See More Post

কুমিল্লা জেলার কামরুল হাছান ভূইয়া ভাইয়ের জীবনের গল্প।

🩸 আমার  জীবনের গল্প 🩸

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাততুহু।আশা নয় বিশ্বাস  ; আল্লাহর  অশেষ মেহের বানীতে সকলেই ভালো আছেন। 


_____সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান সৃষ্টিকর্তার যিনি সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।

দুরুদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের প্রিয়  নবী হযরত মুহাম্মদ ( সঃ) উপর যার জন্য  আল্লাহ  দুনিয়াটাই সৃষ্টি করেছেন। 


____সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যাদের  কারনে এই পৃথিবীতে আলো দেখা ভালোবাসার মমতা ঝরানো মা বাবার প্রতি। 


_____ সর্বশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি লাখো মানুষের আইডল উদ্যোক্তা গড়ার কারিগর এ যুগের স্বপ্নদ্রষ্টা মানব প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি  যিনি এত সুন্দর একটা পরিকল্পনা  না করিলে আমরা  পেতাম না নিজের বলার মতো ফাউন্ডেশন এবং উদ্যোক্তা তৈরির কেন্দ্র।  


     ____জন্ম  ও পরিবার  কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণ পাড়া উপজেলার ৮ নং মালাপাড়া ইউনিয়নের আছাদনগর গ্রামের ভূঁইয়া বংশে যৌথ  পরিবারে; সাল ১৯৭৯; আমার দাদার নাম মৃত হাজী মহরম আলী ভূঁইয়া ( বেপারী) 

বাবার  নাম ; মৃত আবুল  হাসেম ভূঁইয়া।  আমার  দাদা  ছিলেন তখনকার দিনের  বিশিষ্ট  একজন ব্যাবসায়ী (পাটব্যবসায়ী)  আমার বাবা ছিলেন একজন  শিক্ষিত  মানুষ  তখনকার  দিনের   (বি এ) পাশ ; বি এ পাশ করার পর বাবা  পুলিশের চাকুরী  ও পেয়ে  যান। কিন্তুু আমার  দাদার ইচ্ছা  ছিল  আমার বাবা  যেন ব্যবসা  করেন এবং  বাড়ীতে   থাকেন এবং  সমাজের  বিভিন্ন ভালো কাজে জড়িত থাকেন। তাই    চাকুরীটা আর  করা হলো না। বেকার অবস্থায়  আমার দাদা  আমার বাবাকে  বিয়ে  করান।  শুরু  হল বাবার জীবনের  এক নতুন অধ্যায়; দেড়  থেকে  দুই বছর পর বাবার  জীবনের  সবচেয়ে  আনন্দের  খবর বাবা মায়ের  কোল গেসে আমার  জন্ম  আমার জন্মের  দুই  বছরের  সময়  আমার দাদা  মারা যান দাদা  আমাকে দেখতে পেলেও  আমি দাদাকে  বুঝের হয়ে  দেখতে  পাই নাই ;তবে আমার দাদী ছিলেন  দাদী আমাকে  অনেক  আদর করতেন  আমিও  দাদীকে  সবচেয়ে বেশি   ভালোবাসতাম ।  দাদা  মারা যাওয়ার সময় আমার বাবা যৌথ  ফ্যামিলিতে  ছিলেন ইতিমধ্যে  আমার বাবা  ঠিকাদারি  লাইসেন্সের   মাধ্যমে   বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ শুরু করেন।  তখন আমি  আমাদের গ্রামের আছাদনগর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি ।  তখন আমার বাবা যৌথ ফ্যামিলি থেকে আলাদা হয়ে যান। এইভাবে  আমাদের  সংসার  চলতে  থাকে।কিন্তুু  ঠিকাদারী  কাজেও  বেশি  দিন  বাবা  টিকতে  পারে  নাই; কিছু অসৎ লোকের   কারনে যা ছিল আমাদের  নিকটবর্তী আত্মীয়  যদিও ক্ষতিটা  কাছের   লোকেই  বেশি  করে  থাকেন। তারপর আমি  যখন  ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি  এবং  আমার  আরো  একজন   ভাই স্কুলে যাওয়া শুরু করল  তখন আমার বাবা   আমাদের কে  ভাল রাখার  জন্য  আমার বাবা  বিদেশে  পাড়ি  জমান। 

