See More Post

সংগ্রামী জীবন

🕋বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

✅আমার জীবনের গল্প

আসসালামুয়ালাইকুম সবাইকে আশাকরি সবাই যে যেখানে আছেন আলহামদুলিল্লাহ ভালো ও নিরাপদে আছেন আমিও আপনাদের দোয়াই  ভালো আছি দরূদ সালাম প্রোরণ করি বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা) দরবাবে 

 💢কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি প্রিয় মেন্টরের প্রতি যার কারণে আজ আমি হাজার হাজার ভাই ও বোন পেয়েছি এই ফাউন্ডেশনের মধ্যেই নিজের জীবনে কিছু করতে হবে এটা নিয়ে ভাবনা সৃষ্টি করে দিয়েছে প্রিয় স্যার  আল্লাহ স্যার কে হায়াতে অনেক অনেক বরকত দান করুক   ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের  দীর্ঘয়ু কামনা করি 

❤ভালোবাসা উৎসর্গ  প্রিয় ফাউন্ডেশনের সকল আজীবন মেম্বারদের প্রতি 

🌅জীবনের গল্প ✔

আমার সংক্ষেপ পরিচয় 

আমার জন্ম চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী গ্রামে।বাবা ইফতেখার  উদ্দিন  ও মা ফাতেমা  খাতুনের  আমি ১ম সন্তান। 

আমি গ্রামের ভাটিয়ারী হাজি টি এ সি হাই স্কুল  থেকে এস এস সি কম্পিলিট করি এবং  গ্রামের বিজয় স্মরণী কলেজে ভর্তি হই কিন্তু  ইন্টার পরীক্ষা  দেয়ার পরপরই  বিয়ে হয়ে যায়। 

কিন্তু  বিয়ের  পর শশুড়ঘর সম্ভ্রান্ত হওয়ায়  পড়াশোনা এক প্রকার বন্ধ  হয়ে যায় কিন্তু  পড়াশোনা র একধরনের  আক্ঙাখা থেকেই  যায় ।

বিয়ে ৩ বছরের মাথায়  ২ বেবির মা হলাম। বেবিদের  দায়িত্ব  আর সংসার নিয়ে  ব্যাস্ত হয়ে পরলাম।

এ দিকে হঠাৎ শশুড় ঘরে অনেক  বড় তুফান এসে আমরা আকাশ থেকে মাটিতে পরে  গেলাম।

এমন ও সময় গেছে  ঘরে  ফার্নিচার বলতে লেপ তোষক ছাড়া  কিছু ই ছিল না।

২ সন্তান  নিয়ে  অনেক  টা দিশেহারা  অবস্থা। এদিকে  পুরো ফ্যামিলি ছিন্ন বিন্ন  হয়ে যায়  । শশুড়- শাশুড়ী কে নিয়ে  আমি চলে আসি পাহাড়তলির দিকে। 

আমার হাসবেন্ড  চলে যায়  ঢাকায় শুরু  হয় নতুন  যুদ্ধ। ছোট ছোট ২ সন্তান  ও শশুড়- শাশুড়ীর দায়িত্ব  কাধেঁ ঘরের সমস্ত  কাজ একা সামাল  দিতে হতো। 

মাত্র  ৫০০ টাকা দিয়ে  পুরো সপ্তাহের  ঘরের সব বাজার  করতে হতো।

যেখানে  ভালো অবস্থা য় একদিনের বাজার ই করতো ৫-১০ হাজার টাকার।যাই হোক।

✅সংগ্রামী জীবন 

তখন ১ম অনুধাবন  করি আমার কিছু  করা প্রয়োজন। তাই ১ম স্টেপ নিলাম শেলাই।যুবউন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে আমি শেলাই এর উপর  ট্রেনিং নেয়। কিন্তু  ঘরে  মেশিন না থাকায় তা অসমাপ্ত  থেকে যায়। এরপরই  আমি বল্কবাটিকের ট্রেনিং নেয়।

