See More Post

জমিজমা বিক্রয় করে ব্যাংকের মোটা অংকের দেনা পরিশোধ করলাম

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

                       আসসালামু আলাইকুম 


                  * আমার জীবনের গল্প *

 

পরমকরুনাময় আল্লাহতায়ালার নামে শুরু করছি। 

লক্ষ কোটি শুকরিয়া মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে যিনি সুন্দর এই পৃথিবীতে আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবী জুড়ে করোনা কালিন অসুস্ততার এই পরিবেশের মধ্যে  আমার পরিবার সহ আমাদের সবাইকে সুস্ততার সহিত জীবন যাপন করার তাওফিক দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম বিশ্ব মানবতার দিশারি  রাহমাতাল্লিল আল আমিন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহর (সাঃ) উপর। যাকে সৃষ্টি না করলে  বিশ্বজগতে কোনকিছুই সৃষ্টি হতো না।

 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের প্রিয় মেন্টর শিক্ষক ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যিনি শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের বেকার সমস্যা সমাধানের মহান উদ্দেশ্যে আবিষ্কার করেছেন নিজের বলার মতো একটা গল্প প্লাটফম' যা এখন বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা পেরিয়ে(৫০)টির বেশী দেশে বিস্তৃত হয়েছে পেয়েছেন জাতীয় ও আন্ত'জাতিক সন্মাননা। যার বদৌলতে পাঁচ লাখের বেশি সদস্য, এবং  প্লাটফমে' তিন লাখের বেশি আজীবন সদস্য।  গ্রুপের সবাই আমরা ভালো মানুষ। যাদের মধ্য থেকে (৫০) হাজার উদ্যোক্তা হয়েছে সততার সাথে ব্যাবসা বানিজ্য করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং  অনেকের কম'সংস্তান তথা চাকুরীর ব্যাবস্তা করেছেন। * চাকরি করবো না চাকরি দেবো * উদোক্তা ভাইদের প্রতি দোয়া শুভকামনা  অবিরাম ভালো বাসা । প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি আবার ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আল্লাহতায়ালার নিকট প্রাথ'না করি প্রিয় স্যারকে দীর্ঘ' হায়াতে তৈয়বা দান করুন  আমিন। 


( সবার মাঝে আমার জীবন গল্পটা তুলে ধরছি) 

নিজের বলার মতো একটা গল্প  প্লাটফমে'র প্রিয় ভাই ও আপুদের সবার প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে দোয়া শুভকামনা ও অবিরাম ভালো বাসা। আশা করি আল্লাহতাআলার রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ও আমার পরিবার সহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহতাআলার রহমতে ভালো আছি। 


                   (* * আমার পরিচয় * *) 


মোঃ শাহজাহান আলী পিতা মৃত আব্দুস সামাদ মিয়া মাতা মৃত রাবেয়া বেওয়া গ্রাম বড় হরিশপুর থানা  জেলা নাটোর। আমার জন্ম ১ লা জানুয়ারী ১৯৬৩ ইং সাল। আমরা ৬ ভাই ৩ বোন আমি বাবার ২য় সন্তান ১টা বোন আমার বড় বাকী সব ভাই বোন আমার ছোট। ভাইদের মধ্যে আমি বড় হওয়ার কারণে আমার প্রতি আদর স্নেহ মায়ামমতা ও ভালোবাসা ছিলো অনেক বেশী। আমার বাবা ছিলেন একজন কৃষক ও সাধারণ ব্যাবসায়ী। কৃষি আবাদাদী ও ব্যাবসার উপা'জনেই আমাদের জীবিকা নির্বাহ  হতো । 


    (* * আমার শৈশব কৈশর ও শিক্ষা জীবন **) 


