🏛️🏛️বাবা তুমি পৃথিবীর সেরা মানুষ_____________

🏅বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম🏅

       🌽আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ____

🍓🍓

🇧🇩সর্বপ্রথম প্রশংসা মহান রব্বুল আল-আমিনের  যিনি এই সংকটময়  পরিস্থিতিতে আমাকে, আপনাদের সবাইকে আজও সুস্থ এবং সুন্দর রেখেছেন। তার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি এই মহাবিশ্ব মালিক আল্লাহ তায়ালার ** আলহামদুলিল্লাহ **

🇧🇩দরুদ ও সালাম পেশ করছি মানবতার মুক্তিদূত একালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব বিশ্বনবী সাইয়েদুল মুরসালীন খাতামুন নাবিইয়ীন হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরুদ ও সালাম জানাই।

🇧🇩কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর , শিক্ষক, মানবতার ফেরিওয়ালা, ভালো মানুষ তৈরি করার কারিগর জীবন্ত কিংবদন্তি, লক্ষ লক্ষ তরুন-তরুনীর আইকন শ্রদ্ধেয় জনাব Iqbal BaharZahid স্যারের প্রতি যার অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে গড়ে উঠেছে এই স্বপ্নের ফাউন্ডেশন।  যার প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি। যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা  ভালো মানুষ, একটি সুশীল উদ্যোক্তা সমাজ ও পরিবেশ।____________ 

🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩আমরা সবাই অবগত আছি আসছে 2022 সালের 15 ই জানুয়ারি আমাদের নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন এর চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং দ্বিতীয় মহাসম্মেলন আমরা যারা এখনো টিকিট সংগ্রহ করি নি তারা অতি তাড়াতাড়ি অর্থাৎ আগামী 31 ডিসেম্বর এর মধ্যে অ্যাম্বাসেডের  কাছ থেকে টিকিট সংগ্রহ করবো ইনশাল্লাহ সবার সাথে দেখা হবে মহাসম্মেলনে ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

🇧🇩জন্ম ও বেড়ে ওঠা______________________

 আমি Mohamm Mizanur Rahman -আমার জন্ম  1989 সালে-15 মার্চ , আমার গ্রামের বাড়ি বরিশাল বিভাগের রাজাপুর উপজেলার 1 নং সাতুরিয়া ইউনিয়ন 5 নং উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামে- শিশুকাল থেকেই বেড়ে ওঠা শিক্ষা জীবন শুরু হয় নিত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলে-জন্মসূত্রে আমি আমার বাবা মার সবার ছোট সন্তান- আমার জীবনে প্রথম শিক্ষা গ্রামের বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

জন্মের তিন মাস পরে বাবাকে হারাই -বাবা শব্দটা বোঝার আগেই আমার বাবা পৃথিবী থেকে চলে যায়- মায়ের কোলে পিঠে চড়ে  বেড়ে উঠা- আমরা বড় ভাই বোনদের আদরের কলিজার টুকরা ছিলাম আমি। -আমরা 4 ভাই 2 বোন আমি সবার ছোট- আমি আমার বোন আমাদের বাড়ির পাশেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা জীবন শুরু করি- ছাত্রজীবন থেকেই খুবই চঞ্চল এবং খুবই শিক্ষার প্রতি একটি অন্য রকমের আবেগ- লেখাপড়াও চঞ্চলতায় এতটাই পারদর্শিত ছিলাম যে,আমাকে প্রত্যেক শিক্ষক এবং আমাদের এলাকার সবাই খুবই ভালো বাসতেন - লেখাপড়ায় অনেকটা ভালো ছাত্র ছিলাম - মাঝে মাঝে আমার বড় বোন কেও আমি পড়াতাম - বাবা হারা এতিম সন্তান আমি - সবাই আদর যত্ন দিয়ে আমাকে লালন-পালন করার চেষ্টা করেছেন---মা!!!

