See More Post

জীবনের গল্প

জীবনের গল্প..!

-----------------------!

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম।


আচ্ছালামু আলাইকুম। 

আল্লাহর দরবারে কোটি কোটি শুখরিয়া জানাই..

মহান রাব্বুল আলআমিনের দরবারে। আল্লাহ আমাদের কে সুস্থ সবল ভালো রেখেছেন,,আমিন।

রাসুলে (স:) এর প্রতি কোটি কোটি দরুদ ও সালাম হাজারো ভালোবাসা আমার মা-বাবার প্রতি

যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেবা যত্ন করে

বড় করেছেন গড়ে তুলেছেন

মানুষের মত মানুষ হিসাবে।

----------------------------------------------💖

কৃতজ্ঞতা_______


সবার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি

কৃতজ্ঞতা দেশ ও জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান....

লাখো পথ হারা হতাশাগ্রস্থ যুবক যুবতীর

তরুন তরুনীর আইডল সকলের প্রানের প্রিয়

জনাবঃ Iqbal bahar Zahid স্যারের প্রতি

যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি

নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন।

সূর্য যেমন আমাদের আলো দেয়

চাঁদ আমাদের অন্ধকার আঁধার রাত কে

জোছনার আলোতে আলোকিত করে

তেমনি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার

আমাদের কয়েক লক্ষ হতাশাগ্রস্ত বেকার যুবকদের হৃদয়ের আলো জ্বেলেছেন

তাই স্যারকে আমি একটা নক্ষত্র মনে করে

হৃদয়ে জায়গা দিয়েছি..!

এবং স্যার যেন দীর্ঘজীবী হয়

আল্লাহুর কাছে সেই দোয়া ও কামনা করি। 🤲

এই ফাউন্ডেশন কে ভালবেসে..

একজন গর্বীত সদস্য হতে পেরে...

নিজেকে ধন্য মনে করছি..!

আজ নিজের জীবনের একটা গল্প

লিখার মত সাহস, মানুষিকতা সৃষ্টি হয়েছে। 

----------------------------------------------------------------♥️

বাবা-মা ও শৈশবকাল_________

ব্যাবসার উদ্দেশ্যে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম থাকতেন

সেই সূত্রে আমার জন্ম চট্টগ্রাম শহরের..

আমি সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করি..!

আমাদের পরিবারে তিন ভাই, তিন বোন

আমি ভাইদের মধ্যে মেজ,, বোনদের মধ্যে সবার ছোট ছয় ভাই-বোনের মধ্যে পাচঁ নাম্বার আমি

মা বাবা ভাই বোন মিলে আট জনের পরিবাবে

বাবা একমাত্র উপার্জনকারী 

বাবার ক্ষুদ্র পুরাতন কাপড়ের ব্যবসার

উপার্জন দিয়ে সুন্দর ভাবে পরিবার চলে

কিন্তু ভাই বোনদের পড়াশোনা করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।বাবার হিমশিম দেখে 

ভাই-বোনদের পড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে 

আম্মা একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে দপ্তরের কাজ নিল এবং আমাদের ভাই বোনদেরকে আম্মার উদ্যোগে সমান ভাবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে লাগলো। আম্মার ইচ্ছে আমাকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করাবে তাই আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করান 

কিন্তু মাদ্রাসার দূরত্ব অনেক বেশি।আর আমার দুষ্টামির কারণে আম্মার স্বপ্ন পূরণ করা হলো না 😥

অবশেষে আমাকে নিয়ে ভর্তি করলো একটি বেসরকারী এনজিও স্কুলে এনজিও স্কুলের খোলামেলা পরিবেশ স্যার ম্যাডামদের ভালোবাসা আন্তরিকতা দেখে আমিও পড়াশোনায় মনোযোগী হলাম।এবং স্কুলের ভাল ছাত্র হিসাবে গন্য হয়ে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হলাম কারিগরি শিক্ষায় স্কুলে ইলেকট্রনিক্স ইলেকট্রিক একবছর ট্রেনিং নিয়ে ভালো রেজাল্ট করে পাশ করলাম। 

