See More Post

এই রকমের বেইমান লোক থেকে সকলে দূরে থাকবেন

আসসালামু ওয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ
  
            
      ⚘️বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম⚘️
            🌷আমার জীবনের গল্প 🌷

🍒 সর্বপ্রথমেই আমি শোকরিয়া আদায় করছি, আমাদের সকলের সৃষ্টি কর্তা মহান রাব্বুল আলামিনকে যিনি আমাদের কে আজ পর্যন্ত সুস্থ রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ

💘লাখও কোটি দুরুদ ও সালাম ,মানবতার মুক্তিরদূত  আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ওপর।

💘কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি,আমাদের সবার প্রিয় মেন্টর,ভালো মানুষ  গড়ার কারিগর,লাখ লাখ তরুণ তরুণিদের আইডল, আমাদের সকলের প্রিয়াত্রা শুরু করে তখন থেকেই বাস্তবতা  সম্পর্কে বুঝতে শুরু করে।
আজ আমি আমার নিজের  বাস্তব জীবনের কিছু কথা আপনাদের  মাঝে শেয়ার করব।                                

   🙏আমার জীবনের গল্পটাপড়ার অনুরোধ রইল🙏  

                       ✨️জীবনের গল্প✨️

🌷জন্মস্থান : বরিশাল সদর বরিশাল
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন 30 নং ওয়ার্ডে মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম ।  ৩ভাই ২বোনের মধ্যে সবার বড় আমি।
                     ✨️ছোট বেলা✨️

😭 আমার জন্ম হয় ০১/০৪/১৯৭৭ সালে
মোটামুটি ভাবে মা-বাবা সহ সবার আদর সোহাগ পেয়েই আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠা
                      ️📚 লেখা পড়া📖

📚লেখাপড়া: প্রথমে মাদ্রাসায় পড়ালেখা শুরু করি মনে মনে ধারণা করছিলাম আমি একজন বড় মানের আলেম হব।
কিন্তু না কারণবশত আবার স্কুলে ভর্তি হলাম আমাদের গ্রামের পাশেই সোলনা প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হই তারপর ওইখানেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই এবং এস এস সি পাস করি।

