See More Post

মেয়ে মানুষ হয়ে আমের বিজনেস করছি, এটা নিয়েও কম শুনতে হয়নি আমাকে....

  1. বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
    আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমতুল্লাহ
                   
    আজ বলবো আমার জিবনের গল্পের একটা অংশ
            💜 আমার জীবনের গল্প💜
                         

    শুরুতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে জানায় শোকরীয়া যে মহান আল্লাহ আমাদের কে সুন্দর সুস্হ ও সুখে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
    আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি লাখো দরুদ সালাম জানাচ্ছি।

    অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তার প্রতি যিনি আমাদের এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন, আমার মত লাখো বেকারদের ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস যুগিয়েছেন এবং নিজের জীবনের  গল্প লিখার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।  সেই প্রিয় মেন্টর জনাব  Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি

                    💜আমার জীবনের গল্প💜

    🌺পারিবারিক পরিচয় 🌺

    গল্পের শুরুটা করছি  আমার পরিবারের পরিচয় দিয়ে।
    আমার বাবা একজন প্রথম শ্রেনির সরকারি  অফিসার, মা গৃহিণী।
    আমরা তিন ভাই-বোন,  বড় ভাই, আমি মেজ এবং ছোট ছোট ভাই।
    আমি ছোট থেকেই পড়াশুনাতে ভালো,  সব সময় যে ফাস্ট,সেকেন্ড হয়েছি তা নয় কিন্তু রেজাল্ট সব সময় ভালো থাকে। এস.এস.সি থেকে এম.এস.সি সব সময়  ফাস্ট ক্লাস।
    বাবার চাকুরির কারনে আমার বেড়ে উঠা শহরে।  ২/৩ বছর পর পর বদলির কারনে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা এবং বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে মিশার সুযোগ হয়েছে।


    🍂চাকরি যুদ্ধ 🍂

    জিবনের লক্ষ ছিল শুধু চাকরি না, একটা ভালো চাকরি আমার চাই চায়ই। দিন নাই, রাত নাই  চাকুরির পড়া। প্রাইভেট, কোচিং,গ্রুপ স্টাডি,  পেপার, টিভির নিউজ কোন কিছু বাদ নাই।
    প্রতি মাসে আমার হোস্টেলে থাকা খাওয়া যে খরচ হত তার থেকে বেশি  টাকা লাগতো আমার বিভিন্ন চাকরির এপ্লিকেশন করতে এবং পরিক্ষা দিতে যাওয়া আসার খরচে।
    এতো এতো চাকুরির পরিক্ষা দিলাম যে এডমিট কাডে ফাইল ভরে গেল।
    অনেক যাইগায় টিকেও গেলাম, তারপর ভাইবা তে এসে শুরু হলো টাকার অংকের হিসাব। আমি কত দিতে পারবো....
    এর মধ্যে বি.সি.এস প্রিলিমিনারিতে টিকে গেলাম কিন্তু রিটেনে আর হলো না।
    আবার শুরু হলো বি.সি.এস পরিক্ষার প্রিপারেশন.....
    চাকরি তো আমার চাই

    🌹🌹বিবাহিত জীবন🌹🌹

    হটাৎ দুই দিনের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেল। আমাকে বলা হলো ছেলের দুলাভায়েরা অনেক ভালো ভালো জায়গাই চাকরি করে এবং ছেলে রাজনৈতিক দলের সাথে জরিত,  আমাকে একটা ভালো চাকরি পেয়ে সাহায্য করবে।আমি রাজি হয়ে গেলাম।
    বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই পেগনেন্ট হয়ে গেলাম,  ডাক্তারের  সাবধান বানির কারনে আমি কোথাও জার্নি করতে পারলাম না।  সেই সাথে একটার পর একটা পরিক্ষার ডেট মিস করতে থাকলাম।
    আমার মনের মধ্যে কি ঝড় বয়ে যাচ্ছে একমাত্র আমি অনুভব করছি। কাওকে আমার খারাপ লাগা গুলো বলতেও পাড়িনা। কারন আমি যে কষ্ট করে প্রিপারেশন নিয়েছি তা আমি জানি,আমার স্বপ্ন গুলো ধুলাই মিশে যেতে দেখলাম🥺🥺
    আমার আশে পাশের মানুষ বলবে তোমার বাচ্চার চেয়ে চাকরি আগে।  কিন্তু আসলে তা নই, ওই সময় আমার কাছে  যে খারাপ লাগছিল তা আমি আপনাদেরকেও বোঝাতে পারবো না এটা পুরোটা অনুভব করার বিষয়।

    শুরু হলো সংসার জীবন। পুরো দমে লক্ষী বউয়ের মত সংসার সন্তান সামলাতে ব্যস্ত......
    সারাদিন সংসারের কাজ করি আর মনের মধ্যে লুকাযিত অতৃপ্ত বাসনা😥
    ভাবতে থাকি এভাবেই জিবন শেষ হয়ে যাবে

    আমি সেলাই এর কাজ জানি, ব্লক,বাটিক,হ্যন্ডপেন্ট, গ্লাস পেন্ট, কুরুজ কাটার কাজ পারি
    মনে মনে ভাবতে লাগলাম এসব দিয়ে কিছু করতে পারি।
    কিন্তু কিছু করতে চাইলেই তো আর করা যায় না, অভিঙতার প্রয়োজন, গাইড লাইনের প্রয়োজন......

