See More Post

সেই টাকায় আমাদের নতুন একটি ব্যবসা শুরু করে।

🧕আমার জীবনের গল্প 🧕

🙏🙏🙏🙏🙏 গল্পটা পড়ার জন্য ফাউন্ডেশন এর  আমার সকল ভাই ও বোনদের কাছে অনুরোধ রইলো 🙏🙏🙏🙏🙏

    🕌বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম শুরু করছি মহান আল্লাহ তায়ালার নামে🕌

।।।।।।আসসালামুয়ালাইকুম রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।।।।
সকল প্রশংসা আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আল আমিন এর  প্রতি। যিনি  আমাকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এবং সুস্থ ও সুন্দরভাবে  দুনিয়ার আলো দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।

❤️❤️❤️❤️❤️শ্রদ্ধা  ভালোবাসা অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সকলের প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে আজ আমরা এই ভালোবাসার প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি। যিনি এ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক, মোটিভেশনাল স্পিকার, লক্ষ্য তরুন-তরুনীর হৃদয়ের স্পন্দন, পথহারা বেকারদের পথের দিশারী। স্যার কে এককথায় বলা যায় উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর।

🥀🥀লাল গোলাপের শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি বলার মত একটা গল্প প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব ইকবাল বাহার স্যারের প্রতি।
আরও শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি কোর ভলেন্টিয়ার ও মডারেটর ও কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর এবং থানার অ্যাম্বাসেডর ও কমিউনিটি ভলান্টিয়ার আজীবন সদস্য ভাই বোনদের প্রতি। শরীয়তপুর পজেটিভ জেলাটিমের দায়িত্বে থাকা।।। থানা অ্যাম্বাসেডর জান্নাতুল ফেরদৌস আপুএবং জেলা এম্বাসিডর ফজিলাতুন্নেছা আপুর প্রতি এবং মালয়েশিয়া টিমের দায়িত্বে থাকা কোর ভলান্টিয়ার জনাব আসাদুজ্জামান ভাইয়া,, মডারেটর জনাব আলী আকবর ভাইয়া,,কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর জনাব বেলাল এইস সাইদ ভাইয়া,,কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর জনাব সোহেল আরমান ভাইয়া,,এবং কান্ট্রি এম্বাসেডর  রেজাউল করিম সোহাগ ভাইয়া। সকলের প্রতি আমার দোয়া রইল।

🥰🥰🥰 ভালোবাসা জানাচ্ছি আমার প্রানের প্রিয় মা এবং বাবাকে। যাদের কারণেই এই সুন্দর পৃথিবীর মুখ আমি দেখতে পেয়েছি। যাদের  আদর ভালোবাসা এবং শাসন পেয়ে আমি বড় হয়েছি। তাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়।  🥰🥰🥰

,,,,,,,,,,,শুরু করছি আমার জীবনের গল্প,,,,,,
প্রথমত আমি একজন মানুষ আর একজন মানুষের জীবন সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা সবকিছু দিয়ে ঘেরা ঠিক তেমনি আমিও তার বিপরীত না। আমার জীবনেও এগুলো সব কিছুই রয়েছে। সংক্ষিপ্ত আকারে সবার মাঝে  তার ই কিছু বর্ণনা করব ইনশাল্লাহ।

🌻🌻জন্ম ও পারিবারিক বৃত্তান্তঃ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ শরীয়তপুর জেলার পালং থানা গ্রাম তুলাসার ৪নং ওয়ার্ডে  মধ্যবিত্ত একটি পরিবারে আমার জন্ম । আমরা তিন ভাই বোন।আমার বড় একটি ভাই আছে আর আমার দুই বোন।আর আমার মা একজন গৃহিনী এবং বাবা একজন ছোট ব্যবসায়ী ছিলেন।
,,,,আমার ছোটবেলাটা সব বাবুদের মতই অনেক আনন্দে কেটেছে। যখন একটু বড় হলাম সবকিছু বুঝতে শিখলাম তখন শরীয়তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ালেখা শুরু করলাম। ভালোই চলছিল আমার পড়ালেখা। আমাদের খুব ছোট্ট একটা সুখের সংসার ছিল। ভাইয়া লেখাপড়া করছিল বোনটাও ছোট্ট ছিল। আর বাবার ছোট ব্যবসাটাও চলছিল ভালোই।
,,,,,,আমি যখন ক্লাস ফাইভে উঠি। তখনই আমাদের সুখের  জীবনের গল্পের মোর টা ঘুরে যায়।আমাদের জীবনে নেমে আসে কালবৈশাখী ঝড়। একদিন রাতে আমরা সবাই ঘুমিয়ে আছি। হঠাৎ ২:৩০   মেবি ৩:০০দিকে  ঘুমের মধ্যে শুনতে পাই। বাবার মোবাইলে একটা ফোন এসেছে। বাবা ফোন পেয়ে অনেক কান্নাকাটি করছে আর তার সাথে আমার মা ও ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পেরেছিলাম যে কিছু একটা বিপদ হয়েছে কিন্তু এত বর একটা বিপদ যে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে তা আমি বুঝি নাই।।।একটুপরে শুনি যে আমাদের দোকানটা আগুনে পুড়ে গেছে আর এমন ভাবে আগুন লেগেছিল যা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও তারাতারি নেভাতে পারে নাই।।অনেক সময় লেগেছে সেই আগুন নেভাতে আর ততক্ষণে সবকিছুই পুরে ছাই হয়ে গিয়াছেল।আর তাতে একজন মানুষও ছিল সে ও পুরে মারা গিয়েছে। আর আমাদের দোকানটা ছিল পাইকারি মুদি দোকান তার উপরে ছিল বডিং।