                          📚কলেজ জীবন 📖
ভর্তি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে বরিশাল সরকারি কলেজে ভর্তি হই আমার জীবনের ইচ্ছে ছিল আমি সেনাবাহিনী চাকরি করব কিন্তু হলো না কারণ আমি উচ্চতা ৫ ফুট সাড়ে 5 ইঞ্চি
পড়ালেখায় আর মন বসে না
সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে একটু টানটান অবস্থায় পড়ে যায় আমার বাবা
এবংএখানে কিছু রাজনৈতিক সমস্যা ও পরিবারের কথা চিন্তা করে , ব্যবসা করার উদ্যোগ নিলাম এখান থেকেই আমার জীবনের করুন কাহিনী ও পরিণতি গুলো তুলে ধরলাম
ব্যবসা যে করব তেমন টাকাও নাই বুদ্ধিও নাই তাই হঠাৎ মনে হল আমি প্রথমে কোন দোকানে চাকরি করি চাকরি কে দেবে? কোথায় যাব? এমন সময় মাথায় একটা লোকের কথা চিন্তা হলো তার কাছে যাই বরিশাল জেলার ভিতরেই নলছিটি থানায় আমার পরিচিত নব মুসলিম ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম তার কাছে যাই।এবং  আমার জীবনের কিছু কথ বললাম এই ডাক্তার সাহেবই কিছুদিন আগেই আমার বাবার নানা বাড়ি  ওয়াজ করে গেছেন নূরানী চেহারা দেখতে খুবই সুন্দর যাই হোক সব কথা শোনার পর সে আমাকে একটি টিনের দোকানে চাকরি দিল। চাকরির শর্ত হলো আমি ব্যাবসা শিখব বিনিময়ে সে আমাকে তিনবেলা  খাওয়াবে।
তাতেই আমি রাজি হয়ে গেলাম ওই দোকানের ‌মালিক ছিলতালুকদার বংশের লোক
কিন্তু তার মধ্যে ও তার ভাইদের মধ্যে একটা তালুকদারী তালুকদারী ভাবছিল
আমারে তারা মানুষই মনে করত না এই তালুকদারের বউ খুব ভালো ছিল কিন্তু তালুকদার প্রতিদিন তার বউয়ের সাথে বাজে ব্যবহার করতো প্রায়ই মারামারি করত
তালুকদারের  মামার দোকান ছিল একই শহরে আমি তালুকদারের দোকানে কাজ শুরু করার পর  আস্তে আস্তে কাস্টমার বাড়তে থাকে এই কথাটা শহরে জানাজানি হইলে তালুকদারের মামা আমার  দিকে ‌নজর দেয় এবং আমাকে গোপনে  বলতে থাকে তোমাকে এত বেতন দিব তুমি আমার কাছে আস।
যেহেতু এখানে বেতন পাই না সেখানে বেতনের অফার পাইলে তো আমার মনটা ও চায় তার কাছে যাই, কিভাবে এই জায়গাতে যাব এই যেভাবেই হোক তালুকদারের চাকরি ছেড়ে তার মামার দোকানে আমি পুনরায় চাকরি নিলাম । তারপর চাকরি করতে থাকলাম প্রায়‌ দুই বছর
তারপর অনেক কাহিনী এদিকে ডাক্তার সাহেবের ফ্যামিলির সাথে আমার আস্তে আস্তে ভালো সম্পর্ক শুরু হয় তখন আমিও তাদের ছাড়া কিছু বুঝলাম না তার ছেলেরা আমারে ভাইয়া ভাইয়া ডাকতো, এখনো ভাইয়া ডাকে
এর ভিতরে আমি যাকে খুবই ভালো জানি সে আমাকে অফার দিল এই চাকরি করে জীবনে কিছু করতে পারবি না👉👇
তোকে বিদেশে পাঠিয়ে দেবো টাকা পয়সা বেতন ‌যা পাও সব আমার কাছে দাও
তাই দুই বছরের বেতন আস্তে আস্তে দিলাম এবং নগদ ক্যাশ কিছু দিলাম তারপর বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করলো বিদেশে তো নিলেই‌ না পাসপোর্ট করানোর কথা বলে ঢাকা নিয়ে ঘুরাইয়া আনলো
👉🌹এই প্রথম‌ আমার জীবনে ঢাকা যায় তার সাথে
কিন্তু পাসপোর্ট ত করাইলোইনা তখন আমার মনে সন্দেহ জাগলো তাই টাকা চাইলাম
টাকা তো দিল না বরং আমাকে মেরে ফেলার জল্পনা-কল্পনা শুরু করল
এবং আমি যাতে টাকা না চাই তার জন্য নলছিটি থানার দারোগা দিয়া থ্রেট ‌দেওয়া হল থানায় নিয়ে
তারপর টাকা চাইনা তবে সম্পর্ক রাখছি এখনো আছে🌹
🌹👇 ইতিমধ্যে জানতে পারি আস্তে আস্তে
  তার মামা মানে আমার দ্বিতীয় মহাজন  অনেক টাকার দেনা একদিন আমি ঢেউটিন  আনার জন্য ঝালকাঠি যাই
মাল কিনে আসার সময় আর এক দোকানদার আমাকে আটকাইয়া রাখে আমি জানতে চাইলাম কি অপরাধ আমার
বলছে তোর মালিকের কাছে টাকা পাই টাকা না দিলে তোকে ছাড়বো না
কি আর করব আমাকে আটকে রাখল ৬ থেকে ৭ ঘন্টা
ওই সময় মোবাইল ফোন আবিষ্কার হয় নাই আর আমার মহাজনের কাছে ল্যান্ড ফোনেও ফোন করতেও দেয় নায় তখন আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম
আমার মহাজন ওই সময় চিটাগাং ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবসা শুরু করছিল আল্লাহর মায়ের আলমের ভাই
কিভাবে যেন আমি যেই মালিকের কাছ থেকে ঢেউটিন কিনছিলাম  ওই মালিক খবর পাইছে তারপর সেই মালিক আমাকে ছাড়াইয়া দিল
ওই মালিকেরে আমি আগে থেকেই ‌ ব্যবসার সুবিধার্থে নানা নানা ডাকতাম সে এখন বর্তমানে ঝালকাঠির পৌর মেয়র লিয়াকত হোসেন তালুকদার
সে বলল হাদী ওই মালিকের সাথে মানে নলছিটির মালিকের সাথে‌আর চাকরি করা লাগবে না তুই নিজেই দোকান দে তোকে আমি ঢেউটিন  দিমু টাকা ছাড়া বাকিতে ‌বিক্রি করে করে টাকা দিবি তার কথা মতন এই নলছিটির মালিকের কাছ থেকে আমি চাকরি ছেড়ে দিয়ে
নলছিটি শহরেই ঘর ভাড়া নিয়ে দোকান দারি শুরু করি নিজেই
যেই শহরে কর্মচারী ছিলাম সেই শহরেই আমি একজন ঢেউ টিন ব্যবসায়ী
👉🌹👇এটাই আমার জীবনের সততার সফলতা মনে করি আমি
এবং টানা দুই বছরের বেশি বছর ব্যবসা করলাম নলছিটি শহরে
তখন ১৯৯৬ সাল তারপর আর ভালো লাগলো না আস্তে আস্তে নিজ এলাকায় চলে আসলাম নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড
বরিশালে দোকান দিলাম
আমি একটু সরল মাইন্টের মানুষ তাই বারবার ধোকা খাই এবার ধোকা খাইছি এক মোনাফেকের সাথে👉👉👇

