কৈশরে করা মারাত্নক ভুল থেকে উঠে এসে, একজন সফল নারী উদ্যোক্তা । ✌️✌️✌️
জীবনের গল্প.....
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো,,,,,,,,,,,,,,,
❤️আসসালামু আলাইকুম ❤️
🤲সকল প্রসংশা মহান রব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে এবং একটি সুস্থ জীবন দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ ।
🤲দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি এবং তার পরিবারের প্রতি।
🤲শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রিয় বাবা-মাকে। যাদের উছিলায় সুন্দর এই পৃথিবীতে এসেছি। বড় হয়েছি তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায়। যাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়।
❤️কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর , শ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক, শিক্ষক, লক্ষ তরুণ-তরুনীর স্বপ্নদ্রষ্টা , পথহারা বেকারদের পথের দিশারি জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে ভালোবাসার প্লাটফর্ম "নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন" তৈরি হয়েছে।
🌹♥️শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি প্রিয় #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প প্লাটফর্মের সকল দায়িত্বশীল ও আজীবন সদস্য ভাইবোনদের প্রতি। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
----------🌺🌺🌺🌺🌺🌺----------
জীবনের গল্পঃ👇👇
সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এসব নিয়েই মানুষের জীবন। মানুষ মাত্রই ভুল করে, কিন্তু কে কত তারাতারি ভুল টা বুঝতে পারে এবং তা থেকে নিজেকে সংশোধন করে নিতে পারে সেটাই মূখ্য বিষয়।
আমার জীবনের কিছু সংক্ষিপ্ত গল্প আজ লিখবো।
জন্ম ও শৈশব :
১৯৯৬ সালের ১৮ই ডিসেম্বর আমার জন্ম। মা -বাবার ১ম সন্তান আমি আমার একটা মাত্র বোন আছে, আমার কোন ভাই নেই। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার হলেও আমরা ছিলাম একক পরিবার । আমি, আম্মু আর আব্বু তিনজনেই ছিলো আমাদের সংসার। দাদা দাদী মারা গেছেন অনেক আগেই । আমার জীবনে আপন দাদা দাদীর আদর কেমন হয় তা বুঝিনি।
তবে নানা নানীর আদরের কোন কমতি নেই জীবনে।
শৈশবেরর বেশিরভাগ সময় কেটেছে নানাবাড়িতে কারন , আমার এক মামা এবং এক খালা তাদের মধ্যে আম্মু সবার বড়। তো মামা আর খালামনি যখন স্টুডেন্ট তখন আমি ছিলাম একমাত্র ছোট সদস্য নানাবাড়িতে। সবার চোখের মণি, খুব আদরে একমাত্র জুরিয়র সদস্য ছিলাম আমি।
শিক্ষার হাতে খড়ি মামা+খালামনির কাছে । জীবনে প্রথম বই টা হাতে তুলে দিয়েছিলো আমার মামা। আর জীবনের লাস্ট একাডেমিক পরীক্ষার হলেও মামার হাত ধরেই গিয়েছিলাম। তাই বাবার পরে দ্বিতীয় ভালোবাসার জায়গাটা মামার জন্য ই।
হাটি হাটি করে বড় হতে লাগলাম, আমাদের ঘর আলো করে এলো আমার ছোট আদরের বোন।
শিক্ষা জীবন :
