See More Post

কচ্ছপের গতিতে চলতে চলতে একদিন ঠিক আমার কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছে যাবো

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম

🥰আজ আপনাদের কাছে আমার জীবনের গল্প বলতে এসেছি।

আমার বিশ্বাস আপনারা আমার গল্পটা একটু সময় নিয়ে পড়ে যাবেন।

প্রথমে হাজার শুকরিয়া জানাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে যিনি আমাদের রিজিক ও বিভিন্ন ধরনের নিয়ামত দিয়ে এখনো পৃথিবীতে  সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

সালাম ও দরুদ পাঠ করি আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা মোবারকে।

আরো সালাম ও ভালোবাসা জানাই আমার প্রিয় বাবা ও মায়ের পদতলে।

নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা Iqbal Bahar Jahid   স্যারের প্রতি অন্তরের অন্তস্থল থেকে  অফুরন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি আমার জীবনের কিছু কথা,,,,৷

☘️জীবনের গল্প 🍀

আমি মাকসুদা মুক্তা
আমি আমার জীবনের গল্প লিখছি

🌷আমার  জন্ম ও ছোট বেলা

আমার জন্ম ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানায়। আমার বেড়ে ওঠা গ্রামের মধ্যবিত্ত একটা পরিবারে। আমার বাবা ছিলেন  একজন স্কুল  শিক্ষক।
আমরা পাঁচ ভাই-বোন। দুই ভাই তিন বোন। আমি হলাম সবার ছোট।

🌼আমি প্রাইমারি ও হাই স্কুল আমার গ্রামের স্কুল থেকে ই শেষ  করি।স্কুলে পড়ার সময়  ছবি আঁকা ও গান গাওয়ার প্রতি খুব ঝুক  ছিল।

আমার  বাবা, ভাই খুব ধার্মিক ছিলেন আমিও ছোটবেলা থেকেই নামাজ-কালাম পড়তাম তাই কলেজে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে গান গাওয়া,  ছবি আঁকা  সব কিছু ছেড়ে দিলাম।

এইচ এস সিতে পড়ার সময়  আমার বিয়ের কথা আসতো আমার  বিয়ে করার ইচ্ছে  ছিলো না। তাই
আমি খুব কান্নাকাটি করতাম আমার ইচ্ছে  ছিলো পড়া লেখা করার।

আমার বাবাকে অনেক ভয় পেতাম সরাসরি কিছু বলতে পারতাম না🤭একদিন  সাহস করে বাবাকে বলে ফেললাম বাবা আমি পড়ালেখা করতে চাই এখনই বিয়ে করতে চাই না।

আমার বাবা আমাকে কথা  দিলেন পড়া লেখা শেষ  করার আগে  আমাকে বিয়ে দিবেন না। 🥰

আমি মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করছিলাম ভালো রেজাল্ট করলাম।
অনার্স ভর্তি হলাম সমাজবিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে। বেশ ভালোই চলছিল পড়াশোনা।

অনার্স চতুর্থ বর্ষে  যখন পড়ি তখন  আমার বাবা চাকরি থেকে রিটায়ার্ড করলেন।
অনার্স ফাইনাল  পরীক্ষা  দিয়ে ফেললাম।

টাকা জোগাড় করতে যদিও অনেক কষ্ট হলো তারপরও বিসিএস এর জন্য কোচিং এ ভর্তি হলাম  পড়াশোনা করছিলাম।

🌿প্রাইমারি স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা পদে চাকরির জন্য লিখিত পরীক্ষা দিয়ে আমি পাশ করলাম।

অনেকে বলেছিলো ভাইবার জন্য কিছু টাকা দিলেই  চাকরিটা হয়ে যাবে কিন্তু আমার বাবা  আমাকে বললো টাকা দিয়ে চাকরি  প্রয়োজন নেই,,,

যে টাকা দিয়ে চাকরি নিবে সে টাকা দিয়ে তুমি বিজনেস করতে পারো,,😊
❤️সেদিন থেকেই মনের মধ্যে বিজনেস এর প্রতি একটা ভালোলাগা তৈরি হয়েছিল।