কিন্তু  তখন তো আর মোবাইলের যুগ ছিল  না।২ সন্তান  আর ঘরে  সমস্ত  দায়িত্ব  পালন করে   সময় করে  উঠতে পাছিলাম না আর কিভাবে  নিজের ব্যান্ডিং করতে হয় তাও জানতাম না।

এদিকে আমার বেবিরা ও আস্তে  আস্তে  বড় হলো। তখন চিন্তা  করলাম জব করবো তাই  আবারও  পড়াশোনা  শুরু করলাম কারন আমি কোনোদিকেই  পথ খুজে পাচ্ছি লাম না।

  এদিকে  ঘরে সবাই  আমার যে কোনো খাবার  খুব  পছন্দ  করতো তাই  চিন্তা  করলাম। রান্না র ট্রেনিং টা ও করে  ফেলি।

💕কিন্তু  টাকা কই পায়। তাই আমি বাজার  করা ফাকে  ফাকে কিছু  টাকা বাচলে তা জমা করতাম তা দিয়েই  আমি রান্না র ট্রেনিং টা করি।

এদিকে আমার স্বামী র অবস্থা  প্রায় ভালোর দিকে।সে আবার ও একএক করে ঘরে  সব ফার্নিচার নিল এবং আমার বেবিদের ভালো স্কুল  কলেজে এডমিশন  করালাম কিন্তু ওর বাবার  শখ সন্তান রা ভালো স্কুল কলেজে পরবে কিন্তু  আবার  ও ওর বাবার অবস্থা   খারাপ  হয়ে যায়  তার  বন্ধু  অনেক টাকা আত্মসাৎ  করে  দিয়ে চলে যায়। 

💕এদিকে  আমার অতিরিক্ত  পরিশ্রমে আমার পায়ের সব বেইন বল্ক হয়ে যায়। 

সন্তান দের  পড়াশোনা র খরচ ও আমার চিকিৎসা  খরচ  আমার স্বামী কিছু তেই গুছিয়ে  উঠতে পারছিলনা।

দেশে আমার এই রোগের কোনো চিকিৎসা  নেই। আমাকে বাধ্য  হয়েই ইন্ডিয়া যেতে হলো। আমার  একদিকে এনিমিয়া অন্য দিকে কার্ডিওভাস্কুলার রোগ  ২ টার চিকিৎসা র জন্য  গেলাম ওখানে

কিন্তু  তাতেও  কোনো লাভ হলো না, অনেক  টাকা প্রয়োজন। 

তাই চলে এলাম দেশে এরা আমাকে একধরনের  মেডিসিন  মোজা দেয় যে গুলো  ছিল  অনেক  দামি। দেশে পাওয়া ও যায়  না।

এদিকে  ঘরে  ঘরে বসে আমি ডিপ্রেশানে পরে যাবো বিধায়  হাসবেন্ড  ১ম একটা  স্কিন টাচ মোবাইল  নিয়ে দেয়। খুব ই অল্প দামের।সেই  মোবাইলে এফ বি তে ইউটিউব  থেকেস্যারের সেশন   গুলো নিয়মিত  করে  এবার  চিন্তা  করলাম উদ্যোক্তা হিসেবে ই কাজ করবো, আমি আবার একটা  সরকারি  ট্রেনিং এর

 সুযোগ   পেয়ে যায় তা ও এফ বিতে।

ঐ টা ছিল  ফ্যাশন ডিজাইনিং এর।ফ্যাশন ডিজাইনের পাশাপাশি  স্যারের শেসন গুলো পড়তাম  তখন ঘরে  কোনো ওয়াইফাই  ছিল না ডাটা দিয়ে  সব ইন্টারনেটে র কাজ করতে হতো

 পায়ের  প্রবলেম বেড়ে যাওয়ায়  অনেক  দিন  একটিভ থাকতে পারিনি গ্রুপে। প্রায় ৩ বার হসপিটালাইজড হই।

তাই তো  গ্রুপে একটু পিছিয়ে  তারপরও  গত ঈদে আমার সেল প্রায় ৫৭ হাজার।  অনেক  কাস্টমারকে ফেরত দিতে বাধ্য  হয়েছিলাম।আলহামদুলিল্লাহ 