২০০১ সালে আমাদের গ্রামের স্কুল বলধী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। ছাত্রী হিসাবে মেধাবীই ছিলাম। স্যার মেডামদের আদর ভালোবাসায় প্রাইমারী শেষ করলাম। খুব মনে পড়ে আম্মু হাতের কাজ করে আমার পড়াশুনার খরচ চালাতো। বোনকে সামলানো, আমার পড়াশুনা, সাংসারের কাজ, টিউশনী সব আম্মু একাই করতো। সারাদিন এসব কাজ করে প্রায় সারারাত আম্মু শাড়িতে হাতের কাজ করতো। সংসারে অভাব থাকলেও আম্মু আমাকে কখনো অভাব বুঝতে দেয়নি। আমার প্রয়জনীয় সবকিছু আম্মু আগে থেকেই রেডি করে রাখতো। আব্বুর কাছে কখনো কিছু চাইতে দেখিনি আম্মুকে।
হঠাৎ ভয়াবহ অসুস্থতা:
প্রাইমারী শেষ করে হাইস্কুলে ভর্তি হলাম। যথারীতি স্যারদের প্রিয় হয়ে উঠলাম এবং সিক্স, সেভেন, এইট তিন বছর টানা ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়েছিলাম। স্কুলের সবাই আমাকে খুব পছন্দ করতো।
ক্লাস সেভেনে যখন পড়ি তখন প্রায় ই কোমড় বেথা করে, স্কুলে গিয়ে ভালো লাগেনা, ডাক্তার দেখাই ঔষুধ খাই এভাবে একবছর চলে গেলো । এইটে যখন পড়ি তখন প্রচন্ড রকমের বেথায় ডাক্তার দেখানোর পর জানতে পারলাম আমি কিডনী রোগে আক্রান্ত। 😢😢
গ্রামের বউ আমার আম্মু যে কিনা একা কখনো বাসা থেকে বের হয়নি। তিনি তখন আমাকে নিয়ে একাই শহর থেকে শহরে, এই হসপিটাল থেকে ঐ হসপিটালে ঘুরে বেড়াইছে। আব্বু যেতে পারেনি কারণ, আব্বু একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আব্বু কাজ বাদ দিলে টাকা পাবো কোথায়??
সেই সময় আম্মুর অসহায় চাহনী আমাকে খুব কষ্ট দিতো, একটা ভাইয়ের অভাব বোধ করতাম ভিষণভাবে ।
কৈশরে করা সেই চরম ভুল :
অসুস্থতার জন্য অনেকদিন স্কুলে যাইনি। খোজ নিয়েছিলো অনেকেই কিন্তু পাশের গ্রামের একটা ছেলে নাম হৃদয়, কিভাবে যেন এই অসুস্থ অবস্থায় এসে একদম মিশে গেলো আমার সাথে। যা হবার তাই হলো, কিশোরী বয়সের মন আবেগী চঞ্চল হয়ে গেলো। শান্ত, ভদ্র, মেধাবী মেয়েটা সবকিছুতে অমনোযোগী হয়ে গেলো । সেই পেটে প্রজাপতি দৌড়, আবেগী চিন্তা ভাবনা, প্রথম প্রেমের আগমন ঘটলো জীবনে। এর মধ্যে জুরিয়র বৃত্তি পরীক্ষা দিলাম। দেড় বছর ধরে অসুস্থতায় বই থেকে আমি তখন অনেক দুরে। বৃত্তি তো পেলাম না তবে রেজাল্ট ভালোই হলো।
রেজাল্টের কয়দিন পরে হৃদয়েরর বেপারে জেনে গেলো আব্বু। হৃদয়দের বাড়িতে জানিয়ে দিলো । আমার ফোন ধরা নিষেধ , ওদের বাড়ি থেকে জানিয়ে দিলো ওর বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষেধ। দেখা না করতে পেরে চারদিন পর হৃদয় সরাসরি আমাদের বাড়িতে চলে এলো।
হৃদয়দের বাড়ি থেকে এমন অসুস্থ একটা মেয়েকে কোনভাবেই মেনে নিতে চায়নি, আমার পরিবারও হৃদয়কে মেনে নিতে চায়নি। কিন্তু হৃদয়ের জেদের কাছে সবাই হার মানলো। শেষে দুইজন কিশোর -কিশোরীর বিয়ে দিয়ে দিলো।
দুজনেই তখন সদ্য ক্লাস এইট পাশ করেছিলাম।
বিয়ের পরে পড়াশুনা :
