See More Post

আমার স্বামী আমাকে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এ রেজিষ্ট্রেশন করালো

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম


আসসালামু আলাইকুম 


প্রথমেই  শুকরিয়া আদায় করিতেছি মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি যিনি দয়া  করে মায়া করে এ মহামারী করোনা সংক্রান্ত  অবস্থার মধ্যে ও আমাদের ভালো রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ __

সাথে সাথে অগনিত দুরুদ ও সালাম যাকে সৃষ্টি না করলে আসমান-যমিন, চন্দ্র- সূর্য,গ্রহ- তারা, পাহাড়-পর্বত,বেহেশত-দোযোখ কিছুই সৃষ্টি করতো না সেই জনাবে হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা আহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) উপর।। 

  শুরুতেই আমি শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি, আমার প্রিয় প্লাটফর্ম "#নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প_______ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় প্রিয় মেন্টর, প্রিয় শিক্ষক,কোটি যুবকের বাতিঘর, স্বপ্নদ্রষ্টা #জনাব_ইকবাল_বাহার_জাহিদ_স্যারকে

যার নিরলস পরিশ্রমের কারনে আজ এই বিশাল ভাল মানুষের পরিবার পেয়েছি, পেয়েছি ভাল মানুষ হওয়ার শিক্ষা।মেহনতী মানুষের প্রাণভোমরা প্রাণপ্রিয় স্যার করোনায় আক্রান্ত হয়ে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দীর্ঘ ২১ দিন লড়াই করে নতুন উদ্যোমে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন।মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাজার কোটি শুকরিয়া। 

প্রিয় Iqbal Bahar Zahid স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রমের আমরা এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি। 

যার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের ছোট ছোট অপূর্ণ স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার সাহস করছি। যেই প্রিয় মানুষটির দেখানো পথ আমরা তরুনরা অনুস্বরন করছি। সেই প্রিয় মানুষটির প্রতি আমার অনেক অনেক ভালেবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি-----------

 যার মানবিক কাজ গুলো করেছে আমায় মুগ্ধ, স্যালুট এই মহামানবকে।সৃষ্টিকর্তার কাছে সবসময় দোয়া করি তাকে যেন সব সময়ে সুস্থ রাখেন এবং দীর্ঘায়ু দান করেন।


🏠 🍓🍓প্রিয় ফাউন্ডেশনের অনেকের জীবনী পড়ে অনেক অনুপ্রাণীত হয়ে আমি ও আজ আমার জীবনের গল্প লেখার চেষ্টা করলাম,,,,,,, 🍓🍓

🏖️🏖️ প্রথমেই আমার যৌথ ফ্যামিলি নিয়ে গল্প শুরু করি,,,

আমার বাবা সহ চাচারা সাত ভাই বোন (চার ভাই, তিন বোন) আমার বাবা ৬ ষষ্ঠ,আগে আমাদের পরিবারের অভাবের সংসার ছিল, দাদা সবাই কে লেখা-পড়া করাই তে পারে নি, আমার বাবা কষ্ট করে কোন রকম SSC পাশ করেছে,আর পড়া - লেখা করার সুযোগ হয়নি তার,দাদা এক এক করে তিন ফুফুদের বিবাহ দিয়ে দেন,আর আমার বাবাও আমার মায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন,যাই হোক  যখন আমার বড় ভাই এর বয়স ৩, ৪ মাস, আমার দাদা মৃত্যু বরণ করেন,দাদা মৃত্যুর সাত দিন পরে আমাদের  সবাই কে সংসার থেকে আলাদা করে দেন,বাড়িতে আমাদের ঘর করার জন্য যেই জায়গা দেন তাতে আমাদের কোন ঘরের জায়গা হয় না, যতো ভালো ভালো জায়গা আছে সব আমার বড় চাচা ও মেঝ ও ছোট চাচাকে ভাগ করে দিয়ে দিয়েছে,আমার বাবা অনেক অসহায় হয়ে অনেক কষ্ট করে আমার মা-এর  কিছু গহনা বিক্রি করে  আমাদের বাড়ির পাশে একটা যমিন ক্রয় করেন, সেখানে দাদার কিছু জায়গা ছিলো,সেখানে আমার বাবা মা দিন-রাত পরিশ্রম করে বাড়ি বানিয়েছেন,এখন বর্তমানে সবার বাড়ির চেয়ে আমাদের বাড়িই সেরা।।


🏖️🏖️🍓🍓 এখন আমার গল্প বলি,,,,,,🍓🍓

,, আমি ফারজানা। গ্রামের মধ্যবৃও পরিবারে আমার জন্ম,আমরা তিন ভাই বোন ( অর্থাৎ দুই বড় ভাইয়ের আমি আদরের এক বোন) আমি ছোট বেলা থেকে পরিবারের সবার কাছ থেকে অনেক  আদর,স্নেহ,ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়েছি, কারণ আমার দুই ভাই,আর আমি একা,তারপরে ভাইদের ছোট,,, 


