See More Post

নিজের চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না। কাঁদতে থাকলাম অজ্বরে।

🌺বিসমিল্লাহির রাহমির রাহীম🌺

             🌹আসসালামু আলাইকুম🌹

🌺আমার জীবনের বাস্তবতার গল্প 🌺

🖋🖋আমার লেখার শুরুতেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে  এই সুন্দর পৃথিবীতে প্রেরন করেছেন এবং এখনো সুস্থ রেখেছেন। সেই সাথে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি আমার গর্বধারনী মা এবং  আমার জম্ন দাতা পিতাকে।  কারণ তাদের দুজনের চাওয়া পাওয়া এবং  আল্লাহ্ তালার রহমতে আমি  এই সুন্দর পৃথিবীতে  ভূমিষ্ঠ হয়েছি। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার প্রিয় শিক্ষক, যিনি আমার ঘুমন্ত স্বপ্ন গুলোকে আবারও  জাগ্রত করেছেন,  নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের  প্রতিষ্ঠাতা আমাদের সকলের প্রাণ প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স‍্যারকে🖋🖋
🖍🖍আমার জম্ন ১৯৯৩ সালে, শেরপুর জেলার নকলা থানায়, আমার বাবা একজন ছোট ব‍্যবসায়ি এবং  কৃষক। মা গূহিনী। আমরা তিন ভাই বোন নাই। আমি  দ্বিতীয়।
পারিবারিক  সমস্যার জের ধরে আমার বাবা তার মা বাবার সাথে রাগ করে চলে যান আমার  নানা বাড়িতে। সেখানে গিয়ে ব‍্যবসা করে আমাদের পরিবারের  সকল খরচ বহন করেন এবং  আমাদের তিন ভাই কে লেখা পড়া করান। নানা বাড়িতেই কাটে আমাদের  বিশ টা বছর। সেই বিশটা বছর অনেক লোকের মুখে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। সব কথা মেনে নিয়েই আমরা তিন ভাই আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। এখন আমরা নিজের বাড়িতে থাকি। কেউ আর বলেতে পারে না নানার বাড়ি থাকিস। আমার বাবা খুব সহজ সরল একজন মানুষ। পার্টনারশিপে ব‍্যবসা করতে গিয়ে  দুই জন লোক আমার বাবাকে ঠকিয়েছে। সেই দুইজন এখন সর্বহারা কিচ্ছু নেই তাদের। কিন্তু আমার বাবার বড় সম্পদ  আমারা তিন ভাই।  আমার বড় ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ছোট জন গাজীপুরে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে আর আমি  একজন রেমিটেন্স  যোদ্ধা।সৌদিপ্রবাসী🖍🖍
🖋🖋আমার ছাত্রজীবন: ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী ছিলাম। তাই কোন সময় পরীক্ষায় ফেইল শব্দ টা দেখতে হয়নি। কিন্তু  এসএসসি পরীক্ষার ঠিক আগ মূহুর্তে একজনের প্রেমে পড়ি এবং তার কারণে পরিক্ষায় ভালো করতে পারিনি টেনেটুনে পাশ করেছি। তারপর বুঝতে পারি সেই মেয়েটি আমার জীবনের জন‍্য অভিশাপ । নিজের ভুল বুঝতে পেরে নতুন করে শুরু করলাম লেখা পড়া।ভর্তি হলাম আমাদের শেরপুর সরকারি কলেজে। খুব ভালো করে পড়াশুনা করতে থাকলাম এইচ এস সি তে। ফাইনাল পরিক্ষা দিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ফাইনাল পরিক্ষায়  ইংরেজিতে  ফেইল আসে। কিন্তু  আমার বিশ্বাস ছিলো আমি ফেইল করার মতো ছাত্র না তাই বোর্ড চ‍্যালেঞ্জ করি পরবর্তীতে আমার  রেজাল্ট আসে ৪.৫০ ।  