আমার শৈশব কাল টা ভালোভাবে কেটেছে।

পড়ালেখার পাশাপাশি এলাকার বন্ধুদের নিয়ে ঘোরাঘুরি আড্ডা বাজি আর খেলাধুলা 

জন্মসূত্রে চট্টগ্রামের হওয়ায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা অনেক ভালো বলতে পারতাম তাই স্থানীয় লোকজন ও বন্ধু মহলে অনেক প্রিয় আপন ছিলাম 

এভাবে ধিরে ধিরে আমার পড়াশোনার সমাপ্তি ঘটে

------------------------------------------------------------


কৈসর 🥀

শৈসব কাল শেষ করে জীবনের কৈশোর কাল 

কখন যেন নিজের অজান্তেই পেরিয়ে এসেছি 

তিন বোনে বিয়ে হয়ে গেল বড় ভাইয়ের বিয়ে করল 

ছোট ভাই পড়াশোনা করছে। ভাই বোন এবং মা-বাবার সুখে-দুখে এক সাথে 

বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করতে করতে 

কখন যেন কৈশোর কালের জীবন শেষ হয়ে গেল টেরই পেলাম না।বাবার ব্যবসার পাশাপাশি 

টেকনিক্যাল থেকে শেখা ইলেকট্রনিক্স এর উপর ট্রেনিং নেওয়া বিষয় ভালোভাবে আরো শিখার জন্য 

একটি ইলেকট্রনিক দোকানের কাজ নিলাম। 

মোটামুটি হাতের কাজ ভালো দেখে কিছু টাকা বেতন ধরল,, এবং দক্ষ করে গড়ে তুলবে সেই কথায় 

ইলেকট্রনিক্স দোকানে কাজ করতে লাগলাম 

পাশাপাশি ঘর পরিবারের ভাই বোন এবং 

বাবার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত জীবন চলছে আলহামদুলিল্লাহ।

----------------------------------------------------------------🥀

সুখ দুঃখ মিলে জীবন__________

জীবনের জোয়ার ভাটা থাকবে এটাই স্বাভাবিক 

শুরু হয় আমাদের দুঃখের জীবন 

হঠাৎ বাবার ব্যবসা লস হয়ে বন্ধ হয়ে গেল 

পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা বিশাল বড় দোকান অনেকগুলি সেলাই মেশিন সব হরিয়ে 

আমরা একেবারে নিঃস্ব দরিদ্র হয়ে পড়ি।

সেই সাথে বড় ভাইয়েরও কাজ নেই 

আমিও বেতন হিসেবে শুধু পকেটমানি পাই 

যা বেতন হিসেবে ধরা যায়না।এজন্য দুঃখের শেষ নেই পরিবারের মাত্র উপার্জন আমাদের মা 

মায়ের কিন্টারগার্ডেনের দপ্তরের কাজ

 সামান্য কিছু বেতন যা দিয়ে পরিবারের 

খাওয়া খরচ মেটাতে ঘর ভাড়া দেওয়ার উপায় নেই 

একেতো ঘরের বাজার খরচ তার উপরে মাসের শেষে ঘরের ভাড়া হঠাৎ করেই যেন সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। আমি কিছু বুঝে উঠতে না পেরে ইলেকট্রনিক্স কাজ শিখা বন্ধ করে দিলাম। 

একটু বেশি ইনকামের জন্য বড় ভাইয়ের বন্ধুর গাড়ির গ্যারেজ কাজ নিলাম।বড় ভাইয়ের বন্ধু গ্যারেজ হওয়ার সুবিধার্থে সহজেই অল্প দিনে গাড়ি পার্কিং করা গাড়ি ধোয়া শিখে নিলাম। 

গাড়ি পার্কিং করা এবং ধোয়ার বিনিময় 

মোটামুটি ভালো ইনকাম হচ্ছে। আর এভাবেই গাড়ির ড্রাইভিং কাজে যুক্ত হওয়া হয়ে গেলাম। 


এরপর বাবা হঠাৎ করে একা একাই আমাদের

 নিজ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা দাউদকান্দি ফিরে এলো 

এবং বাপ-দাদার কিছু নিজস্ব সম্পত্তি ধানের জমি

বিক্রি করে নগদ মূলধন নিয়ে আবারো চট্টগ্রাম শহরে ফিরে এলো নতুন স্বপ্ন নিয়ে। 


শুরু করলাম নতুন ব্যবসা ফলের আরদ দিয়ে 

পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করছে সেই সাথে দুইটি টু স্টক বাজাজ বেবি ট্যাক্সি কিনলো আমি সব সময় বাবার পাশাপাশি থাকতাম এবং সবকিছু দেখাশোনা করতাম। গাড়ীর গ্যারেজে কাজ করার পাশাপাশি 