,,,,,,,তখন থকেই আমাদের কষ্টের জীবন শুরু। বাবার চোখ মুখ সবসময় অন্ধকার থাকত। কি করবে, কি করে চলবে আমাদের নিয়ে,,কি ভাবে তিন বেলা আমাদের মুখ এ খাবার তুলে দিবে।।।
এই ভাবেই আমাদের খেয়ে না খেয়ে অনেক সময় কেটে জায়। তার পর ও বাবা আমাদের পড়া টা ছাড়তে দেন নাই আমার তখন ও ক্লাস ফাইভ শেস হয় নাই।।।
,,,,হঠাৎ আমার মা অসুস্থ হয়ে পরে। তার হার্ট এর প্রব্লেম শুরু হয়। তার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। মায়ের অবস্থা খুব ডেঞ্জারাস ছিল। শরীয়তপুরে ডাক্তার মাকে ঢাকা নিয়ে যে চিকিৎসা করার কথা বলেছে। কিন্তু আমাদের কাছে সে সামর্থ্য ছিল না। ডাক্তার দেখিয়ে মাকে বাসায় রাখা হয়েছিল। হঠাৎ করে মা কিছুদিন যেতে না যেতে স্টক করেন।

,,,,,বাবা কোন কূলকিনারা না পেয়ে। আমাদের পুরান একটি বাড়ি ছিল সেটা বিক্রি করে ফেলে। আর তখন জমির দাম এমনিতেই কম ছিল আর বিপদের কারনে আরও কম দামে বাড়িসহ জমি বিক্রি করে দেয়। তখন মাকে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। আর বাবা ছোট করে একটি দোকান দেন
তারপরে জীবনটা ভালোই চলছিল। প্রাইমারি স্কুল পার করে  হাইস্কুলে উঠে গেলাম। মা ও আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে উঠলেন।

,,,,,,,,এই রকম করে সময় পার হতে হতে  ২০০৭ সালে বা ২০০৮ সালে আমাদের জীবনের দ্বিতীয় বৈশাখী ঝড় আসল। তখনকার সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার সকলের দোকানপাট ভেঙে নিয়ে জায় আর জায়গা খালি করতে বলেন।।আর তখন আমাদের ও দোকান ভাঙা পড়ে। আর তখন আমাদের জীবন এ খারাপ সময় নেমে আসে।।।এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে। আমার বাবা স্ট্রোক করেন।।।।। আমাদের জমানো কিছু টাকা ছিলো সেই টাকা দিয়েই আমার বাবার চিকিৎসা চলে।।।আমাদের সংসার ও মোটামুটি চলতে থাকে।।। তার পর দাদু বাসা থেকে সাহায্য করত।।নানু বাসা থেকে সাহায্য করত এভাবেই  অনেকটা সময় কটারপরে বাবা ও সুস্থ হয়া উঠলেন।।  পরে দাদু বারিতে আমাদের কিছু জমি ছিলো তা আমার বর চাচাই রেখে দিলেন আর বাবাকে টাকা দিলেন।

,,,,,,আর সেই টাকায় আমাদের নতুন একটি  ব্যবসা শুরু করে। আর এখনো আল্লাহর রহমতে চলছে ভালোই। আর আমি ও আস্তে আস্তে বর হলাম।হাই ইস্কুল পার হয়ে কলেজে উঠে গেলাম এবং ইন্টার পাস করার পরে। যখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ার এ পরি তখন আমার বিয়ে হয়ে জায়।।আমার দুটি বেবি ও আছে হাসবেন্ড আর বেবি দের নিয়ে আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।। আর আমার বড় ভাইয়া ও একটি প্রাইভেট ব্যাংকে জব করছেন।। আর ছোট বোন টা কলেজে পরছেন।

💐💐💐💐💐গল্পটি পরার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ রইলো।আমার লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে সকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

🌻🌻🌻আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর আজীবন সদস্য।


📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৮৯
তারিখ ২১-১০-২০২২ইং


নামঃ সান্তা ইসলাম।
জেলাঃপজেটিভ শরীয়তপুর।
থানাঃ পালং
ব্যাচ নং ১৯
রেজিস্ট্রেশন নাম্বারঃ১০৩৪৫৬
বর্তমান অবস্থানঃগাজীপুর সাইনবোর্ড

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।