    🌱🌱ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প🌱🌱

    এরই মধ্যে অনলাইন উদ্যোক্তা ভিত্তিক বেশ কয়েকটা গ্রুপে এড হয়। এই গ্রুপ গুলো থেকে অনেক ধরনের কাজ সম্পকে জানতে পারলাম।  সাথে গ্রুপের ভিতরের  অনেক ভালো মন্দ বিষয় বুঝতে পারলাম।
    বিভিন্ন গ্রুপ ফলো করতে করতে এক পর্যায়ে  আমার প্রিয় "নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের" সন্ধান পায়
    আলহামদুলিল্লাহ
    মনে মনে আফসোস হতে লাগলো আরো আগে কেন এই ফাউন্ডেশনের সন্ধান পেলাম না।
    এবং প্রিয় এই ফাউন্ডেশনকে  ফলো করতে থাকলাম।
    ১৪ তম ব্যাচে রেজিস্টেশন করি এবং টানা ৯০ দিনের সেশন  অনুশিলন করি,সেই সাথে স্যারের ইউ টিউব ভিডিও গুলো ফলো করি❤️❤️❤️❤️

    এক সময় সাহস করে কাজে নেমে পরি।
    আমার বড় ননদ দেন ৫ হাজার টাকা এবং আব্বার কাছ থেকে নেই  ৫ হাজার টাকা।
    এই ১০ হাজার টাকার কিছু থ্রিপিস কিনে আল্লাহ্‌র নামে শুরু করে দেয়।
    আলহামদুলিল্লাহ এখন আমার স্টকে ১ লাখের উপরে প্রডাক্ট আছে।

    কাজ শুরু  করার পর শুরু হয় আরেক অধ্যায়,  প্রতিটি মূহুর্তে সমালোচনার শিকার হচ্ছি। এই পরিবারের মেয়ে, এমন পরিবারের বউ, শেষ পযন্ত এই কাজ, এতো পড়া লেখা করে কি হলো, এতো টাকার লোভ, এতো টাকা কোথায় রাখবেন.........
    আব্বাকেও অনেকে ধরে ধরে নানা রকম কথা শোনাতে থাকলো, আব্বাও আমাও উপর রেগে গেল।সব বাদ দিতে বললো। আমি কিছুই করতে পারবো না বলে দিলো। 
    বড় ভাই ও রাগ করলেন, শুধু শুধু সময় নষ্ট করছি। সবার মান সন্মান নষ্ট হচ্ছে।আরো অনেক কিছু.......

    সরাসরি কাওকে কোন জবাব দেয় নি।  মনে মনে জেদ করেছি আমি তো কিছু একটা করে দেখাবো,  আর শুধু সময়ের অপেক্ষা করছি।

    যেহেতু তেমন বাস্তব কোন অভিঙতা ছিল না তাই অনেক ঠগেছি, বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। আমার  ছোট ছোট দুইটা বাচ্চা এদের নিয়ে পন্য সোর্সেস জন্য বাইরে বের হওয়া অনেক সমস্যা হত তাই বেশির ভাগ অনলাইনের মাধ্যম নিতাম এগুলো থেকে  প্রতারিত হয়েছি।
    হাসবেন্ড, ননদ বললেন এখনো সময় আছে সব বাদ দাও.....
    কিন্তু আমি অনর

    ব্যবসায়ীক অভিঙতা ২ বছরের হচ্ছে
    আল্লহর রহমতে এখন ভালো মন্দ পার্থক্য বুঝে গেছি।
    অনেক বার হোচট খেয়ে পরে গেছি, আবার উঠে দাড়িযেছি।
    হার মানিনি।
    মনে মনে একটাই কথা নিজেকে বুঝায় আমাকে পারতেই হবে, যে যা বলুক কারো কথায় কান না দিয়ে আমাকে লক্ষে পৌছাতেই হবে......

    পোশাকের পাশাপাশি চাঁপাই নবাবগঞ্জ এর আঞ্চলিক খাবার আটার নারু, কুমড়ো বড়ি নিয়ে কাজ শুরু করেছি এবং আল্লহর রহমতে ব্যপক সারা পায়েছি।

    গত বছর আমের সিজনে আম নিয়ে কাজ করেছি। চাঁপাই নবাবগঞ্জ এর ফরমালিন মুক্ত ফ্রেস আম তুলে দিতে পেরেছি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
    আলহামদুলিল্লাহ

    মেয়ে মানুষ হয়ে আমের বিজনেস করছি, এটা নিয়েও কম শুনতে হয়নি আমাকে....
    আম নিয়ে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমি প্রিয় এই ফাউন্ডেশন থেকেই, স্যারের শেসন, এবং পোষ্টের মাধ্যমেই।
    অনলাইনে প্রথম আম সেল হয় এই গ্রুপের মাধ্যমেই ❤️❤️

    এই ছিল আমার জিবনের একটা গল্পের অংশ।
    তবে আমি আমার জিবনের গল্প নই,
    আমার জিবনের সফলতার গল্প বলতে চাই।
    আপনাদের দোয়া, ভালবাসা আর সহযোগীতা চাই, যেন খুব তারাতারি জিবনের সফলতার গল্প শুনাতে পারি❤️❤️

    স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৭৪
    তারিখ-২৮/০৩/২০২২

    আমি
    মাহফুজা আক্তার
    ব্যাচ নাম্বারঃ ১৪
    রেজিস্টেশন নাম্বারঃ ৬২৫২৪
    জেলাঃ চাঁপাই নবাবগঞ্জ
    পেজঃ Wasia Collection

    ভালবেসে সবাই আমার পেজ থেকে ঘুরে আসবেন প্লিজ

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।