See More Post

হঠাৎ শুরু হলো দুঃস্বপ্ন


বাস্তব_জীবনের_গল্প 

আসসালামু_আলাইকুম

 সবাই কেমন আছেন  আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন।

আমি ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি #আলহামদুলিল্লাহ।

প্রথমে_কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে, যে রাব্বুল আলামিন আপনাকে আমাকে  অসুস্থ দুনিয়ায় আপনাদেরকে আমাকে  সুস্থ রেখেছেন।

দূরূদ_পেশ_করছি ঐ নবী ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি,যাকে সৃষ্টি না করলে এই দুনিয়ায় কিছু সৃষ্টি হতো না , হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি।

আমি_আরো_কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের প্রিয় মেন্টর , প্রিয় শিক্ষক জনাবঃ #ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যারের প্রতি..💕 যিনি আমাদেরকে এতো সুন্দর একটি প্লাট ফরম উপহার দিয়েছেন, আরো পেয়েছি

অনেক গুলো ভালো মানুষের পরিবার

আমি_মুহাঃ_মহিউদ্দিন

আমার দাদা ছিল এক বাবার এক ছেলে

আমার দাদা মোট চারটি বিয়ে করে

আমার দাদি ছিল একে বারে ছোট বৌ

আমার দাদির ঘর চার ছেলে দুই মেয়ে

আমার বাবা ছিল সবার ছোট

আমার বাবা  নিজে নিজে অনেক কষ্ট করেন

 অন্যের বাড়িতে লজিং মাস্টার থেকে

ডিগ্রি বা স্নাতক  পযন্ত পড়ালেখা করেন

বাবার মুখে শোনা, বাবার জীবন সংগ্রামের গল্প

বাবার বিয়ে করেন, বিয়ের দেয় বছর পর

আমি এই পৃথিবীতে আসি....

বাবার মায়ের মুখে শুনেছি

আমার ছোট কালে অনেক অসুখ হয়

আমার মা বাবা আমাকে নিয়ে অনেক কষ্ট করে

আমার বাবার ছিল জয়েন্ট ফ্যামেলি

পরিবারের সদস্যা সংখ্যা বেশী হলেও 

আমার মা অনেক কাজ করা লাগতো...

বড় পরিবার খরচটা অনেক বেশী

তাই আমার চিকিৎসা করতে অনেক

কষ্ট হতো..

কিন্ত মা বাবার আদরের সন্তান

যতো কষ্ট হোক চিকিৎসা তো করতেই হবে

অনেক কষ্ট করে আমাদের 

চিকিৎসা করেন...

কৃতজ্ঞতা_জ্ঞাপন করছি।

আমার জন্মদাতা পিতা মাতার প্রতি

যারা আদর যত্ন ভালোবাসা দিয়ে

অক্লান্ত কষ্ট করে আমাকে লালন পালন করেছে..

আমি আমার বাবা মাকে অনেক ভালোবাসি...

সবাই আমার মা বাবার জন্য দোয়া করবেন..!

আমার_শৈশবকাল

আমার যখন বয়স ৫ বছর তখন আমি

 আমার নানার বাড়িতে থাকি

আমার মেজু খালা মনী আমাকে

দেখা শুনা করতো, আমার নানার বাড়ির

পাশে একটি নূরানী মাদ্রাসা ছিল ঐ খানে

আমার বাবা আমাকে ভর্তি করিয়ে দেন

তখন আমি আমার মামাতো ভাই সহ

আরো আসে পাসের ভাইয়ারা এক সাথে

মাদ্রাসা যেতাম, এখনে তিন বছর পড়ালেখা করি

 যখন একটু বড় হলাম বেশি দুষ্টিমি করতাম

 তখন বাবা আমাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদিঘী পাড় একটা কাওমি  দাওরা মাদ্রাসা নূরানী প্রথম জামাতে ভর্তি করান

