সেই রাজকন্যা ছিলাম আমি। বি বি এ থার্ড ইয়ার এ পড়া পর্যন্ত কোন কাজই পারতাম না। ঘরের কাজ তো দূরের কথা কাপড় যে কেচে পড়তে হয় সেটাও জানতাম না। এমনকি ভাত মাখিয়ে খেতেও জানতাম না। সেটাও আম্মু করত। আমার পৃথিবী ছিল বই, স্কুল কলেজ আর মা-বাবা-বড় ভাই। কিন্তু হঠাৎ ০১-০৩-২০১৫ তারিখে জীবনটা পাল্টে যায়। আম্মুর স্ট্রোক হয়, বাম সাইড প্যারালাইস্ড হয়ে যায়। শুরু হয় জীবন যুদ্ধ। যে মেয়ে ভাত মাখিয়ে খেতে জানত না সে রান্নাও করে। হাতের ১০ আঙ্গুলে ১০ টা ব্যান্ডেজ করা থাকত প্রায়ই। তবে
বি বি এ প্রচুর খরচ। বাবা বেসরকারি চাকুরী করে। ভাইয়া পড়াশেনার পাশাপাশি ছোট্ট ১ টা জব করে। বাবার টাকায় চিকিৎসা, সংসার চালানো, আমার পড়াশোনা ১ সাথে চালানো কষ্টকর ছিল। ভাবলাম আমিও চাকরি করব। কারন আমার পরিবার বা আত্নীয় সবাই
আমি ছোট বেলা থেকেই খুব জেদি ছিলাম। মনে জিদ চেপে গেল। আমি সবই করব। দেখিয়ে দিব আমার পরিবার আমাকে হারতে শেখাইনি। গত ৫ টা বছর রক্ত মাংসের রোবট হয়ে গেছিলাম। এভাবেই শেষ হলো এম বি এ। চাকরী ভালই চলছিল। ম্যানেজার হিসাবে কাজ
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের
এটা যেন মেঘ না চাইতেই জল এর মত মনে হলো। আমার হতাশাগ্রস্ত জীবনে আলোর প্রদীপ এর মতো।
কি করা যায় সেটা নিয়ে কয়েকজনের সাথে আলোচনা করতে যেয়ে এই ফাউন্ডেশনের কথা শোনা। নিজের বলার মতো একটা গল্প নামটা শুনলেই মনের মধ্যে একটা জায়গা তৈরি হয়ে গেছিল। কিন্তু তার কাছে শুধু নামটাই শোনা। কি করতে হয়, বা গ্রুপটা সম্পর্কে কিছুই
খাইরুল আমিন ভাইয়া
যিনি নিজ দায়িত্বে অত্যন্ত যত্নসহকারে রেজিষ্ট্রেশন করে দিলেন। তারপর সাড়া পেলাম
আর এম রনি ভাইয়া
যিনি যশোর মেসেঞ্জারে এড করে দিলেন। শুরু হলো স্যারের সেশন থেকে শিক্ষা নেওয়া। আস্তে আস্তে পরিচিত হতে শুরু করলাম সকলের সাথে।
চাকরি না করে নিজে কিছু করব শুনে সবাই বলে এটা সম্ভব না। অনেক টাকার দরকার, আবার একা একটা মেয়ে করতে গেলে সমস্যা হবে ইত্যাদি। যখন স্যারের সেশন গুলো ফলো করতাম মনে মনে সাহস পেতাম। তাড়াহুড়ো না করে নিজেকে নিজে সময় দিতে লাগলাম।
লোহা যত পোড়ে তত খাটি হয়
তার পর থেকে শুরু হয় উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা। উদ্যোক্তা জীবনে পথচলা শুরুটা হয় একা। শুরুতে ঠকেছি তবে হাল ছাড়িনি। প্রতিটা হার একটা শিক্ষা দেয়। একজন উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার প্রথম শর্ত হলো প্রবল ধৈর্যশক্তি নিয়ে লেগে থাকা।প্রথমেই আমাদের সফলতা আসবে না।হেরে যাবো কিন্তু তাই বলে তো থেমে থাকবো না।আবার উঠে দাঁড়াবো। চলার পথে যদি থেমে যাই তবে সে পথ পাড়ি দেওয়া আর সম্ভব হয়ে উঠে না।হেরে গিয়ে আবার শুরু করবো তবেই তো সফলতার গল্প তৈরি করতে পারবো। উদ্যোক্তার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা যেটা সবার মাঝে থাকেনা।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন
আমাকে আজ এখানে আসতে সবথেকে বড় অবদান রাখে। সকলের সহযোগিতা কাম্য।
প্রতিটা ব্যার্থতার পিছনে লুকিয়ে থাকে সফলতা।
সমস্যা থেকে বের হয়ে আসে নতুন কোন সম্ভবনা।
লোকের কাজ সমালোচনা করা, জয়ী হয়ে দেখিয়ে দেওয়াটাই সঠিক উত্তর।
আপনার প্রতিটা স্বপ্ন হয়ত সফল নাও হতে পারে। তবে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করা যাবে না কারন স্বপ্ন আপনাকে জাগিয়ে রাখবে।
সবসময় জিততে হবে এই মানষিকতা আমাদের অসুস্থ করে দেয়। কোন কোন হার নতুন পথ দেখাই।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন
প্রানপ্রিয় মেন্টর ইকাবাল বাহার জাহিদ স্যার।
সকলে স্যারের সেশনগুলো ফলো করবেন, কাজে লাগাতে চেষ্টা করবেন। লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ। স্যারের যে কথাটি অনুপ্রাণিত করে-
মূলধনের চেয়ে সাহস ও সততা বেশি জরুরী।
কমিটমেন্ট নিষ্টা নিয়ে কাজ করলে সবি সম্ভব।
ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥
আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।