See More Post

মাটির ব্যাংকের জমানো ৬০০০০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু

মোঃ বাহারুল ইসলাম 

রেজিষ্ট্রেশন নং ৮৭০৯, ব্যাচ অষ্টম 

ডিস্ট্রিক্ট এম্বাসেডর ঢাকা ।

মোবাইল নাম্বার : 01721112369

CO: The graduate buying house and Garment


আমার নাম জি এম বাহারুল ইসলাম আমার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলা শৈলকূপা থানার গ্রামের নাম বাগুটিয়া। গ্রামের স্কুল থেকে প্রাইমারি, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করি। 

আমার বাবার নাম মোঃ হাবিবুর রহমান পেশায় এক জন ছোট খাট ব্যবসায়ি আর এক কথায় বলতে আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত  ঘরের ছেলে ছোট বেলা থেকে অনেক প্রতিকূল পরিবেশে সাথে যুদ্ধ করে বড় হয়েছি। আমরা ছয় ভাই বোন আমাদের অনেক বড় ফ্যামেলি তাই আমার বাবার সংসার চালাতে অনেক কষ্ট করে বড় করেছে। কষ্টের দিন গুলো অতিবাহিত করার মাঝেই  অনার্সে ভর্তি হই ঢাকা কলেজ এ।  পড়া লেখার খরচের জন্য আমি টিউশনি করতাম তখন একটা টিউশনি করলে ১৫০০-১৬০০ টাকা পেতাম এই টাকা দিয়ে অনেক কষ্ট করে আমি পড়া লেখা শেষ করি।


পড়ালেখা শেষ এখন একটা চাকরি প্রয়োজন অনেক চেষ্টা করি কিন্তু কোন আশার আলো দেখতে পাই না। অবশেষে একটা বায়িং হাউজে চাকরি পাই এভাবে চলতে থাকে নয় মাস তার ভিতর মালিক আমাকে ছয় মাসের বেতন দেয় না মাএ তিন মাসের বেতন দেয়। 

হঠাৎ করে আমার বাবা একদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং সে আমার কাছে আবদার করে বলে আমার বউকে দেখে যেতে চায়।  এই কারনে কোন কিছু না ভেবেই হঠাৎ করে আমি বিয়ে করে ফেলি।


বিয়ের পরে দিনগুলো অনেক ভালো ভাবে যাচ্ছিল কিন্তু বায়িং হাউজের মালিক প্রাপ্য বেতন আমাকে সঠিক সময়ে দিত না যার কারণে আমি চাকরি ছেড়ে দেই।  এর পর অনেক চেষ্টা করি একটা সরকারি চাকরির জন্য। 


কিন্তু কথায় আছে - 

"অভাগা যেদিকে যায় নদী শুকিয়ে যায়"।


এক দিকে নতুন বিবাহিত জীবন অন্য দিকে আমি চাকরি হারিয়ে মানষিক অবসাদ গ্রস্থ হয়ে পড়ি। এক সময় আমার স্ত্রী আমাকে ব্যবসা করার কথা বলে অনুপ্রেরণা যোগায় এবং সে আমাকে  ৪৫০০০ হাজার  টাকা দেয়  আর আমার ছোট বেলা থেকেই মাটির ব্যাংকে টাকা জমানোর শখ ছিল সেই মাটির ব্যাংকের জমানো ৬০০০০ হাজার টাকা দিয়ে সদরঘাট গিয়ে কাপড় কিনে  ১৫০ পিস ডেনিম প্যান্ট দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। কোন অফিস বা শো-রুম ছিল না। বাসায় বসে ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করতাম অল্প অল্প করে সেল শুরু হলো ১৫০ থেকে ২০০পিস ৪০০ পিস ৫০০ পিস এমন করতে করতে একটা ছোট অফিস নিই এর পর আমি একদিন খুঁজে পাই 'নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন' আমার সেল দ্বিগুন বেড়ে যায় 'নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন' আমার জীবনের পরিবর্তন আনে এখন আমি বিশ্বের ২৩ টা দেশে আমার পণ্য রপ্তানি করি  তার পর এখন অনেক বড় অফিস অনেক মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করছি। আমার ব্যবসার বয়স ২৭ মাস জীবন থেকে ৮টা -৫ টা ভুলে গেছি এখন আমি মাসে সব প্রোডাক্ট মিলে ৭০০০০/৮০০০০ হাজার পিস ডেনিম ও গেবাডিন এবং বয়েস প্যান্ট, শার্ট, টি শার্ট ও পলো শার্ট সেল করি এখন আমার মাসিক সেল প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আমার ব্যবসার সাহস অনুপ্রেরণা দেওয়ার পেছনে আমার স্ত্রীর অনেক বড় অবদান আছে একথায় আমাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। 


তেমনি স্বীকার করতে হবে আমার মা - বাবার দোয়া আমার সাথে আছে আমার মা বাবার দোয়া ছাড়া কোন ভাবেই এগিয়ে যেতে পারতাম না। সেই সাথে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার পড়ি মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে। কারণ এই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাইন্ডেশন আমাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।  

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।