See More Post

প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটা অর্থবহ লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন।

 🌿বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম🌿

🌷আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু🌷
☝️শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
💕  শুরুতেই শুকরিয়া আদায় করছি মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে, সমস্ত প্রশংসা  ও তারিফ এক মাত্র আল্লাহর জন্য জিনি আমাদের কে এখনো বাচিয়ে রেখেছেন ও সুস্থ রেখেছেন হুজুর সোঃ এর উম্মত হিষেবে পাঠিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।

💕শ্রদ্ধা ওকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি
আমার শ্রদ্ধেও বাবা মার প্রতি যাদের জন্য আজ আমি এ-ই
সুন্দর একটা পৃথিবির মুখ দেখেছি।

💕শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা যানাচ্ছি।
যে মানুষটির অক্লান্ত পরিশ্রমে এমন চমৎকার একটি প্লাটফর্ম উপহার হিসাবে আমাদের জন্য ছেরে দিয়েছেন, তিনি লাখো তরুণ তরুণীর উজ্জ্বল সপ্নের দিশারি  বর্তমান প্রজন্মের আলোক বর্তিক সমাজের নিবেদিত প্রাণ তরুণদের হৃদয়ের স্পন্দন,আমাদের সবার প্রিয় মেন্টর শিক্ষা গুরু জনাবঃইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের অসাধারণ সৃষ্টিকে বুকে ধারণ করে চলতে চাই সামনের পথ।

💕আমার জীবনের গল্প💕

জীবন এমনি এক বৈচিত্রময় গল্প যেখানে কখনো ছন্দের মিল থাকে আবার কখনো থাকে না। যা লিখতে চাইলে কলমের কালি শেষ হয়ে যাবে তবু জীবনের গল্পটা শেষ হবে না, সে তো ফুরিয়ে যাবারও নয়। তবুও একটু লিখার চেষ্টা।  

💕আমার ভালোবাসার পরিবার💕
আমরা তিন ভাই দুই বোন বড় ভাই আমি,বাকিরা সবাই আমার ছোট্ট। তিন নাম্বার ভাই প্রতিবন্ধি দুই নাম্বার ভাই নিজে নিজেকে প্রতিবন্ধি বানাইয়া ফেলাইছে। অসৎ সঙ্গে বলেন আর আল্লাহ পদত্ত বলেন তারা দুই জন এখন সংসারের বোঝা বলা যায়।
আমার বাবা একজন সহজ সরল মানুষ প্রতিদিন যাই ইনকাম।করতেন তা প্রতিদিনই খরচ করে ফেলতেন ইনকাম ছিলো ভালোই প্রতিদিন ভালো ভালো বাজার করতেন সহজ সরল হওয়াই এলাকার প্রভাব সালি  তারা তাকে নিয়ে ও তার ইনকামের টাকা নিয়ে সবাই মজা মাসতি করতেন আব্বা খরচ করে খুশি হইতেন ঐসময় তার ব্যাবসা ছিলো মাটি কিনে বিক্রি করা, মাসদাইর এলাকায় তখন মাটির ব্যাবসা চাঙ্গা  ছিলো  তার যে দুই জন মেয়ে আছে তার এই চিন্তা ছিলোনা যে তারা বড় হতে হতে টাকার মান কমবে জিনিষের দাম বাড়বে। যেখানে তার চিন্তা ছিল দুই মেয়েকে বড়োজু চারলাখ টাকা দিয়ে তাদের বিয়ে দিবে তিনি কিন্তু যে একজন বাবা এবং বাবা হয়ে যা করা দরকার তা কিন্তু করেই রেখেছেন  তিনলাখ টাকা এক কম্পানিতে রেখেছেন। ১ জন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বাবা ইষ্টক করে বাবার জীবন যেন থেমে গেল😭
আমি বড় ছেলে হওয়ার কারণে এ দায়িত্ব যেনো কিছুটা আমার উপর এসে পরলো এখানে একটা কথা বলে নেই বাবা আমাকে অনেক ধুমধাম  করে বিয়ে করিয়েছেন। আমার তখন নিজের কোনো ইনকাম ছিলোনা। বাবার দেয়া ছোট্ট একটা দোকান পরিচালনা করিতাম উদ্দেশ্য বাবার লেবাররা সেখানে বসবে চা পান খাবে হিসাব সারেন। ঐসময় বাবার ইনকাম ততটা চালু হয় নাই। এজন্য আমার লেখা পড়ায় ভেটো পরে আমাকে দোকানে বসতে হয়। দোকানে বসতে বসতে দেখি একটা মেয়ে প্রতিদিন আমার দোকানের সামনে দিয়ে যায়। তাকে আমার ভালো লাগে  আমি তখন বাড়িতে জানাই বাড়িতে কেউ রাজিনা। এভাবে কিছু দিন চলে যায় আসলে  সাচ্চা চাহাত আর চেস্টা কৌশিশ থাকলে আল্লাহ কাউকে নিরাস করেন না আমি একটি কেনের বাকলার পানি খাইতে নিয়া নানির সামনে চলে আসে আমি নানিকে দেখে হাতে থাকা কেন টিকে  লোকাই নানি বেবেনেই ওটা বিষের বোতল ছিল। নানি বাড়ি এসে সবাইকে রাজি করে ফেলে কিছু দিনপরে বিয়ে হয়ে গেলো।  এর বিতরে আব্বার ইনকাম চাংগা হয়ে গেছে কিন্তু  তাতে কি আমিতো নিজের পছন্দে বিয়ে করেছি তা-ই  তাদের যতই টাকা থাক তাতে আমার কি।
👉সুরু হলো আমার জীবন চাকা ঘুড়া আমাকে আলাদা করে দিলেন, তারপরে এক সমিতি থেকে চার হাজার টাকা  দিয়ে সুরু ২৫০০ শ টাকা দিয়ে দোকান কিনলাম, ১৫০০ টাকার সাথে আরু কিছু টাকা মিলকরে দোকানের মাল কিনলাম, এভাবেই চলেগেল দুই তিন বছর। আমাদের ঘরে চলে আসলো ফুটফুটে নতুন মেহমান খরচ বাড়ায় বিজনেস  চেইঞ্জ করে নিউ বিজনেস সুরু করলাম ভালোয় চলতে ছিলো হটাৎ নেমে এলো অন্ধকার  বাবুর হার্টে ফুটা আছে  নিয়ে গেলাম এপোলো হাসপাতালে ডাঃসন্দীপ এর কাছে ওনি পাঠাইলেন সি এম এইচ হাসপাতালে ডাঃ নুরুন নাহার ফাতেমার কাছে। ওনি এনজিওগ্রাম করলেন বাবলাম মনেহয় এটা করলে বাবু ভালো হয়ে যাবে ভুল ধারনা ছিলো করার পর জানতে পারলাম এনজিওগ্রাম এর দারা রোগ নিণয় হইছে। নিয়ে গেলাম ইন্ডিয়াতে সেখানে দেখে বললো অপারেশন লাগবে। নিয়ে আসলাম ইবরাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে অপারেশন হইল। ডক্টর বললো ৫ বছর পরে আবার অপারেশন করা লাগবে।