ইয়েমেন  ভাগ্যের নির্মম পরিহাস  মালিক  তেমন  ভাল  ছিল  না ফলে  ঐখান থেকেই  আমার বাবা  সৌদিতে  চলে যান।  সেখানে ও বেশি দিন  থাকতে পারে নাই  কারণ  কাগজপত্র  ছিল না।চলে  আাসতে হয় দেশে  এই ভাবে  চলতে থাকে ; বাবা  আছেন   মাথার উপর   বটগাছের  মতো  ছায়া  আছে কোন  চিন্তা  নেই।  


_____খেলাধুলা  করছি এদিক ওদিক  ঘুরে  বেড়াচ্ছি  পড়াশোনা  করছি  ছাত্র  হিসাবে  ভালো  ছিলাম  ৮ম শ্রেণীতে  পড়ি  বৃত্তি   দেওয়ার  প্রস্তুতি  নিচ্ছি  ইতিমধ্যে   বাবা কিছুটা অসুস্থ বোধ করেন  গায়ে জ্বর জ্বর ভাব   ভালো  হয় আবার জ্বর আসে  গ্রামের ডাক্তারের পরামর্শে  ঢাকাতে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা  করানো হলো  ডাক্তার  বলেন  পেটে   টিউমার  হইছে অপারেশন  করাতে হবে ডাক্তারের পরামর্শে অপারেশন করানো হলো। তারপর  ডাক্তার বললেন  টিউমারের  সাথে   ক্যান্সার  যা ছিল  তখনকার  দিনের  সবচেয়ে  বড় মরণব্যাধি  রোগ। যদিও বর্তমানে কিছুটা চিকিৎসাআছে তারপর ডাক্তারের পরামর্শে  কিছু  দিন  থেরাপি  দেওয়া  হয়   এইভাবে  এক দুই মাস  চলতে থাকে   একদিন  বেশি  অসুস্থ  হয়ে  পড়ে   ডাক্তারের পরামর্শে  বাড়িতে   নিয়ে  আসা হয়  ;যদিও আমাদের মামাদের ইচ্ছা ছিল ইন্ডিয়া মাদ্রাস নিয়ে যাওয়ার জন্য। ডাক্তার বললেন দেখেন ওনার ছেলে মেয়ে আছে ইতিমধ্যে অনেক টাকা পয়সা চলে গেছে। তারপর  আমরা  যে চিকিৎসা দিয়েছে ওইখানে প্রায়  সেইম আপনারা  বাড়িতে নিয়ে যান। আল্লাহ যতদিন হায়াত রাখছেন  ততদিন বাঁচবে  তাই  বাড়িতে নিয়ে আসা হলো  নিয়ে আসার  ১৭ /১৮  দিন  পর  আমার বাবা  মারা যান  সাল ১৯৯২ তখন আমার বাবার  বয়স ৪২ বছর   আমরা  ৪ ভাই  ২ বোন  আমি  সবার বড়। আমার বাবা মারা যাওয়ার সময়  আমার  ছোট  বোনের বয়স  ৬ মাস  আমার বাবা  মারা যাওয়ার   এক-দুই ঘন্টা পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত  অন্য  সকল  সুস্থ মানুষের মতো  বাবা  কথা বলতেও বুঝতে  পারতেন। বাবা মারা যাওয়ার  আগে  একদিন  কাছে ডেকে  নিয়ে  আমার  মাথায়  হাত দিয়ে  আমাকে   বললেন  দেখ বাবা  আমি বেশি দিন  বাঁচব না। তবে তুমি  সবার বড় তোমার  নিকট  আমার  একটা  আবদার  আমি মারা  যাওয়ার  পর  তুমি  তোমার  মার  কথা  শুনবা  এবং তোমার  ছোট  ভাই  বোনদেরকে খেয়াল  রাখবা। 