ভাড়ায় চালিত রেন্ট-এ-কার এর গাড়িতে করে 

ড্রাইভার হেলপার অথবা সহকারি হিসেবে 

দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে লাগলাম 

এভাবে হয়ে উঠলাম একজন দক্ষ গাড়ির চালক। 


ইলেকট্রনিক্স এর কাজ শিখে নিজের প্রতিষ্ঠান 

করার স্বপ্ন আর পূরণ করা হলো না 

কিন্তু স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু একটা করব 

-----------------------------------------------------------------🌹

উদ্যোগ____________

জীবনে কিছু একটা করতে হবে

এই স্বপ্ন নিয়ে দিন ফুরায় না বিভিন্ন রকম স্বপ্ন দেখি 

কিন্তু মূলধনের জন্য কিছু করতে পারি না 

তাই একসময় সিদ্ধান্ত নিলাম প্রবাসে যাব 

বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় 2000 সালে বড় ভাইয়ের হাত ধরে সৌদি আরাবিয়া তে পাড়ি জমাই মরুভূমির 

উত্তপ্ত গরমের দেশ।সবকিছুই নতুন 

সৌদিতে দিন থেকেই শুরু হলো কর্মজীবন 

কাজ গাড়ির চালক দূর প্রবাসে মা-বাবাকে ছাড়া একাকী জীবন। শুধুই চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ 

চিঠি আসতে সময় নেয় এক মাস 

তাও সরাসরি আমার হাতে আসতো না পোস্ট বক্স জমা হতো সেখান থেকে কপিল-এর অনুমতি নিয়ে চিঠি সংগ্রহ করতে হতো 

রেস্ট্রি করে চিঠি দিলে সময় নিতো সাত দিন।

আর এভাবেই চিঠি আদান-প্রদান করতে করতে 

কেটে গেল তিন বছর, এই তিন বছরে 

সৌদিতে অনেক প্রদেশ ঘুরার পাশাপাশি 

দুইবার ওমরা হজ সম্পন্ন করেছি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করি আল্লাহর পবিত্র জায়গা মক্কা মদিনায় যাওয়ার এবং দেখার তৌফিক দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। 


____উত্তপ্ত গরম মরুভূমির মরীচিকার দেশে

তিন বছর কাটিয়ে,নতুন স্বপ্ন নিয়ে 

সৌদি আরাবিয়া কে বিদায় জানিয়ে 

ফিরে আসলাম স্বদেশে। 

নিজের মাতৃভূমি স্বদেশের মা-বাবার কাছে ফিরে 

আমি যেন আনন্দে আত্মহারা 

সাথে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই স্বপ্নে বিভোর 

দেশে ফিরে মা বাবাকে নিয়ে চলে গেলাম নিজ গ্রাম 

কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলা 

বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় নিজ গ্রামে নতুন বাড়ির নতুন ঘর কাজ শুরু করলাম এবং সম্পূর্ণ করলাম 

আলহামদুলিল্লাহ। 


❤️এরই মাঝে ২০০৪ সালে ১৬ ডিসেম্বর 

স্বাধীনতা দিবস কে সাক্ষী রেখে 

 সবার সম্মতিতে লাভ + অ্যারেঞ্জ 

শুভ কাজ টি সেরে ফেলি ,, আলহামদুলিল্লাহ ❤️


বাবা-মা___

দীর্ঘ জীবন প্রবাসের মতো করেই

 চট্টগ্রাম শহরে কাটিয়েছেন তাই জীবনের বাকি সময়টা গ্রামে কাটাতে চান তাই আমি বাবা-মাকে বড় ভাবি সহ গ্রামে সবকিছু সুন্দর ভাবে সবকিছু গুছিয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ফিরে আসি। 

আমার জন্মস্থান জীবনের প্রানের প্রিয় চট্টগ্রাম শহর 

শুরু হয় নতুন স্বপ্ন নতুন পথ চলা উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যবসায়ীক আইডিয়া নেই অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র গাড়ির চালক তাই স্বপ্ন পূরণ করতে গাড়ি নিয়ে কাজ শুরু

