See More Post

বাবাকে নিয়ে গল্প

নমস্কার - আদাব 🙏🙏


প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,


✍️ ঈশ্বরের নামে শুরু করছি,এবং সকলে মোঙ্গল কামনা অর্থে প্রর্থনা করছি।  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর  জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ  স্যারের প্রতি।  যার প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি। যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ভালো মানুষ, একটি ভালো উদ্যোক্তা সমাজ, ভালো পরিবা ও ভালো পরিবেশ। যার অনুপ্রেরণা আমার আমাদের জীবন ও জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা লেখার সাহস পেয়েছি। পেয়েছি  লক্ষ মানুষের মানুষের উৎসাহ অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা। 


আশা করি আমার পাঠক বন্ধুরা আপনারা সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও ভাল আছি।


প্রতিদিনের মত আমি আজ আপনাদের সাথে "" প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার" এর ১৫তম ব্যাচ, দিন ১৯ ,ও সেশন ১৯। এই সেশন এর বিষয় উপস্থাপন করছি আমি। 


👉 স্যার সেশনে বলেছেন """ ভাগ্য, চমক, মিরাকল এগুলো আমরা সবাই পেতে চাই – সবার জীবনে।"""

 

এই সেশন মাঝে স্যার কিছু কথা বলেছেন এবং কিছু প্রশ্ন করে গিয়েছে আমাদের তা হলো --------


১/ আপনার কষ্ট দেখে আপনার মা-বাবা কতবার কেঁদেছেন, মনে আছে? 


২/সেই বাবা-মার জন্য আমরা কি বা করতে পারছি বা পেরেছি? এই প্রশ্ন নিজেকে করা দরকার।


এবং  স্যার আরো বলেছেন আমদের / আপনার জীবনে যদি কোন ভাগ্য, চমক, মিরাকেল ঘটে থাকে, তা ঘটেছে শুধুমাত্র মা-বাবার দোয়ার কারণে।


✍️ এই জন্য বাবাকে নিয়ে লেখা -----"বাবা " 


অনেক দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা বাবা-মা এই পৃথিবীর মায়া ছেরে চলে গিয়েছেন। আবার আমাদের অনেকের থাকতেও তাদের সন্মান করেন না বা ভালোবাসেন না।অনেকে  বাবা-মা সন্তানের কাছ থেকে অবহেলিত হয়ে আজ আমাদের দেশে বিদ্যাশ্রম গোলায় রয়েছে । আর দিন কে দিন এটা  বাড়ছে। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন এই বাবা মা না থাকলে আপনার ঠিকানা কোন অনাথ আশ্রমে হতো। এই বাবা মা না থাকলে আপনার পৃথিবীর আলোর দেখা পেতাম না। 


✍️ তাই আজ আমরা একটু বাবার হয়ে কিছু কথা শুনবো ও বলবো। 


""বাবা"" আমাদের এমন একটা শক্তি যার কথা বলতে গেলে দিন থেকে রাত আর রাত থেকে দিন হয়ে যাবে। আমরা সত্যি কোনোদিন বাবাকে নিয়ে একটু বিশেষ ভাবে ভাবিনা, কোনোদিন বোঝার চেষ্টা করিনা। তবে এটুকু জেনেছি, তোমাকে বুঝবার ক্ষমতা আমার নেই। আমাদের বোঝার ক্ষমতা নেই যে তোমার ত্যাগ গুলো কি কি বা কোথায় কোথায় তোমার ত্যাগ আছে আমাদের জন্য, সেটা আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন  যা আমরা মনে রাখিনা। তবে আমাদের বাবা আমাদের এক শক্তি। আমাদের বাবা আমাদের মাথার ছাদ। আমাদের বাবা আমাদের বর্ষার ছাতা আর আমাদের বাবা আমাদের শীতকালের কাঁথা। 😢😢


শুনেছি জাপানে কোন বিদ্যাশ্রম নেই কারণ সেই দেশে প্রতি বছর তাদের স্কুল কলেজে ছেলে মেয়েদের ডেকে সকলের সামনে তার বাবা মায়ের পা ধুঁইয়ে সেবা করানো হয়। তাই হয়তো  তারা বুঝে বা জানেন  বাবা মায়ের ভালবাসার মত পরম আনন্দ আর কোথাও পাবেন না। আমরা সকলে বাবা- মা দিবস এলে শুধু ফেসবুকে লোক দেখানো ছবি বা লেখা পোস্ট করে থাকি। না আপাদের বাস্তব জীবনেও বাবা-মাকে ভালবাসতে হবে কোন লোক দেখানো নায়।