তারপর বিবিএস এ ভর্তি হোই ঢাকা  তেজগাঁও কলেজে ২০১১ সাল। লেখাপড়ার পাশাপাশি  কিছু করতে হবে সেই চিন্তাই দৌড়াতে থাকি। পার্টইম চাকরি করতে গিয়ে তিন যায়গাই  প্রতারিত হোই। তখন যদি নিজের বলার মতো একটা গল্প  ফাউন্ডেশন থাকতো, ইকবাল বাহার জাহিদ স‍্যারের মতো একটা মেন্টর থাকতো তবে হয়তো আমাকে প্রতারিত হতে হতো না।পরে এক মামার সহযোগিতাই  নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানিতে যুক্ত  হোই সেখানে অনেক ট্রেনিং করি এবং  বড় নেটওয়ার্কার হবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি কিন্তু ২০১২ সালে সেই স্বপ্ন  দুলাই দুলিস্বাদ হয়। সেই সাথে লেখা পড়ার খুব ক্ষতি হয়।শেষ পযর্ন্ত ঢাকা ছাড়তে হয় আমাকে। 🖋🖋
🖍🖍আমার কর্মজীবন : ২০১২সালে  আমার নানা নানি হজ্বে চলে যান।সেই সূত্রে আমার নানার  ফার্মেসী দেখাশোনার দায়িত্ব আসে আমার উপর কিন্তু সেখানেও বেশিদিন স্থায়ী হতে পারিনি বিয়ে করার কারণে আমার নানা আমার উপর অভিমান করে ফার্মেসীতে আসা বন্ধ করে দেন।তাই আমিও ফার্মেসী ছেড়ে গাজীপুর  চলে আসি আমার বউ কে নিয়ে।  গাজীপুরে এস কে এফ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি নেই স্টোর কিপার হিসাবে। যে টাকা বেতন পেতাম তা দিয়ে ভালোই চলতে ছিলো দুজনের ভালোবাসার সংসার। কিন্তু দুই বছর পর বদলি জনিত কারণে আমার  বউ এর  লেখা পড়া ঠিক রাখার স্বার্থে সেই চাকরি টাও ছাড়তে হয়। আবার চলে যেতে হয় বাড়িতে। বাড়িতে   এসে বড় ভাই এর সহযোগিতাই স্টেশনারী প্লাস বাচ্চাদের ফোড আইটেমের একটা দোকান দেই।  কিছু দিন পর আমাদের ভালোবাসার সংসারে আল্লাহ্তালা খুব সুন্দর একটি ছেলে সন্তান দেন কিন্তু  সে অসুস্থ অবস্থাই দুনিয়াতে আসে। তাকে নিয়ে আঠারো দিন হসপিটালে থাকি। এবং আঠারো দিন বয়সে সে ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়। তার পিছনে আমার ছোট ব‍্যবসার প্রায় সব পুঁজি  খরচ হয়ে যায়। তারপর এক বন্ধুর সহযোগিতা পেয়ে দোকানের পাশাপাশি শুরু করি  ডিলার শীপ ব‍্যবসা। অল্প দিনে খুব ভালো পরিচিতি হয় মার্কেটে। প্রাণ,অলম্পিক, বসুন্ধরা কোম্পানির মতো বড় বড় কোম্পানি  প্রস্তাব করেন তাদের সাথে ডিলারশীপ ব‍্যবসা করতে কিন্তু আমার  পুঁজি কম। পুঁজির কথা বড় ভাইকে বললে সে প্রস্তাব দেয় প্রবাসে যাওয়ার। নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রাজি হোই।🖍🖍
🌹🌹আমার  প্রবাস জীবন: ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে সৌদিতে আসি এক বুক স্বপ্ন নিয়ে। আসার পর আমি বুঝতে পারলাম  টাকা দিয়ে জেলখানার জীবন বেছে নিয়েছি। যে আমি পরিবার বা আত্মীয় স্বজনদের বিপদে আপদে সবার আগে থাকতাম সেই আমি এখন খুব  একা।  সারাদিন ব‍্যস্ত থাকার পর যখন রাতে ঘুমাতে যেতাম তখন সবাই কে খুব মনে পরতো মিস করতাম সবাইকে।  তবুও নিজে নিজে ধৈর্যধারন করতাম। এভাবে কয়েকটি মাস কেটে গেলো।