পুরাতন একটি মাইক্রো বাস গাড়ী ক্রয় করে 

রেন্ট-এ-কার ভাড়ায় চালিত একজন 

ড্রাইভার নিয়োগ দিলাম।সেই সাথে নিজে একটা কোন স্বনামধন্য কোম্পানিতে চালক হিসেবে যুক্ত হলাম এভাবেই চলছে জীবন।এক বছর পর একটি কন্যা সন্তানের বাবা হলাম আলহামদুলিল্লাহ। 

আমিসহ মা-বাবা পরিবারের সকলে যেন খুশিতে আনন্দে আত্মহারা। এভাবেই দিন যাচ্ছে আর জীবনে কিছু করার স্বপ্নগুলো সামনে আরো উঁকি দিচ্ছে।

কিন্তু কি করব কবে শুরু কোরবো কিছুই জানা নেই 

এভাবে দেখতে দেখতে চলে গেলো একটি বছর। 

কলিজার টুকরা নয়নের মনি সন্তান বড় হতে লাগল সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যত এবং জীবনে কিছু করার চিন্তা করে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবারো পাড়ি জমাই মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত গরম মরুভূমির দেশ আবুধাবিতে।প্রবাসের জীবনে আবারো ফিরে আসলাম নতুন আশা নিয়ে।


_____প্রবাসের নতুন জীবন আবার নতুন স্বপ্ন দেখা 

প্রথম প্রথম রাস্তাঘাট ও মানুষজনের সাথে কথাবার্তা নিয়ে একটু সমস্যা হতো নতুন শহর নতুন নিয়ম কানুন সবকিছু মানিয়ে আস্তে আস্তে দিন কাটতে লাগলো। এভাবে কাটছে প্রবাসের দিন 

প্রতি ছুটিতে দেশে যাচ্ছি এবং আবার আসতেছি 

সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে। 

কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের পরিবারে 

নেমে এলো শোকের ছায়া 😥

বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলো না ফেরার দেশে

২০০৮ সালের রমজান মাসে।আমি আবুধাবী শহরে কাজে উদ্দেশ্যে গাড়ী নিয়ে বের হবো এমন সময় বেজে উঠলো হাতের মোবাইল ওপাশ থেকে আম্মা কেঁদে কেঁদে বলছে 😥তোমার বাবা যেনো হঠাৎ কেমোন করছে বুকে ব্যথা,, ভোর রাতে সেহরি শেষে ফজর নামাজ আদায় করে ঘরে এসেই অসুস্থ হয়।নিজ উপজেলার ডাক্তারের পরামর্শে  

কুমিল্লা জেলা শহরে হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ 

অ্যাম্বুলেন্স ছুটতে থাকে,, কিন্তু চট্টগ্রাম 

পৌঁছানোর আগেই বাবা আল্লাহ ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের এতিম করে চলে যান।😥😥

সকলের কাছে আমার বাবা জন্য দোয়া চাই

রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সগিরা 

এবং পৃথিবীর সকল বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করি। 


___কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে আসছি কিছু একটা করার কিন্তু হচ্ছে না কারণ আমি জানি না আমি কি করবো 

আমার জানা নেই কিভাবে শুরু করতে হয়, 

আমার জানা নেই কিভাবে স্বপ্ন দেখতে হয়, 

কিন্তু কিছু করতে হবে এই স্বপ্ন নিয়ে

চাকরি ছেড়ে ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে 

শুরু করলাম পুরাতন গাড়ীর ক্রয় বিক্রয়

ব্যাবসা।কিছু দিন ভালোই চলছিলো....😊

 পুরাতন গাড়ী মেরামত করে বিক্রয় করার ব্যাবসা।

কিন্তু হঠাৎ করেই আবুধাবীর নতুন আইন পাস হলো

গাড়ীর পেট্রোল ও ইন্স্যুরেন্সের মূল্যবৃদ্ধি হলো

সেই সাথে ব্যাবসা ও থেমে গেলো......😥


____এবার মনের ভিতরে ব্যাবসা বা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন আরো বেড়ে গেলো,, ভাবলাম কিছু পুঁজি বা মৃলধন জমা হয়েছে এবার দেশে গিয়ে কিছু শুরু করবো।তাই ভিসা ঠিকঠাক রেখে ছয় মাসের সময় নিয়ে চলে আসলাম স্বদেশে দেশে গ্রামের বাড়ী দাউদকান্দি পরিচিত ব্যাবসায়িদের পরামর্শে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু করলাম ছোট্টো করে মিনি সুপার মার্কেট।যা আমার কোনো আইডিয়া নেই 