🇧🇩স্মৃতির পাতায় আছে তুমি বাবা_____________

আমার মনে পড়েনা, কোনদিন বলেছি, তোমাকে অনেক ভালোবাসি বাবা! মনে পড়ে না কোন দিনই তোমার কোলে উঠেছি- তোমার পরশ মাখা হাতের আদর পেয়েছি- তোমার মুখ খানা দেখতে কেমন তাও জানিনা বাবা- যখন কথা বলতে শিখেছি সবার বাবাকে দেখতাম আদর  করতো আমারো মন চাইতো তোমার আদর পেতে --তোমার কোলে উঠতে --তোমার হাতের ছোঁয়া পেতে- আমি অপেক্ষা করতাম তোমার জন্য বাবা কবে তুমি আমার হাত ধরে খেলা শেখাবে- হাঁটা শেখাবে -দিন যায় সময় যায় বয়স বাড়তে থাকে তোমার হাত ধরে চলা হল না- সন্তানের ভুল  করলে বাবা মা বকা দেয় -আবার আদর করে আমি কোনদিন তোমার বকা খেলাম না --তুমি আমার কাছে শুধু স্মৃতি হয়ে রইলে বাবা তোমাকে ছুঁয়ে দেখা হলো না- এই অতীত ফেলে আসা আমার হৃদয়ের সব সময় কষ্টের বাসা বাঁধে- তোমাকে হারানোর যন্ত্রণা আমাকে ব্যথিত করে তুলে- কখনো তোমার সাথে মান অভিমান করা হলো না- কখনো তুমি ভাত মেখে আমার মুখের লোকমা দিয়ে খাওয়াই দেওনি বাবা-আমাকে হাত ধরে কোনদিন বাজারেও নিয়ে যাওনি তুমি- আমি তোমাকে দেখার আগে ডাকার আগেই তুমি আমাকে রেখে অধুরে চলে গেলে বাবা--????  আজও, যখন তোমার অস্তিত্ব পৃথিবীর কোথাও অনুভব করি, আমি ছুটে যাই তোমাকে ছুঁয়ে দেখার জন্য -মনে মনে ভাবি সৃষ্টিকর্তা মনে হয় তোমাকে ছুটি দিয়েছে-- আমার সাথে দেখা করার জন্য-- তাইতো তুমি এসেছ!!! মনকে কোন ভাবে বোঝাতে পারিনা- তুমি আমাদের মাঝে নেই!!! অনুভবে তোমায় ভাবি -ছায়ার মতো তোমাকে পাশে দেখি -যখনই ছুঁয়ে দেখতে চাই তুমি হারিয়ে যাও বাবা- অনুভূতি অনুভবে অদেখা ভালবাসায় হৃদপিন্ডেই শুধু বিদ্যমান বাবা। যেদিন অনুধাবন করেছি, আর কোনদিন বলা হবে না এই শব্দগুলো তোমাকে, সেদিন থেকে আফসোসের প্রচন্ডতায় পুড়েছি ভেতরে ভেতরে। যেদিন স্বপ্নময় জীবন থেকে দুঃস্বপ্নে জেগে উঠেছি, আচমকা অনেক কথা জমা হতে থাকে সেদিন থেকেই। অথচ তোমার সামনে একটি শব্দ বলতেও পারলাম না! আজ অতি আবেগের মেপে মেপে কথা বলতে গিয়ে কখন যে স্নেহ-ভালোবাসার নিক্তিটাতেই মাপের গড়মিল করে ফেলেছি আমার জানাও ছিল না। কিন্তু আমার আবার তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হতো, হয়। ইচ্ছে হয় তোমার হাতটা ধরি! আমার এখনও মনে হয় তোমার হাত ধরে   রাস্তা পার হই। রাস্তা পার হওয়ার সময় মাঝে মাঝে মনে হয় কে যেন ওপাশ থেকে চিৎকার করে বলছে ভালোভাবে যাস বাবা- দেখেশুনে রাস্তা পার হইস- ঘর থেকে বের হলে বারবার অনুভব করি,কে যেন বলছে ভালো ভাবে যা খোকা  সুন্দরভাবে আমার বুকে ফিরে আসিস তোমার অনুভূতি আমাকে পাগল করে দেয় সর্বক্ষণই-  আজ প্রতিটা পথ পার হবার সময় কৃতজ্ঞচিত্তে তোমাকে স্মরণ করিনা সত্য, কিন্তু অলীক হলেও তুমি থাকো আমার সাথেই-----!

