জীবনে সুখের মুহূর্তগুলো কাটাতে পারিনি, জীবনে তাগিতে কারণে এক বছর পর বাড়িতে আসে। জীবনের সুখের মুহূর্তই গুলো খুজে পাই। এবং ওর দুই বছর পর আমার প্রথম পুত্র সন্তান হয় ২০১৩সালে। সেই মুহূর্ত থেকে প্রথম বারের মত বাবা হতে পেরেছি, তখন আমার মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে সুখী আমি। আমার মত সুখী আর কেউ নেই। কিন্তু প্রবাসে থাকার কারণে সন্তানের মুখ দেখতে হয় আড়াই বছর পর।


🌹জীবনের সংগ্রাম:


বিয়ের সাড়ে চার বছর পর থেকেই সংগ্রাম অশান্তি সৃষ্টি হয়। যেটা আমাদের প্রতিটি ফ্যামিলি হয়ে থাকে। প্রবাসীদের পরিবার থেকে তাদের চিন্তা ধারা বিয়ের পর সন্তানেরা আলাদা সঞ্চয় করে তাদের বউ বাচ্চার জন্য। যারা আমরা প্রবাসে থাকি বিয়ের আগে আমরা সব টাকা বাড়িতে মা-বাবার কাছে পাঠিয়ে দেয়। সব সময় ইনকাম হয়না এটা কোন প্রবাসের পরিবার বুঝতে পারেনা। তাদের চিন্তা আগে এত টাকা পাঠিয়েছে এখন কেন এত কম পাঠা। একটি ছেলে বিবাহর পর তার একটা খরচ অতিরিক্ত হয়ে যায়। সেটা পরিবার বুঝতে চায়না। তখন থেকেই প্রতিটি পরিবার প্রবাসী দের সাথে ভুল বুঝা বুঝি হয়ে থাকে। তখন ওই প্রবাসী নামক পাষাণী কিছুই করতে পারেনা প্রতিবাদ করতে পারে না, শুধু নিরবে নির্জনে দুই চোখের অশ্রুঝরা। পরিবারের সবার মন রক্ষা করতে গিয়ে তার জীবন যৌবন সব শেষ হয়ে যায়। আমার জীবনের ঝড় শুরু হয়ে যায় । বাবা নামক বটগাছটি ২০১৫সালে মৃত্যুবরণ করেন। আমি আমার পরিবারের বড় ছেলে সংসারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমার উপরে এসে পরে। ছোট ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ আমার পরিবার দেখাশোনা এবং প্রতি বছর প্রবাসে থাকার জন্য আকামা লাগানো ,তার সাথে আমার বড় বোনের একটি ছেলে আছে তার তার পড়াশোনা খরচ আমাকে দেখতে হয়। ২০১৭ সালে আমার মা মৃত্যুবরণ করেন।আমি মায়ের মুখটা দেখতে পারিনি প্রবাসে থাকি বলে। আমার মা-বাবার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন ।এই দুঃখের মাঝেও আর একটু সুখের খবর আসে আমার জীবনে ২০১৭ সালে আমার কন্যা সন্তান দুনিয়াতে আসে।

মার মৃত্যুর পর ছোট ভাইকে প্রবাসে পাঠিয়ে দিলাম। তিন ভাই বোন এবং আমার পরিবার নিয়েই আছে। এখন আমি যা কিছুই করিনি আমার পরিবারের সাথে পরামর্শ করে করি।


🌹প্ল্যাটফর্মের যুক্ত হওয়ার গল্প: 

ছোট থেকে ব্যবসার প্রতি মনোযোগ থাকার কারণে ইউটিউব ঘাটাঘাটি শুরু করলাম ব্যবসা বাণিজ্যিক নিয়ে। প্রবাস থেকে কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায়। হঠাৎ করে ইউটিউব দেখে জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের ব্যবসায়ী আলোচনা। স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন সাফল্য আসবেই এজাতীয় আলোচনা। দেখেই এত ভালো লাগলো, তারপর উনার নাম দিয়ে সার্চ করে করে ইউটিউবে সমস্ত ভিডিওগুলি ফলো করি। আমার কাছে ভালো লাগলো আমি আমার স্ত্রীর সাথে আলোচনা করলাম তারও উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছে আছে। তাকে আমি প্রবাস থেকে ভিডিও লিংক দেই সেও দেখতে থাকে তার কাছেও ভালো লাগে। একদিন দেখি ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে পোস্ট করে , আমি রেজিস্ট্রেশন করে এবং আমার স্ত্রীকে রেজিস্ট্রেশন করে দেই। 

আমি ফাউন্ডেশন ১৬তম ব্যাচ রেজিস্ট্রেশন করে। রেজিস্ট্রেশন জন্য সহযোগিতা করেন এন আর বি কুয়েত টিমের কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার সাইফুল ইসলাম ভাই এবং রিপন আলি ভাই যৌথ সহযোগিতায় আমি রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম হয়। তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ, আল্লাহ  তাদের মনের আশা পূরণ করুক এই দোয়া করি সব সময়। 

আমাদের এন আর বি কুয়েত টিম শৃঙ্খলা এক ধাপ এগিয়ে তা একমাত্র কৃতজ্ঞতা এন আর বি কুয়েত টিমের সকল সদস্যগণ এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় মডারেটর এন্ড কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর মাহমুদ ভাই যার অনুপ্রেরণায় আমাদের পথ চলা। সত্যিই প্রকৃতপক্ষে একটা মহৎ মানুষ তার কোন তুলনা হয় না ,সুন্দরভাবে কুয়েত টিমকে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। তার ভালোবাসা কুয়েত টিম শৃঙ্খলা একধাপ এগিয়ে চলছে। প্রকৃতি ভাবে সত্যিই একজন লিডার ,সেলুট আপনাকে আমাদের অনেক সুন্দর নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। আপনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছে। 


🌹এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে আমি যা শিখতে পেরেছি তা হচ্ছে -

👉ভালো মানুষ হওয়া। 

👉মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। 

👉অসহায় মানুষের প্রতি সসহানুভূমি।

👉ধৈর্যশীল হতে শেখায়।

👉অল্পতে ভেঙ্গে না পরা। 

👉কাজের প্রতি প্রেমে পড়া।

আরও অনেক কিছু শিখতে পেরেছি তার একমাত্র সম্ভব হয়েছে স্যারের জন্য এবং এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে। তাই আমি স্যারকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। 


🌹আমার জীবনের গল্প লিখতে খুঁজে পেলাম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন, আমি জনাব "ইকবাল বাহার জাহিদ" স্যারের প্রতিটি কথা বুকে ধারণ করে চলার চেষ্টা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। 


🌹যারা ধৈর্য্যসহকারে আমার এই লেখাটি সম্পূর্ন পড়েছেন তাদের প্রতি আমার অন্তর অন্তর স্থল থেকে সাধুবাদ মোবারকবাদ আন্তরিক ভালবাসা ও অসংখ্য ধন্যবাদ রইল। সেই সাথে সকল ভাই ও বোনদের সুস্থতা কামনা করছি। সুস্থতার কোন বিকল্প নেই।



📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭১৬  

Date:- ৫- ৬/০১/২০২২ইং  

নাম: খাঁন জুয়েল

ব্যাচ নং১৬ তম

রেজিস্ট্রেশন নং৭৮১২৩

জেলা গাজীপুর

বর্তমান অবস্থা কুয়েত।

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।