শুধুই লোক মুখে শুনে শুরু করা।শুরুতেই ছোট করে শুরু করতে তেমন কোনো কষ্ট হয়নি।কারন সাথে পেয়েছি ছোটো ভাই ও ভাগিনার সহযোগীতা।

দোকানের জন্য মালামাল বা বিভিন্ন প্রডাক্টস 

কিনতে ও তেমন কষ্ট হয়নি।কারন আমার আগে থেকেই ঢাকার চকবাজার কিছুটা চেনা ছিলো

এভাবেই শুরু নতুন ব্যাবসা।তবে ভালো অভিজ্ঞতা না থাকায় দোকানের স্থান নির্বাচন ও বিভিন্ন ভুলের কারনে সেল না হওয়ার মতোই এভাবেই ছয় মাস শেষ হওয়ার আগেই দোকান ভাগিনার হাতে দিয়ে আবারো ছুটে চলা দৃরপ্রবাসে।নতুন বছর ২০১৮সাল আবুধাবী আগের সেই মালিকের ভিসা কফিল বা মালিকের সাথে সুস্পর্শ থাকায় আবারো যুক্তু হলাম

গাড়ীর চালক হিসাবে।বাচ্চাদের ইস্কুলে নেওয়ার পাশাপাশি মালিকের অফিশিয়াল কাজকর্ম

ও সব ধরনের সার্বিক সহযোগীতা হিসাবে আমাকে ভালোই সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।

------------------------------------♥️

______কিন্তু সব কিছু থাকার পরও এ যেন এক হতাশার জীবন প্রবাসে একাকি হতাশার জীবন সঙ্গী হচ্ছে দুশ্চিন্তা আর ইন্টারনেট মোবাইল।প্রবাসের সঙ্গী ইন্টারনেট মোবাইল দেখতে দেখতে ব্যাবসা আইডিয়ার খোঁজা। হঠাৎ একদিন ইউটিউবে চোখ পড়ে স্বপ্নের গল্প।ইউটিউব এর ভিডিও দেখে আমার কাছে মনে হলো নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি।আর ভিডিওর মাঝের মুখটি ছিল আমাদের প্রাণের প্রিয় 

প্রাণের স্পন্দন নয়নের মনি আমাদের শিক্ষাগুরু 

মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার... ♥️


____নিজের বলার মতো একটা গল্প সম্পর্কে জানতে পারি। প্রথমে কিছুই বুঝতাম না গ্রুপ সম্পর্কে, মাঝে মাঝে যেটা সামনে আসতো সেটাই দেখতাম।তখন সপ্তম ব্যাচ চলছিল।এভাবে চলতে থাকে এবং মাঝে মাঝে সামনে সেশন আসতো পড়তাম অষ্টম ব্যাচ এর প্রথমের দিকে রেজিষ্টশন করে ফেলি। এবং সেশন গুলো পড়তে থাকি।ব্যাবসা আইডিয়া পাবার জন্য আমি কয়েক হাজার ভিডিও দেখেছি শত শত রাত আমি জেগেছি। আমি অসুস্থ হয়ে গেছি ভিডিও দেখতে দেখতে।কিন্তু ইউটিউব এর ভিডিও গুলা কোনটাই পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস হতো না তাই হতাশাও কাটতো না। সেশন পড়তে পড়তে একপর্যায়ে বুঝতে পারি

 সেশন থেকে শিক্ষা নিয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি 

আমাকে একজন ব্যবসায়ী হতে হবে।

 এবং আমার কাজ দিয়ে যে মানুষগুলো 

আমার থেকে দূরে সরে গেছে তাদেরকে 

জবাব দিতে হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমি

গ্রুপে সময় দেওয়া শুরু করি, প্রতিনিয়ত শিখতে থাকি।প্রথম দিকে আমি কথা বলতে লজ্জা পেতাম 