 

🩸 শুরু  হল আমার মার অবদান  ও আমার জীবন যুদ্ধের গল্প 🩸

এক নতুন অধ্যায় ; 

আমার  মায়ের  অবদানে  আমার মামাদের  সাহায্য সহযোগিতায়ও আমার অক্লান্ত পরিশ্রমে  আমি আমার   পড়াশোনা  চালিয়ে  যেতে  থাকি এবং সংসারের কাজকর্ম করতে থাকি।  আমি  নিজ চোখে  দেখেছি সংসারে  বাবা না থাকলে  মাকে   কি পরিমাণ কষ্ট  করতে হয়।স্যালুট  আমার  মাকে এত শত প্রতিবন্ধকতার মাঝে  ও আমাকে পড়াশোনা  করার জন্য  সব সময়  বলতেন। বাবা লেখাপড়া না করলে  নিজের জন্য  পরিবারের  জন্য  দেশ ও দশের কিছু  করতে  পারবা না লেখাপড়ার  কোন বিকল্প নেই। মায়ের  কথায়  আমাকে অনেক  সাহস  যোগায় আমিও শত কাজকর্ম করেও  লেখাপড়া করতে  থাকি। এমন কি  আমি হালচাষ  থেকে  শুরু  করে  এমন কোন কাজ বাদ নেই  যে আমি করি নাই। এখানে একটা কথা না  বললেই নয় আমার লেখাপড়ার  ও আমাদের  সংসারের   যত সব খরচ  সাহায্য  সহযোগিতা  আমার  মামাদের  আমার  মামারা  ছিল স্বাবলম্বী  ছয় মামার  মধ্যে  তিনজন বিদেশে থাকতেন বাকী তিনজন সরকারি  চাকুরী  করতেন । মামাদের  প্রতি  আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি। ওনারা যদি  আমাকে সাহায্য সহযোগিতা  না করতেন  হয়তোবা পরবর্তীতে আমার লেখাপড়াটা হতো কিনা জানি না।সাল ১৯৯৫; আমি আমার  পাশের গ্রামের  মালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কমার্স গ্রুপ থেকে এস এস সি পরীক্ষা  দেই এবং ফার্স্ট ডিভিশন  পাই অল্পের জন্য স্টার  পাওয়া  হয় নাই। রেজাল্ট  ভালো হওয়াতে সবার  মুখে আমার গর্ব  মামাদের ইচ্ছা আমি  যেন লেখাপড়াটা  চালিয়ে  যাই কিন্তুু  আমার চিন্তা  আমি  নিজে লেখাপড়া  করে একা প্রতিষ্ঠিত  হতে পারব। কিন্তুু  ছোট ভাই বোনদের কথা  আমি  সবসময়  চিন্তা করতাম তাই  মনের মধ্যে  টাকা  ইনকামের  একটা স্বপ্ন  চলে আসে।  আমি তখন থেকে  বিদেশের স্বপ্ন দেখি  ; বিদেশ গেলে  বেশি  বেশি  টাকা  ইনকাম করতে  পারবো।  কিন্তুু  মামাদের  কাছে সাড়া  না পেয়ে  আমি  কলেজেভর্তি  হই  যদিও স্বপ্ন ছিল  শহরের  একটা  ভালো  কলেজে ভর্তি হওয়ার রেজাল্ট ভালো ছিল নাম্বারও ভালো ছিল  ফলে আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে চান্স পাই। কিন্তুু আমাকে  যেহেতু  সংসার  দেখাশোনা করতে হয়  তাই  আর শহরে  যাওয়া  হলো না। পরবর্তীতে  আমি আমাদের  থানার  একটি কলেজ সাহেবাবাদ ডিগ্রী কলেজ  ঐ কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হই  এবং লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকি  সাল ১৯৯৭; আমি   

H S C পরীক্ষা দেই।  আলহামদুলিল্লাহ  আবারো  আমি  ফাস্ট ডিভিশন পাই  এবং মানবিক  বিভাগ থেকে প্রথম হই  এবং কলেজ থেকে বৃত্তি  পাই।


