See More Post

কারোর কাছে বেশী প্রত্যাশা করা উচিত নয়

আসসালামু  আলাইকুম
আমার নিজের বলার মতো একটা গল্পে আপনাকে স্বাগতম

সকল প্রসংশা মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন এর প্রতি। যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন । সুস্থ জীবন দান করেছেন । শোকর আলহামদুলিল্লাহ!

দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি তার পরিবার পরিজন এবং সাহাবীগনের প্রতি।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর , পথপ্রদর্শক, শিক্ষক, লক্ষ তরুণ-তরুনীর  স্বপ্নদ্রষ্টা  Iqbal Bahar Zahid   স্যারের প্রতি।  যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে ভালোবাসার প্লাটফর্ম "নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন" তৈরি হয়েছে। 

শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প  প্লাটফর্মের সকল দায়িত্বশীল ও  আজীবন সদস্য প্রিয় ভাই-বোনদের প্রতি।

আমার  বেঁচে থাকার সংগ্রাম। প্রতিনিয়ত বুকে কষ্ট, মুখে হাসি নিয়ে আমাদের মতো পথচলা, তাদের কাছে জীবনের মানেটা ভিন্ন।

জীবনের ক্ষুধা মেটাতে, ছেলেমেয়েদের অথবা মা-বাবার  মুখে হাসি ফোটাতে, দুটো ভাতের জন্য তাদের নিত্যকার জীবনের কাজকর্ম। এই হাড়ভাঙা পরিশ্রম, এই দুটো মুঠো ভাতের জন্য যুদ্ধ এটাই হয়তো জীবন।

আসি আমার জীবন গল্পে
➤➤জন্ম ও  শৈশব : 
নাটোরে মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৯৮ ইং ১৪ ফেব্রুয়ারিতে আমার এ-ই ধরণীতে আগমন। আমি ও আমার ও ছোট দুই বোন আছে...।

➤➤➤শিক্ষা জীবন
প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করি নাটোর সুগার মিল স্কুলে। ১ বছর নাটোর বয়েজ স্কুলে। তারপর শিক্ষা জীবনের টার্নিং পয়েন্ট । মাদরাসায় ভর্তি হই। সিংড়ার মহেশচন্দ্রপুর মদিনাতুল উলূম মাদরাসায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করি। উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষা নগরী রাজশাহীতে গমন করি। রাজশাহীর চন্ডিপুর জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদরাসা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও রাজশাহী দারুসসালাম (আলিয়া)  মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলীম সম্পন্ন করি। উচ্চতর জ্ঞান অর্জনের জন্য রাজধানী ঢাকায় আসি। উত্তরা আজমপুর দারুল উলূম মাদরাসা থেকে এ্যারাবিকে মাস্টার্স সম্পন্ন করি। বর্তমানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি গণযোগাযোগ ও গণমাধ্যমে অনার্সে অধ্যায়নরত।

স্টুডেন্ট অবস্থায়: লেখক জীবনে পদার্পণ করি। সারাদেশের বিভিন্ন সাহিত্য ম্যাগাজিনে লেখালেখি শুরু করি, তারই ধারাবাহিকতায়  জাতীয় দৈনিকগুলোতেও নিয়মিত কলাম লিখতি থাকি। আমার লেখার ধরণ দেখে অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাংবাদিকতার অফার করে । আমি একটি সাংবাদিতার কোর্স কমপ্লিট করে একটা নিউজ পোর্টাল বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করি। পরে ফ্রিল্যান্সিং সাংবাদিক হিসেবে জাতীয় পত্রিকাও কাজ করি। বর্তমান বাজারে আমার বেশ কিছু  লিখিত বই আছে। আমার লেখা সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় বই "গল্প থেকে শিক্ষা "

➤➤➤বিবাহিত জীবনঃ
তাফসীরে জালালাইন জামাত পড়াবস্থায় পরিবারের পছন্দ মেয়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইই।

আমি যেহেতু মাদরাসার স্টুডেন্ট।  , দেখলাম আমার চারপাশে বিবাহিত ছাত্র সংখ্যা মোটামুটি উল্লেখ যোগ্য । আমার সহপাঠীরা  যাদের বিয়ে হয়েছে তারা সবাই অনেক সুখী । আমার আব্বা - আম্মাকে ও সবসময় খুশী থাকতে দেখেছি। কোনোরকম বিশৃঙ্খলা , জটিলতা কোনোদিন দেখিওনি , শিখিওনি । ভাবলাম বিয়ের পর বোধহয় সবাই সুখীই হয় ।

