See More Post

যেন একজন ভালো মানুষ হতে পারি,আস্তে আস্তে আমার

💗আমার  জীবনের  গল্প 💗

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম  ওয়া  রহমাতুল্লাহ

পরম  করুনাময়  অসিম  দয়ালু  আল্লাহর  নামে  শুরু  করছি। যিনি   আমাকে  সৃষ্টি  করেছেন   এবং  সুস্থ  রেখেছেন।

সেইসাথে  ভালোবাসা  এবং  কৃতজ্ঞতা  জানায়  আমার  বাবা  মার প্রতি।  যারা  আমাকে  এই  সুন্দর পৃথিবীর  আলো দেখিয়েছেন  এবং ছোট থেকে  বড় করে তুলেছেন।

এই  পর্যায়ে  আমি  আমাদের   সকলের  প্রিয়  শিক্ষক  মেন্টর  জনাব,  ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের  প্রতি  কৃতজ্ঞতা  গ্যাপন  করছি। যিনি  না  থাকলে  হয়তো  আজ  আমরা  কেউ  কাউকে  চিনতাম না,জানতাম না,জীবনের  নতুন  মানে  খুঁজে  পেতাম না। স্যারের  প্রতি  শ্রদ্ধা, ভালোবাসা  ও দোয়া রইল।

👉আমার জন্ম ও বেড়েওঠাঃ

আমার বাবা মেকানিক্স কাজে নিয়োজিত ছিল আমার  মা  গৃহিণী।আমি  আর  পাঁচ   জনের  মতো  গ্রামের  একটি  সচ্ছল   মধ্যবিত্ত  পরিবারে  জন্মগ্রহণ  করি। আর সেখানেই  আমার  বেড়ে  ওঠা।

আমার  শিক্ষা  জীবনঃ বেশি দূর পড়ালেখা টা করতে পারিনি   সিংড়া  চলনবিল ডিগ্রী মহিলা কলেজ থেকে  আইএ পাশ করলাম ।  অনার্সে  ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা টা পুরনো হলে  ও ইচ্ছাটা  বাস্তবায়ন  হলো না

