See More Post

মাত্র একটু ঘুরে দাড়াবো এর মধ্যে আমার দোকান থেকে সব কাপড় চুরি হয়ে গেলো।

<<<আমার জীবনের গল্প>>>

     

         🕋 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 🕋


🌹সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। 


শুরুতে মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া যিনি আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন এবং অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। 


🤲তারপর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আমার  পিতা-মাতাকে যাদের জন্য পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখার এবং ভোগ করার সৌভাগ্য পেয়েছি।


🌹🌷শ্রদ্ধা জানাচ্ছি অসংখ্য তরুণের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রিয় মেন্টর জনাব  ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর মত বিশাল বড় একটা পরিবার।


  সেই সাথে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর সকল আজীবন সদস্যদের।


🌱জন্ম এবং শৈশবঃ ফরিদপুর জেলায় আমার জন্ম, ৫ ভাই বোন আমরা। ৩ বোনের পর আমার জমজ ২ভাই। বাবা পাপলিক হেল্থ এর সাবেসটি ইন্জিনিয়ার। মা গৃহিণী। আমারা চাচাতো ভাই বোন মিলে বাড়িতে ২০ জন মানুষ। একই সাথে বেড়ে উঠা। শৈশব এবং কৈশোর সেখানেই কাটে আমার। 


🌳পারিবারিক শিক্ষা এবং বেড়ে ওঠাঃ

ছোট  সময় থেকে আমি ছিলাম ভীষণ  শান্ত। নাচ,গান খেলাধুলা,পড়াশোনা  সবকিছুতেই ছিলাম ভালো।


💥আমি নাচ এবং  খেলায় ছিলাম ডিসট্রিক চ্যাম্পিয়ান।


সবাই  আমাকে ভীষণ  ভালো বাসতো। এলাকার মধ্যে  আমার বাবা ছিলেন  অনেক  ধনী। এ জন্য  আমাদের সাথে  সবাই  ইজি ভাবে মিশতো না।


 কিন্তু  এটা আমার ভালো লাগতো না আমি গরীবদের বরাবর ভালোবাসি কিন্তু  আমার পরিবারের কেউ  এটা ভালো ভাবে নিতো না।


 ১৯৯৬ সালে যখন আমি নাইনে পড়ি তখন আমি কেমন যেনো একা একা নামাজ, পর্দা  করতে শুরু করি। এ কারনে আমার বাবা আমাকে ভুল বুঝেন, যে আমি নিশ্চিত কারো প্রেমে পরেছি। এর জন্য  আমাকে বিয়ে দিতে উঠে  পরে লাগেন। আমি ভীষণ  পড়তে  ভালোবাসতাম। কিন্তু  আমার বাবা একটা ভুল সিদ্ধান্ত  আমার জীবন টা শেষ করে দিলেন। 


❌জীবনের দুর্ঘটনাঃ

যাই হোক বিয়ে যখন হয়ে গেছে আর কি করার। আমার শুধু একটা চাওয়া ছিল  আমার পড়াটা যেনো বন্ধ  না হয়। কিন্তু তা হলো না। ছেলেদের  সাথে পড়াশোনা করা যাবে না। বাবাকে বললাম, বাবা বললো এতো পড়তে হবে না। 


রাগ করে ১৯৯৯ সালে ঢাকা চলে আসলাম। আমি ছিলাম ভীষণ  সহজ সরল। আমার এ সরলতা আমাকে আরও নষ্ট  করে দিয়েছে । আমি অনেক কিছু  বুঝতে পারতাম না। কারো চালাকি, কারো অভিনয়  কেমন যেনো আমার সামনে একরকম হতো আবার কেমন যেনো সবাই  বদলে যেতো।


আমার শশুর বাড়ির লোকজন  ঢাকায় আমার সাথে  থাকতো। ১৬জন লোক সাবলেট থাকতাম।


🌷 সংসার বলতে বুঝতাম সারাদিন  কাজ করে রাতে ঘুমাতে হবে এটাই  জীবন। আমার পাশের বাসার এক ভাবি ভীষণ  বুদ্ধিমতি ছিল।  ওনার কিছু  পরামর্শে  আমি বদলাতে লাগলাম। আমার husband ছিল একটু অন্যরকম মানুষ।  সে আমাকে শারিরীক আঘাত না করে মানুষিক আঘাত করতো ভীষণভাবে। আমি বুঝতে পারলাম যে কোনভাবে আমাকে পড়াশোনা করতেই হবে।


🎆২০০৬ সালে আমি ইন্টার এ ভর্তি  হই খালাতো ভাই  এর মাধ্যমে। 


🎀২০০৮ সালে  বি,এ পাশ করে প্যাথলজি ডিপ্লোমা শেষ করি। তখন ছোট  মেয়ে হয়,  পাশাপাশি স্কুলে  চাকরি করি আর এ অপরাধে আমার কোন খরচ আমার  husband দিতো না।


