See More Post

আসলে জীবনের গল্প লিখা মানে নিজকে নতুন করে পড়ে নেওয়া


🖤🤍বাস্তব জীবনের গল্প🤍🖤

আসলে জীবনের গল্প লিখা মানে নিজকে নতুন করে পড়ে নেওয়া।ফেলে আসা দিন গুলো আবার স্মরণ করা।কিছু ভালো স্মৃতি কিছু খারাপ স্মৃতি। অনেক কিছু মনেও আসে না।তাই জীবনের গল্প লিখে শেষ হবে না।তার পরেও সংক্ষিপ্ত আকারে বলার চেষ্টা করেছি।

😎😎নিজ জেলার পরিচয়😎😎
আমি লক্ষ্মীপুর জেলার মেয়ে।অনেকে লক্ষ্মীপুর কে চিনেই না।সবাই ভাবে আমরা নোয়াখালীর।হুম আমরা আগে নোয়াখালীর ছিলাম।১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী লক্ষ্মীপুর জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।🎈🎈আগে লক্ষ্মীপুর নোয়াখালীর একটি উপজেলা ছিল।এটি মেঘনা উপকূলীয় একটি জনপদ।এই জনপদ নারিকেল,সুপারি,ইলিশ এবং সয়াবিনের জন্য পুরো দেশে বিখ্যাত।বৃটিশ আমল থেকে সব কয়টি আন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরের অবদান রয়েছে।মরেড তোহা,,সানা উল্লাহ নূরী,,নিশাত মজুমদার,,মোহাম্মদ উল্লাহ,,,আ স ম আব্দুর রব সহ আর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বর্গের জন্ম এই লক্ষ্মীপুরেই।তাই এই ঐতিয্য গুলো শুধু লক্ষ্মীপুরের সম্পদই না এগুলো আমাদের বাংলাদেশের সম্পদ।🎁🎗️🎖️🏆🏅

🎨🏏আমার ছেলে বেলা⚽🏏

আমি তাহামিনা আক্তার। এক ভাই আর আমি।বাবা মার বড় সন্তান।লক্ষ্মীপুরে জন্ম আমার।গ্রামে বেড়ে ওঠা।২০০০ সালে একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম হয়। মেয়ে হওয়াতে পরিবারের বড় রা খুশি না হলেও আমার বাবা মা অনেক খুশি😆😆ছোট থেকেই বাবা বিদেশ তাই বাবার সাথে তেমন কোনো স্মৃতি নেই।যা আছে সব মাকে ঘিরে,,,,বাবা বিদেশ যাওয়ার পর আমরা নানা বাড়িতে চলে যায়।অনেক আদর করত সবাই।যখন স্কুলে পড়ার সময় তখন নিজের বাড়িতে চলে আসি।স্কুলে ভর্তি হয়।🧕নিয়মিত পড়া লেখা করি আলহামদুলিল্লাহ ভালো ফলাফল হয়।সব সময় ক্লাসে প্রথম হয়েছি।সব থেকে বড় অবদান আমার মা এর।অনকে দুষ্টামি করেছি,, আমা চুরি,জাম চুরি,গাব চুরি,,পুকুরে ইচ্ছা মত সাঁতার দিতাম চোখ গুলা লাল হরে যেত।এর পর মা এর মাইর তো আছেই।খুব মনে পড়ে সেই দিন গুলার কথা😪সবার জীবনে এমন স্মৃতি থাকে।