ও মাদ্রাসা যে একদিন এক বন্ধু মিলে ঘুরতে যাই 

 মাদ্রাসা বন্ধ করে, মাদ্রাসায় আশার পরে হুজুরে

আর আমার বন্ধুকে বেত দিয়ে শাসন করে

 তখন রাগ করে বাড়িতে চলে যাই

তার পর ঐ মাদ্রাসায় যাই না তার পর

আমার বাবা অনেক রাগ কেন

মাদ্রাসা থেকে চলে আসছি।

কিছু দিন পরে আব্বু  আমাদের বাড়ির পাশে আলিয়া মাদ্রাসায় আমাকে ভর্তি করে দেন

 তখন বাবা মসজিদে এবং মাদ্রাসায় চাকরী করে

তখন আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি

আব্বু সব সময় বলতে ভালো করে পড়া লেখা করো অষ্টম শ্রেণীতে ভালোই পড়া লেখা করি

 পরিক্ষা দেওয়ার পরে রেজাল্ট আসছে A+

তার পর অনেক খুশি, A+ পাওয়ার পরে

অনেক জায়গা থেকে সংবর্ধনা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ,তার পর নবম শ্রেণীতে পড়ি

ভালোই চলছে পড়া লেখা তার পরের বছর এস এস সি পরিক্ষা অনেক ভাল  করে পড়া করি

এই এভাবেই দুঃখে সুখে কেটে যায়

পড়াশোনার জীবন। 

বাবা অনেক গার্ড দে, তখন আমরা চার ভাই এক বোন বাবার একা সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হতো..

আমি যখন  দশম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমার বোন পড়তো সপ্তম শ্রেণীতে,আর ছোট ভাই একটা চতুর্থ শ্রেণীতে আরেক ভাই ছিল ছোট , তখন বাবা অনেক কষ্ট করতো, আমার কাছে অনেক খারাপ লাগতো

 তার পর কষ্ট পরে বাবা পরিবার চালায়

আমাকে তখন কাজের জন্য বলতো আমি প্রাইভেটে চলে যেতাম আমি ছিলাম কাম চোর ,

এস এস সির রেজাল্ট আসে A তখন মনটা অনেক খারাপ লাগছে, কাউকে চেহারা দেখানোর মতো নাই,

 কারন A+ আসে নাই, তার পর আলিমে ভর্তি হলাম।

 প্রথম বছর ভালোই পড়ালেখা করি

বাবার কাছে টাকা চাইলে বাবা দিতে চাইতো না

বাবা টাকা দিতো তবে যেতোটুকু লাগতো

সেটুকু দিতে পারত না...

কী ভাবেই বা দিবে কারণ সংসারের

খরচ অনেক বেশি..

বাবার এত কষ্টের সংসারের ঘানি টানা 

আমাদের ভাই বোনদের পড়াশোনা করানো

এত কষ্টের জীবন যুদ্ধ দেখে

আমার মনটা সব সময় কেঁদে উঠতো

এবং মন থেকে চাইতাম 

ঘর পরিবার ভাই বোন 

সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য 

বাবার পাশাপাশি আমিও কিছু করি 

কিন্তু কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না... 

