See More Post

SOD অর্থাৎ স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে হয়ে কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে চলে এলাম।

আসসালামু আলাইকুম  ওয়া রাহমাতুল্লাহ।


প্রথমেই আল্লাহ তায়ালার নিকট আমি শুকরিয়া আদায় করছি আমাকে সুন্দর এই পৃথিবী দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল বলে এবং সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতে পারছি, বিবেক বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করার তৌফিক দান করেছেন। 


আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে, যিনি ভালো মানুষ তৈরি করার এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন । স্যার এবং স্যারের পরিবারের জন্য সব সময় দোয়া থাকলো। 


আমাকে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে,যা আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল। আমি SOD হতে পেরে, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হতে পারে খুব খুব আনন্দিত, খুব খুব উচ্ছ্বসিত।  "আমি নিজের বলা গল্প" প্লাটফর্ম এ কাজ করবো ভালো মানুষদের সাথে। ভালো মানুষ তৈরি করার জন্য কাজ করবো। ভালো মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো, এটাই আমার স্বপ্ন, এটাই আমার চাওয়া ছিল।  এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। 


আমি ও আমার হাজব্যান্ড দুজনেই ভালো মানুষ। আমাদের দুজনের কাছে সততা সবার উর্ধ্বে। আমার হাজব্যান্ড তো এই বয়সে এসে শুধু সততা বজায় রাখার জন্য অনেক চাকরি সে ছেড়েছে। আমার গল্প পড়ে সবাই বুঝতে পেরেছেন আমি কি পরিমাণের সৎ ছোট থেকেই। ছোট থেকেই আমি পরীক্ষার কারো সাহায্য ছাড়া একাই যা পারতাম লিখতাম।  আমি সব সময় প্রতিটি কাজে নিজে সৎ থেকে কাজ করেছি, কিন্তু ভালো মানুষের জন্য কাজ করার এমন প্লাটফর্ম পাই নি। যা আজ আমি পেয়েছি। তাই আজ আমার আনন্দ টা এতো বেশি। 


আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি "নিজের বলার মতো  একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের সম্মানিত এডমিন ও মডারেটর প্যানেলকে আমাকে এই সম্মানে ভূষিত করার জন্য। 


আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার ঢাকা জেলার মিরপুর টীমকে আমাকে ভালবেসে সব সময় সার্বিকভাবে সহযোগীতা করার জন্য।


বিশেষভাবে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, ঢাকা জেলার কাফরুল থানার এম্বাসিডর আমাদের ভালবাসার প্রিয় আপু 💖 আমার মিতা 💖 Jasmin Akter Jui আপুর  প্রতি, যার অনুপ্রেরণায় আজ  আমি SOD, আজ আমি কমিউনিটি ভলান্টিয়ার।   আমার এই প্রাপ্তি। 


সত্যি বলতে এই ফাউন্ডেশন সম্পর্কে তেমন ধারণা আমার ছিল না। আমার হাজব্যান্ড এর প্ররোচনায় আমি এ গ্ৰুপে জয়েন করি। কারণ সে এই প্লাটফর্ম পছন্দ করতো, কিন্তু নিয়মিত ছিল না। আমি জয়েন করি সে যেন এটাতে নিয়মিত হয় এই কারণে।  জয়েন হয়ে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পেয়ে যাই।  আমাদের প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের ৯০ দিনের ক্লাস করতাম, ইউটিউব ঘেঁটে। প্লাটফর্ম থেকে পেয়ে যাই Jasmin akter Jui আপুকে । তারপর জুঁই আপু নক করে আমাকে।  Jasmine Akther Jui  আপু প্রথম থেকেই ফোন দিয়ে দিয়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছেন। সেশন ক্লাস এ থাকতে বলতেন, যেহেতু চাকরি করি, ব্যস্ততার নানা অজুহাত দেখিয়ে থাকতাম না।   

প্রিয় জুঁই আপুও আমাকে ছাড়ে নি। এভাবে আন্তরিকতার সম্পর্ক হয়ে গেল। আজ সেশন ক্লাস না করে থাকতে পারি না। যত কাজ থাকুক যতক্ষণ আপু সেশন ক্লাসে থাকে ততক্ষণ আমিও থাকি। আর মন্ত্রমুগ্ধের মতো আপুর কথা শুনতে থাকি। আমার মতো সব নতুন পুরাতন  মেম্বারদের জন্য আপু অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান নিঃস্বার্থভাবে। 


                     📝শিক্ষার_কোন_শেষ_নেই📝

সেশন ক্লাস থেকে প্রতি দিনই কিছু না কিছু শিখতে থাকি। 

প্রতিটি সেশন ক্লাস থেকে আমি যা যা শিখতে পারছি, তা একনজরে : 