😭কেরে নিলো আমার আনন্দ বিনোদন, হয়ে গেলাম আনন্দ বিনোদন হিন মানুষ আবার চলে গেল পাঁচটি বছর। এর বিতর কয়েকটি বিজনেস চেইঞ্জ হয়ে গেছে। এর থেকে আমি অনেক কিছু সিখেছি এখান থেকে একটি বিজনেসে আমর সবচেয়ে  বেশি ইনকাম হয়েছে সেই বিজনেসও বন্ধ করে চলে গেলাম সপরিবারে ছেলে মেয়ে বিবি সহ চার জন ইন্ডিয়াতে ডাঃ দেবিষেটির বেংগুলোর হাসপাতালে, অপারেশন সাকসেস হইলো  আলহামদুলিল্লাহ😊

চলে এলাম দেশে, দিলাম ফাস্টফুট রেস্তরা চলে এলো করুনা। ফাস্টফুট বন্ধ করে দিলাম,করুনার প্রকোপ কমে এলে, সব যেরে সুরু করলাম লেটিস ও জেন্স এর শারী ওড়না,  থিৃপিস, লুংগি, গামছা, বেড সিড, কাটা কাপুর, নিয়ে। একটি ভাই এর মাদ্দমে নিজের  বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশ, এর সন্ধান পাই রেজিষ্ট্রেশন করি স্যার এর প্রতিদিন এর সেসন গুলো আমি দেখে অনেক কিছু শিখি। তার বিতর সপ্ন দেখুন, সাহস করুন, সুরু করুন লেগে থাকুন। তাই আমি লেগে আছি ইনশাআল্লাহ আজ আমি অনেক লাভবান
স্যার এর কাচ থেকে যে-ই  শিক্ষা আমি অর্জন করেছি, এই শিক্ষা যদি আমি আরো আগে পেতাম তবে আমাকে এতো পিছনে পরে থাকতে হতো না। নিজের মোলধন একটা সময় যেহেতু বাবা একজন কে বিয়ে দিয়েছেন আরেক জন বোনকে বিয়ে দিতে হইবে, বিয়ের লায়েক বোন যদি ঘরে থাকে তবে মানুষ নানান প্রশ্ন করে যেহেতু এটা একটা গ্রাম। সেই  দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম দোকান ভাড়া দিয়ে অ্যাডভান্স  এর টাকা দিয়ে।আর আমার কাছ থেকে  কিছু টাকা মিলিয়ে খালি জায়গাই কিছু রুম তুলে দেই।
যেই কথা সেই কাজ।  কাঠের তৈরি ২তলা ১৩টা রুম করে  দিলাম। এইখান থেকে ৩টা রুম, গেস পানি, বিদ্যুৎ, বিল দিতে চলে যায়। দুই একটা রুম খালি থাকে। ঐখান থেকে যা ভাড়া পাইতো,তার অধেক আমাকে দিতো, কিন্তু তাদের কোনো খরজ  হইতো না।যেহেতু  বাবা-মা, নিচের রুম নিছে আমাকে উপরের রুম দিছে। তাই কিছু দিন পড়পড়ে আমার চাল পাল্টানো  লাগতো,আমাদের বাড়ির সামনে একটি ডাইং ফেকটুরি আছে তাই  এদিকে আমার ছেলে মেয়ের পড়া শোনার খরচ ঐখান থেকে চলে যাই।
আমি আর ঐখান থেকে তেমন কোনো বড় এমাউনট বের করতে পারিনি, এক লাখ এিশ হাজার  টাকা,বের করেছি। এ টাকা নিয়ে ৭ম বার এর মতো বিজনেস সুরু করি।  আমার দেয়া ঘড়  ভাড়া থেকে ৯হাজার টাকা করে ডিপিএস, এ জমা করে।জেহুত ১জন বোন এর   বিয়ে হয়েছে, আরেক জন রয়েছে, তাই তাকে বিয়ে দিতে হবে, কেটে গেলো অনেক গুলো দিন।