বিবাহিত  জীবনঃ আইএ  পাশ করার কিছুদিন পরে বিয়ে হল ।  অনার্সে  ভর্তির তারিখ  জানতে  পারলাম কোনভাবেই পরিবার থেকে রাজি হলো না।  ভর্তির তারিখ  জানতে পারলাম  আমার  স্বামী তখন এক আত্মীয়র বাসায় নিয়ে যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়ে আমাকে  ভর্তি করিয়ে দিলো।  লুকিয়ে ভর্তি  হলাম রাতে পড়তাম চুপি চুপি  পরীক্ষার  সময় আসলো বাড়িতে সবাই জেনে গেল পরীক্ষাটা  দেওয়া হলো না ।‌  বিশেষ করে  আমাদের গ্রামের মেয়েদের  যখন  বিয়ে হয় আমাদের  সব রকম স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয় ।  আশা-আকাঙ্ক্ষা  বলে কিছু থাকেনা।বিয়ের কিছু দিন পরে আমার মা অনেক অসুস্থ হয়ে পরল বাবা অনেক ডাক্তার দেখাই তো মা প্রায় সারা বছরই অসুস্থ থাকতেন।সেই বার  বাবা গেল না ডাক্তার কাছে আমি গেলাম রাস্তা তেমন একটা চিনতাম না তবুও গেলাম । নাটোর ডায়গোনিস্টিক হসপিটালে গেলাম গিয়ে দেখি বন্ধ বৃহঃ ছিল সেইদিন। ওই খানের এক দাদু বললো অন্য আর এক হসপিটাল এর কথা গেলাম সেখানে । টিকিট কাটলাম টেস্ট দিলো অনেক গুলো ডাক্তার রিপোর্ট আসলো শরীলে রক্ত কম তিন ব্যাগ রক্ত দিতে হবে। আমি ডাক্তার কে বলছিলাম রক্ত না দিয়ে বেশি বেশি খাওয়ালে কি হবে। ডাক্তার এক কথায় না  করল রক্ত দিতেই হবে ।বাড়ি আসলাম বাবা ভাই রিপোর্ট দেখলো তিন ব্যাগ রক্ত দিয়ে সাত দিন পড়ে নিয়ে গেলাম এবার আর আমি একা না  বাবা ভাই সাথে নতুন করে টেস্ট করে রিপোর্ট দিলো । বাবা ভাই আমি ডাক্তারের ঘরে, আমাকে বের করে দিল ,আসতে চাইলাম না  এক রকম জোর করে বের করে দিলো। বাড়ি ফিরে আসলাম   যেতে বলছে রাজশাহী মা কে নিয়ে। আমি শশুর বাড়ি চলে গেলাম বাড়ি কাছেই শশুর বাড়ি আমার ,অনেক কষ্ট কাটতো আমার দিন গুলো আমি ছোট মানুষ তখন কোন কথাও বলতে পারতাম না।  ভয়ে ভয়ে থাকতাম, মা কে রাজশাহী নিয়ে যাবে বাবা একাই, আমি যাবো যাওয়া হল না,যাবার অনমতি পেলাম না।মা কে টেস্ট করালো রিপোর্ট আসলো আমার মায়ের ব্যাড কেন্সার 😭 আমাকে জানালো না কেউ ঔষধ চলছে মায়ের এর মধ্যে রক্ত বমি শুরু হয়ে গেল । মায়ের মাথার কাছে বসে আছি মায়ের নিশ্বাস টা বের হয়ে গেল😭 আমার মায়ের জন্যে সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন মা কে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন আমিন। নিজেকে এখনো গুছিয়ে নিতে পারিনি। কোন কাজ জানতাম না মায়ের কাছে জেনে সব কাজ করতাম মা চলে গেল আমার কষ্ট টা দশ গুন বেশি হয়ে গেল। পরিবারে আমাকে আপন ভাবার মতো কেউ ছিল না আমার স্বামী ছাড়া, নিজের কোন অধিকার ছিল না  শশুর বাড়ি । বদলে গেছে দিন আমরা  মেয়েরা আর কোন কিছু থেকে পিছিয়ে নেই  সেটা  বুঝিয়ে দেয়ার সময় চলে এসেছে ।  নিজের  স্বপ্নকে পূরণ করতে স্বামী পাশে এসে দাঁড়িয়েছে । আমার স্বামী অনেক  ভালো মনের একজন মানুষ ওর অনুপ্রেরণায় আজ আমি এখানে আপনারা সবাই আমাদের জন্যে দোয়া করবেন।

👉 আমার  স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা  শেষ করে ছোট খাটো একটা চাকরি করা। স্বপ্নটা পূরণ হলো না বলতে পারেন পরিবারের চাপে যাইহোক  নিজেকে নিয়ে ভেঙে পড়িনি ছোট ছোট স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলছি ।

আমি  এখন  অনেক  সপ্ন  দেখি,  এই  গ্রুপে  যুক্ত  হবার  পর  স্যারের  প্রত্যেকটা  সেশান  আর  স্যারের  প্রত্যেকটা  দিক নির্দেশনা আজ  আমাকে  আরো সাফ্যলের সিঁড়ি দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । আমার  জন্য  আপনারা  দোয়া  করবেন  আমি   যেন  একজন  ভালো  মানুষ  হতে  পারি,আস্তে  আস্তে আমার  সব  সপ্ন  গুলো  পুরন  করতে  পারি  এবং  একজন  সফল  উদ্দোক্তা  হতে পারি।
  

আমি কাজ করছি ঢাকা থেকে মেয়েদের থ্রি পিস শাড়ি ওড়না  ওয়ানপিচ টু পিচ ছেলেদের টি হুডি-শার্ট পাঞ্জাবি কসমেটিক্স আইটেম নারিকেলের নাড়ু  পাস্তা  ফুচকা

আমার  জীবনের  এই  ছোট্ট  গল্প  এতক্ষণ  ধৈর্য  ধরে  শোনার  জন্য  আপনাদের  অসংখ্য  ধন্যবাদ।
আল্লাহ  আপনাদের  সকলের  মনের  নেক আশা  পুরন  করুন। আমিন।


📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৯০৭
তারিখ ২৫-১১-২০২২ইং


❤️আমি
স্বর্ণা আক্তার
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের
একজন  আজীবন  সদস্য
সিংড়া,নাটোর
ব্যাচঃ ১৯
রেজিষ্ট্রেশন১০৬৮৯২

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।