👩‍🎓👩‍🏫শিক্ষা জীবন 👩‍🎓👩‍🏫

৫ম শ্রেনীতে ৪.৭৫ পেয়ে পাস করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।নতুন স্কুল সবাই নতুন।আলহামদুলিল্লাহ কয়েক দিনের মধ্যেই প্রিয় স্কুল হয়ে যায়।অনেক বান্ধুবি ছিল।অনেক প্রতিযোগিতা ছিল পড়া লেখা নিয়ে।আলহামদুলিল্লাহ ৩/৪/৫ এ ছিলাম সব সময়।৮ম শ্রেনীতে এ+ পায় এবং সরকারি বৃত্তিও।আমার বাবা মা অনেক খুশি হয়েছে।বলে বুজানোর মত না।তখন আমার বাবা বাড়িতে ছিল।১৫-২০ কেজি এর মত শুধু মিষ্টি খাওয়ায়ছে মানুষকে।বাবা মার খুশি টাই আসল পাওয়া।🥰🥰এর পর সাইন্স নিয়ে পড়া শুরু এস.এস.সি তে ৪.৫৫ পেয়ে পাস করি।এ+ আশা করেছিলাম হলোনা আমার থেকে আমার মা বেশি কান্না করছে।কারন এ+ টা আমার মা পাওয়া উচিত ছিল।এতো কষ্ট করছে মা বাবা আমার পড়া নিয়া তা কোনো দিন ভুলব না😪😪😪মা সব সময় চাইতো আমি শিক্ষক হয়।বাবা চাইতো একটা সরকারি চাকরি করি।আজও চেস্টায় আছি বাবা মার স্বপ্ন পূরনের।

মাধ্যমিক পাস করে উচ্চমাধ্যমিক এর জন্য ভর্তি হয় একটা প্রাইভেট কলেজে অনেক খরচ আসত তার পরেও বাবা মা কোনো দিন আমাকে বুজতে দিত না।তখনও সাইন্স নিয়া পড়া লেখা করি।আমার পরিবারে আমিই এত দূর পড়া লেখায় আসতে পারছি।আর কেউ পারে নাই।তাই সবার ইচ্ছা ছিল পড়া লেখা করি।প্রাইভেট  কলেজের খরচ বাবার দিতে কষ্ট হচ্ছিল দেখে আমি সরকারি কলেজে চলে আসি। খরচ একটু কমে।এইচ,এস,সি পাস করি ৩.৫৮ পেয়ে। তার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চেষ্টা করেছি পরিবারের অভাবের কারনে আর হলো না।এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি।

😥😥আমার কষ্টের জীবন 😪😪
ছোট থেকে কষ্ট কি দেখিনি যখন আমার বাবা বিদেশ থেকে চলে আসে অনেক কিছু করার চেষ্টা করে বাবা।গরুর খামার করে,, মাছ চাষ করে,,অনকে বিজনেস করে কিন্তুু সঠিক পরামর্শের অভাবে আমাদের অনেক টাকা লস হয়। ফলে ঋণ হয়ে যায় অনেক।তার পরেও আমাদের কখনও বুজতে দিত না আব্বু।২০১৮ সালে বেশি কষ্ট দেখেছি।  দেশে কিছু করতে না পেরে ২০১৭ সালে বাবা আবার বিদেশ যায়।অনেক টাকা ঋণ করে যায়।আমাদের খরচ পরিবারের খরচ সব মিলে অনেক  কষ্ট হতো।আমি ৬ষ্ঠ থেকে টিউশন করাতাম।ইন্টার পরীক্ষার আগে আমি ৩ মাস প্রাইভেট পড়তে পারি নাই।শুধু ঘরে পড়ে পরীক্ষা দিছি।তাই ভালো রেজাল্ট আসে নাই।আমার পরীক্ষা শেষে আমার মা আমাকে আর ভাই কে নিয়া চট্টগ্রামে চলে যান।কারন বাড়িতে আমার থাকতে সমস্যা হত।কলেজ যাইতে ছেলেরা অনেক জালাতো। তাই সিদ্ধান্ত নি শহরে থাকব।চট্টগ্রামে আমার ফুফু ছিল তাই ওখনেই যায়।আব্বুর অবস্থা ভালো না। কাজ নাই বিদেশে। অনেক ঋণ।আমরা শহরে চলে গেছি।সব মিলিয়ে খুব খারাপ অবস্থা😪😪তখন থেকে আমার মনে কিছু করার ইচ্ছা জাগত। বাবা মার পাশে থাকার ইচ্ছা হত।তখন আমি একটা মাদ্রাসায় চাকরি নি।অনেক মাস করি।চট্টগ্রামে আমি কোনো কলেজ পায় নাই।কলেজ আসছে নোয়াখালী। কি করার আছে আবার আমাকে নিয়ে নোয়াখালী চলে আসতে হয়। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমার বাবার কাজ আছে আমাদের ঋণও অনেক কমে গেছে।আমি এখনও চেস্টা করি বাবার পাশে দাঁড়ানোর