অনার্স কমপ্লিট হল মাস্টার্স ভর্তি হলাম চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলাম।

🌺বিবাহিত জীবন শুরু
          চাকরীর আশা মন থেকে মুছে ফেলা,,,,😪,

❤️এক যুবকের  সাথে আমার পরিচয় হলো সেও চিটাগং ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করে চাকরির জন্য পড়াশোনা করছিল।

চলার পথে পরিচয় হলো,,,চাকরির ব্যাপারে কথা বলার জন্য ফোন নাম্বার দেয়া নেয়া হলো। কথা হতো নিয়মিত  কিন্তু  প্রেমের  কথা  নয় পড়া লেখার ব্যাপারে।

এরই মধ্যে   আমার পরিবার পাত্র দেখতে শুরু করলো।
😍 সেই যুবক আমাকে জানালো  সে আমাকে পছন্দ করে।

🌺আমি তাকে বলেছিলাম যে প্রেম করার  মত সময় ও সুযোগ কোনটাই নেই কেননা ফ্যামিলি থেকে আমার বিয়ের জন্য পাত্র দেখছে। তখন সে আমাকে বলেছিলো সে আমাকে বিয়ে  করতে চায়।

🍀তখন সে মাত্র চাকরির চেষ্টা করছে এরই মধ্যে
তার  প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক পদে ভাইভা রেজাল্ট হলো,,,, ওনার চাকরি  হলো।

কিন্তু ওনার পরিবারের  কেউ চাচ্ছিল না সে প্রাইমারি স্কুলের চাকরি করবে কেননা সে এরই মধ্যে বিসিএস প্রিলিমিনারি পাশ করেছে এবং বি সি এস লিখিত জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছিল।

☺️আমার বিয়ের কথা শুনে সে তার ফ্যামিলিতে  জানালোএবং প্রাইমারি স্কুলে জয়েন করলো।
কেননা বেকার  ছেলের  কাছে বিয়ে দিতে আমার পরিবার রাজি হবে না।

💕যাইহোক  দুই ফ্যামিলির সম্মতিক্রমে  বিয়ে হয়ে গেল। আমাদের বিয়ের পর পরই আমার হাজবেন্ডের একে একে পাঁচটি সরকারি চাকরি হলো ওনি জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে জয়েন করলো।
তখন আমিও চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলাম কিন্তু আমার হাসবেন্ড এবং পরিবারের সবাই চাচ্ছিল আমি যেন চাকরি   না করি।

আমার  স্বামী  আমাকে যুক্তি দেখালো সে ব্যাংকে চাকরি  করে।
আমিও যদি চাকরি করি তাহলে  আমাদের সংসার ও বাচ্চাদের সময় দেয়া হবে না।
☺️আমরা নারী আমরা চাই সংসারের শান্তি। তাই সংসারে শান্তির কথা চিন্তা করে,  শ্বশুর বাড়ির  সবার  কথায় আমি সিদ্ধান্ত নিলাম চাকরি  করবো না।

😪বিয়ের পরও চাকরির  লিখিত পরীক্ষার জন্য অনেক  চিঠি আসতো কিন্তু  পরীক্ষা  দিতে যেতাম না। কিযে কষ্ট  লাগতো বলে বুঝাতে পারবো না😭😭😭

প্রথমে আমার   হাসব্যন্ডের পোস্টিং হলো জামালপুরে আমিও ওনার সাথে ওখানেচলে গেলাম।

স্বপ্নের মতো আনন্দময় ছিল সেদিন গুলো কারন আমরা   বিয়ের পর প্রেম করছিলাম  🥰🥰

বিয়ের  ২ বছর পর আমি মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহন করলাম।
আমার প্রেগনেন্সি অবস্থায় আমার হাসবেন্ডের ট্রান্সফার হল টাংগাইল।
আমরা চলে আসলাম   টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানায় আবার  পরিবারের  সাথে থাকতেশুরু করলাম।

☺️প্রথম মা  হওয়া  ও আমাদের  দু জনের সংসার  ছেড়ে জয়েন ফ্যামিলির  সাথে থাকা,,, সব কিছু  খাপ খায়িয়ে নিতে আমার খুব  কষ্ট  হচ্ছিলো। 😪