আমার বাবা হাইস্কুলে চাকুরী করেন, বাবা মা দু'জনেই বেঁচে আছেন,আর পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে, একটা সুখে শান্তিতে দিন কাটছে বড় ভাই অনার্স মাস্টার্স শেষ করে ২০১২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ছোট ভাই ও অনার্স মাস্টার্স শেষ করেন, তার পর ও ছোট ছোট কষ্ট  তো থাকেই সবার জীবনে,,, 


🍓🍓🍓যে রোগের কারনে আমরা দিশেহারা ---------

সে টা হলো আমার বাবার, চোখে সমস্যা, শুনেছি পরিবারের কারো একটা সমস্যা থাকলে, অন্যের উপরে আঘাত করে, মনে হয় এমনটাই হয়েছে, আমার দাদা ২০ বছর অন্ধ ছিল,অনেক দিন আগে তো,কোনো ডাক্তার সেরকম ছিলনা,আমার বড় কাকা কবিরাজ এর কাছ থেকে ওষুধ আনে। তা আমার দাদার চোখে দিলে, আমার দাদার চোখের মনি দুটো পুরে যায়,আমার দাদা মারা গেছে ৩০ বছর আগে,এখন আমার বাবার ওই সমস্যা, অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন  কোনো সমাধান  পাইনি, ডাক্তার  বলে এ চিকিৎসা  বাংলাদেশে নাই,চোখের পাওয়ার ঠিক আছে, কিন্তু আলোর দিকে তাকালে, চোখ বন্ধ  হয়ে যায়।


🍓🍓🍓আমার শিক্ষা জীবন,,,,


আমাদের বাড়ি থেকে ২ প্রায়  মিনিটের দুর মাত্র স্কুল, কলেজ, আমি পড়াশোনায়  মোটামুটি ভালো ছাত্রি ছিলাম এবং দুষ্টো ও চনচল ছিলাম খেলা ধুলা খুবই  পছন্দ  করতাম ও খেলা-ধুলায় অংশগ্রহন করতাম এবং  পুরস্কার ও পেতাম। তবে আমার একটা খারাপ অবভাস ছিল, প্রতি বৃহস্পতিবার ও শনিবার, বই খাতা স্কুলে ফেলে পালিয়ে বাড়ি আসতাম, কারণ আসতে চাইলে তো আসতে দিতনা তাই, বিটিবি তে ছায়াছবি দেখব বলে, আর বাবা বই খাতা নিয়ে আসতো আর বকা দিতো, J,S,C পরিক্ষায় আমার রেজাল্ট খুবই ভালো হয়, কমার্স  নিয়ে SSC পরিক্ষা দিলাম রেজাল্টও খুব  ভালো, এবং আমাদের বাড়ির পাশের কলেজে  ইন্টারে অ্যাডমিশন নিলাম,ইন্টার প্রথম ইয়ার শেষ করলাম,  পড়ালেখার জীবন  এখানেই যে থেমে যাবে, তা কখনো ভাবিনি??

🍓🍓আমার বিবাহিত জীবন শুরু,,,,


মানুষ মনে মনে কতো স্বপ্ন দেখে যার যার পছন্দ মতো জামাই চায়, আমার পরিবার এ ভাবনাটা কখনই ভাবেনি, আমার তো বিয়ের বয়স হয়নি তাই,হটাৎ একদিন  আমার মেঝো মামা ফোন করে এক ছেলের বাড়ির ঠিকানা দেয়,ফোন পেয়ে আমার বাবা ছেলের বাড়ি যান,ছেলে কে দেখে আমার বাবার অনেক পছন্দ হয়,এক  দিনের মধ্যে  বাবা ছেলে দেখে ২০১৪ সালের ৬ আগস্ট  আমার বিয়ে দিয়ে দেয়,কিন্তু আমার দুই ভাই প্রথমে রাজি হয়নি পরে যখন আমার হাসবেন্ড কে তারা দেখলো তারা দুই ভাই অনেক খুশি হলো, আমি সবে মাএ স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজের ছাত্রি,আমার


বিয়ে  হবে এমন একজন ছেলের সাথে তা আমি কখনো ভাবিনি,  কারণ আমার হ্যাজবেন্ড হাফেজ ও ফাযিল ডিগ্রিতে পড়ে এবং হাফিজিয়া মাদ্রাসায় চাকুরী করে   , আমি বুঝিনি স্বামী, সংসার, সংসারের কাজ কী,তবে আমার শাশুড়ী মা আমাকে অনেক সাপোর্ট করে বলে বাবার একটি মাএ মেয়ে ও ছোট এতো কিছু ও বুঝেনা।আমার শাশুড়ীর  মেয়ে নাই  সে আমাকে মেয়ের মতো ভালোবাসে,আর আমিও আমার শাশুড়ি কে অনেক  ভালবাসি, আমি  অনেক খুশি যে আমার জীবনে বিয়ের প্রথম প্রস্তাব এসেছে আর ওখানেই আমার  বিয়ে হয়ে যায়,, ,,,।। 