আমার বয়স যখন ৫ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন শুরু হলো। মাশাআল্লাহ ছাত্র হিসেবে ভালোই ছিলাম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা পেরিয়ে শুরু হলো উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন সেখানে ও ছাত্র হিসেবে ভালো ছিলাম,লেখাপড়ার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী ছিলাম। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে  উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা জীবনে আমার রেজাল্ট বরাবরই  ভালো ছিলো ১ম ২য় ৩য় স্তানের মধ্যে থাকতো  অথ্যাৎ প্রতি তিন জনের মধ্যে আমি একজন থাকতাম। স্যারেরা আমাকে অনেক আদর স্নেহ করতেন ভালো বাসতেন। বরাবরই ক্যাপটেনের দায়িত্বটা আমাকে পালন করতে হয়েছিলো।  তখন থেকেই মনের মধ্যে লিডারশীপ চিন্তা ভাবনা ব্যাপক ভাবে জাগ্রত হতে থাকে। স্যারদের পরামর্শ ও নিদে'শনায় দায়িত্ব পালন করতে ভালো লাগতো। উচ্চবিদ্যালয় পেরিয়ে ভর্তি হলাম N S কলেজে। নবিন বরনের উৎসবমুখর পরিবেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্তে থাকা বড় ভাইদের নজরে থাকা আমরা কয়েকজন এড়িয়ে যেতে পারিনি সেই দিন গুলোতে।ক্যারিয়ার খারাপ করার সুযোগ তৈরী হয়ে গেলো। 

শুরু হলো কলেজ এ লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্র রাজনিতি।  কিছুটা সময়ের ব্যাবধানে চলে আসলাম ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্বে ইতিমধ্যে অনেক অনুসারী  তৈরী হয়েছে গেছে । বড় ভাইদের অপরাজনিতির উৎসাহে চলাফেরার এক সময় কিছুটা বেপরোয়া হয়ে যেতে লাগলাম। ধুমপান সহ বন্ধুদের সাথে আড্ডা বেড়ে গেলো ফলে যা হবার তাই হলো।  (সেই থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ টাকা ধুম পান করে অপচয় করেছি যা এখন বুঝতে পাড়লে ও সে সময় বুঝতে পারিনি)  এভাবেই চলতে থাকলো অনেকটা সময়, ফলে ফাইনাল পরিক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে গেলাম। লেখাপড়ায় একটু মনোযোগী হলাম কিন্তু  রাজনীতির মাঠে নেতৃত্বে থাকার কারণে ২য় বার ও আর সফল হতে পারলাম না।  আমার লেখাপড়ার অধ্যায় শেষ হয়ে গেলো শেষ হয়ে গেলো আমার ছাত্র-জীবনের ক্যারিয়ার।প্রিয় স্যারের  ১৩ তম সেশনের সেই লেখা টুকু সত্যি হয়েছেে আমার শিক্ষা জীবনে সহপাঠীদের একজন নাম তার মাসুদ। ক্লাসে মাসুদ কে সব সময় পিছনের ব্রেঞ্চে এমন কি কখনো কখনো ফ্লোরে বসতে হতো, কারন ওর মুখ থেকে সব সময় লালা ও থুথু পরতো গায়ের জামার সামনে লেগে থাকতো, এ কারনে কেউ মাসুদের সাথে চলাফেরা মেলামেশা করতো না। ওর ছাত্র জীবন ছিলো একাকিত্ব ও অবহেলিত। অথচ এই মাসুদ মাস্টারস'কম্পল্লিট করে বড় একটা কোম্পানীর উর্ধতন একজন শ্মাট কর্মকর্তা।ত্রীশ বছর পর দেখা মাসুদের সাথে ওর পাশে নিজেকে এখন বেমানান লাগে। বড় ভাইদের দিকনির্দেশনায় একপর্যায়ে রাজনৈতিক সংগঠনের জেলা পয্যায়ে ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে গেলাম, একটু সময়ের ব্যাবধানে আনুগত্যের অনুসারী তৈরী হয়ে গেলো, চলে আসলাম নেতৃত্তের অবস্থানে।  চলেছে টানা লম্বা একটা সময় পয্যান্ত। যদি ও খুনাখুনি মারামারি কাটাকাটি ফাটাফাটি যা কখনো আমার ভালো লাগতোনা। ইতোমধ্যে আমার বাবা মা বিয়ের পাট'টা চুকিয়ে দিয়ে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য টা শেষ করলেন।  আমার বড় বোনের বিয়ে আরো অনেক আগে হয়ে গিয়েছে। বাবার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান কিছু টা অবনতির আশঙ্কায় ছিলো, কৃষি আবাদাদির অবস্তা ও ভালো না পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশী থাকায় আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশী হতো, এভাবেই