আমার  হাসবেন্ড তার নিজস্ব এলাকায় এসে অনেক বন্ধুবান্ধব পেলো ওনার এখন বাইরে সময় কাটানোর  অনেক  সুযোগ।

কিন্তু  আমি  খুব  বরিং ফিল করতাম।
🤔তাই মনে মনে ভাবতাম আমি যদি কোন জব করতাম তাহলে হয়তো  আমার সময় গুলো ভালো কাটতো।
তখন থেকেই মাথায় একটা চিন্তা কাজ করছিল নিজে   কিছু করার।
এসব চিন্তা করতে করতে  আমি আবারও মা হলাম🥰

এখন দুটো বাচ্চা সংসার নিয়ে অনেক  সময়  এত বেশি ডিপ্রেশনে থাকি বিরক্ত লাগে।।

তাই নিজে থেকে ভাবলাম না আর থেমে থাকা যাবেনা আমার একটা নিজস্বতা চাই।

চাই আমার নিজস্ব কিছু সময়  যে সময়টা একান্তই আমার।

🌺উদ্যোক্তা জীবন শুরু,,,,,

আমার পাশের বাসার এক ভাবি তার সংসারে অনেক ধরনের অশান্তি আমার সাথে শেয়ার করতো।ওনার স্বামী নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তাই সংসারে সব সময় অভাব লেগে থাকতো।

ভাবীকে বললাম আপনিতো অনেক ধরনের হাতের কাজ, সেলাই কাজ সবকিছু জানেন তাহলে নিজে কিছু করেন।
সে বললো  কাজ করে এগুলো বিক্রি করবো কোথায়?
আমার কাছ থেকে কে কিনবে?

🌹তখন আমার মাথায় এটা বিষয়  কাজ করলো যে  আমি নিজে যেহেতু  কিছু করতে চাচ্ছি সেখানে উনাদেরকে কর্মী খাটিয়ে যদি নিজে কিছু করতে পারি তাহলে উনাদেরও উপকার  হয় আমারও একটা কাজ  করার সুযোগ  হয়।

আর এটা ঘরে বসেই করা সম্ভব ।

আমার হাজব্যান্ড কে জানালাম আমি একটা উদ্যোগ নিতে চাই। আমার হাসবেন্ড প্রথমে রাজী হতে চায়নি বললো এসব পারবেনা শুধু  শুধু টাকা নষ্ট করবে।

আমি তখন আমার হাসবেন্ড কে বলেছিলাম আমি তোমার কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেব না আমাকে  শুধু অনুমতি দাও। ওনি আমাকে অনুমতি দিয়েছিল।

🥰একটা পেইজ খুললাম দুজনে মিলে একটা পেইজের নাম ঠিক করলাম।

সেটা ছিল অক্টোবর মাস। অক্টোবর  মাস আমার জন্য একটু বেশি স্পেশাল  🥰🥰
কেননা এ মাসে আমার বিবাহ বার্ষিকী ছিল।

💕এই বিশেষ দিনে  আমার হাজব্যান্ড আমাকে একটা ডায়মন্ডের নাকফুল কেনার জন্য ১৫০০০  টাকা দিয়েছিল। বলেছিলো বিয়ের  সময় দিতে পারিনি তাই এখন দিলাম 🥰

আমি সেই টাকা দিয়ে গয়না না কিনে আমার উদ্যোগ শুরু করলাম মাত্র ৪০০০ টাকা  নিয়ে । প্রথমে বেবি ড্রেস ও হাতের কাজের কাস্টমাইজড ড্রেস নিয়ে। 

শুরুর দিকে অনলাইন বিজনেসের সামান্য কিছু ধারণা নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিতে শুরু করলাম। কিন্তু    ভালো সারা পেলাম না😪

প্রথমে আশেপাশে পরিচিত  লোকই ড্রেস অর্ডার করতো।
তারপর আমি ইউটিউবে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে মাঝে মাঝে  সার্চ দিতাম আমাদের প্রিয় Iqbal Bahar Zahid স্যারের ভিডিও  গুলো আসতো।

