See More Post

নিজের লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে আমিও পারবো। তাহলে আমরাও পারবো ইনশা-আল্লাহ।

🥀🥀আমার জীবনের গল্প 🥀🥀


সবাইকে অনুরোধ করছি, গল্পটি পড়ার জন্য আজ আমার জন্মদিনে নিজের গল্প শেয়ার করলাম।

এবং ভালোবেসে একটা কমেন্ট করে আসবেন।


🌿আসসালামু আলাইকুম ওরহমাতুল্লাহ্।


🌹🌹কৃতজ্ঞতা এবং হাজার কোটি শুকরিয়া জানাচ্ছি, মহান রব্বুল আলামীনের প্রতি। যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ রেখেছেন।


🌹🌹দরুদ ও সালাম জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি। 


🌹🌹ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রিয় মেন্টর, প্রিয় স্যার,জনাব @Iqbal Bahar Zahid  স্যারকে। যার কঠোর পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন " উদ্যোক্তা তৈরির কেন্দ্র।


চাকরি করবো না, চাকরি দিবো।


------------ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।


চলুন জেনে নেয়া যাক আমার জীবনের গল্প। আশা করছি আমার গল্প থেকে আপনারা কিছু শিখতে পারবেন। 


🏠 জন্ম ও পরিবারঃ-

ফেনী জেলা, ফুলগাজী উপজেলার জামমুড়া নামক গ্রামের নানু বাড়িতে আমার জন্ম হয।ামার জন্মের নয় মাস পর আমার নানার মৃত্যু হয়।তারপরই আমরা শহরে চলে আসি।।আমরা চার ভাই ৮ বোনের একান্নবর্তী পরিবার ছিলাম।দুই ভাই বোনের মৃত্যু হয়। বড় হওয়ার পর।ভাই বোনের মৃত্যু আমার মাকে অসুস্থ করে তোলে।শেষ পর্যন্ত গত বছর মায়ের মৃত্যু হয়, মাত্র ৬২ বছর বয়সে। 


💙💜আমার শৈশবঃ-

ছোট বেলা থেকেই আমরা শহরে থাকি।শহর হলেও আমাদের বাসাটা ছিলো গ্রামের আবহে।আমার  শৈশব কেটেছে খুবই সুন্দর ভাবে এবং আমি ছিলাম অনেক শান্ত এবং হাসিখুশি।প্রচুর কথা বলতাম।আত্নীয় - স্বজন আসলে আমার কথা আর থামতো না।যেহেতু বড় ও ছোট  বোনেরা ছিলো তাই খেলার সাথীর অভাব ছিলো না।শৈশব ছিলো খুবই মনোমুগ্ধকর। এখনো মন চায় শৈশবে ফিরে যেতে। 


💜আমার পড়ালেখাঃ-

যেহেতু আমরা শহরে ছিলাম ভর্তি হলাম বাসার পাশে এক গার্লস স্কুলে প্রাইমারী ও মাধ্যমিক ওই স্কুলে শেষ করি।

 স্কুল জীবন কেটেছিল খুবই ভালো ভাবে। অনেক শান্ত থাকায় সবার প্রিয় হয়ে উঠতে সময় লাগে নি একটুও। সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসতো। স্যার থেকে শুরু করে সহপাঠী, ছোট এবং বড় বোনদের কাছে ছিলাম খুবই প্রিয়।  এভাবে শেষ করলাম মাধ্যমিক।

এরপর শহরের কলেজে ভর্তি হলাম।না ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে ফাইনাল পরিক্ষা দেওয়ার পর পর বিয়ে হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় আমার পড়ালেখা। 


💝আমার প্রিয় ব্যক্তিঃ-

আমার বাবা -মায়ের পরে যাদের সব থেকে বেশি ভালোবাসি তারা হলেন আমার সন্তান। যাদের জন্য জআমার শত কষ্টের মাঝে ও বেঁচে থাকা।


স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন,শুরু করুন, লেগে থাকুন সফলতা আসবেই, ইনশাআল্লাহ। 

স্যারের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে চালিয়ে নিচ্ছি, শত হতাশার মাঝে ও লেগে আছি। 


প্রেম-খুব চটপটে আর সুন্দরী ছিলাম তাই প্রমের প্রস্তাবের অভাব হয়নি।কাউকে ভালো লাগেনি। অন্য সবার মতো আমার জীবনে ও প্রেম এসেছিলো।ভালোবেসেছিলাম আনিস নামের নিজ গ্রামের একজনকে। পরিবার ছিলো কঠিন রক্ষণশীল। ঈদে গ্রামে বেড়াতে গেলে তার সাথে পরিচয়, তারপর ভালোবাসা,খুব বেশি দিন টেকেনি।পরিবারের কাছে হার মেনে বসতে হলো বিয়ের পিঁড়িতে।লোক মুখে শুনেলিলাম তার খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিলো আমার বিয়ের পর।


বিবাহিত জীবন - না আমার বিবাহিত জীবন মোটেও সুখের ছিলো না।বিয়ের দুইদিন না যেতে শুরু মানষিক নির্যাতন যা আজ ২১ বছর পরও লেগে আছে। আমি একজন ভালো মানুষ তাই যৌথ পরিবার থেকে আলাদা হতে পারিনি শত আঘাতের পর ও।শারীরিক নির্যাতিত হতে হয়েছে অনেক বার। কয়েক বার আত্নহত্যা করার কথা ও ভেবেছিলাম। 