চলতে থাকলো কিছু টা অভাব অনটন নিয়ে । বাবার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এক সময় বন্ধ হয়ে গেলো।  রাজনীতি কে গুড বাই জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম 

ব্যাবসা বানিজ্য একটা কিছু করার, শুরু করলাম  কৃষি মেশিনারীজ ইকুমেন্টস আইটেম নিয়ে। ভালো চলছিলো ব্যাবসা। বাবার বড় ছেলে হওয়ার সুবাদে

পরিবারের দায়িত্তটা নিজ কাঁধে নিয়ে নিলাম।  কিছু দিন পরে আমাদের কোল জুড়ে আসলো কন্যা সন্তান খুশি পরিবারের সবাই মহাখুশি। ছয় বছর পর কোল জুড়ে আসলো পুএ সন্তান খুশি পরিবারের সবাই মহাখুশি। ইতোমধ্যে একটু সময়ের ব্যাবধানে আমার ছোট দু বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাবা মায়ের বয়স বৃদ্ধির কারনে সুস্ত্য অসুস্থার জীবন যাপন  চলছে ডাক্তার ঔষধ চিকিৎসা ও সেবাযন্তে। 

 শহর জুড়ে আরো  কিছু কৃষি মেশিনারীজ  ইকুমেন্টসের দোকান হয়ে গেলো, তার মধ্যে আবার  আমার শিস্য আছে দুজন। একটু চাপের মধ্যে  চলতে থাকলো ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশী হওয়ার কারনে, সংসার খরচ ভাই বোনদের লেখাপড়া বাবা মায়ের চিকিৎসা ডাক্তার ঔষধ পত্র আমার দুই সন্তানের খরচাদি সহ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যায় সবকিছু মিলে হাবুডুবু অবস্থা। একটু সময়ের ব্যাবধানে

ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা আরো অবনতির দিকে চলে আসলো। ধৈয্যাশীলতার অভাবে এক সময় কৃষি মেশিনারীজ ইকুমেন্টস ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বেকার 

হয়ে গেলাম। কিছু দিন এভাবেই চলতে থাকলো। 

বেকারত্ব জীবন নিয়ে চলাকালীন সময় একপর্যায়ে 

চিন্তা ভাবনা শুরু করলাম ব্যাবসা বানিজ্য কিছু 

একটা করার। চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে  ইলেকট্রনিকস আইটেম শোরুম ভিত্তিক ব্যাবসা শুরু করলাম। 

অল্প সময়ের ব্যাবধানে ব্যাবসার ভালো অবস্তান তৈরী হয়ে গেলো। মাশাআল্লাহ মুনাফা ভালো ব্যাবসা ও ভালো। বেশ ভালো ভাবেই চলতে ছিলো প্রায় দশ বছর। হঠাৎ আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেো প্রথম দিকে খুব একটা বুঝতে না পাড়লে ও 

পরে ঠিকই বুঝতে পারছিলাম।  একপর্যায়ে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলাম রাজশাহী। মেয়ের চিকিৎসা ব্যাবস্ত্যায় বুঝে গেলাম (সিজোফ্রেনিয়া) মানুষিক রুগী।  ডাক্তারের পরামর্শ 

অনুযায়ী এটা সারাজীবনের জন্য সমস্যা, ওষুধ ঠিক 

মতো খেলে নব্বই পারসেন্ট ভালো থাকবে। ঔষধ ঠিক মতো না খেলে রুগীর অবস্থা আরো অবনতির আশঙ্কা রয়েছে, রুগীর অবস্থা আরো অবনতির

দিকে যাবে। প্রথম দিকে এতটাই খারাপ ছিলো যে

ফ্ল্যাটের জানালার থাইগ্লাস, বাসার জিনিস পত্র ভেংগে তছনছ করে ফেলেছে, এমন কি মা বাবা ভাই 

বোন কাউকে চিনতো না। একপর্যায়ে ডাক্তারের পরামর্শে পরিবারের সবাই জোর করে ঘুমের ইনজেকশন দিতে থাকি। এভাবেই চলতে থাকলো বেশ কিছু দিন। একমাস পর থেকে বিভিন্ন কৌশল