ভিডিও দেখে খুব ভালো লাগলো কথা গুলো।
সময় পেলেই Iqbal Bahar Zahid স্যারের ভিডিও গুলো দেখতাম।
আমি ধীরে ধীরে স্যারের অনেকগুলো ভিডিও দেখে ফেললাম।
স্যারের ৭৭ তম সেশনের সেই কথাগুলো আমার হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছিল।

"নিজের পরিচয় হচ্ছে শুধুমাত্র নিজের কাজ "

"একজন ব্যস্ত মানুষকে কারো জন্য অপেক্ষা করতে হয় না"।

🍀আমি নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর গ্রুপে  অনেক আগে থেকেই যুক্ত ছিলাম  কিন্তু কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় এবং রেজিস্ট্রেশন করে সেশন চর্চা ক্লাস  করতে হয় সে বিষয়ে কোনো ধারণা ছিল না।

ট্রেনিং এর কথা শুনে আমি ভাবতাম এটা বুঝি সরাসরি করতে হয়। তাই কখনো রেজিস্ট্রেশন করার চেষ্টা করিনি।

তারপরে আমি এই গ্রুপের এক আপুর কাছ থেকে একটি পণ্য নিয়েছিলাম।ওনার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম সেশন চর্চা ক্লাস সম্পর্কে।দেরি না করে রেজিষ্ট্রেশন  করে ফেললাম।
🥰সেশন চর্চা ক্লাসগুলো করতে থাকলাম,,,, বেশ ভালোলাগা কাজ করছিল।

☺️মনে হচ্ছিল আরো আগে থেকে ক্লাস শুরু করা উচিত ছিল।  আমি প্রত্যেকটা সেশন ক্লাস মনোযোগের সাথে করতে লাগলাম এবং নিয়মিত করতে লাগলাম।
সেশন গুলো আলোচনা করতে আমার খুব ভালো লাগতো। সেশন চর্চা  ক্লাসগুলো করতে করতে আমি হয়ে উঠলাম আত্মবিশ্বাসী।

☺️স্যারের লেগে থাকার সেই মন্ত্র আমাকে আরো উৎসাহিত  করতে শুরু করল। 

কথা বলার জড়তা আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সেশন চর্চার ক্লাসে  কথা বলে   সেই জড়তা গুলো কেটে গেল।

আমাদের টাংগাইল জেলায় যারা দায়িত্বে আছেন তারা একদিন ঘোষণা দিলেন যারা নিয়মিত ক্লাস করবে   তাদের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা রয়েছে। মনে  মনে আরও উৎসাহ খুঁজে পেলাম।

আর ৯০ দিনের ক্লাস শেষে আমি সেশন চর্চা  ক্লাসে ⭕সেরা বিক্রেতা ও
⭕সেরা স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হলাম।

আমাদের টাংগাইল জেলার  অফলাইন মিট আপ আমাকে পুরস্কৃত করা হলো।  এবং উদ্যোক্তা জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বলার জন্য  আমাকে মঞ্চে ডাকা হবে আমার তা আগে জানা ছিল  না।
কিন্তু  যখন মঞ্চে ডাকা হলো কথা বলতে আমার  খুব বেশি  কষ্ট হয় নি।
এক মিনিটের জন্য প্রিপারেশন ছিলনা  তারপরও এ সাহস এবং শক্তি পেয়েছি সেশন  চর্চা ক্লাস করার কারনে।

🌹আমি যদিও উদ্যোগ শুরু করেছিলাম অনেক আগেই কিন্তু আমি কোন আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
আমি এই ৯০ দিনের শিক্ষা শেষ করে হয়ে উঠেছি আত্মবিশ্বাসী।
সাহস করুন
শুরু করুন
লেগে থাকুন
সফলতা আসবেই
স্যারের এই কথাগুলো  হৃদয়ের মধ্যে গেঁথে গেছে আর তাই আমি আজ আত্মবিশ্বাসী। স্বপ্ন দেখতে আমি  ভয় পাইনা।

