*আমাদের বাড়িতে অনেক গুলি দেশী পেয়ারা গাছ ছিলো, অনেক পেয়ারা ধরতো, কিন্তু কখনো বিক্রি করতো না। আমরা, আত্নীয় স্বজন ও আশেপাশের সবাই খেতো। তবুও এতো পেয়ারা কি আর খাওয়া যায়।*
*একদিন আমার বড় ভাই আর আমি এক ঝাঁকা প্রায় ৫-৬ কেজি পেয়ারা মাথায় নিয়ে অনেক বেশি লজ্জা আর ভয়ে ভয়ে। ৩ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটে বাজারে নিয়ে গেলাম পেয়ারা বিক্রি করতে। আমার বয়স তখন ৭ বছর আর আমার ভাইয়ের ৯ বছর।*
*বাজারে যাওয়ার একটু পরেই আমাদেরই গ্রামের আমাদের পরিচিত এক ব্যবসাই আমাদের সামনে এসে চালাকি করে বললো তোরা পিয়ারা নিয়ে বাজারে এসেছিস এখন পেয়ারা সস্তা কেউ খায় না। দুই ভাই বোন মজা খেতে খেতে বাড়ি চলে যা এই বলে মাত্র ২০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে সব গুলি পেয়ারা নিয়ে নিল। আমরা মনে করলাম হয়তো এরকমই দাম,কারন কোন দিন বিক্রি করিনীতো।তাছাড়া ভাবলাম আমাদের পরিচিত আমাদের ঠকাবেনা।*
*আমরা ওখানে থাকতে থাকতেই দেখলাম উনি সেই পেয়ারা প্রতি কেজি বিক্রি করছে ২০ টাকা করে। আমি আমার ভাইকে বললাম এতো গুলি পেয়ারা এত কম দামে দিয়ে দিলা আর একটু বসে থাকলেইতো বেশি দামে বেচতে পরতাম। ভাই আমাকে বললো পেয়ারা নিয়ে বসে থাকতে আমার লজ্জা করে, আসলে আমারও লজ্জা করছিলো। এমনকি এই গ্রুপে জয়েন্ট হওয়ার আগেও আমি ঐ রকমই ছিলাম।*
*আমার ছোট বেলার এই বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এবং এখন এই গ্রুপের প্রিয় স্যারের শিক্ষা পেয়ে আমি বুঝেছি যে সেদিন আমরা যদি ঐ লোকটাকে এতো বিশ্বাস না করতাম, ভয় না পেতাম,লজ্জা না পেতাম এবং ধৈর্য্য ধরে বসে বসে পিয়ারা গুলো বিক্রি করতাম তাহলে ঐ লোক আমাদের ঠকাতে পারতো না। তবে কাউকে ঠকিয়ে নিজে কখনো বড় হওয়া যায় না। *
*যাই হোক এখন আমি সেই ছোট নেই। প্রিয় স্যারের শিক্ষায় আমার মনের জোড় বেড়ে গেছে। এখন আমার সেই ভয়,সেই লজ্জা আর নেই।এখন আমি ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে শিখেছি।*
*এই প্রানের গ্রুপের অসংখ্য ভালো মানুষদের কাছ থেকে এবং আমাদের প্রিয় স্যারের কাছ থেকে আমার আরো অনেক কিছু শিখার আছে, আমি শিখছি এবং আজীবন শিখবো ইনশাআল্লাহ। সবার কাছে কাছে দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করছি।*
★ এই বাজারে আমি অনেক বার এসেছি পন্য কিনতে। আজকে প্রথম আসলাম আমার নিজের কারখানার, নিজের হাতে তৈরি করা শার্ট বিক্রি করতে।★
"পন্য নয় আমরা বিক্রি করি বিশ্বাস"
**গুনে ও মানে ১০০% কোয়ালিটি স্যাম্পল শার্ট।**
★আমরা সর্বনিম্ন দামে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে থাকি। খুচরা মূল্য মাত্র - ৪৫০ টাকা।★
https://www.facebook.com/Alo-Fashion-105952671916148
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৯৩
Date:- ০৭/১২/২০২১ইং
নামঃ মোকছেদা বেগম
ব্যাচঃ ১৫ তম
রেজিষ্ট্রেশনঃ ৭৩৯৯৮
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
সাভার জোন
ঢাকা, সাভার
ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥
আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।