🍓🍓তোমার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছে মা___________

তুমি জানো না বাবা- মা তোমার কথা ভেবে ভেবে সবসময় চোখের পানি ফেলে -তোমার গল্প মায়ের ঠোঁটে সব সময় লেগে থাকে- প্রত্যেকটি কথায় কাজে তোমার স্মৃতি খুঁজে পায় মা তোমাকে- তোমার কন্ট্যাক্ট নম্বরটা এখন একটিভ নেই আর। কিন্তু জানো বাবা, আমার ফোনে নাম্বারটা আগের মতো সেইভ করা আছে, তোমার নামে! ফোনের পরে ফোন বদলেছে, কিন্তু কি করে যেন ওই ‘অপ্রয়োজনীয়’ নাম্বারটা হারিয়ে যায় নি! ওই নাম্বারটা ছিল জাদুর নম্বর মায়ের কাছে! শুধু ডায়াল করলেই জীবনের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যেত একজন অতৃপ্ত চাহিদাগুলো মিটে যেত! মা সবসময় বলে এই কথাগুলো - মায়ের মুখ থেকে তোমার কথা শুনতে অনেক ভালো লাগে- মা যখন বলে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি- তোমার সম্বন্ধে মা কত প্রশংসা করে- আজ যখন আমার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে, তোমার কথা মনে হচ্ছে, সে নাম্বারটায় ডায়াল করতে চাইলে সে কী আমার অপরাধ হবে বাবা? আমার যে তোমার রাশভারী কণ্ঠ শুনতে ইচ্ছে করছে! ফোন করে তোমার বলা কোন দরকারী কাজে যাবার বিষয়ে আবার আপত্তি করতে ইচ্ছে করছে! অজুহাত খুঁজে তোমাকে বলতে ইচ্ছে করছে কেন মাঝ রাতেও আমার ঘরের লাইট জ্বালানো! আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দাওনি! আমাকে তুমি কখনো খোকা বলে ডাকোনি -কখনো কোলে তুলে নিয়ে পূর্ণিমার চাঁদ দেখাওনি -ঈদের চাঁদ দেখতে নিয়ে যাওনি -ঈদের দিন আমাকে হাতে ধরে তুমি মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে যাওনি- তোমাকে উত্তর দিতে ইচ্ছে করছে, কেন এখনও ঘুমাইনি। একসময় অসীম শূন্যতায় স্তব্ধ মূঢ় হয়ে পড়তাম এসব ভেবে! জীবনের একটি অংশ!🇧🇩🇧🇩অবধি বিসর্জন দিয়ে দেন ইনি…তাই বিশ্বের সব বাবাকে জানাই হাজার সালাম.. বাবার ছায়া শেষ বিকেলের বট গাছের ছায়ার চাইতেও বড়-যে তার সন্তান কে জীবনের সব উত্তাপ থেকে সামলে রাখেন পৃথিবীতে একটি সন্তানকে তার বাবার চেয়ে কেউ বেশি ভালোবাসতে পারবে না-একটা সন্তানের জীবনে বাবায় হলো প্রথম পুরুষ এবং তিনি হলেন সবচেয়ে অনুপ্রেরণা দায়ক পুরুষ-একজন বাবা তার সন্তানকে ঠিক ততটাই ভালো বানাতে চান যতটা তিনি হতে চেয়েছিলেন-একজন বাবার হওয়া উচিত তার ছেলের কাছে প্রথম হিরো এবং একটি মেয়ের কাছে তার প্রথম ভালোবাসা-বাবাকে নিয়ে অনেক কিছুই লিখার আছে, সকল কথা কি লিখে বুজানো যায়। বাবা কে মন থেকে ভালোবাসবেন তবেই বুজতে পারবেন  এবং বাবাকে নিয়ে কোন উক্তি খুজতে হয় না-একজন বাবাকে তার সন্তানদের কাছে এতটা আদর্শ হওয়া উচিত যে আদর্শ যা দেখে সেই সন্তান পৃথিবীর অপর সকল ছেলেকে যাচাই করবে-পৃথিবীতে সবাই তোমাকে ভালবাসবে,সেই ভালোবাসার মাঝে কোনো না কোন প্রয়োজন লুকিয়ে থাকে-কিন্তু একজন ব্যক্তি কোনো প্রয়োজন ছাড়াই তোমাকে ভালো বাসবে সে হলো বাবা-আমার বাবা আমার নায়ক ছিল-------!!!