বাস্তবের চিত্র সবসময় একরকম হয়না । সবার জীবন কখনোই স্বপ্নের মতো সুন্দর হয়না। অধিকাংশ ছেলেদের  জীবনেই থাকে নানান ঘাত প্রতিঘাত । অনেক চড়াই উৎরাই পার করে তাদেরকে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে হয় । বিয়ে মানেই বারাকাহ। বিবাহিত জীবন মানেই বরকতময় জীবন। বিয়ে করলে অর্থ কষ্ট ভুগতে হয় না। আল্লাহ সুবানাহু তা'য়ার পক্ষ থেকে গায়েবী ফয়সাল আসে। হাদীস শরীফে এসেছে বিয়ে ঈমানের অর্ধেক। বিয়ে করে কোনো কাজ শুরু করলে বারাকা পাওয়া যায় তার বাস্তব উপমা আমি নিজেই।

উপলব্ধি করলাম জীবনে নিজেকে ভালোবাসার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশী । না " বলার প্রয়োজনকে কখনো তুচ্ছ করা উচিত নয়। স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলেই টিকে যায় অস্তিত্ব । অভিযোগের চেয়ে স্কিল ডেভোলপ করা হচ্ছে বুদ্ধিমত্তা । 

➤➤{উদ্যোক্তা জীবন:
আমি রাজশাহীতে পড়াশোনা অবস্থায় অবসরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছয় মাসের একটা মেডিক্যাল কোর্স  কমপ্লিট। তারই ধারাবাহিকতায় করোনাকালীন এগ্রিকালচার এ-র উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে একটা নার্সারি প্রতিষ্ঠা করি।

নাটোরে গ্রামের বাড়ি হওয়াতে সিজনাল বিজনেস এর সাথে  ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ি। আম, লিচু, ড্রাগন মাল্টা, কলা, শীত কালে খেজুরের গুড়, প্রাকৃতিক চাকের মধুসহ ইত্যাদি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করি।

আলহামদুলিল্লাহ। আমি শুরুতেই বিভিন্ন আইটেম নিয়ে কাজ করলেও আমি খুব কম সময়ে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠি। আমার বিজনেস অনলাইনের মাধ্যমে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশ থেকেও অর্ডার আসা শুরু হয়। আজাবধি। এ-ই ২২ সালে আমি আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলায় স্টল নিই জুট ও হ্যান্ড ক্রাফটের প্রোডাক্ট নিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ এখানেও ভালো সাড়া পাই।

➤➤➤প্রিয় গ্রুপে যুক্ত হওয়া :
সারাদেশে আমি আমার প্রোডাক্টগুলো কুরিয়ার সার্ভিস এ-র মাধ্যমে ডেলিভারি দিয়ে থাকি। সেই সুবাদে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস এজেন্টগুলো আমার নার্সারি আসে তারদের বিজ্ঞাপন দিতে। এমনই একজন কুরিয়ার সার্ভিসের বিজ্ঞাপনদাতা জনাব নাজমুল ভাই। তিনি মেন্ট্রো কুরিয়ার সার্ভিস এর নাটোর জেলার মেনেজার ছিলেন। তিনি আমাকে বারবার বলতেন আপনি অফলাইন ও অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশে এত গ্রাহককে প্রোডাক্ট সরবরাহ করে থাকেন। আপনি অনলাইন জগতের সর্ববৃহৎ উদ্দ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন " যুক্ত নেই এটা কেমন করে হয়??
আমি তার প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা মন্তব্য  করলাম এই গ্রুপের সাথে যুক্ত হওয়ার করণীয় কি?
তিনি বললেন রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। তবুও সেটা একদমই ফ্রি। আর বাঙালি ফ্রি'র কথা শুনলে তেমন আগ্রহ দেখায় না। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হলো না। আমি না করে দিলাম আমার সময় নেই বলে।
এভাবে দিন যায়। সপ্তাহ আসে। সপ্তাহে যায়। মাস আসে। মাস যায় বছর আসে।

এভাবেই আমার দিন চলে যায়। ইতিমধ্যে আমার সারাদেশে অসংখ্য অগণিত কাস্টমার তৈরি হয়। তাদেরও একই প্রশ্ন আপনি "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" নেই তাহলে আপনি উদ্দ্যোক্তা হলেন কেমনে। শত কাস্টমারের হাজারো অনুরোধ করায় আমি আবারও শরণাপন্ন হই নাজমুল ভাইয়ের কাছে তিনি বললেন ভাই আপনি শুধু একবার গ্রুপে পোস্ট বা কমেন্ট করেন আমাদের গ্রুপের সদস্যরা আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করে দিবে। আমি গ্রুপে কমেন্ট করা মাত্র অনেকেই আমার ইনবক্সে নক করে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রিয় গ্রুপের দায়িত্বশীল ইনায়া ইসলাম বৃষ্টি  আপু।  এ-ই বিশাল প্ল্যাটফর্মে শত রথি-মহারথিদের মাঝে আমি যেন এক ক্ষুদ্র উদ্দ্যোক্তা। আমি উত্তরার বাসিন্দা হিসেবে উত্তরা জোনের ৩ নাম্বার   মেসেঞ্জারে যুক্ত করে দেন ঢাকা জেলার অ্যাম্বাসেডর  Zahir Joy  জহির জয় ভাইয়া।

নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে এসে টানা ৯০ দিনের কোর্স কমপ্লিট করি। কোর্স শেষে এ-ই ফাউন্ডেশনের ভাইয়ারাই সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে দেয়।

➤➤➤প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা
জীবনে অনেক ভুল হয় এবং সেই ভুল থেকে শুধরে আলোর রাস্তা সবাই পায় না, আমি পেয়েছি। নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার পর আমার ভুল গুলো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। স্যাররের প্রত্যেকটা সেশন নতুন কিছু শিক্ষা দেয়। একটা সেশনে আছে “একসাথে  চললে, একসাথে চা কফি খেলে কখনো বন্ধু হওয়া যায় না, বড় জোর পরিচিত বলতে পারি”।

আমার শিক্ষকও এমন ই ছিলো। আমি হয়তো ভাবতাম তাকে শিক্ষা গুরু , কিন্তু সময় মতো তিনিও অপরিচিত হয়ে গেলো। নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে এসে বুঝতে পারলাম বিজনেস বা উদ্যোক্তা হলো আলাদা একটা সত্তা। এখানে পার্টনার যারা হবেন তাদের কিছু রুলস রেগুলেশন আছে। এখানে বললে গল্পের কলরব বৃদ্ধি হয়ে যাবে। যা আমি নাটোর জেলা কতৃক আয়োজিত উদ্দ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প বলার আয়োজন বলেছি।

স্যারের যে কথাগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে
*জীবনে বলার মতো একটা গল্প থাকা দরকার।
*স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন...... সাফল্য আসবেই।

স্বপ্ন দেখছি , লেগে আছি ।  বিশ্বাসে স্হিরতা এসেছে ,  পরিশ্রম সফলতা বয়ে আনবে এই বিশ্বাসে এগিয়ে যাচ্ছি  । ইনশাআল্লাহ!

➤➤➤প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে অর্জন
#নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে পেয়েছি ।

✓ভালোমনের অনেক ভাই ও বোনদেরকে
✓একে অপরের সহযোগী হয়ে চলতে শিখেছি।
✓একজন ভালোমানুষ হয়ে বেঁচে থাকার আগ্রহ বেড়েছে ব্যাপকভাবে ।
★মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে সুখী হওয়া যায় না।  মা-বাবার দোয়া সবচেয়ে বড় রহমত ও বরকত। 

➤➤➤প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা
★জীবনে বড় হতে হলে ত্যাগী ও পরিশ্রমী হতে হবে।  
★চাইলেই যেকোন খারাপ অবস্থা থেকে নিজেকে তুলে আনা যায়,  দরকার শুধু নিজের সাথে কমিটমেন্ট।
★ প্রোডাক্ট সেল জন্য প্রতিনিয়ত বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
★ নিজের কাজ কে ভালোবেসে করতে হবে কখনোই অলসতা করা যাবে না

কেনো নিজের জীবনের গল্প বলাঃ
কারোর কাছে বেশী প্রত্যাশা করা উচিত নয় । এতে নিজেকে অনাদর , অবহেলা , তুচ্ছ জ্ঞান করা হয় ।  নিজেকে ভালো রাখার জন্য , পরিস্থিতি বদলানোর জন্য দরকার শুধু একটুখানি সাহস। ভয়কে জয় করার দৃঢ় মনোবল আমাদেরকে অতোটা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে যা হয়তো আমরা কোনোদিন স্বপ্নে ও কল্পনা করিনি ।
আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনারা সময় নিয়ে ধৈর্য্য ধরে আমার গল্পটা পড়ার জন্য । আশা করছি পাশে থাকবেন। 


📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৮৩
তারিখ ০৮-১০-২০২২ইং


🌹❤️শুভেচ্ছান্তে❤️🌹
আমি
Minhaz Uddin Attar
ব্যাচ-17
রেজি -82883
নিজ জেলা -নাটোর
বর্তমান অবস্থান উত্তরা
এগ্রো ফোরাম ভলেন্টিয়ার
ব্লাডম্যানেজিং  টিম মেম্বার ও
আজীবন গর্বিত সদস্য
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন।

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।