👍বিয়ে ঠিক হলো আমার দেওয়া  একাউন্ট থেকে চার লাখের অদিক টাকা পেল,বোনের বিয়েও ঠিক হয়ে গেল, এদিকে আমি নিজের  পছন্দের বিয়ে করেছি বলে,বাবা, মায়ের কাছে কোনো  দাম নেই, প্রথম বোনের জামাই কে দিলো বিয়ের খরচ করার সকল দায়িত্ব।আমাকে দিলো বিয়ের সকল কাজের দায়িত্ব যেনো একজন কাজের লোকের  মতো, ঐদিকে আমার ছেলের  জন্য, বাবা মা, দুইটা অপারেশন করতে আমাকে দিয়ে ছিলো ১৭ হাজার টাকা, অথচ দুই বার অপারেশন করতে আমার খরচ হয়, প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
মাত্র একটি হুকুম না মানার কারনে আজও আমি মা'য়ের  চোখে দূষি তার কারন হচ্ছে বাবা মা'র সপ্ন ছিলো, বাবা সমাজের বিত্তসালি দের সাথে  চলে তা-ই তাদের কারো মেয়েকে নিয়ে আসবে আমার জন্য, দিতেও চেয়েছে কেউ কেউ তাই তারা ভেবে নেয়। আমি তাদের সকল আশা আকাঙ্খার বিতর পানি ডেলে দিয়েছি,  আমার দুই ছেলে এক মেয়ে, কিন্তু  আজও  মা  আমাকে সেই খোটা দেয়,   এজন্য আমি সকলের 🤲দোয়া চাই, বাবা মা যেনো আমাদের মেনে নেই।আর আমি যেনো, যান ও মাল দিয়ে তাদের খেদমত করতে পারি। 
👉সব শেষে দুটো কথা  বলতে চাই, আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে।আমি জীবনে প্রায় ১০টির মত  বিজনেস চেঞ্জ করেছি,যেটা করতে  গিয়ে জীবনে অনেক টা পিছিয়ে আছি।
মানুষের নিজস্ব একটা লক্ষ্যস্থান থাকলে সেই স্থানেই সে নিজেকে উন্নীত করতে পারে। প্রত্যেক মানুষের জীবনে কোনো না কোনো স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য মানুষকে পরিশ্রম ও সাধনা করতে হয়। নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে জীবনে সফলতা লাভ করা যায় না। কান্ডারি বিহীন তরী যেমন অকূল মহাসমুদ্রে তীর খুঁজে পায়না, তেমনি লক্ষ্যবিহীন জীবনও এ কন্টকাকীর্ণময় পৃথিবীতে সাফল্যের সোপান খুঁজে পায় না। মানুষের মনের মধ্যে লালিত স্বপ্নই তাকে তার লক্ষ্যের বন্দরে পৌঁছে দেয়। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে জীবনে বিপথগামী, লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটা অর্থবহ লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন।
🙏পরিশেষে পাঠক ভাই ও বোনদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ যারা নিজের দামি সময় নষ্ট করে,অদমের গল্প পাঠ করেছেন। জাজাকাল্লাহ।


📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৪১
তারিখ ৩১-০৭-২০২২ইং
💠 মোঃ ইসলাম

💠 ব্যাচ ১৩ তম
💠রেজিষ্ট্রেশন নং ৫৭৮৮৮
💠জেলা নারায়ণগঞ্জ
💠 থানা ফতুল্লা
💠কাচ করতেছিঃ হোম মেড কেক ও লাচ্ছা সেমাই, চকলেট,ও লেডিস্, জেইন্স পোশাক,
শাড়ী, লুঙ্গি, থ্রিপিস, ওড়না, বেড সিট,ইত্যাদি নিয়ে
💠ইসলাম ট্টের্ডাস
💠বিসমিল্লাহ কেক হাউস
☎️০১৭১৫১৩৪৪৯৭

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।