See More Post

রান্না-বান্নার কাজ ফেলে যে গিয়ে আরাম করছো।কাজগুলো কে করবে শোনি

আসসালামু আলাইকুম


আশা রাখছি সবাই মহান আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন,শুকরিয়া জানাই মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে যিনি আমাদের সকলকে ভালো রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ তারপর শুকরিয়া জানাই আমার প্রিয় মেন্টর #ইকবাল_বাহার_জাহিদ  স্যার কে এত সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য যেখানে আমরা নির্ভয়ে নিঃসংকোচে অদম্য সাহস নিয়ে  আমাদের জীবন গল্প শেয়ার করতে পারি।প্রিয় মেন্টর আপনার প্রতি অসংখ্য ভালোবাসা শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা। 


আজ আমি শেয়ার করব আমার প্র্যাগন্যান্সির সময়, আশা করছি  সবাই  পড়বেন,  ----------------


প্র্যাগন্যান্সির ছয় মাস চলছে।হঠাৎ করে আমার শ্বাশুড়ি বললো বউ মা মসলা গুলো বেটে দাও।শ্বাশুড়ির মায়ের কথা শোনে বেশ অবাক হলাম।এখন আমি ভালো করে দাঁড়াতে পারি না।তার মধ্যে এতগুলো মসলা বাটবো।এ কেমন বিচার। (আমার  শরীরে পানি এসে ওজন হয়েছিল ৮৫ কেজি+,আমার হাটাচলা করতে খুব কস্ট হতো, আমি বিছানা থেকে নামলে খাট ধরে ধরে নামতাম।)


হঠাৎ পাশের বাড়ির চাচী বললো বউয়ের তো এখন সময় ভালো যাচ্ছে না।মসলা কেমনে পিসবে??

তখন আমার শ্বাশুড়ি মা বললো কী বলছিস এইসব আরে বাচ্চা তো আমাদের ও হয়েছে।কত কাজ করেছি।কই আমাদের তো কিছু হয় নি।এইটুকু কাজ করলে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে শুনি!!


শ্বাশুড়ির কথাগুলো শোনে আর কিছু বলার ভাষা রইলো না।কষ্ট হলেও রান্না ঘরে গিয়ে মসলা গুলো পিসলাম।

কী আর বলবো পেটে ভীষন ব্যাথা হচ্ছিল।মনে হচ্ছিল আমাকে কেউ আঘাত করেছে।

মসলা বেটে রুমে গিয়ে শুয়ে আছি।হঠাৎ করে আমার ননদ আর শ্বাশুড়ির কথা শুনতে পেলাম।


ননদঃদেখো না মা ভাবী রুমে গিয়ে শুয়ে আছে।কাজ গুলো কে করবে??


মাঃ কী বলছিস??


ননদঃহ্যাঁ মা।আমি মাত্র দেখলাম।


মাঃএই মেয়েটার কী কান্ডজ্ঞান বলতে কিছু নেই।জানে না এখনো রান্না করা বাকি আছে।রান্না কে করবে??


কথাটা বলে শ্বাশুড়ি আমাকে মিলি বলে ডাক দিলো।আমি বললাম আসছি।আর কী শ্বাশুড়ির সামনে গেলাম।


রান্না-বান্নার কাজ ফেলে যে গিয়ে আরাম করছো।কাজগুলো কে করবে শোনি??


আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি।ইচ্ছা হচ্ছিল বলতে আপনার মেয়েকে তো বলতে পারেন কাজে আমাকে একটু সাহায্য করতে।সব কাজ কী এখন আমি একা করতে পারবো!!