🌺আমি যখন প্রথম কাজ শুরু করেছিলাম কর্মীদের পিছনে আমাকে ঘুরতে হয়েছে। কেননা আমি যেখানে থাকি সেখানে কোনো দক্ষ কর্মী ছিল না।

তারপর আমি ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ দেখিয়ে  শিখিয়ে  নিয়েছি।

উদ্যোগের  শুরুতে আমার কর্মীদের  পিছনে ঘুরতে হতো।আর  এখন আমার কাজ একদিনও যদি বন্ধ থাকে তাহলে ওনারা বলে আপা কবে কাজ আসবে?

☘️আমার কিছু কর্মী আছে ছাত্রী। যাদের বাবা-মার তাদের   পড়াশোনার  খরচ দেওয়ার মতো  উপার্জন নেই।
এসব কর্মী গুলো এখন হাতের কাজ করে  নিজেদের  পড়ার  খরচ নিজেরাই অনেকটা চালিয়ে নিতে পারছে।

অনেক পরিবার আছে যারা হাতের কাজ করে নিজের সন্তানের চাহিদা পূরন করতে পারছে।

💜প্রিয় প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রাপ্তি

এই প্ল্যাটফর্ম আমাকে অনেক কিছু শিক্ষা দিয়েছে।

কিভাবে স্বপ্ন দেখতে হয় এবং স্বপ্নপূরণের জন্য কিভাবে লেগে থাকতে হয় তা আমাকে শিখিয়েছে   এই প্ল্যাটফর্ম।
❤️সত্যি নিজের বলার মত  একটি গল্প ফাউন্ডেশন একটি ভালো মানুষের পরিবার। 

এ পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে বলেই আমার উদ্যোগের  ৬০% বিক্রি  এই গ্রুপেই হয়।
আমার উদ্যোগ ৪০০০ টাকা  দিয়ে শুরু  হলেও বর্তমানে মাসিক সেল প্রায় ৫০০০০ টাকা।আলহামদুলিল্লাহ,,,, 

🌺আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা 🌺

আমার কাজের মাধ্যমে একজন লোক ও যদি উপকৃত হয় তাতে আমি নিজের আত্ম তৃপ্তি খুজে পাই।
আল্লাহতালা আমাকে যদি সুস্থ রাখেন আমি লেগে আছি  লেগে থাকবো,,,
আমি পরিশ্রম করে যাচ্ছি আরো পরিশ্রম  করে যেতে চাই। 
আমি এখন হয়তো সামান্য কিছু কর্মী খাটিয়ে কাজ করছি।
আমার ইচ্ছে আমি ভবিষ্যতে আরও কর্মী তৈরি করবো।যারা এই কাজের মাধ্যমে   নিজেদের জীবনে কিছুটা হলেও আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
🍀আমি প্রমাণ করতে চাই নারীরা শুধু স্বামীর উপার্জনে  ঘরে বসে  বসে খায়না। বরং সংসার সামলিয়ে, ঘরে বসে কাজ করে  নিজেরা ও কিছু উপার্জন করতে পারে। আর আমাকে এটা প্রমাণ করতে সাহায্য করবে এই ভালো মানুষের পরিবার।

🌹কচ্ছপের গতিতে চলতে চলতে একদিন ঠিক আমার কাঙ্খিত  গন্তব্যে   পৌঁছে যাবো  ইনশাল্লাহ। 🥰
আমি চাই আমার" সুতো বিলাস-Suto Bilash একটা প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড হিসেবে সুপরিচিত  হবে।

আমি যেন আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি সেজন্য সবাই আমার জন্য দোয়া রাখবেন,,,পাশে থাকবেন।

এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার জীবনের এই গল্পটা পড়ার  জন্য সবাইকে অসংখ্য  ধন্যবাদ।


📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৩৬
তারিখ ২১-০৭-২০২২ইং

 Maksuda Mukta

ব্যাচ-১৭
রেজিষ্ট্রেশন নং-৮৭০৯১
জেলা টাংগাইল
আমার পেইজ "সুতো বিলাস   -Suto Bilash. "

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।