আসসালামু আলাইকুম
আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভলো আছেন।
আজকে আমি আমার জীবনের কঠিন এবং কষ্টের কথা বলতে এসেছি।
আমি মধ্য বয়সে এসে কেন এবং কিভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।
গর্ব করে বলতে পারি আমরা সৎ, ভালো এবং আদর্শবান পিতা-মাতার সন্তান।
আমরা চার বোন দুই ভাই ছিলাম।আমার বড় আপা ২০১৫ সালে ক্যান্সারজনিত রোগে মারা যান।পরিবারের সবার বড় সন্তান মারা যাওয়াতে বাবা-মা খুব ভেঙ্গে পড়ে।
সেই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০১৮ সালে আমার ছোট ভাইয়া স্ট্রোক করে মারা যায়।আরো কঠিন মুহূর্ত হলো তার ৬ দিন পর।আমাদের সব চাইতে আদরের ছোট বোনের স্বামী সরক দর্ঘটনায় মারা যায়। বিয়ের মাত্র এক বছরের মাথায়। আমাদের পরিবারে নেমে কান্না আর কালো মেঘের ছায়া। আল্লাহ ভালো মানুষের বেশি ধৈর্যের পরিক্ষা নেয়। কিন্তু মনতো মানেনা। এসব কষ্টের কথা লিখে বঝানো যাবেনা। লিখতে গিয়ে আমার হাত কাপছে,দুচোখ জলে ভরে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে একই পরিবারে দুইজন লোক মারা যাওয়া খুবই কঠিন। আমার মা-বাবা না মরে বেচে আছে। আমার বাবা সোহাগ পরিবহন কোচ চালাতেন।শারীরিক ও মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পরাতে তার আর চাকরি করা সম্ভব হলো না। তখন আর্থিক ভাবেও সমস্যা হয়ে গেলো। বড় ভাইয়া তেমন কোন কাজ করে না।
পরিবারে এখন আমি বড় মেয়ে। আমার মা-বাবার জন্য আমাকে উঠে দারাতেই হবে। নিজের বোবাকান্না চেপে রেখে আমার স্বমীর অনুমতি নিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি নিলাম স্যাম্পলম্যানে।
হঠাৎ আমি সন্ধান পেলাম "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের।
*চাকরি করবো না চাকরি দিবো* স্যারের এই স্লোগানটা প্রথমেই আমার হতাস হয়ে পড়া ঘুমন্ত মনটাকে জাগিয়ে তুলেছে। তাই আমি চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্যকে চাকুরি দেওয়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।
আমার কারখানায় আমি চাকরি করি এবং অন্যকে চাকুরি দিবো ইনশাআল্লাহ। আর আমি এই সাহস এবং অনুপ্রেরনা পেয়েছি আমার প্রিয় স্যারের কাছে এবং এই প্রিয় ফাউন্ডেশনের সকল ভালো মানুষদের কাছ থেকে।
আমার কারখানার জন্য, আমার মা-বাবার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করছি। সবাইকে ধন্যবাদ আসসালামু আলাইকুম।
নামঃ মোকছেদা বেগম
ব্যাচঃ ১৫
রেজিষ্ট্রেশনঃ ৭৩৯৯৮
সাভার জোন
ঢাকা,সাভার
কাজ করছি শার্ট এবং টি শার্ট নিয়ে।
ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥
আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।