হাজারো  প্রতিবন্ধকতায় আমি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা  করছি। 

🔶শিক্ষা জীবন শেষ করি 🔶একি সাথে    চট্টগ্রাম  মহসিন  কলেজ  থেকে বিবি এ কমপ্লিট করি পেন্ডামিকের আগে।

কারন আমি মনেকরি পড়াশোনা  সাথে  কোনো কিছু র তুলনা হয় না।

এতো কিছু র পর ও আমি পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে  যায়।

✅আমার উদ্যোগ জীবন 

আমি কাজ করছি একি সাথে  আমি  গ্রামিণ ফোনে খাবার  সাপ্লাই  ও করেছি।প্রায় ৩০-৪০ জন করে। আলহামদুলিল্লাহ। 

স্যারের সেশন  গুলো থেকে  ইন্সপায়ার হয়ে, কিভাবে  হাজারো প্রতিবন্ধকতায় আগাতে হয় তাই শিখেছি।নিজের  উদ্যোগকে কিভাবে  আগানো যায়  তার ডিটেইলস  ধারনা আমি স্যারের লাইভ সেশন  গুলো থেকে শিখেছি।।এর আগে আমার কোনো ধারনা ছিল  না।কিভাবে  কি করতে হবে।

🥰আমি  চেষ্টা  করছি  নিজের সাথে  এমন কিছু  মহিলাকে এগিয়ে  নিতে যারা ঘরে  বসে কিছু  করতে পারছে না নানা সমস্যা র কারনে।সে ই চিন্তা  মাথায় রেখে আমি কিছু  মেয়েদের  হাতের  কাজ  শিখিয়ে  নিজের  উদ্যোগের কাজ তাদের  দিয়ে  করাই যাতে তাদের  কিছু  ইনকাম হয়।তারা নিজেদের  স্বাবলম্বী  করতে পারে। 

💢সর্বশেষ 💢 কৃতজ্ঞ ও দোয়া প্রার্থনা করি প্রিয় শিক্ষক Iqbal bahr zahid স্যারের জন্য এবং যারা শুরু থেকে শেষ আমার জীবন কাহিনি মন দিয়ে পড়ে আমার পাশে থাকছেন সবাইকে আমার অন্তরের গভীর থেকে প্রাণডালা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল সবার প্রতি আমাকে সাপোর্ট করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞ 

💥আমি কাজ করছি✅

আমার পেইজের নাম

Porkola 

Milis cookings 

আমার আশা আমার ডিজাইন  করা কাপড়  গুলো  দেশের  বাইরে ও যাবে সারা পৃথিবীতে  আমার শোরুম  থাকবে ইনশাআল্লাহ। 

চট্টগ্রামের মানুষ  হিসেবে  কোয়াব মাংস ও রকমারি আচার এবং 

  দেশীয় প্রোডাক্ট  খাদি,মনিপুরী , জামদানী  ও নানাধরণের  তাতের কাপড়  গুলো  আলাদা ও নিজস্ব  লুক ও ডিজাইন  দিয়ে   সারা পৃথিবীতে  সমাদৃত  করা আমার সপ্ন।যা বাংলাদেশ  কে রিপ্রেজেন্ট করবে। 

আর আমার  মায়ের নামে একটা  ফ্রি ক্যান্সার হসপিটাল করা। যাতে অসহায়  মায়েরা এই হসপিটালে ফ্রিতে চিকিৎসা  পায়।

আমার কাজ অন্যের থেকে একটু আলাদা হয়ে থাকে  এবং  নিজের  কাজের  একটা  বিশেষত  রাখার  চেষ্টা  করি।

আশা করি  সবাই  পাশে থাকবেন। 

Porkola 

Miliscookings


📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৭৪

Date:- ২৮/০৩/২০২২ইং

মাসরেখা  সুলতানা মিলি

জেলা চট্টগ্রাম 

ব্যাচ নং ১১ 

রেজিঃ নং ২৩১১৮

বতর্মান অবস্থান-পাহাড়তলী চট্টগ্রাম 


ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।