See More Post

প্রিয়োত্তমা অভিমানী বউ,

প্রিয়োত্তমা অভিমানী বউ,
জবাবদিহিতার জায়গা থেকেই আজকে তোমাকে লিখতে বসেছি। একদিন কথা দিয়েছিলাম, একই চালের নিচে বসবাস করেও প্রতি সপ্তাহে তোমাকে অন্তত একটি করে চিঠি লিখবো। ওয়াদার বরখেলাপ হয়েছে কতকাল হিসেব নেই। ব্যস্ততার কারণ তোমার জানাই ছিল, তবে বোধগম্য ছিল কিনা জানিনা!
শিক্ষাজীবনের ইতি টেনেছি একযুগেরও বেশি সময় আগেই। নতুন করে আবার যখন বইয়ের পাতা উল্টাই তুমি প্রশ্ন করেছিলে, "দুই মেয়ের বাবার আবার কিসের পড়ালেখা?" তোমার প্রশ্ন শুনে বিরক্ত হয়েছি। ব্যবসার অ-আ-ক-খ শিখতে হয় যে! তোমাকে এই কথাটা বোঝানোর সময় নাই আমার।
আয়-ব্যয়, নগদ-বাকির টালিতে যখন ডুবে আছি, কি মনে করেই মুখ ঘুরিয়ে চার মাসের মেয়ের দিকে তাকাতেই ভেতরটা তছনছ হয়েছে আমার! ঘাড় ঘুরিয়ে এক পলকে তাকিয়ে ছিল মেয়ে আমার! হয়তোবা একটাই প্রত্যাশা- আব্বু কখন ফিরবে তার দিকে? ওর দিকে তাকাতেই মায়াভরা হাসি হেসে হাত-পা ছোড়াছুড়ি শুরু করেছে। নিজেকে তখন খুব অপরাধী মনে হতো, কাছে থাকা সত্ত্বেও বাবার মায়াহীন শৈশব কাটছে তার! একটু আদর দিয়ে আবারো টালিখাতায় ডুব দেই।
কাস্টমারের আধা কেজি মধুর অর্ডার ভুলিনি কখনো। ভুলে গেছি 'তেল আনতে হবে' এই কথাটি। অভিমান জানিয়ে বলেছিলে একদিন, "তুমি যখন চারশো টাকা বেতনের কামলা ছিলে, তখনই আমরা সুখী ছিলাম। প্রতি সন্ধ্যায় জ্যোৎস্নার বৃষ্টিতে ভিজতাম দুজন।"
বউরে, বড় ভালোবাসি তোমারে...
এখনো তুমি যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, কখনো কখনো তোমার কপালে আলতো চুমু খেয়েছি। তোমার অন্তরাত্মা তোমাকে বলেনি বোধহয়!
আজকাল তোমার কথ্য-অকথ্য চাওয়া গুলোর ব্যাপারে আমার উদাসীনতা নিয়ে তোমার কোন অভিযোগ নেই! তুমি ধরেই নিয়েছো এ জনমে আমার ছুটি মিলবে না!
এইযে আমার ছুটে চলা, ব্যস্ততা কিংবা তোমার ভাষায় উদাসীনতা- এগুলো কিন্তু তোমাদের জন্যই।
আমি যেদিন থাকবো না- তোমার আর সন্তানদের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই। দারিদ্রতা আর কষ্টের ভুক্তভোগী যেন না হও সেজন্যই। দারিদ্রতা দেখেছি আমি, ভুক্তভোগী হয়েই।
সেই দিনগুলোর কথা আমি কোনদিন ভুলবো না, চৌদ্দটা মাস যখন ঘুণে খাওয়া খুঁটিতে ভর করা টিনের চালখানা মাথার উপর পড়িপড়ি করতো ঝড়ে-নির্ঝড়ে! তুমি কাঁধে হাত রেখে সাহস দিতে, "দেখো কিচ্ছু হবে না, আমাদের হেফাজত করার জন্য উপরে একজন আছেন।" ঘরামিকে পয়সা দিয়ে ঘরখানা মেরামত করতে পেরেছি ঠিকই। কিন্তু তোমার সেই ঋণ শোধ করতে পারব না কোনদিন!
ইনশাআল্লাহ একদিন সুদিন আসবেই! সেদিন চাঁদটাকে কিনে সিলিংয়ে ঝুলিয়ে দেব। চাঁদের আলোতে তোমার কাঁচা-পাকা চুল বিলি করে দেবো। দু হাতে তোমার গাল তালুবন্দী করে গান ধরবো....
ভালোবাসি, বড় ভালোবাসি
এর বেশি ভালোবাসা যায় না(!)
ও আমার জান পাখি ময়না.....
ইতি তোমার পাগল স্বামী,
স্বত্বাধিকারী: Badabon Honey
৬ষ্ঠ ব্যাচ, রেজিঃ নম্বর: ৩৬৭৭, খুলনা।

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।