🏘️🏘️সভ্য সমাজের বৈষম্যতা____________________

  সমাজ যেখানে মানুষের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা - সেখানে আমাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা তো দূরের কথা আরো তারা চেয়েছিল আমরা যেন তাদের দাসত্ব করি , আমরা যেন লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ না হতে পারি । বাবা হারা আমাদের মা সবার ছিল একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই, কিন্তু একটি সামান্য কলহের কারণে কে বা কারা শত্রুতাবশত গভীর রাতে অন্ধকারে কেউ বা কারা আমাদের থাকার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন- পরিবারে বাবা না থাকার কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে -এলাকার মানুষেরা আমাদের সাথে শত্রুতা সবসময় বাঁধিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে- যাতে করে আমরা লেখাপড়া করে মানুষ না হতে পারি- আমরা যেন সারা জীবন সমাজে বিত্তশালীদের গোলামী করে জীবন কাটিয়ে দিতে পারি- এটাই হলো বর্তমান সমাজের শিক্ষিত মানুষের শিক্ষিত আচরণ- মূলত আমরা সমাজের মানুষেরা বেশি বেশিরভাগ শিক্ষিত হই। কাগজের সার্টিফিকেট অর্জন করার জন্য- সুশিক্ষা খুব কম মানুষই অর্জন করতে পারি- মানুষের বসবাস করার জন্য একটি ঘরে থাকে শেষ উপার্জন সেটাও আগুন লেগে পড়ে যাওয়ার পর -শুরু হয় আমাদের জীবনের ঘোর অন্ধকার  এক নতুন অধ্যায়ন- নিজের  সম্পত্তি বাড়িঘর ছেড়ে আমাদের থাকতে হয় অন্যের বাড়িতে- কারণ ঘর উঠানোর মতন ক্যাপাসিটি আমাদের ছিল না- পিতৃহীন সংসারে অভাব-অনটনের মাঝে আমাদের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব হয়নি- 

অবশেষে আমরা ঠাঁই নেই-আমার মায়ের বাবার বাড়ি অর্থাৎ আমার মামার বাড়ি ।

অন্যের ঘরে আশ্রিত আমরা খাওয়া পরা চলা অনেক অসুবিধা মুহূর্তে আমার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার অবস্থায়- আমি খুবই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম -আমার কান্না দেখে আমার মা আমার মামাকে বললেন আমার ছেলেটাকে একটা ভালো মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে দাও ভাই -যাতে করে আমার ছেলেটা দিন এবং দুনিয়ার জন্য সত্যিকারের মানুষ হতে পারে- আমার মামুর সে কথার কোন গুরুত্ব দিলো না- তারা হয়তো চাইনি আমার কোন দায় দায়িত্ব নাতে- বাধ্য হয়ে আমার মা নিজে গিয়ে আমাকে একটি  মাদ্রাসায় লিল্লা বডিংয়ে দিয়ে আসেন- শুরু হয় আমার নতুন জীবনের পথ চলা ------!!