একদিন  হঠাৎ করেই মাথায় বুদ্ধি চাপলো 

সবাই বিদেশে গিয়ে অনেক ভালো ইনকাম করছে 

আমিও বিদেশে যাব অনেক টাকা ইনকাম করব 

এবং পরিবারের সবার দুঃখ কষ্ট দূর করে দিব 

স্বপ্ন দেখতে দেখতে 

প্রবাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম 

কিন্তু সমস্যা হল অনেক টাকা প্রয়োজন 

কি করব কাকে বলব মনের কথা 

শেষমেষ আম্মাকে বললাম আমি প্রবাসে যেতে চাই 

বিদেশ গেলে অনেক টাকা ইনকাম করা যাবে 

আমাকে বিদেশ জন্য পাঠানো হয় 

আপনাকে বুঝাতে লাগলাম 

আমার বিদেশে যাবার কথা শুনে 

আম্মা যেন আকাশ থেকে পড়ল 

প্রথমে আম্মা মানা করে দিল 

পরে বাবা শুনে বাবা ও মানা করে দিল 

এখন আমি হতাশ কি করব 

এবং কিভাবে বিদেশ যাবো 

আমার মাথায় বিদেশ গিয়া সোনার হরিণ 

ধরার ভুত চেপেছে 

মনে হচ্ছে বিদেশে গিয়ে এই সোনা হরিণ নিয়ে আসব 

কিন্তু মা  রাজি না, বাবাতো মোটে রাজি না

বাবার কথা হচ্ছে পড়ালেখা করো

মানুষের মতো মানুষ হো , তার পর কষ্ট করে

আলিম প্রথম বর্ষ পরিক্ষা দিলাম

তার পর আলিম দ্বিতীয় বর্ষ পড়ালেখা চলছে,

মা একেবারে রাজি নাই  পাসপোর্ট করতে দিবে না

পরে কি করবো, মেজু খালাম্মাকে বলছি

আমি বিদেশে যাবো।

 খালাম্মা বলছে বিদেশ অনেক কষ্ট করা লাগে

আমি বাড়িতে কাজ করি না

সবাই বলে বিদেশে গিয়ে কি করবো

 এতো টাকা কে দিবে

তার পর মাকে অনেক কষ্ট করে রাজি করালাম

এখন প্রয়োজন পাসপোর্ট করা 

অনেক কষ্ট করে মানুষজন ধরে 

 তার পর পাসপোর্ট করছি

তখন মসজিদে নামাজ পড়াতাম নূরানী মাদরাসা শিক্ষকতা করতাম  তার মাঝে পড়ালেখা চলছে

তিন মাস পর পাসপোর্ট আসলো

তার পর  প্রবাসে যাওয়ার জন্য 

প্রথম মেডিকেল  সম্পূর্ণ করি বাহরাইনের জন্য 

কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস 

ঐ খানে টাকা জমা দিয়ে যেতে পারিনি... 

তার পর ওমানের জন্য মেডিকেল করছি 

এখানে ও যেতে পারিনি..

দুই জায়গা থেকে ধোকা খাওয়ার পরেও

মনের ভিতর স্বপ্ন সোনার হরিণ ধরতে 

বিদেশি আমাকে যেতেই হবে 

তাই আরো খোঁজখবর নিতে থাকি 

শেষমেষ  মালয়েশিয়ার জন্য

 একজনের সাথে কথা বললাম 

তার পর ইনশা'আল্লাহ মালয়েশিয়ার ভিসা হয়ে গেলো

 এই দিকে চাকরির জন্য অগ্রনী ব্যাংক সব কিছু জমা দিলাম, ব্যাংকে  চাকরি করতে হলে ঘুষ দেওয়া লাগবে

 এই জন্য আর ব্যাংকে চাকুরী বাদ দিয়ে মালয়েশিয়ায় আশার জন্য সব কিছু রেডি করলাম

এই দিকে সবাই বলতেছে আমি বিদেশে

গিয়ে কাজ করবো কি না

আমার ইচ্ছা বাবাকে সাপোঊ দেওয়া

 তখন আমরা চার ভাই এক বোন পড়ালেখা করে ইনশা'আল্লাহ সব কিছু সুন্দর মতে গোছগাছ করে 

তার পর মালয়েশিয়ায় আসলাম

 ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে ২৪ তারিখে..

শুরু হলো প্রবাসের_জীবন

মালয়েশিয়া চলে আসলাম।

নতুন স্বপ্ন নতুন দেশ কাজ করে

অনেক টাকা ইনকাম করে দেশের পাঠাবো 

স্বপ্ন দেখতে দেখতেই 

হঠাৎ শুরু হলো দুঃস্বপ্ন...

 মালয়েশিয়া আসার কয়েকদিন পরেই শুনি 

আমি যাদের মাধ্যমে মালয়েশিয়া এসেছিলাম 

ওই সমস্ত  দালালেরা আমাদের সবাইকে

 বিক্রি করে দিছে..

মানি কথা কাজে মিল নেই...

এভাবে বলেছে কোনরকম কাজকর্ম 

ঠিকমতো পাচ্ছি না..

তখন মনটা খারাপ হয়ে গেছে

তার পর তিন মাস কোন বেতন দে নাই।.

