See More Post

ছাগল পালনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশের প্রানিজ আমিষের চাহিদা পূরনের ক্ষেত্রে গরু,মহিষের পরে ছাগলের ভুমিকা অপরসীম।ছাগলকে গরিবের গাভী বলা হয়।কারন মনে করেন এখন একটি সমস্যা দেখা দিল আপনার ৩০০০/৪০০০টাকার খুব প্রয়োজন আপনি ইচ্ছে করলে একটি ছাগল বিক্রি করে সমস্যা সমাধান করতে পারেন খুব সহজে। ছাগল একটি ত্রিনভোজী প্রাণী ছাগল সাধারণ লতা,পাতা, ঘাস খেতে পছন্দ করে।
প্রানিজ আমিষের চাহিদা পূরনের ক্ষেত্রে ছাগলের ভূমিকা অপরাসীম।
ছাগলের জাতঃ- এই পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতের ছাগল রয়েছে।যেমন, ব্লাক বেঙ্গল বা কালো ছাগল, যমুনাপাড়ি,রাম ছাগল, শিরোহী,হরিয়ানা, গুজরাটী,তোতাপূরী ইত্যাদি।
আমি ব্লাক বেঙ্গল বা বাংলার কালো ছাগল নিয়ে আলোচনা করব।এই জাতের ছাগলের দৈহিক গঠন সুন্দর ও সুঠাম ছোট প্রকৃতির। এটি আমাদের দেশের জনপ্রিয় একটি জাত। যারা নতুন খামার করতে চান তাহার ব্লাক বেঙ্গল দিয়ে করেন এই ছাগলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।
খাদ্য ও বাসস্হানঃ- ছাগল সাধারণত লতাপাতা,ঘাস খেতে প্রছন্দ করে।
ছাগল কে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাচা ঘাস খেতে দিতে হবে।ও পাশাপাশি একটি পূর্ণ বয়স্ক ছাগলকে দৈনিক ১৫০ গ্রাম দানাদার খাবার দিতে হবে।যেমন, গম ভাঙা,ভুট্রা ভাঙা,সয়াবিন ও খৈল দিতে হবে।
বাসস্হানঃ ছাগল পরিস্কার শুকনো স্হানে থাকতে প্রছন্দ করে।
ছাগলের ঘর হতে হবে খোলামেলা যাতে আলো বাতাস চলাচল করতে পারে।অবশ্যই ছাগলের ঘরে মাচার ব্যবস্থা করতে হবে। মাচায় ছাগল লালন পালন করলে রোগ জীবানু অনেক কম হয়।ও ছাগলের মল মুত্র সহজে নিচে চলে যায়। পরিস্কার করতে সহজ হয়। মাচা অবশ্যই মাটি থেকে ৩-৪ ফুট উচু হতে হবে।
রোগ ও প্রতিকারঃ-ছাগলের সবচেয়ে মারাত্মক ও মহামারী রোগ হল পি পি আর।এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ।এই রোগটি বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। একটি ছাগল আক্রান্ত হলে এই ছাগল থেকে আরও ছাগলের মধ্যে রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
লক্ষন ছাগলের শরীলের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায় মুখে গা হয় ও পাতলা পায়খানা দেখা দেয় ও খাবার খাওয়া ছেড়ে দেয় এই রোগে আক্রান্ত হলে ছাগলের মৃত্যুর হার ১০০% যেহেতু ভাইরাস জনিত রোগ তার সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নাই আক্রান্ত ছাগল খামার থেকে আলাদা রাখাতে হবে।
প্রতিকার ছাগল কে পি পি আর এর ভ্যাকসিন টিকা প্রদান করা হয়।
বাচ্চা ছাগলকে প্রথম তিন মাস বয়সে টিকা দিতে হয়,তারপর আবার ছয় মাস বয়সে বুস্টার ডোজ দিতে হয়।তার পর ১ বছর অন্তর অন্তর ছাগল কে পি পি আরের টিকা প্রদান করতে হবে। ও যেকোন বয়সে ছাগলকে পি পি আর টিকা প্রদান করা যায়।
কৃমি একটি কমন রোগ ছাগলের কৃমিতে আক্রান্ত ছাগলের দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। বাচ্চা ছাগলকে তিন মাস বয়সে প্রথম কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হয়।তার পর প্রতি ৩-৪ মাস পর পর ছাগলকে কৃমি ওষুধ খাওয়াতে হবে।
কৃমি ওষুধ খাওয়া পর ছাগল কে লিভার টনিক সিরাপ খাওয়াতে হবে।
তাছাড়া ছাগলের তেমন কোন মারাত্মক রোগ হয় না। ছাগল কে ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে।ঠান্ডার কারনে ছাগল বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
সবাই ভালো থাকবেন আজ এখানে শেষ করলাম।
"যে যেই খামার করেন না কেন যেনে বুঝে ও ছোট পরিসরে শুরু করবেন"

📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ১১১ Date:- ১৫/০১/২০২০ ইং
আলমগীর হোসেন ফকির
ব্যাচ সপ্তম
রেজিঃ নম্বর-৫৬৯০
বতর্মানঃ-ইয়ানবু,সৌদি আরব প্রবাসী
জেলাঃ বেলাব,নরসিংদী
মোবাইল নম্বরঃ-00966573170621
পোষ্ট নম্বর-৩৬

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।