🇧🇩🇧🇩অনেক-ভাঙা-ঘরার-মাঝে-নিজেকে -একটু -

একটু তৈরি _করা_________________

কর্ম অধ্যায়ন ও শিক্ষাজীবন_____________

অনেক কষ্ট করে মা আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করান এবং বোর্ডিংয়ে থাকার ব্যবস্থা  করিয়ে দেন-- শুরু হয় নতুন অধ্যায় সেখান থেকে অস্তে অস্তে আমি লেখাপড়া করতে থাকি- লেখাপড়ায় আমি অনেক ভালো ছিলাম- তাই প্রত্যেক ক্লাসে আমি ভালো রেজাল্ট করি --

আমার লেখাপড়া দেখে আমার শিক্ষকেরা অত্যন্ত খুশি --সব ব্যাপারে আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করতেন --আর এই ভাবেই আমাকে সকলেই ভালোবাসতেন--2003 সালে এস এস সি ও এইচ এস সি2005পাস করি নিজ উপজেলা থেকে- আরো ভালোভাবে লেখাপড়া শেখার জন্য ঢাকা চলে আসি- ঢাকা চলে আসার পরে ডিগ্রী 2007এবং মাস্টার্স কমপ্লিট করি-  2010! সালে -

চাকুরির পাশাপাশি কিছু করার স্বপ্ন  বুকে লালন করি সেভাবেই প্রতিদিন নিজেকে তৈরী করার চেষ্টা লক্ষে লেখাপড়া চালিয়ে যাই- দাখিল আলিম ফাজিল ডিগ্রী শেষ পর্যন্ত মাস্টার্স কমপ্লিট হয় 2010 সালে। লেখাপড়ার খরচ টিউশনি থেকে আসতো আর কোনো খরচ না হওয়ার কারণ হচ্ছে আমি থাকতাম মাদ্রাসায় --মাদ্রাসার ওস্তাদেরা আমাকে সকল ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় - সকলে ভালোবেসে আমাকে বুকে টেনে নেন--  সুন্দরভাবে লেখাপড়া করার জন্য সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন --কেননা ছাত্রজীবনে আমি অত্যন্ত মেধাবী এবং সূক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তার অধিকারী ছিলাম- আমাকে নিয়ে আমাদের শিক্ষকেরা অনেক ভালো স্বপ্ন দেখতেন সব সময় মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করতেন বাবা তুমি মানুষের মত মানুষ হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করো। বাবা মার স্বপ্ন পূরণ করো তুমি একজন ভালো মানুষ হয়ে আমাদের জন্য দোয়া করো ---------।