কথা বলতে পারতাম না।দুবাইতে তৃতীয় ও আমার জন্য প্রথম মিটআপ ছিলো।মিটআপ এ অংশগ্রহণ করে প্রিয় ভাইদের অনুপ্রেরণায় শিখেছি কিভাবে কথা বলবো।প্রিয় স্যারের শিক্ষা বুকে ধারণ করে 

কথা বলার জড়তা কাটানোর ভিডিও সেশনে অংশগ্রহণ করি। তারপর যখন সেশন চর্চা শুরু হল ধীরে ধীরে আমার কথা বলার অগ্রগতি হলো।

এখন আমি নিজজেলা কুমিল্লা এবং দুবাই টিমে প্রতিদিন সেশন চর্চার করি এবং পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় মিটআপ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সবার সাথে পরিচিত হই । এখন আমার কথা বলার জড়তা অনেকটা কেটে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ 

----------------------------------------------------------------🥀

ব্যবসা শুরুর চেষ্টা________

আমাদের প্রানের প্রিয় স্যার বলেছেন..!

প্রবাসীরা প্রবাসে থাকা অবস্থায় দেশে কিছু একটা

শুরু করার চেষ্টা করুন।সেটি মাথায় রেখে আমি একটি কাজ শুরু করি কিন্তু নিজে উপস্থিত না থাকার কারণে খুব বেশি এগোতে পারিনি ।

এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আবুধাবী থাকা অবস্থায়

খুব ভালো করে ব্যবসা সম্পর্কে শিখে নেব

এবং বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় মানুষের সাথে

পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করব..!কারণ স্যার বলেছেন প্রবাসীরা দেশে এসে ব্যবসা শুরু করে ,কিছু ভুলের কারণে তাদের মূলধন গুলো শেষ হয়ে যায় ।

তাই আমি চাই দেশের সকল জেলা সহ প্রবাসের

সকল ভালো মানুষের সাথে যদি পরিচিত হতে পারি তা হলে তাদের কাজ থেকে কিছু শিখতে পারবো।যেমন যদি ভালো সম্পর্ক গড়তে পারি..!

বিশ্বাস অর্জন করতে পারি..!

নেটওয়ার্কিং করতে পারি..!

নিজেকে ব্র্যান্ডিং করতে পারি..!

তাহলে দেশে এসে কাজ শুরু করলে

আমাকে একদিনও বসে থাকতে হবে না।

তাই প্রিয় স্যারের শিক্ষা বুকে ধারন করে..!

সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।


------------------------------------------------------------------🌹

_______দোয়া প্রার্থনা ___________


প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি...

আমার স্বপ্নটি যেন তিনি পূরণ করেন।

এবং সকলের কাছে দোয়া চাই আপনারা সবাই...

আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেনো ঘুরে দাঁড়িয়ে আমার মনের আশা পূরণ করতে পারি।এবং 

পরিবার নিয়ে একটি সুস্থ জীবন কাটাতে পারি

এবং একজন উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে আরো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করতে পারি।ভালো কাজ করতে পারি তাই সবার কাছে দোয়া চাই এবং সহযোগিতা চাই সবার সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই এগোনো সম্ভব নয়।

সবার সাথে পরিচিত হবার সেই কাঙ্খিত

সুযোগটি যেন পাই এজন্য দোয়া করবেন।

এতক্ষন যারা কষ্ট করে আমার জীবনের গল্প টি পড়লেন সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সৃষ্টিকর্তা আপনাদের সবাইকে ভাল রাখুক

সুস্থ রাখুক সেই কামনায় শেষ করছি

আমার জীবনের গল্প।


আমার এই লেখায় কোনো প্রকার ভুল ত্রুটি হলে

আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন.!

আল্লাহ হাফেজ। 


স্টাটাস অফ দি ডেঃ৬৫৬

তারিখঃ২৬-১০-২১

✅আমি মোঃ আব্দুল কাদের

✅অষ্টম ব্যাচ

✅রেজিস্ট্রেশন নং ৪৯৩৭

✅জেলা-কুমিল্লা

✅বর্তমান অবস্থান-আবুধাবি প্রবাসী (দুবাই জোন)

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।