বিয়ের পর পুরো জীবন টা বদলে গেলো, জীবনে সবখানে আদর ভালোবাসা পাওয়া আমি সবার চোখের বিষ হতে শুরু করলাম। একমাত্র আমার আম্মু ছাড়া কেউ পাশে ছিলোনা। আম্মু বলেছিলো কোন অবস্থাতে পড়াশুনা বাদ দিস না । কিন্তু শশুরবাড়ির সবার কড়া নির্দেশ বউ স্কুলে যাবেনা। আমার হাসবেন্ট হৃদয় পাশে ছিলো তখন, দুজনে স্কুল পরিবর্তন করে কালিহাতী টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটে ক্লাস নাইনে ভর্তি হলাম। ঐ স্কুলের স্যার মেডামদের সাপোর্ট আর ভালোবাসার ঋণ জীবনেও শোধ হবার নয়। দুজনের পারিবারিক সাপোর্ট না থাকায় আর্থিক সংকট ছিলো চরম। আম্মু যদিও মাঝে মাঝে কিছু টাকা দিতো তা চাহিদা অনুযায়ি ছিলো সীমিত। যাতায়াত ভাড়া থাকতো না, ৮/১০ কিমি রাস্তা হেটে যেতাম। তারপর হৃদয় একটা পুরাতন সাইকেল মেনেজ করেছিলো। প্রতিদিন আমাকে সাইকেলে করে নিয়ে যেতো। টিফিনে না খেয়ে থাকতাম, ক্লাস শেষ করে পাইভেট পড়ে বাড়ি আসতাম তাই ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে যেতো। বাড়িতে এসে রান্না করে তারপর খেতাম। উপবৃত্তির টাকা দিয়ে বই কিনতাম, একসেট বই দিয়ে দুইজন পড়তাম। খাতার খরচ কমানোর জন্য নির্বাচনের মার্কা দিয়ে খাতা বানিয়ে অংক করতাম। স্কুল বন্ধর সময় হৃদয় মাঝে মাঝে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। সেই টাকা দিয়ে আমাকে কিছু কিনে দিতে চাইলে আমি টাকা রেখে দিতাম ফর্মফিলাপের জন্য। একটা শার্ট প্যান্টে ছেলেটা বছরের পর বছর পাড় করে দিতো।
আমাদের পড়াশুনার আগ্রহ দেখে স্কুলের এক স্যার আমাদের তিনটা সাবজেক্ট (ফিজিক্স, ক্যামিষ্টি, ম্যাথ) ফ্রি প্রাইভেট পড়াতো। প্রতিটা স্যার মেডাম, এবং ক্লাসমেটরা আমাদের খুব উৎসাহ দিতো। এভাবে ২০১১ সালে দুজনেই ভালো রেজাল্ট নিয়ে এস এস সি পাশ করি।
পড়াশুনার জন্য সিলেট চলে যাওয়া :
এসএসসির পর কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় পড়লাম আরেক বিপদে। এখন তো অনেক টাকা লাগবে। কিভাবে কি হবে। আমার শ্বাশুড়ি মায়ের সোজা কথা, মেয়ে মানুষের আর পড়ার দরকার নেই। চাইলে হৃদয় কলেজে ভর্তি হতে পারে। তার একমাত্র ছেলে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ছিলো , স্বপ্ন তো ভঙ্গ করে দিছি তাই আমাকে পড়াশুনায় বাধা দেয়াটা স্বাভাবিক একটা বেপার। কিন্তু হৃদয় তখন জীবনের সবচেয়ে বড় স্যাক্রিফাইসটা করলো। ওর ক্যারিয়ার জলাঞ্জলী দিয়ে আমার স্বপ্নপূরণের পথ পরিষ্কার করে দিলো।
ও বললো, "'আমি পড়লে বাড়ি থেকে টাকা দিবে কিন্তু তুমি কেমন করবে? তারচেয়ে তুমি পড়াশুনা করো আমি রোজগার করতে পারবো। এখন থেকে তোমার দায়িত্ব আমি নিতে পারবো। ""
হৃদয় তখন পাওয়ারলোম ফ্যাক্টরিতে একটা জব নিলো। আমাকে ভর্তির জন্য নিজের হাতেই ফর্ম পুরণ করলো। আমি সিলেট পলিটেকনিকে সিভিল ডিপার্টমেন্টে মেধা তালিকায় চান্স পেলাম। স্বপ্নের টানে পাড়ি জমালাম অচেনা শহরে প্রিয়জনকে ছেড়ে।
ততদিনে পরিবার, আত্নীয় স্বজন একটু একটু মেনে নিতে শুরু করেছে। এর পর হৃদয় চলে গেলো সিঙ্গাপুর। আর আমি ব্যস্ত পড়াশুনায়।
ভার্সিটি ভর্তি যুদ্ধে পরাজিত আমি :