🍇🍇এখন আমি অনেক ভালো আছি বাবা! তোমাকে প্রায় ভুলতেই বসেছি। কারণ বাবা তোমার ছোট্ট ছেলে এখন আর ছোট নেই তার এখন সময় কাটে বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকে যাতে করে তোমার কথা খুব মনে পড়ে-- কিন্তু মাঝে মাঝে এসবকেই বড্ড বন্দিত্ব লাগে কেন ঠিক জানিনা। দূরত্বের কারণে তোমার কবরটা ছুঁয়ে দু’মিনিট নিঃশব্দে বাঁচার প্রেরনা খোঁজাও আমার হয়ে ওঠে না। আমাকে অকৃতজ্ঞ, স্বার্থপর তুমি বলতেই পারো বাবা, আমার প্রতিবাদ করার মতোও শক্তি নেই। আমি আমার অযোগ্যতার অতলে প্রতি নিয়ত ডুবেছি, তোমাকে ধরে রাখতে না পারার অযোগ্যতায়, আর কিছু বেশী সময় তোমার পাশে না পাওয়ার যন্ত্রনা, আরও বেশী কিছু শব্দ তোমার মুখ থেকে শুনতে না পারার অযোগ্যতা ... যা আমাকে কোনদিন ক্ষমা করবে না হয়ত। আমি তাই তোমার কাছেও ক্ষমা চাইবার অধিকার রাখিনা। কারণ কল্পনার জগতে তুমি আমার বাবা- যাকে অনুভব করার আগেই সে তার আসল ঠিকানায় চলে গেছে-- কল্পনা এলোমেলো শব্দ গুলো জল্পনায় তোমাকে জলকানো ভাবে অনুভব করা- তবুও বলছি ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিও- তুমি ভালো থেকো -আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তোমাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক- হয়তো দুনিয়ায় তোমাকে মন ভরে দেখতে পারেনি -ডাকতে পারিনি -  কাল কেয়ামতের ময়দানে তোমার সাথে যেন আমার সবার আগে দেখা হয় --সেদিন যেন তোমাকে জড়িয়ে ধরে আমি আমার কষ্টের কথাগুলো বলতে পারি --তোমাকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন গুলো ডাইরির পাতা খুলে একটা একটা অক্ষর তোমাকে পড়ে শোনাতে পারি  বাবা---!!ভাবতে ভালো লাগে দূর আকাশের তারা হয়ে হয়ত দেখছো আমাকে। কিংবা ছায়ামানব হয়ে আমাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছো প্রতিক্ষণে! কিন্তু আমি সে সবেরও অযোগ্য হয়ত! তাই দূর থেকে শুধু ভাবি তোমাকে। চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাই কিছু ছেঁড়া ছেঁড়া মুহূর্ত! তুমি ছিলে বাবা, কতোটা কাছে ছিলে, আমার অনুভবে আমার কল্পনা আমার রক্ত কণিকায় আমার স্বয়নে স্বপনে সে সব সাক্ষ্য দেয়া কল্পনাগুলো  মুহূর্তগুলোকে আমি সরাতে পারিনা মন থেকে---হাত বাড়ালে তোমাকে আর ছোঁয়া যাবে না, ঈদের সকালে পা ছুঁয়ে সালাম করা যাবে না, একসাথে নামাযে যাওয়া যাবে না, জোড় করে নিজের কাছে ডেকে নেবে না আর, দেবে না বকা আমার অনিয়ম অপরাধে, আদর করবে না, খুশী হবে না আমার সাফল্যে। কিন্তু এসবই তো আমার চাওয়া ছিল বাবা আমায় বঞ্চিত করার এ নিয়মের নিষ্ঠুরতা কেন এ নিষ্ঠুরতার দায়ও তোমার নয়- হয়ত আমার সৃষ্টি কর্তা আমায় এভাবেই হয়ত দেখতে চেয়েছেন!!একেকটা দিন বড় একা লাগে, বাবার স্পর্শটুকু, বাবার সেই মায়াভরা ডাক অথবা মাথায় হাত ভুলিয়ে  দেওয়া -বাবাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো এ কখনো কল্পনা করিনি, কিন্তু বাস্তবতা বড়ই কঠিন। কেটে যাচ্ছে একেকটি দিন, মাস আর একেকটি বছর – বাবা নেই, আছে বাবার অনেকগুলো স্মৃতি, অনেকগুলো কথা, যা ভুলতে পারিনা, ভোলা যায়না। , এসব দিবস টিবস বুঝিনা, তবে বাবাহীন প্রত্যেকদিন একে কটি ঝামেলা, একেকটি একাকীত্ব। ছায়াহীন পথ, আর লক্ষ্যহীন সকল যুক্তি। বাবাকে খুব মিস করছি। বাবার জন্য অনেক কষ্ট হয়। বাবা না থাকাটা যতটুকু কষ্টের, তার চেয়েও বেশি ঝামেলার। আল্লাহ্ সবার বাবাকে ভালো রাখুন আর আমার বাবাকে জান্নাত নসিব করুন-----!!!!