অবলম্বন করে ঔষধ খাওয়াতে শুরু করলাম। কয়েক মাস পর থেকে নিজে নিজে  ঔষধ খেতে শুরু করেছে। সময় টা চলে গেছে প্রায় একযুগ। ঔষধ চলবে সারা জীবন। এখন অনেক টা ভালো। আমার ইলেকট্রনিকস শোরুম ব্যাবসা প্রায় দশ বছর ভালো ভাবেই চলতে ছিলো। বড় বড় কোম্পানী গুলো আমাদের এই ছোট শহরে প্রায় সব গুলো কোম্পানীর নিজস্ব শোরুম করেছে। ফলে আমরা লোকাল ছোট খাটো  ব্যাবসায়ীরা অনেক টা চাপে পড়ে গেলাম। আমার বাবা মায়ের সুস্ত্য অসুস্ত্যতার মাঝে বাবা হঠাৎ একটু বেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমাদের পারিবারিক ডাক্তার আমিনুল ইসলাম লিপন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ উনার পরামর্শে বাবাকে রাজশাহী পপুলার ও ইসলামী ব্যাংক  হাসপাতালে নিয়ে গেলাম ডাক্তারের পরামর্শে ডায়াগনসিস করালাম,  রিপোর্টে ক্যানসাার ধরা পড়ে। আমাবস্যা নেমে এলো আমাদের পারিবারে। বাবা কে নিয়ে ঢাকা রাজশাহী খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সিরাজগঞ্জ এ ক্যানসার প্রতিরোধে ডাক্তারদের দারে দারে ছুটাছুটি দৌড়া দৌড়ির একপর্যায়ে ডাক্তাররা রিপোর্ট অনুযায়ী বললেন রুগীর বয়স বেশী ও শারীরিক অবস্থা দুব'ল থাকার কারনে কেমোথেরাপি রুগীর শরিরে প্রয়োগ করা সম্ভব নয় পাশাপাশি এ-ও বললেন রুগী দু চার মাসের বেশী টিকবে না। ডাক্তারের পরামর্শে অবশেষে বাবাকে বাসায় নিয়ে চলে আসলাম। ক্যানসার ডাক্তারের পরামর্শে আমাদের পারিবারিক ডাক্তার  আমিনুল ইসলাম লিপন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের তথ্যাবধানে থাকাকালীন এক সময় আগস্টের ৪ তারিখ ২০১৫ ইং রোজ শনিবার আমার বাবা মৃত্যু বরন করেন। আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা আমার বাবা সহ পৃথিবীর সকল বাবা কে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন আমিন। 

বাবার শোকে মা অনেক টা মানুষিক ভাবে ভেংগে পড়লেন শারীরিক অবস্থা ও দুব'ল, ডাক্তার ঔষধ চিকিৎসা নিয়ে সবসময় থাকতে হয়েছে সচেতন। এদিকে আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা অবনতির আশঙ্কা আরো বৃদ্ধি পেলো। বড় বড় কোম্পানীর নিজস্ব শোরুম গুলোর পলিসির সাথে কোন ভাবেই আর কম্পিটিশনে কুলিয়ে উঠতে পারছিলা না। বাবার শোকে মায়ের অবস্থা 

আরো অবনতি হলো ডাক্তার ক্লিনিক ঔষধ চিকিৎসা ও সেবাযত্নের মধ্যে চলতে থাকলো।একপর্যায়ে বাবার মৃত্যুর দুই বছরের মাথায়  ৩০ শে সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং রোজ বুধবার আমার মা মৃত্যুবরন করেন। আল্লাহতাআলার কাছে ফরিয়াদ আমার মা সহ পৃথিবীর সকল মা কে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন আমিন। বাবা মায়ের মৃত্যুর শোক,মেয়ে মানুষিক রুগী, ব্যাংক ঋণ,সংসার খরচ,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যায়,মুলধন ঘাটতি,সবকিছু মিলে মানুষিক ভাবে আমি বিপন্ন্য, হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়লাম।ধৈর্য্যশীলতার অভাবে এক সময় আমার ইলেকট্রনিকস শোরুম ব্যাবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলাম।