তারপর ও মাথায়  শুধু একটা  চিন্তা বিদেশ  কিন্তুু  কলেজের অধ্যক্ষের  অনুরোধে  একই কলেজে ডিগ্রিতে ভর্তি হই  এবং স্যারের অনুরোধ ছিল 

আমি যেনএই কলেজ থেকে ডিগ্রিটা  শেষ  করি। যতসব সহযোগিতা  লাগে স্যার আমাকে  দিবে। এক বৎসর  কলেজে  যেতে থাকি কিন্তুু আমার  একটাই  চিন্তা  আমাকে  বিদেশ যেতে হবে বেশি বেশি টাকা ইনকাম করতে  হবে। যদি টাকা ইনকাম না করতে  পারি  তাহলে  ছোট ভাই বোনদেরকে প্রতিষ্ঠিত লেখাপড়া করতে পারবো না। আমি ডিগ্রী পাস করে একটা  চাকুরী করে  হয়তো  নিজে  ভালো  থাকতে  পরবো পরবর্তীতে আমার মায়ের অনুরোধে  আমার  এক মামা  দুবাইতে  থাকতেন  আমাকে  দুবাই  নিয়ে  আসেন। শুরু হল আমার  জীবনের আরো একটি নতুন অধ্যায়। 


______প্রবাস জীবন (কর্মজীবন)প্রবাস জীবনের  সব  দুঃখ কষ্ট সব কিছু  লিখতে  গেলে  অনেক  বড় হয়ে যাবে ইতিপূর্বে  আমার  জীবনের  বাস্তব  ঘটনা  প্রবাহ   লিখতে  গিয়ে  অনেক  কিছু  লিখে  ফেলছি   তাই সংক্ষিপ্ত আকারে  একটু  আপনাদের  মাঝে উপস্থাপন করছি।  মামা আমাকে  দুবাইতে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য  ছিল  আমাকে ইউরোপ  পাঠানো  পরে  সেইটা  আর হয় নাই কারণ কোম্পানির  কথা  ও কাজে  মিল ছিলনা। কোম্পানিটা ছিল cleaner কোম্পানি (সাপ্লাইয়ার)  আমি  ঐ কোম্পানিতে  কাজ করতে  থাকি। আমার  বেতন  ছিল  ৬০০ দিরহাম  থাকা কোম্পানির  খানা খরচ  আমার। যাক  কাজ করতে থাকি    ছয় মাস  কাজ  করার পর  দুই  মাসের  বেতন পাই, বাকি  চার মাসের বেতন পাই  নাই। ফলে  মামার সাথে  কথা  বলে   আমি  কোম্পানি থেকে  চাকুরীটা ছেড়ে দিই  কিছু  দিন  মামার রুমে থাকি এবং  হাতের  কিছু  কাজ  করতে থাকি  পাশাপাশি  একটা  চাকুরীর  সন্ধানে থাকি।  ইতিমধ্যে  মামার  এক বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার  প্রায় মামার রুমে আসতেন   উনাকে  আমি  আমার সব হাল বৃত্তান্ত  খুলে  বলি এবং উনার  মাধ্যমে এক কোম্পানিতে অফিস বয়ের কাজের একটা সন্ধান পাই বেতন ১৫০০দেরহাম খানা ও থাকা  সবকিছু  কোম্পানির  পাঁচ ছয় মাস করতে পারবো  রাজি  হলাম চলে গেলাম। যদি ও অনেকে  বলছেন পারবো কি না  কারণ  কোম্পানিটা ছিল আরবি তাই  আরবি  জানা দরকার তারপর ও নিজের  উপর কনফিডেন্স ছিল  যদি ও আরবি  ভাষা  জানা  ছিল না। ইংলিশটা তো  কিছুটা জানি  যদি ও  শুরটা সহজ  ছিল না  পরে আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যায় যাক কাজটা  ছয় মাসে শেষ  হয় নাই  প্রায়  দুই বছর লেগে যায়  ফলে