পৃথিবীতে অনেক খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু খারাপ বাবা একটাও নেই। বাবা মানে বটবৃক্ষ, তিনি একাই একটি প্রতিষ্ঠান। বাবা এমন একজন ব্যক্তি, যিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে আগলে রাখেন, ছায়ার মতো পাশে থাকেন, নির্ভরতা দেন। নিজের শত সমস্যা সত্ত্বেও সন্তানদের সুরক্ষিত রাখেন, সন্তানের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না। আপাতগম্ভীর খোলসের আড়ালে থাকে তাঁর অন্য রূপ। বাইরেরটা শক্ত খোলসে আটকে রাখেন আর ভেতরটা নরম নারকেলের মতো। সন্তানের সংকটে তিনি নিভৃতে চোখের জল ফেলেন। আর সামনে দাঁড়ান ঢালের মতো।


বাবাদের শার্টগোল বেশিরভাগ সময় মায়েদের শাড়ি থেকে দামি হয় না। বাবাদের ওয়ারড্রব ভর্তি শার্ট-প্যান্ট থাকে না। বাবা দের জুতা চলে বছরের পর বছর। মোবাইলটা একবারে নষ্ট না হলে বদলায় না। ঘড়িটা বৃদ্ধ হয়, তবুয় হাতেই থাকে। একা খেতে হলে সব চেয়ে সস্তা হোটেল খোঁজেন, একা কোথাও গেলে বাসে চড়েন।সতো কষ্ট, রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সঞ্চয় করেন। অথচ স্ত্রী সন্তানকে সাধ্যের সব চেয়ে দামী জিনিসটা কিনে দেন। বাবারা একান্ত বাধ্য না হলে কখনো না বলেন না। নিজের জন্য  সবচেয়ে কৃপণ বাবাটা তার স্ত্রী সন্তানের জন্য সবচেয়ে বেশি বেহিসাবি। বেশিরভাগ বাবাই ভালোবাসি শব্দটা বলতে জানেন  না, করতে জানেন।বাবারা সন্তানদের জন্য বাবাদের উৎকণ্ঠা অবিকল। সন্তানের জন্য বাবারা নিজ ভয়কে জয় করেছেন। অথচ বাবাদের কখনো বলা হয়ে ওঠে না, ‘বাবা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’


বাবা যেমনই হোন, তিনি তাঁর সন্তানের কাছে আদর্শ, জীবনযুদ্ধের সত্যিকারের নায়ক। তবে সন্তানেরা কিন্তু গুরুগম্ভীর  বাবাকে ঠিকই ভালোবাসে। হয়তো মুখ ফুটে বলতে পারে না। বলতে না পারলে লিখে ফেলুন।

আমরা চাইলে পিতাদিবস প্রতিটা দিন প্রতিটা সেকেন্ড হতে পারে , তবে আমরা বাবা দিবস দিনটিতে একটু, বেশী ই জোর দেওয়া হয় সমাজে, কোনো ব্যাপার না, বাবাদের আশীর্বাদ  ও সন্তানের ভালোবাসা একে ওপরে, সর্বদা বিরাজ মান থাকে, থাকবে, এতো সুন্দর এক মায়াবী পৃথিবীতে।

  


,"" বাবা"" তোমাকে কোনোদিন হয়তো জাপটে ধরে ভালোবাসি বলা হয়ে ওঠেনি। 😞 আজ হয়তো Father’s day ও নয়…তবুও এই লিখাটা দিয়েই সবটা প্রকাশ করলাম বাবা। হয়তো এটা তুমি দেখতে পাবেনা কখনো, তবু বলবো এভাবেই আমাকে জড়িয়ে রেখো বাবা, খুব ভালোবাসি তোমায় ❤️  "বাবা"  😭😭


আমাদের মাঝে মাঝে এমন একটা সময় সবার জীবনেই আসে যখন আমরা একটা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগি, তখন কারো পরামর্শ খুব জরুরী হয়ে পড়ে আমাদের । ঠিক সেই সময়ে পাশে দাঁড়ানোর মতো একজন আদর্শ মানুষ হল বাবা।। 


আমরা আনেক আছি ভয়ে বাবা কছে যাইনা বা কিছু বলিন। শুধু একটু সাহস করে আমাদের প্রথম উদ্যোগটা নিতে হবে তাঁর সান্নিধ্যে যাবার। একবার শুধু বাবার সান্নিধ্যে যেয়ে দেখেন।  বাবার মতো বন্ধু পাওয়া সত্যিই দুষ্কর।আমাদে মাঝে সেই মানুষগুলো সত্যি ভাগ্যবান যারা নিজেদের বাবার সাথে বন্ধু পূর্নতা সম্পর্ক গড়তে  পারে। যার বাবা নেই এক মাএ সেই লোক বলতে পারে বাবা কি?


(বাবা, তোমাকে মনে পড়ে, আমার স্বপ্নভঙ্গের দিনগুলোতে, কিংবা পরম সুখের মূহুর্তগুলোতেও, বাবা, তোমাকে মনে পড়ে খুব মনে পড়ে!)


যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছি, মাথার উপর তোমাকেই পেয়েছি,, সেই অভাবও মিটিয়েছ তুমি, অনেক আদরে, পরম স্নেহ মায়ায়, আমি হেসে বলতাম, বাবা তোমার দোয়া সাথে আছে তো আমার!! 😭


আমার যখন বাসায় ফেরার সময় হতো দেখতাম, দাঁড়িয়ে আছ তুমি বারান্দায়, তীর্থের কাকের মত! আমার অপেক্ষায়। বাবা তুমি যেই দিন থাকিবেনা আর। আমি সেই দিন হয়ে যাবো  একা; বড় একা! আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেনা কেউ আর বারান্দায়, মাথায় রাখেনা ভরসার হাত!😭😭


তখনকি বাবা  তুমিহীনা কষ্টের প্রহরগুলো, বুকের ভিতর জমাট কান্নার ঢেউ তুলে যাবে!, প্রতিদিন ঘর হতে বের হবার সময় তুমি বলতে, সাবধানে চলিস বাবা ! সাবধানে থাকিস বাবা। এটা বলার থাকবেনা কেহো।😭😭😭


বাবা ঠিক সেই সময়ে মনে হবে। তোমাকে দেয়া কথাগুলো এখনও ভুলিনি বাবা ! তোমার শেখানো পথে আজও হেঁটে চলেছি, দুর্গম সে পথে ঝড় আসে, ঝঞ্ঝা আসে, তবু ছুটে চলি অবিরাম, জানি, পাশে আছ তুমি; ছায়ার মত বাবা!! 😭😭😭😭


বাবা বিষাদে ছেয়ে যাওয়া মনটা, বার বার খুঁজে ফিরবে শুধু তোমায় বাবা, চোখের কোণে তপ্ত জল জমে,, মাঝে মাঝে বড্ড জ্বালা করবে চোখদুটো,, বার বার তোমাকে মনে পড়ে যাবে, খুব মনে পড়বে খুব বাবা !😭😭😭😭😭


বাব মনে পরবে তোমায় খাওয়ার টেবিলে, মনে পরে যাবে স্মৃতি নিজের পাতের খাবার আমায় তুলে দিয়ে বলতে- বাবা তুমি খাও বেশি করে আমি তো আনেক খেয়েছি । মনে পরবে  তুমি ঘুমের সময়, পাশে বসে থাকতে। না ঘুমানো পর্যন্ত আমার- মাথা টিপে দিতে। মনে পরবে তখন আমার কোন সমস্যা হলে পাশে নেই বাবা। তখন হয়তো অনেক বেশি মনে পরবে বাবা তোমায়।😭😭😭😭😭😭


তখন সুধ একটা কতাই বলবো। বাবা কোথায় তুমি হারিয়ে গেলে, কোন অচিনপুরে? তোমার ছেলে কাঁদছে বাবা- কাঁদছে একা বসে। কতদিন হয় আমি দেখিনা তোমায়, দেখে নি দু’চোখ ভরে, এসো তুমি কাছে আমার এসো বাবা ফিরে। 😭😭😭😭😭😭😭😭


✍️ শেষ কথা


বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে মা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠ উপহার হল বাবা মা । দুনিয়ার সব মানুষের বিকল্প কল্পনা করা সম্ভব হলেও মা-বাবার বিকল্প নেই। যেমন- ভাই একাধিক হতে পারে। বোন একাধিক হতে পারে। সন্তান একাধিক হতে বাধা নেই। কাকা – কাকিমা একাধিক হতেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মা-বাবা একবার যদি দুনিয়া ছেড়ে চলে যান তাহলে তার বিকল্প কোনোভাবেই কল্পনা করা যায় না। তাই সকলের উদ্দেশে একটাই কথা বলবো যে ভগবান কে ফুল বেলপাতা তুলসী পাতা দিয়ে ভক্তি করে পুজো দেবার আগে জ্যান্ত ভগবান অর্থাৎ আপনার বাবা মা কে একবার পুজো করুন, দেখবেন আপনার সকল দেব দেবীর পুজো আপনা আপনি হয়ে গেছে। ভালো থাকবেন ভালো রাখবেন আর বাবা মাকে অবশ্যই ভালোবাসবেন। 


ধন্যবাদ।


যাদে বাবা আছেন, আমি সেই সকল বাবা দের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।তোমরা আছো তাই আমরা আছি, এভাবে সাথে থেকো, এভাবেই পাশে থেকো।৷ """ বাবা"""


আমার লেখাটায়  যদি অজান্তেই কাহারো মনে কোন কষ্ট  দিয়ে থাকি তা হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। 


📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬০৭

Date:- ২৬/০৮/২০২১

🌿🌿🌿নাম-- সুজন কর 

🌿🌿🌿🌿ব্যাচঃ ১৫

🌿🌿🌿🌿🌿রেজিষ্ট্রেশন  নংঃ ৬৮৬৬৩

🌿🌿🌿🌿🌿🌿জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ। 

🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿ব্লাড গ্রুপ- O+

🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿পেশা - ব্যবসা।


আমি কাজ করছি  টেইলারিং, শাড়ি, থ্রি পিছ ও গোল্ড প্লেট গহনা নিয়ে।

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।