আসলো ঈদুল ফিতর, আল্লাহ্ তালার রহমতে পবিত্র  হেরাম শরীফে গেলাম ঈদের নামাজ পড়তে, চতুর দিকে লাখো  লাখো মানুষ  কিন্তু  কষ্টের বিষয় ছিলো কেউ আমার পরিচিত না। মনে পড়ে গেলো অতীতে কাটানো সব ঈদের নামাজ গুলোর স্মৃতি, যে বাবার পাশে বসে ঈদের নামাজ আদায় করতাম সেই বাবা আজ পাশে নেই, পাশে নেই ভাই বা আদরের ভাতিজা দুটো সবাই কে খুব  মনে পড়ে গেলো নিজের চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না। কাঁদতে থাকলাম  অজ্বরে। আমার পাশে বসে ছিলো এক সৌদি সে শুধু  আমার দিকে তাকিয়ে দেখছে। নামাজ শেষ করে বাসায় গিয়ে কিছু না খেয়ে শুয়ে শুয়ে কাঁদলাম অনেকখন। ঈদের দিন  মার হাতের সেমাই খাওয়া হলো না এই প্রথম বার। কষ্ট গুলো বুকে চাপা দিয়ে কেটে গেলো ঈদের দিনটা। আস্তে আস্তে মানিয়ে নিলামনিজেকে প্রবাস জীবনের সাথে। ভালোই চলতে ছিলো দিনগুলো।  কিন্তু করোনা ভাইরাস  আসার পর থেকে খুব  সমস্যায় পড়ি। যে টাকা বেতন পেতাম নিজে খরচ করে দেশে টাকা পাঠানো খুব কঠিন হয়ে পরলো। চিন্তা করতে শুরু করলাম কি করা যায়। রাত জেগে মোবাইলে গুগলে উইটুবে খুজতে থাকলাম সমাধান।
🌺🌺🌺যে ভাবে যুক্ত হলাম নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে: You tube চালাতে চালাতে হঠাৎ করেই চোখে পড়ে গেলে  লাখো মানুষের মেন্টর প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স‍্যারের UTV লাইফ। ভিডিও টা খুব  মনে যোগ দিয়ে দেখলাম এবং চ‍্যানেলটি স‍্যাচঙ্কাইভ করলাম। নতুন নতুন  ভিডিও গুলোর নটিভীকেশন আসতে শুরু করলো আমিও দেখতে থাকলাম। প্রিয় স‍্যারের কিছু কথা খুব  পছন্দ হলো আমার। যেমন ১.
                  🎿 স্বপ্ন দেখুন,
                     🎿 সাহস করুন,
                        🎿 শুরু করুন
                     🎿এবং ধৈর্যধরে  লেগে থাকুক
                       সফলতা আসবেই
২. বৃষ্টি সবার জন‍্যই আসে কেউ ভিজে কেউ ভিজে না। সব মিলিয়ে প্রেমে পড়ে গেলাম প্রিয় প্লাটফর্মের এবং  রেজিট্রেশন  করে ফেললাম। সময় যতো যেতে থাকলো স‍্যারের দেওয়া সেশন গুলো  পড়ে নিজের ভিতর খুব  আত্মবিশ্বাস তৈরি হতে থাকলো। নিজে নিজেকে বললাম  আমিও পারবো উদ‍্যোক্তা হতে একজন ভালো মানুষ  হতে।
🌹🌹আমার জীবনে প্রাপ্তি: আল্লাহ্তালার রহমতে ছয়টি উমরা সম্পন্ন করেছি। আল্লাহ্ বন্ধু, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেছি। আমি আমার ভালোবাসার মানুষটিকে  জীবন সঙ্গী হিসাবে পেয়েছি এবং মা বাবা ভাই ভাবি এবং ছোট বাচ্চাগুলোকে নিয়ে এখনো এক সংসারে আছি। সবমিলিয়ে  আলহামদুলিল্লাহ্।
🌹🌹পরিশেষে  প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স‍্যারকে হাজারও সালাম  এমন একটা প্লাটফর্ম  তৈরি করে দেওয়ার জন‍্য, আপনার এই প্লাটফর্মের জন‍্য আমি আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখি আমি প্রবাস জীবন শেষ করে একজন সফল উদ‍্যোক্তা হবার। প্রিয় স‍্যার আপনার  দিকে তাকিয়ে আছে আমার মতো স্বপ্ন হারানো লাখো লাখো তরুণ, আপনি পারবেন তাদের আবার  স্বপ্ন দেখার সাহস যোগাতে।আপনার জন‍্য এবং  আপনার পরিবারের জন‍্য অনেক অনেক দোয়া  রইলো প্রিয় স‍্যার আল্লাহ্ আপনাকে  নেক হায়াত দান করুক। আমিন,আমিন,আমিন

📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৭৬
তারিখ ০২-০৪-২০২২
🎿  আতিউর  রহমান 

🎿 ব‍্যাচ নং:১২ 

🎿রেজি নং:৪৮৮৩৬

🎿নিজ জেলা :শেরপুর, (নকলা থানা)
🎿বতর্মান অবস্থান সৌদিআরব মক্কা

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।