 💥ঘরে কোন বুয়া রেখে দিতো না। সব কাজ করে বাচ্চাকে সামলে আমি পড়া শেষ  করেছি বিভিন্ন  ভাবে চেষ্টা করেছি আতে বাবা,মা,ভাই, বোন,কেউ  ভালো ব্যবহার করে নি। কারন, তাদের কথা, কি দরকার চাকরি করার।


 আমি থামিনি সবার কথা হজম করেছি। যখন মেয়েটা বেশ বড় হয়ে যায় আসেপাশের অবস্থা  ভালো না। #করোনা শুরু হলো, তখন চাকরি ছেড়ে দিলাম। 


🎀কিন্তু নিজের তো একটা খরচ আছে, এটার জন্য  কি করবো এক আপার পরামর্শ নিয়ে কিছু  থি-পিচ  আনলাম। সবাই  ভীষণ  হাসি ঠাট্টা করে, আমি  চুপ ছিলাম। 


রান্না কোর্স অনেক আগে শিখেছিলাম। তো এটাও অনলাইন এ শুরু করলাম। ভালো  চলছিলো কিন্তু  এতেও ঘরে  সমস্যা।


  আমার কোন জিনিস  ঘরে  রাখতে  দিবে না।  আমাকে আলাদা  বাসা নিয়ে এগুলো করতে হবে। এর অনেকে বললো বিভিন্ন  গুরুপ এ যুক্ত  হতে এতেও অনেক ধোকা খেলাম। 


🚼একটুখানি সুখের ছোয়াঃ 🌹

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমি একটা ক্যানটিন নেই।  মাত্র একটু ঘুরে দাড়াবো এর মধ্যে  আমার দোকান থেকে সব কাপড়  চুরি  হয়ে গেলো। আবার চেষ্টা শুরু  করলাম কাউকে  কিছু  না বলে।


🍀নতুন করে আবার স্বপ্ন  দেখলাম। আবার শুরু  করলাম নিজের মতো করে।


🎀নিজের পরিচয়  আরও বাড়াতে  নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সব মেলা মিটআপ এ ইস্পসার নিতাম। এতে সবার মাঝে  নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ  সবার সামনে ১মিনিট কথা  বলার সুযোগ পেয়েছি।


 এতে করে মনে হয়েছে  নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। আমার গ্রুপের সকল ভাই, বোনেরা আমার পাশে ছিল।   বিশেষ  করে জেসমিন আকতার জুঁই আপু, মেজবা উদ্দিন ভাই , নিরব ভাই এরা আমাকে সবসময় সাহস  দিয়েছে। 


🌹অসংখ্য ঘটনা থাকবে কিন্তু সময় থেমে থাকবে না, তা প্রতিনিয়ত বহমান। 


নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে আবারও নতুন করে ভাবনালোকের দ্বার উন্মোচিত হলো। এই ছোট্ট জীবন বড় হয়ে উঠবে তখনই যখন আমার মৃত্যুর পরেও মানুষের অন্তরে আমার ঠাঁই হবে। 


🌹প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার প্রতিদিন যে পরিশ্রম করছেন সমাজের জন্য বিশেষ করে তরুণদের জন্য তা আমাকে নতুন করে বোধোদয় ঘটিয়েছে। 


🌹এতকাল শুধু নিজের চাকরি নিয়ে ভেবেছি এখন চাকরির ক্ষেত্র তৈরির কথা মাথায় আসছে। 


🌹আল্লাহ সহায় থাকলে আপনাদের দোয়া থাকলে স্বপ্ন সত্যি হবে ইনশাআল্লাহ ।


🌹কারন সাহসী বা আত্মবিশ্বাসী হতে শিখে গিয়েছি প্রাণের এই ফাউন্ডেশন থেকে।


 আলহামদুলিল্লাহ  এ ফাউন্ডেশন এর কাজে আমাকে ৫ বার খাবার এর অর্ডার দিয়েছে ।


💚❤️🌹 আমি অনেক খাবারের অর্ডার পাই  কিন্তু যখন  আমি এ ফাউন্ডেশন থেকে অর্ডার পেয়েছি  মনে হয়েছে, আমি অনেক কিছু পেয়ে গেছি।


💚❤️ আলহামদুলিল্লাহ  সকলের সাথে কাজ করছি  করে যাবো। এভাবেই সবাই আমার পাশে থাকবেন।


🌷ফাউন্ডেশনে আমার পরিচয়🌷

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার পরিচয় দিচ্ছি, আমি

রোকসানা মিতা 

১৭তম ব্যাচ, রেজিষ্ট্রেশন নং ৮৮৮৯৯

নিজ জেলা ঝিনাইদহ 

বর্তমানে আছি মিরপুর মডেল থানাতে।

https://www.facebook.com/profile.php?id=100066447305311&mibextid=ZbWKwL

https://www.facebook.com/profile.php?id=100075848198454&mibextid=ZbWKwL

মোবাইল -০১৭৪৮০৯৬৪০৪.

আমার লিংক এবং ফোন নামবার দিলাম সবাই আমার পাশে থাকবেন।


স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে -৯৫০

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।