ডিপ্লোমা শেষ করে চলে এলাম গাজীপুর । স্বপ্ন তখন "ডুয়েট "। ভর্তি কোচিং শুরু করলাম। দিনরাত এককরে পড়াশুনা করলাম কিন্তু ফলাফল জিরো। ভার্সিটিতে চান্স পাইনি ঠিকি কিন্তু ঐ সময়ের পড়াশুনার ফলে অর্জিত জ্ঞান গুলো আমার জীবনকে অনেক আলোকিত করেছে।
হৃদয় কেবল প্রবাসে গিয়েছে অনেক টাকা ঋণ এদিকে প্রাইভেট ভার্সিটির খরচ টা বেশি এসব চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলাম টাকার কাছে। স্বপ্নের ক্যাম্পাস ডুয়েটে আর যাওয়া হলো না।
একটা প্রাইভেট কম্পানিতে জব নিলাম।
আমার উদ্যোক্তা জীবনে আগমন :
এরপর আমাদের ঘর আলো করে আল্লাহ আমাদের একটা কন্যা সন্তান দান করলেন। আমার মেয়ের জন্য একটা কুশিকাটার ড্রেস বানিয়ে এফবিতে পোষ্ট করছিলাম । সেখান থেকে অনেকের রিকুয়েস্ট পাই তৈরি করে দেওয়ার জন্য। সেই উৎসাহ থেকে উদ্যোক্তা জীবনে আসা। এক সময় জব ছেড়ে দিয়ে নিজের বাচ্চা আর উদ্যোগ নিয়েই ব্যস্ত হয়েছি।
শুরুতে তেমন কোন মুলধন ছিলো না। প্রথম অর্ডারের কাজ শুরু করে ছিলাম টিউশনের টাকা থেকে মাত্র ১২০ টাকার সুতা কিনে। আমার উদ্যোগ টা আমি তিল তিল করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ৪ বছরে আমি অল্প স্বল্প ইনভেস্ট করে বর্তমানে আমার এখন ৬ লক্ষ টাকার বেশি কাঁচামাল ও প্রয়জনীয় জিনিস পত্র আছে। যেহেতু আমি নিজ উদ্যোগে প্রডাক্টস তৈরি করি তাই আমার মেটারিয়ালসে ইনভেস্ট করতে হয়েছে।
বর্তমান আমার মাসিক সেল ৫০হাজার + আলহামদুলিল্লাহ।
আমি আমার ভুল টা থেকে নতুন আর কোন ভুল তৈরি হতে দেইনি। এখন আমার দুই পরিবারের পাশে আছি। আমার মা-বাবার ছেলের অভাব পুরণ করার চেষ্টা করি, এবং আমার শ্বশুর শাশুরির মনের মতো বউমা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।
প্রিয় গ্রুপে যুক্ত হওয়া :
অনলাইন ব্যবসার সুবাদে অনেক আগে থেকে এই ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত আমি । কিন্তু এতোদিন অন্যসব সেল গ্রুপের মতই মনে করতাম। মূলতো "নিজের বলার মত একটা গল্প" এই কথাটার জন্যই গ্রুপ যুক্ত হয়েছিলাম। মাঝে মাঝে দেখতাম রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া পোষ্ট করা যায় না। তখন ভাবতাম হয়তো টাকা দিয়ে করতে হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে স্যারের একটা পোষ্ট চোখে পড়ে যেখানে উদ্যোক্তাদের অনেক অনুপ্রেরণামুলক কথা পড়ে আগ্রহ বেড়ে যায়। তখন আমি স্যারের বেশ কিছু পোষ্ট পড়ি । স্যারে কয়েকটা কথা মনে গেথে যায় ----
👉জীবনে বলার মতো একটা গল্প থাকা দরকার।
👉স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন...... সাফল্য আসবেই।
👉সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে সততা ও কমিটমেন্ট।
👉বৃষ্টি সবার জন্যই পড়ে তবে ভিজে কেউ।
এরপর আমি প্রায় অস্থির হয়ে যাই এই গ্রুপে রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য। জানতাম না তখন কোন জেলা টিম আছে। সেশন চর্চা ক্লাস, মিটাপ, সামাজিক কাজ এসব কার্যক্রমের কিছুই জানিনা তখন।