সন্তদের মুখের দিকে তাকিয়ে সয়ে গেছি সব কিছু। ব্যবসা শুরু করার কথা উঠতেই শাশুড়ী বাধ সাধেন।ঘরের বউয়ের পা লম্বা হয়ে যাবে, হাত টাকা আসলে খারাপ হয়ে যাবে, আরো কত কথা কত অপমান শুনতে হয়েছে এক জীবনে। এতো কিছুর পর ও সংসার ছাড়িনি,কারন আমি মনে করি নারীর জীবনে বিয়ে একবারই হয়,পুরুষ ও থাকবে একজন।

পরিবার আমাকে কখনো বাইরে যেয়ে কিছু করতে দিবেনা।পুঁজি আছে এবং ইচ্ছে আছে একটা শোরুম দেওয়ার জানিনা আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা।


 আমার স্বপ্নঃ- আমার সন্তানের পরে আরো একটা স্বপ্ন আমার ছোট পেইজ খানা

।#মুনাফ্যাশন তাকে অনেক বড় করা, দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাহিরে পরিচিত করা।


ইনশাআল্লাহ আমিও হবো একজন সফল উদ্দোক্তা।


 💙💜বিজনেসের শুরুঃ-

ছোট বেলা থেকে আশা ছিলো নিজে কিছু করবো।গরীব দুঃখীদের সাহায্য করবো।কোনো গরীব অসহায় দেখলে আমার প্রান কাঁদতো তাদের জন্য, সব সময় সাধ্য মতো করতে চেষ্টা করি।আমার জীবনে একটাই স্বপ্ন একটা বৃদ্ধাশ্রম দিবো,তাইতো শত হতাশার মাঝে ও লেগে আছি। আমার অনলাইনে ক্রেতা খুব কম সব অপলাইনে।অসহায়দের কথা চিন্তা করে আমার কাজ নামা।কাজ শুরু করি ২০০১ সালের ডিসেম্বরে। 


🫶প্রিয় প্লাটফর্মে আগমনঃ-প্রিয় গ্রুপে আমি কারো মাধ্যমে আসিনি।আমার পেইজের পোস্ট করার সময় ওখানে ইকবাল বাহার স্যারের কিছু পোস্ট আমার সামনে আসে।ওনার লেখা গুলো পড়ে অনুপ্রেরণা পাই।

অনলাইনে কাজ করার জন্য আমি শিখতে চাই।


 আমি এমন কিছু খুজছিলাম যেখান থেকে ফ্রি তে শিখতে পারবো।পেইজ থেকে নিজের আইডি কে ইনবাইট  করে আমি নিজে নিজে রেজিষ্ট্রেশন করি।এবং সেই থেকে লেগে আছি,থাকবো শেষ পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ। 


💙💜প্লাটফর্ম থেকে শিক্ষাঃ-

আমি প্লাটফর্ম থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমি আগে কারো সাথে কথা বলতে পারতাম না, কিন্তু এখন আমি অনেক কথা বলতে পারি।হাল না ছেড়ে শেষ দেখা।

বিশেষ করে নিজেকে ভালোবাসা আমি ফাউন্ডেশন থেকে শিখেছি।


💜💙স্যারের যে কথায় অনুপ্রাণিত হইঃ-

১.স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন,শুরু করুন, লেগে থাকুন,সফলতা আসবেই।


২.চাকরি করবো না, চাকরি দিবো।


 ৩.বৃষ্টি সবার জন্য পড়ে, ভিজে কেউ কেউ। 


৪. নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি করতে হবে।


৫. আমরা সবাই ভালো মানুষ। 

তাছাড়াও প্রিয় প্লাটফর্মের শপথ বাক্য নতুন করে অনুপ্রেরণা দেয়। 


৬ যত যাই কিছু হোক হতাশ হবোনা, কাজ ছেড়ে পালাবো না।লেগে থাকবো শেষ পর্যন্ত।


👍বিজনেসের বর্তমান অবস্থাঃ-

আলহামদুলিল্লাহ,যখন শুরু করি তখন একেবারে শূন্য হাতে কাজে নামি।এক ভাইয়ের সাথে কথা বলে তার দোকানের জন্য বেবি নকঁশি কাঁথা ও মেক্সি সেলাই করি।তার পর কিছু টাকা জমিয়ে অন্য কাজে ইনভেস্ট করি।এখনো বলার মতো তেমন কিছু করতে পারিনি।তবে আলহামদুলিল্লাহ পারবো আশাবাদী। 

সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। 


🌹🌹এই গল্প থেকে শিক্ষাঃ-

১.যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে,সাহস  হারালে চলবে না।


২.নিজের লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে আমিও পারবো। 

তাহলে আমরাও পারবো ইনশা-আল্লাহ।

৩, সব সময় নিজেকে ভালোবাসুন, কাজকে ভালোবাসুন।


🌹🌹আমার কাজঃ-

👉বেবি নঁকশি কাঁথা, বড় কাঁথা 

👉তিন ধরনের মধু 

👉ইমপোর্টেট নাইট ড্রেস।

👉বাটিক,সুতি,লোন থ্রিপিছ

👉 কাস্টমাইজড হ্যান্ড পেইন্ট সকল পন্য

👉হাতের কাজের পান্জাবি


🙏লেখার মাঝে ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।

❤️‍🩹এতক্ষন গল্পটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।


স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৯৪৫

Date:- ৩০/০৫/২৩ইং

🧡🧡আমার পরিচয়ঃ-

নামঃ- শিরিন চৌধুরী 

ব্যাচ নং-২০,রেজিঃ নং-১১১৪৫৪

জেলাঃ-ফেনী সদর

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।