ছোট ভাইদের একটু টেনশন ফ্রি রাখার চেষ্টা  করতাম। ঋণের দায় সহ সব কিছু মিলে এতটাই হতাশা আমাকে গ্রাস করেছে যে আমি বোধ হয় আর বাচবো না, আমি নিজেকে ও মানুষিক রুগী ভাবতে শুরু করেছি। দুচ্চিন্তা গ্রস্ত এ জীবনে হতাশা এতটাই বেড়ে গেছে আর সইতে পারছিলাম না। নিজের অসহায়ত্ত একাকিত্ত ও হতাশায় নিমজ্জিত  হয়ে একপর্যায়ে আত্তহননের ভাবনা উঁকি দিতে শুরু করলো কয়েকবার। ভাই বোনরা অনুভব করতে লাগলো আমার শারিরিক ও মানুষিক অবস্তা, একপয্যায়ে সব ভাই বোন বসলো আমাকে নিয়ে, পারিবারিক মিটিংয়ে সান্তনা দেওয়া হলো আমাকে, সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো জীবনে যদি বেচে না থাকি জমি সম্পত্তি দিয়ে কি হবে। সবাই কে বেচে থাকার জন্য আগে ব্যাংক ঋণ থেকে মুক্ত হতে হবে । তার পর ব্যাবসা বানিজ্য করতে হবে। বাবা মায়ের উপস্তিতি ছাড়া এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। জমিজমা বিক্রয় করে ব্যাংকের মোটা অংকের দেনা পরিশোধ করলাম। চলে গেলো কিছু সময়, আবার ও ব্যাবসা বানিজ্য একটা কিছু করার চিন্তা ভাবনা শুরু করলাম। কিছু টা সময় ইতিমধ্যে অতিবাহিত হয়ে গেছে নিজেরা ও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছি। ব্যাবসায়িক জীবনে ধৈয্যাশীলতার অভাবে আমি হয়তো পিছিয়ে পড়েছি। পড়ে গেছি তার মানে এই নয় আমি হেরে গেছি অনেক কিছু শিখেছি।  নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর প্রিয় মেন্টর শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের একটি পোস্ট আমার নজরে আসলে আমি তা দেখলাম পড়লাম লাইক  কমান্ড দিলাম। কেন জানি মনে হলো এই পোস্ট টা মনে হয় আমার  জন্যই এসেছে। ফলোয়ার হয়ে গেলাম এবং দেখতে শুরু করলাম  UTV LIVE  ও ।  দেখতে দেখতে আকৃষ্ট হয়ে গেলাম ব্যাকুল হয়ে পড়লাম নব্বই  দিনের ট্রেনিং কোর্স এ  ভর্তি হওয়ার জন্য । পনের নম্বর ব্যাচে ভর্তি হয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে আজীবন সদস্য  হয়ে গেলাম। আমি এখন গর্বিত একজন আজীবন সদস্য। 


(** ভালো থাকু্ক আমার জীবনের সাথে জরিয়ে          থাকা সকল ভালো বাসার মানুষ গুলো **)   


             (** ঘুরে দাড়ানোর গল্প **) 


নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের 

প্রিয় মেন্টর শিক্ষক ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার

নব্বই দিন ধরে শিখিয়েছেন উদ্দেোক্তা হবার কলাকৌশল, কি ভাবে একজন ভালো মানুষ হয়ে বুক ফুলিয়ে বেচে থাকতে হয়। কি ভাবে দেশের ও সমাজের জন্য কাজ করতে হয়। সফল হতে হলে মা বাবার দোয়ার কোন বিকল্প নেই।  উদ্দোক্তা হবার মানুষিক প্রস্তুতি ও অনুপ্রেরনা সপ্ন দেখানো এবং কি 

ভাবে তা বাস্তবায়ন করতে  হবে প্রতিটি ধাপে প্রিয় মেন্টর শিক্ষক ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার তা আমাকে শিখিয়েছেন। সপ্ন দেখছি সাহস করছি শুরু করেছি এবং লেগে থাকবো । বার বার নিজেকে বলছি  আমি পারবো  ইনশাআল্লাহ #



📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৭৯

Date:- ২২/১১/২০২১ ইং

মোঃ শাহজাহান আলী 

ব্যাচঃ--১৫ রেজিষ্ট্রেশন--৬৯৬৭৩

আজীবন গর্বিত সদস্য 


ব্যাবস্তাপনা পরিচালক 

*গ্রীন ফুড লিমিটেড*


 ম্যানেজিং পার্টনার 

*মেসাস'বাইক হাট,নাটোর*

জেলাঃ নাটোর  নাটোর সদর।

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।