🏘️🕍 🍓🍓🍓সংসার জীবন শুরু,,,,,,,,, 

স্বামীর পরিবার দিয়ে শুরু করি,, 

শুনেছি আমার শশুর নাকি ২০০৫ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন,আমার শশুরের আমার হাসবেন্ড  সহ ৬ ছেলে কোন মেয়ে নাই ,আমার শশুরের চিকিৎসা বাবদ অনেক টাকা ব্যয় হয়, শশুরের মৃত্যুর পরে তারা মোটামুটি কিছু টাকা ঋণ হয়ে পড়ে,, এই ঋণের টাকা শোধ করবে বলে আমার বড় ভাইরা( অর্থাৎ বড় ভাশুর রা)সংসার থেকে আলাদা হয়ে যায়,,, 

 আমি ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে আমার স্বামীর বাড়ি আসি,,এসে দেখি আমার হাসবেন্ডের ছয় ভাইয়ের চার ভাই আলাদা তাদের আলাদা বাড়িঘর, শুধু আমার হাসবেন্ড, শাশুড়ী, ছোট দেবর একএে, আমার হাসবেন্ডই তার ছোট ভাইয়ের পড়া- লেখা  সহ সংসার পরিচলনা করেন,,আমার হাসবেন্ড তখন কুমিল্লা একটা হাফিজেয়া মাদ্রাসা চাকুরী করেন, আমিও সেখানে চার মাস ছিলাম, ২০১৬ সালের ১৯ শে নভেম্বর  আমার একটা ছেলে বাবু জন্ম নেয়,নাম রেখেছি মোঃ আবদুল্লাহ আল ফাহাদ,, আমার আবদুল্লাহর জন্য সবাই দোয়া করবেন,,

আমার হাসবেন্ড বর্তমানে কচুয়া,চাঁদপুর, একটা হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন,,, 


💒 🕌 🍓🍓🍓উদ্দ্যোক্তা  জীবন শুরুঃ,,,,

 আমার মানষিক অবস্থা দেখে আমার স্বামী আমাকে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এ রেজিষ্ট্রেশন করালো। যেন দুই জনে একএে জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারি সে আগে থেকেই এই প্লাটফর্ম এ যুক্ত।আমি এতটা গর্বিত যে,এমন একটি প্লাটফর্মের সদস্য হয়ে।


"স্বপ্ন দেখুন

সাহস করুন 

শুরু করুন

লেগে থাকুন 

সফলতা আসবে "

শ্রদ্ধেয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের কালজয়ী বাণী বুকে ধারন করে আমি বর্তমানে বেশি বেশি স্বপ্ন দেখতে শুরু করছি প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর থেকে। সম্মানিত স্যার ও আপনাদের কাছে আমাদের দুজনের একটাই দোয়ার দরখাস্ত আমরা দুজন যেন সারা জীবন একএে থেকে জীবন টা রঙ্গিন করে সাজাতে পারি,আমি আবার ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে।যার শিক্ষায় শিক্ষা গ্রহন করে নিজের ছোট ছোট অপূর্ণ স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়ন করার সাহস করছি। আমি এখনো কোনো বিজনেস শুরু করি নি, রিসেন্টলি করবো ইনশাআল্লাহ। সবাই দোয়া করবেন, ভালোবেসে পাশে থাকবেন।

 

  


🍓🍓🍓শরদ্ধেয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার🍓🍓🍓কালজয়ী বাণী বুকে ধারন করে আমি  বর্তমানে বেশি বেশি স্বপ্ন দেখতে শুরু করছি প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর থেকে।আমি আবার ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে আমি এখনো কোনো বিজনেস শুরু করি নি, রিসেন্টলি করবো ইনশাআল্লাহ। সবাই দোয়া করবেন, ভালোবেসে পাশে থাকবেন।

সবাইকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ যারা ধৈর্য ধরে আমার লেখাটা পরেছেন।সবার সহযোগিতার  কামনা করছি,আপনাদের সবার সুখি,সুন্দর জীবন কামনা করছি, সুন্দর হোক আপনাদের আগামির পথচলা।সবার জন্য শুভ কামনা।

পরিশেষে প্রিয় গ্রুপের সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই আমি যেন সফল হতে পারি।প্রিয় প্লাটফর্মের সবার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো। আবার দেখা হবে সফলতা মঞ্চে।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

ভালোবাসা অবিরাম........


📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬১৮

Date:- ০৮/০৯/২০২১

ফারজানা আক্তার 

ব্যাচ নংঃ১৪

রেজিষ্ট্রেশন নংঃ৬৬২৪০

নিজ জেলাঃ পটুয়াখালী 

নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত সদস্য।

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।