🌱-সেশন  চর্চার  মাধ্যমে একে অন্যের সাথে পরিচিত হতে পারি। 

🌱- নিজের উদ্যোগের ব্র্যান্ডিং করতে পারছি,  

🌱-  আমার নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে । 

🌱 - খুব সহজেই আমার পণ্যের মার্কেটিং করতে পারছি।

🌱- প্লাটফর্মের যেকোনো বিষয়ে আপনার অজানা অনেকে কিছু  দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে জানতে পারি শিখতে পারি। 

🌱- কথা শুনার এবং বলার মতো ধৈর্য্য ও মন-মানসিকতা  তৈরী হচ্ছে। 

🌱- মানুষের সামনে কথা বলার জড়তা থাকে সেটা দূর হয়ে যাবে। 


আমি আমার গল্প টি লিখে জুঁই আপুকে দিলাম। আমি দিয়েছি রাত ১২ টার। গল্প টা দিয়ে আমি ঘুমিয়ে যাই। সকালে উঠেই দেখি আপু আমাকে উৎসাহিত করেছে। পরে সকালে আপু ফোন দেয় আমাকে। কিছু গাইডলাইন দিলো। আমি সেভাবে পোস্ট করে দিলাম।  আপু সব সময় SOD লেখার জন্য উৎসাহিত করেন। তার কথায় উৎসাহিত হয়ে আমি নিজের গল্পটা  লিখি। আপুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শুধু তাই নয়, আমার মতো ও আপু অনেক খুশি হয়েছেন। এটাই আমার পরম পাওয়া। 


খুশি হয়ে আপু আমার জন্য নিজ গলায় গান ও করেছেন। তখন মনে হচ্ছিল বোন যেমন বোনের আনন্দে আনন্দিত হয়। আপু আমার তেমন একজন 💖ভালোবাসার বোন। 💖 তার এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করার নয়। আপুর জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা। তিনি সব সময় আমার পাশে থেকে  আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।হাজারও ব্যস্ততার মাঝে তিনি আমাকে সময় দিয়েছেন।


এছাড়াও আমাকে আরো অনুপ্রেরণা দিয়েছেন আমাদের আরেক প্রিয় আপু @Hamida Rahman  আপু।  বিশেষভাবে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি মিরপুর জোনের সকল ভলান্টিয়ার ও মেম্বারদের ( নাম লিখলাম না, নাম দিলে অনেক বড় লিস্ট হয়ে যেত)।   ফাউন্ডেশনের প্রিয় ভাই ও আপুদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি। 


সবশেষে, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হিসেবে আমার উপর যে দায়িত্ব এসেছে আমি তা যথাযথ পালন করার চেষ্টা করবো। আপনারা আমাকে গাইড লাইন দিবেন, আমাকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিবেন । আমাদের প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের শিক্ষা নিয়ে আমরা একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।  আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে ভালো মানুষ হিসেবে এই অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারি। 


এই ফাউন্ডেশন এর সকল সদস্য এবং ভালবেসে লাইক, কমেন্ট করে সব সময় পাশে ছিলেন তাদেরকে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। ফাউন্ডেশন এর সকল আজীবন সদস্য প্রিয় ভাই ও আপুদের জানাই আমার অনেক অনেক  ভালোবাসা ও শুভকামনা। 


আমার জন্য সবাই দোয়া  করবেন এবং পাশে থাকবেন। আর সকলে  ভাল থাকবেন, নিজেকে ভালো রাখবেন। ভালো কাজ করবেন। আমরা সবাই ভালো মানুষ হই এই শপথ সবার মাঝে থাকুক। 

আমার লেখার ও কোন কথায় ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ প্লিজ।


আমি কাজ করছি : পোশাক 👗 নিয়ে (পাইকারি ও খুচরা)

বিজনেস পেইজ: JN Fashion Zone

পেইজ লিংক: https://www.facebook.com/JNFashionZone

👉আমার প্রতিটি কাজের মধ্যে রয়েছে ইউনিক ডিজাইন: 

🔰 কাস্টমাইজ কুর্তি

🔰 সুতি ও জর্জেট  থ্রিপিস

🔰 বড়দের সাইজের পাঞ্জাবি

🔰 বাহারি রঙের জামদানি শাড়ি

🔰 কাস্টমাইজ বোরখা ও কটিসেযট

🔰 সিজনাল বিজনেস-শীতের পোশাক 

🔰 গ্ৰাফিক ডিজাইন-লোগো/বিজনেস কার্ড/ব্যানার/


ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 


📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭০০

Date:- ১৮/১২/২০২১ ইং

জেসমিন ইতি 

কমিউনিটি ভলান্টিয়ার

ব্যাচ:১৫

রেজিস্ট্রেশন নাম্বার:৭১৭৭৯

বর্তমান অবস্থান: মিরপুর-১৩, ঢাকা


ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।