  আমি ও বাড়ীতে ঠিকঠাক  পয়সা  দিতে পারছি   এবং  সংসার  চালাতে  থাকি।  দুই বছর পর  কাজটা শেষ  হয়ে  যাওয়ার  পর  আবারও  মামার 

কাছে  চলে  যাই  এবার সিদ্ধান্ত  নিলাম  আমাকে  একটা  কাজ  শিখতে  হবে  আমার  এক মামাতো ভাই  টেইলারিং কাজ করতেন তার

 সহযোগীতায় এরাবিয়ান ড্রেস কান্দুরা ( মানে তোব)  বানানোর কাজটা  শিখি  তারপর  আমার  আর এক খালাতো ভাইয়ের মাধ্যমে  বর্তমানে আমি যে কোম্পানিতে আছি  ট্রাই   দেই  আমার  কাজ পছন্দ  হয় এবং  আমাকে  ভিসা  দেয়  সাল ২০০১  তখন আমি  প্রোডাকশনে   কাজ করি। 


___এখানে ও শুরুটা সহজ ছিল না   কারণ কোম্পানির  তখন  দোকান ছিল প্রায় ১৫/১৬ টা সব দোকানের মাস্টার  ছিল পাকিস্তানি টেইলারও ছিল বেশিরভাগ পাকিস্তানি  অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।   ম্যানেজার ছিল মিশরী আরবি জানা থাকার সুবাদে   আমার কিছুটা বেনিফিট ছিল  যাক এইভাবে  চলতে থাকে    মাসে প্রায়

২৫০০ থেকে ৩০০০দেরহাম  ইনকাম ফলে  আমার ভাই  বোনের লেখাপড়া সংসারের খরচ সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে চলছে। এর মাঝে  আমি বাড়িতে বিল্ডিং করি গ্রামের বাজারে  পাঁচটি  দোকান  করি   আমি  টাকা ইনকামের  পিছনে ছুটতে  থাকি।  ইতিপূর্বে  আমি প্রবাসে  আসার পরপর  আমার মা আমার এক খালাতো বোনের  সাথে  আমার  বিয়ের ব্যাপারে আমার   খালা খালুর  সাথে  কথা বলে রাখেন । আমার ও পছন্দ  ছিল  কিন্তুু  বাড়ি  দোকান ভাই বোনের লেখাপড়া ও টাকা কামানোর নেশায়  বাড়িতে  যেতে  কিছুটা দেরি হওয়াতে  ভালোবাসার মানুষটি ও আমার ভাগ্যে ছুটিনি। যদি আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টার কমতি ছিলনা উনারা  উনাদের পক্ষ থেকে কথা দিয়ে কথা রাখিনি।