তার পর ও অনেক ধৈর্য্য ধরে লেগে ছিলাম।

আমার  মুলত প্রবাস জীবন পা দেওয়া উদ্দেশ্যে হচ্ছে,বাবাকে সাপোর্ট দেওয়া

আমাদের মধ্যেবর্তী পরিবার

বাবা অনেক কষ্ট করতো

কিন্তু আমরা ভাই বোন সবাই পড়া লেখা করতাম

তখন চিন্তা করলাম বাবাকে কি ভাবে 

সাপোর্ট দেয়া যাবে

পরে অনেক কষ্ট করে প্রবাসে

নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কাজের

প্রতি মনোযোগী হলাম

এবং কিছু দিন পরে  বোনকে বিয়ে দিলাম

#আলহামদুলিল্লাহ 

আল্লাহর রহমতে পরিবারের মান সম্মান

 ইজ্জত রক্ষা করতে পেরেছি #আলহামদুলিল্লাহ 

তার পর ছোট ভাইদেরকে পড়ালেখা

 করাতে পেরেছি, পরিবারকে সুখে রাখতে 

পরিবারের আশা গুলো পূরন করতে পেরেছি

#আলহামদুলিল্লাহ 

বর্তমানে ভালোই চলছে প্রবাসের জীবন 

কাজকর্ম করছি সবার সাথে মিলছে চলছি 

কিন্তু মনের ভিতর কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে 

মনে হয় আমার ভিতরে আমি নেই 

এভাবে আর কতদিন প্রবাস করব 

বিদেশের কতদিন থাকবো 

দেশে গিয়ে তো আমাকে কিছু শুরু করতে হবে 

দেশে গিয়ে কি করবো..? 

চাকরি করব কোথায় পাব চাকরি..? 

ব্যবসা করব কি ব্যবসা করব..? 

কিভাবে করব কিছুই জানিনা..! 

এভাবেই ভাবতে ভাবতে হঠাৎ একদিন 

আল্লাহর রহমতে পেয়ে যাই 

মানবতার ফেরিওয়ালা 

আমাদের প্রিয় মেন্টর শিক্ষাগুরু 

আমাদের সকলের প্রাণ এর নয়নের মনি 

জনাব #ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যারের ভিডিও 

প্রিয় স্যারের ভিডিও দেখে এবং পোস্ট গুলি পড়ে 

মনে হয় আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি

শুরু হয় নতুন করে স্বপ্ন দেখা 

নতুন করে স্বপ্ন দেখে রেজিস্ট্রেশন করে 

হয়ে যাই ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য

প্রিয় স্যারের প্রতিদিনের সেশন গুলো 

মনোযোগ সহকারে পড়ে এবং শেসন চর্চা ক্লাসে 

যুক্ত থেকে অনেক কিছু শিখে নিজেকে 

এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি 

প্রিয় স্যারের শিক্ষা বুকে ধারণ করে 

ইচ্ছা আছে জীবনে একজন উদ্যোক্তা হওয়া

ফাউন্ডেশনের যুক্ত হয়ে 

নিজের পরিচয় বুক ফুলিয়ে দিতে পারি 

এবং গর্ব করে বলতে পারি 

আমি একজন ভালো মানুষ।

আর এই সবই সম্ভব হয়েছে 

আমাদের প্রিয় স্যার এর অনুপ্রেরণায় 

এবং ফাউন্ডেশনের প্রিয় ভাই বন্ধুর সহযোগিতায় 

সকল ভাই-বোনদের কাছে দোয়া চাই 

আমি যেন জীবনে একজন

সফল ভালো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি। 


📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৬৪

Date:- ২৭/০৩/২০২২ইং

মুহাঃ মহিউদ্দিন

ব্যাচ ১৫

রেজিঃ নং (৬৯৬৩৬)

জেলা কুমিল্লা

থানা নাঙ্গলকোট

এসো কোরআন শিখির একজন ছাত্র 

বর্তমান অবস্থান মালয়েশিয়া প্রবাসী।

এগ্রো ফোরাম সদস্যা 

ফেসবুক https://www.facebook.com/profile.php?id=100007736406193

                                                          🌹


ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।