💦💦💦এই গ্রুপে কি ভাবে আসলাম💦💦
আমি গ্রুপে আসার আগে আমার একটা ফ্রেন্ড এর অনুপ্রেরণায় একটা ফেইজ খুলি।কারণ আমি হাতের কাজ পারতাম।এর পর দেখি কো সাড়া নেই তাই হাল ছেড়ে দিছি।এক দিন ইকবাল স্যার এর একটা ভিডিও দেকে আমি এই গ্রুপে যুক্ত হই এবং এক ভাইয়ের সাহায্যে রেজিষ্ট্রেশন করি।আলহামদুলিল্লাহ ১৬ জুন ২০২১ সালে আমি এই গ্রুপের আজীবন সদস্য হয়।এর পর থেকে গ্রুপে সময় দি। আবার 🕵️‍🧚‍♂️স্বপ্ন দেখি,,সাহস করি,,লেগে আছি কিছু একটা হবেই ইনশাআল্লাহ। হাল ছাড়ব না।

☘️☘️☘️এই গ্রুপ থেকে যা শিখছি☘️☘️☘️
প্রতি দিন সেশন চর্চা করে আলহামদুলিল্লাহ অনেক কিছু শিখতে পারছি।কি ভাবে এক জন উদ্যোগক্তা হতে পারব এই স্বপ্ন প্রিনিয়ত আমাকে তাড়া করছে।কবির ভাষায়ঃ
🌱🌷স্বপ্ন সেটায় যেটা আমাকে বা আপনাকে ঘুমাতে দেই না
কিন্তুু স্বপ্ন সেটা নয় যেটা আপনি
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখেন।🌷🌱
গ্রুপ থেকে স্যার এর শিক্ষা নিয়ে অনেক শিখতে পারছি।
🌱কিভাবে একজন ভালো মানুষ হওয়া যায়।
🌱কিভাবে একজন ভালো উদ্যোগক্তা হওয়া যায়।
🌱কিভাবে মানুষ এর বিশ্বাস অর্জন করা যায়।
🌱কি ভাবে সুন্দর করে কথা বলা যায়।
অনেক অনেক কিছু শিক্ষা পাচ্ছি।তাই আমি নিজেকে ধন্য মনে করি কারন আমি ইকবাল বাহার স্যার এর এক জন ছাত্রী।

💙💜নিজের বলার মত একটা গল্প গ্রুপ থেকে কি পেলাম💙💜

আলহামদুলিল্লাহ আমি এই অল্প দিনে অনেক কিছু পেয়েছি।আমি বাবার মত Jahangir Ahmed  আংকেল কে পেয়েছি।আর পেয়েছি CM Hasan,,Diab khan,,Abdul khalek,,,Ahmed juwel,,,M A Hannan,,Nasir Mirza,,Md Nurul islam,,,Parbin,,,Khadija Akter,,Fouzia koly,, নাসরিন আক্তার প্রিয়া সহ অনেক ভাইয়া ও আপু দের।যারা আমাকে অনেক আপন করে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।

"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬১
Date:- ২৮/০৬/২০২১

নামঃতাহামিনা
ব্যাচঃ১৪
রেজিষ্ট্রেশনঃ৬৬৩৯৩
জেলাঃ লক্ষ্মীপুর

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।