🏛️🏛️বাবা তুমি পৃথিবীর সেরা মানুষ_____________

আমার কাছে বাবা মানেই ভালোবাসার আরেক নাম-হয়তো প্রত্যেক ছেলে অন্যের কাছে ভালো নয় কিন্তু প্রত্যেক বাবার কাছে তার ছেলে রাজপুত্র-বাবা হলো স্রষ্টার ভালোবাসার কবিতার  প্রতিচ্ছবি। বাবাছাড়া বেচে থাকা  মানে মাথার উপর ছাদ হারিয়ে ফেলার মতো।-অনেক দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা বাবা-মা থাকতেও তাদের সন্মান করেন না বা ভালোবাসেন না। তাই আজও আমাদের দেশে বিদ্যাশ্রম রয়েছে। আর দিন কে দিন এটা বাড়ছে। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন এই বাবা মা না থাকলে আপনার ঠিকানা কোন অনাথ আশ্রমে হতো। আজ আমরা একটু বাবার হয়েকিছু কথা শুনবো ও বলবো-বাবা আমাদের এমন একটা শক্তি যার কথা বলতে গেলে দিন থেকে রাত আর রাত থেকে দিন হয়ে যাবে। আমরা সত্যি কোনোদিন বাবাকে নিয়ে একটু বিশেষ ভাবে ভাবিনা, কোনোদিন বোঝার চেষ্টা করিনা। তবে এটুকু জেনেছি, তোমাকে বুঝবার ক্ষমতা আমার নেই। আমাদের বোঝার ক্ষমতা নেই যে তোমার ত্যাগ গুলো কি কি বা কোথায় কোথায় তোমার ত্যাগ আছে আমাদের জন্য। সেটা আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আমরা মনে রাখিনা। তবে আমাদের বাবা আমাদের এক শক্তি। আমাদের বাবা আমাদের মাথার ছাদ। আমাদের বাবা আমাদের বর্ষার ছাতা আর আমাদের বাবা আমাদের শীতকালের কাঁথা-শুনেছি জাপানে কোন বিদ্যাশ্রম নেই কারণ সেই দেশে প্রতি বছর তাদের স্কুল কলেজে ছেলে মেয়েদের ডেকে সকলের সামনে তার বাবা মায়ের পা ধুঁইয়ে সেবা করানো হয়। তাই হয়তো বাবা মায়ের ভালবাসার মত পরম আনন্দ আর-কোথাও  পাবেন না।শুধু ফেসবুকে লোক দেখানো না বাস্তব জীবনেও বাবা-মাকে ভালবাসতে হবে আমাদের-একজন বাবা তার ছেলের প্রথম নায়ক এবং তার মেয়ের প্রথম শ্রেষ্ঠ মানুষ যিনি অনেক মহান। বাবা সর্বদা আমাদের জীবনের বিশেষ মানুষ। আমাদের জীবনে বিশেষ মানুষ গুলির মধ্যে অন্যতম। বাবাকে  নিয়ে  দুই থেকে চার, ছয়, এমনকি একটি বই লিখেও শেষ করা যাবে না।আমাদের বেশিরভাগই আমাদের বাবাকে নিয়ে ভাবি  বাবার মতো আর কেউ নেই আমাদের জীবনে- আমাদের জীবনের স্তর বা বর্তমান পরিস্থিতিতে যাই হোক না কেন, তিনি আমাদের অটল সমর্থন এবং ভালোবাসা দেওয়ার জন্য রয়েছেন-জীবনের সর্বস্তরে বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে বাবাকে অনুসরণ করে থাকি। বাবাকে অনুসরণ না করলেও বাবাকে অনেক ভালবাসি।

🍒🍒ছোটবেলা থেকে শুরু করে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সকল কাজে বাবাকে ছাড়া চলেই  না। যে সকল ভাই বোন বাবার স্নেহ পাননি তারাই কেবল জানেন যে বাবার গুরুত্ব তাদের জীবনে কতটা।

🎇পিতারা সবসময়  আমাদের জন্য সঠিক জিনিস বলতে পছন্দ করার চেষ্টা করেন বলে মনে হয়।

🏘️মধুমাখা বাবা নাম টি_____________________

বাবার মাঝে জড়িয়ে আছে বিশালত্তের এক অদ্ভুত মায়াবী প্রকাশ”বাবা নামটা উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোন বয়সী সন্তানের হ্রদয়ে শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসার এক অনুভব জাগে -বাবা এমন একজন যিনি সারা জীবন নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে যান…নিজের সব খুশি