নিজে নিজেই সার্চ করে রেজিষ্ট্রেশন কিভাবে করতে হয় জেনে নিলাম। ১৭ তম ব্যাচের ৭০ তম দিন থেকে রেজিস্টেশনকৃত আজীবন মেম্বার হয়ে গেলাম। তারপর লাইভ সাপোর্ট টিমের সহযোগীতায় টাঙ্গাইল জেলা টিমে যুক্ত হলাম । এরপর থেকে গ্রুপের প্রতি ভালোলাগা ও ভালোবাসায় প্রতিদিন যুক্ত আছি।
👉মানুষের জন্য কাজ করলে, জীবিকার জন্য কাজের অভাব হয় না। এই কথাটাও আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করে।
চাকরি করবো না, চাকরি দেবো। এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তামানে আমার সাথে সহযোগী হিসাবে ১৫+ নারী কাজ করে । আমার স্বপ্ন আমি প্রতিটা নারীকে স্বাবলম্বী দেখবো একদিন। মেয়েরা শুধু ঘরের কাজ করবে না, নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমরা একে অপরের সহযোগী হয়ে বাঁচবো। কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে নয়, নিজের পরিচয়ে বাঁচবো ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় গ্রুপ থেকে প্রাপ্তিঃ
আমি #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প এই প্লাটফর্মে যুক্ত হবার পর যে শিক্ষা নিয়েছিঃ
→নিজেকে এবং অন্যকে ভালবাসতে শিখেছি।
→একজন পজিটিভ মানুষ হবার শিক্ষা পেয়েছি।
→কিভাবে একে অপরের সহযোগী হয়ে চলা যায় তা শিখেছি।
→কিভাবে সেল বাড়ানো যায়। কিভাবে কাস্টমারদের সাথে কথা বলতে হয় তা শিখেছি।
→ মা-বাবার প্রতি আগের চেয়ে অনেক বেশী ভালবাসা বেড়েছে।
→ আত্মবিশ্বাস বেড়েছে নিজের পায়ে দাঁড়াবার।
→একজন ভালোমানুষ হয়ে বেঁচে থাকার আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
→ভুল ধারণা ও সংশয় গুলো কেটে গেছে, মনের ভিতর সাহস ফিরে পেয়েছি
🌹তাইতো লেগে আছি প্রিয় ফাউন্ডেশন এর সাথে, থাকবো একজন সফল উদ্যোক্তা না হওয়া পর্যন্ত এবং নিজের বলার মত একটা গল্প তৈরি না করা পর্যন্ত। ইনশাআল্লাহ্। সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করছি।🌹
✍️গল্পের শিক্ষাঃ
★মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে সুখী হওয়া যায় না। মা-বাবার দোয়া সবচেয়ে বড় রহমত ও বরকত।
★জীবনে বড় হতে হলে ত্যাগী ও পরিশ্রমী হতে হবে।
★চাইলেই যেকোন খারাপ অবস্থা থেকে নিজেকে তুলে আনা যায়, দরকার শুধু নিজের সাথে কমিটমেন্ট।
👌আবারো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সময় নিয়ে, ধৈর্য্য ধরে গল্পটা পড়ার জন্য।
অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন
❤️❤️ভালোবেসে❤️❤️
পাশে থাকবেন।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৩৯
তারিখ ২৮-০৭-২০২২ইং
Keya Akter
কাজ করছি, কুশিকাটার যাবতীয় পণ্য নিয়ে। তাঁতের শাড়ি ও থ্রিপিস নিয়ে।
পেইজ: রকমারি সৌখিন পণ্য
ব্যাচ:১৭
রেজি:৯৩৪১৮
জেলা : টাঙ্গাইল
উপজেলা কালিহাতী।
ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥
আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।