কী হলো যাও রান্নাঘরে।আর শোন আজকে আমি কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি খাবো।আমার জন্যে ঐটা ভালো করে রান্না করবে।আর ইফতারের জন্যে সব ঠিক করে তৈরী করবে।।


শ্বাশুড়ির কথা শোনে আমি বেশ অবাক ই হলাম।এত কাজ আমি একা কীভাবে সামলাবো।একে তো রোজা,আমি কিছুই খেতে পারতাম না,তারপরেও রোজা রাখতাম,।তার ওপর আবার সবার পছন্দের খাবার তৈরী করা।তাছাড়া আমি কখনো কচুর লতি রান্না করি নাই।

কোনোমতে রান্না ঘরে গেলাম।রান্না ঘরে গিয়ে দেখি সব এলোমেলো।খুব রাগ হলো।কিন্তু তাও সামলে নিলাম।কারন এইটা আমার ই তো সংসার।শ্বাশুড়ি আর কতদিন ই বা থাকবে।ননদের স্বামী প্রবাসী স্বামী বাড়িতে এলে ছয়মাসের জন্যে স্বামীর  বাসায় চলে যাবে।তখন সব ঠিক হয়ে যাবে।


চুলায় রান্না বসালাম।লাকড়ির দিয়ে রান্না করতে হয়।অনেকটা গ্রামের দিকে আমার শ্বশুর বাড়ি।রান্না বসিয়ে।একটা টুলের ওপর বসলাম।তখন পেটে খুব ব্যাথা অনুভব করলাম।চোখ থেকে পানি পড়ছে।চিৎকার ও করতে পারছি না।মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে।বাবা তো নেই থাকলে হয়ত এই নরক থেকে নিয়ে যেত😭😭😭😭


ব্যাথা উপেক্ষা করে আবার রান্নার দিকে নজর দিলাম।হঠাৎ করে,,,,,,,,,,,,ফোন  আসলো আমার প্রবাসী স্বামীর,শুধু বলেছিলাম, আমার কাজ করতে কস্ট হয়, আমি আমার মায়ের কাছে গিয়ে থেকে আসি,আমাকে বলল আমি গেলে যাতে একবারেই চলে যাই, সারারাত কাদতাম, আর ভাবতাম, হয়ত একদিন, সব ঠিক হয়ে যাবে, ------


আমাকে এই অবস্থায় প্রতিদিন এক বালতি করে কাপড় ধুয়ে দিতে হত, কাপড় যদি একটু কম পরিস্কার হতো,তাহলে মাটিতে ফেলে দিত,আবার পুনরায় ধোয়ার জন্য। আমার প্রতিটি দিন প্রতিটি বছর মনে হতো। এই ভাবে  নয় মাস নির্যাতন করে তারপরেও আল্লাহ তায়ালা আমাকে সুস্থ সন্তান দান করেন আলহামদুলিল্লাহ। 


তার পরের গল্প হয়ত অনেকেই জানেন,আমি এই প্রিয় গ্রুপ এ এসে অনেক কস্ট ভুলে যাচ্ছি প্রতিটি প্রিয় আপু এবং ভাইদের ভালোবাসায় , সবাই  আমার জন্য দোয়া করবেন,আমি থেমে যেতে চাইনা, আমি প্রিয় মেনটর এর দেখানো সপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই,  ,আমি আল্লাহর রহমতে, আপনাদের সসহযোগিতায় আমার পণ্য বিক্রি করে আমার ছেলেকে নিয়ে বাঁচতে চাই। আবার আসবো জীবন এর অন্য কোন অংশ নিয়ে।


প্রিয় শিক্ষক,#ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার

আমার জেলার  Mohammad Asadul Islam Ashad  ডিসটিক এএম্বাসেডর ইমতিয়াজ মোরাদ ইমতি M H Bhuiyan Shipon  Mohammad Mahmudul Islam Ismat Hasan Benzir Rahman  Sabbir Ahmad Mosharof Hossain Md Amin Mohammad Dulal Jahangir Ahmed   সবার দোয়াএবং সহাযোগিতা কামনা করছি 


স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে - ৬৬৯

৩০/১০/২০২১

আমি মিলি জামান 

কমিউনিটি ভলান্টিয়ার 

১৩ তম রেজি ৫৯২১৮

জেলা জামালপুর 

কাজ করছি জামালপুর এর হাতের কাজের থ্রিপিস এবং সব ধরনের নকশি আইটেম,এবং পাঞ্জাবি নিয়ে।

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।