        🌹১৯৯৮সালে নলছিটি থেকে টিনের দোকানের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বরিশালে শুরু করি।মোটামুটি ভালোই  চলছিল। নিজে কষ্ট করে ব্যবসায় লাভবান হয়ে একটি দোকান ও একটি জায়গার মালিক হই।বরিশালের বাজার রোড এক মালিকের কাছ থেকে বাকিতে মালামাল এনে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছি। একদিন বাজার রোড এ মালামাল আনতে যাই,বাজার রোডের পাশেই লাইন রোডের মুখ থেকে রিকশায় ওঠার
আগ মূহুর্তে আমার এলাকার পরিচিত এক ভাইয়ের দোকান থেকেই সে আমাকে চা এর জন্য অফার করে।আমি ও ঐ ভাইয়ের ডাকে তার কাছে দোকানে গিয়ে বসি।এবং ভাই আমার জানতে চায় দোকানের বেচাকেনা কেমন চলছে? তখন কথায় কথায় এর জবাবে বলে ফেলি তেমন ভালো নয় ভাবছি বিদেশে চলে যাব কিনা এ কথা বলে ঐ দোকান থেকে চলে আসি।লোকটা পরবর্তী  মূহুর্তের মধ্যে সাথে সাথেই বাজার রোড এর মালিকের কাছে জানিয়ে দেয়,তখন মালিক খুব দ্রুত আমার দোকানে এসে হামলা ও বজে ব্যাবহার করে জোড় যবরদস্ত টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে। পরে আমি আমার  জায়গা বিক্রি করে তার টাকা পরিশোধ করি। পৃথিবীতে  এমন কিছু  লোক আছে, বলতে গেলে  এলাকার ঐ ভাইয়ের কথা বলছি,এই রকমের বেইমান লোক  থেকে সকলে দূরে থাকবেন। নয়তো আপনারা ও একদিন অচিরেই বিপদে পরতে পারেন, ঘটনাটি ২০০০সালে আমার জীবনে ঘটে।
অনেক বিপদের মধ্যেও আমি আর হাল ছেড়ে দিনে মোটামুটি ভাবে ব্যবসা চালিয়ে গেছি
২০০৭সাল অবধি বরিশালে ব্যাবসা করি।২০০৮ সালে  কোরিয়া ভাষার সার্কুলার দেখার পর, ভাষার  উপর পরীক্ষা দিয়ে কোরিয়াতে আসি বর্তমানে এখন ও কোরিয়ায় অবস্থান আছি। পাশাপাশি ৭বছর যাবত কোরিয়ার পন্য সামগ্রিই নিয়ে আল্লাহর রহমতে অনলাইন ও অফলাইনে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছি। ব্যাবসা ভালোই চলছে। আপনাদের সকলের প্রিয় পন্য গুলো হলো বেডহিটার, কম্বল, লেপ বা কমফোর্টার,সেন্সর লাইট,রাইস কুকার,স্কিন কেয়ারও  কসমেটিকস সামগ্রী নিয়ে কাজ করি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য লেখার ভিতরে কোন ভুল ত্রুটি হলে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিবেন


📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৮১
তারিখ ০৪-১০-২০২২ইং


আমি আব্দুল হাদী মিয়া AbdulHadimia
বেস্ট নং ১৩
রেজিস্ট্রেশন নং৫৬৫২০
নিজ জেলা বরিশাল সদর
বর্তমান সাউথ কোরিয়া

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।