যাক সাল ২০০৫ আমি  বাড়িতে  যাই  আমার  ছোট  প্রথম  বোনটাকে এসএসসি পাস করার পর  বিয়ে  দিয়ে  দেই।  পরে আমার ছোট  ভাই  এস এস সি পাশ করার  পর  আমাদের গ্রামের  কলেজে  ভর্তি হয়   কিন্তুু কলেজ টি এমপিও ভুক্ত ছিল না লেখাপড়ার পরিবেশ  ভালো  ছিল না। ফলে  রাজনীতিতে ঢুকে যায় লেখাপড়া ঠিকঠাকভাবে করে না  আমার  মায়ের  কথায়  আমি আমার  ছোট  ভাইটা কেও প্রবাসে নিয়ে আসলাম এবং একই বছর  আমার  ছোট  বোন জামাইকেও নিয়ে  আসলাম। সাল ২০০৯ আমি বাড়িতে যাই  এবং  বিবাহ বন্ধনে  আবদ্ধ হই   সাল ২০১১ সালে আমি প্রথম কন্যা  সন্তানের বাবা হই । আমার  মেয়ে হওয়ার পর  আমার ভাগ্যে আরও একটি পরিবর্তন সাল ২০১৩ আমি  টেইলারিং   কাজ ছেড়ে  দেই এবং   আমি আমার  লেখাপড়ার  যোগ্যতা ও আরবি ভাষা জানার  অভিজ্ঞতা  কাজে  লাগিয়ে  একই কোম্পানিতে টেলারিং থেকে মাস্টার হয়ে  দোকানের দায়িত্বে আসি আলহামদুলিল্লাহ আমার অধীনে ৫/৬ জন কারিগর  কাজ করেন । আমি ও আমার  ছোট ভাই  মিলে  বাকি  ছোট ভাই বোনদেরকে লেখাপড়া করাতে থাকি   আলহামদুলিল্লাহ  ছোট  এক ভাই  এক বোন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া থেকে অনার্স মাস্টার্স করেন বর্তমানে সবার বিয়ে সাদি হয়ে গেছে। আমরা  তিন  ভাই  দুবাইতে আছি  এক ভাই  দেশে বাংলালিংকে জব করেন ভালো পোস্টে  আছেন।  এক বোন জামাই  দুবাই  আরেকজন ওমানে আছেন   আমরা  আলহামদুলিল্লাহ  সবায় ভালো আছি।  বর্তমানে  আলহামদুলিল্লাহ  আমার  দুই  মেয়ে  এক ছেলে । বড় মেয়ে  অষ্টম  শ্রেণীতে  আমার  ছেলে  চতুর্থ  শ্রেণীতে আর ছোট  মেয়ে প্রথম শ্রেণীতে  পড়ে। বর্তমানে  আমি  কুমিল্লা  টাউনে থাকি সবায়  কুমিল্লা  মর্ডান  স্কুলে পড়ে  আমার  সাথে  আমার আম্মা ও থাকেন ।  ছোট ভাই বোন  সবায় আমাকে শ্রদ্ধা ও ইজ্জত করেন  কোনকিছু  করার  সময় আমার পরামর্শ নেন।# জীবনের  সবচেয়ে বড় আক্ষেপ #

জন্মিলে  মরিতে হবে এটাই চিরন্তন সত্য   আমার  আপনার সবাইকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সকলেরই আশা থাকে শেষ জানাযার পাশে আপনজন যেন থাকে  কিন্তুু আমি প্রবাসে আসার পর আমার প্রিয় মানুষ  কাছের আপনজন দাদী ; নানী  শশুর শাশুড়ি  চাচা  মামা  ফুফা ফুফু সহ আপনজন এক ডজন  মানুষ কে  হারিয়েছি  যাদের  শেষ  জানাজায় আমি উপস্থিত  থাকতে  পারি  নাই।  এটা আমাকে  সবসময়  তাড়া করে বেড়ায়  অবশেষে  সকলে তাদের জন্য দোয়া করবেন  আমি ও  সবসময় দোয়া  করি  আল্লাহ তায়ালা যেন জান্নাতের সর্বোচ্চ মকাম জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন আমিন। 


❤️ধন্যবাদ❤️

 আমি ধন্যবাদ  জানাতে চাই ইউনিক দুবাই টিমের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ থেকে সকলকে স্পেশালি  নবনিযুক্ত মডারেটর  বুলবুল আহমেদ ভাইকে যার মাধ্যমে  আমি এই প্লাটফর্মে  আসা উনি  আমার বন্ধু মানুষ কাজের সুবাদে আজ থেকে ৭/৮ বছর  আগ থেকে  উনার সাথে আমার পরিচয় একই রুমমেট ছিলাম যদি ও দুজন  ভিন্ন ভিন্ন  কোম্পানিতে  কাজ করি । আরও ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার নিজ জেলার কৃতি সন্তান দুবাই কান্ট্রি এম্বাসেডর  আবদুল  কাদের ভাইকে  প্রিয় ভাই  আমাকে  সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আবারও ধন্যবাদ ইউনিক দুবাই টিমের সবাইকে। 


স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে -৯৭০

তারিখ -৩০-১১-২০২৩ ইং



 🩸আমি আমারপরিচয়টুকু দিয়ে নিচ্ছি। 

আমি মোঃ কামরুল হাছান ভূইয়া। 

জেলা ;কুমিল্লা। 

  ব্যাচ নাম্বার ;১৬ 

রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ;৮১১৮৬

বর্তমান অবস্থান ; দুবাই শারজায়। 

একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা 

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।