☪️☪️☪️আজ একটি কথা না বললেই নয় যে কথাটি হলো লেখাপড়ার মধ্যেই আমার একটি দুর্ঘটনা বলবো না সুসংবাদ বলবো, সুসংবাদ ই বলবো কারণ হলো আমি লেখাপড়া অবস্থায় বিবাহ শাদী করে ফেলি অর্থাৎ এইচ এস সি পাশ করার পরে আমার মা পাত্রী দেখে তার পছন্দ হয় আর তার পছন্দ হওয়াতেই আমাদের বিবাহ শাদী হয় আর তাকে নিয়েই আমি ঢাকা চলে আসি একদিন সংসার একদিকে লেখাপড়া একটি হিজিবিজি অবস্থায় কোন উপায় না খুঁজে পেয়ে আমি একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকরি নেই জামানত দিয়ে পনেরশো টাকা পনেরশো টাকা আজও ফেরত পায়নি এর পরে নিলাম একটি গার্মেন্টসে চাকুরী সেখানে একমাস চাকুরী করার পর আমার চাকুরী হয় একটি স্বনামধন্য একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটি তে আজ ওখানে কর্মরত আছি । আর চাকরি করার পাশাপাশি আমি চালিয়ে যেতাম লেখাপড়া এরপর সংসার সবকিছু ম্যানেজ করে যতটুকু সময় পেতাম ওই সময়টুকু আমি কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্নভাবে উপায় খুঁজতে খুঁজতে খুঁজতে একদিন মাথায় এলো যে আমি বসে না থেকে কোন হাতের কাজ শিখি সেই সুবাদে আমি একটি টেইলার্সের দোকানে হাতের কাজ শিখি একপর্যায়ে সেলাই কাটিং সব ধরনের কাজ আমি রপ্ত করি।

🇧🇩2012 সালে ছোট করে একটা বিজনেস শুরু করি- মূলত লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি কিছু বিজনেসের আইডিয়া অর্জন করি --চাকুরির পাশাপাশি আইডিয়া কাজে লাগিয়ে বিজনেস শুরু করি -- চাকুরি বিজনেস লেখাপড়া একসাথে চলতে থাকে-- মায়ের অনেক বড় আবদার যেন আমি বিবাহ করি - মায়ের আবদার পূরণ করতে গিয়ে ছাত্রজীবনে আমি বিয়ে করতে বাধ্য হয়- বিবাহ করার কারণে শুরু হয় আরেক যুদ্ধ- মায়ের খরচ বইয়ের খরচ নিজের লেখা পড়ার খরচ সবকিছু মিলিয়ে যেন একাকার লেখাপড়া করেনি যে আরও বড় হওয়ার লক্ষে আমাকে চাকুরী লেখাপড়া ও ব্যবসার পাশাপাশি যতটুকু অবসর সময় ততটুকু সময় টিউশনি করতে হতো যেহেতু আমার জীবনের সাথে আরেকটি জীবন যুক্ত হয়ে আছে তার দায়-দায়িত্ব আমাকে সঠিক ভাবে পালন করতে হবে কোন ভাবে সে দায়ভার এড়ানো সম্ভব নয়- শুরু হয় জীবনের কঠিন অধ্যায়ন-- একদিকে সাংসারিক জীবন -লেখাপড়া -বিভিন্ন অংশের মধ্য দিয়ে শুরু করি --

সেখানে দেখলাম খুবিই অসুবিধা বেতন অনেক কম যা দিয়ে আমার কোনো ভাবে চলা সম্ভব নয় - চাকরি ছেড়ে দিয়ে একটি ভালো নামিদামি গার্মেন্টসে চাকরি নেই- অতিরিক্ত ডিউটি থাকার কারণে লেখাপড়া বিজনেস চাকরি সবকিছুই করে উঠতে পারলাম না অনিচ্ছাকৃত সত্বেও লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় -- প্রতিনিয়তঃ আমার মন খারাপ হতে থাকে -আমার মন খারাপ দেখে আমার স্ত্রী আমাকে অনেক উৎসাহ অনুপ্রেরণা দেন -আমার স্ত্রীর উৎসাহ অনুপ্রেরণা আবার আমি

 ব্যবসার শুরু করি । কারণ ব্যবসার উপর আমার এক ধরনের নেশা তৈরি হয় যতটুকু সময় পাই সেই সময়টুকু খরচ করে আমি ট্রেইলারের কাজ শিখি কারণ আমি জানি চাকরি চাহিদা মেটাতে পারে কিন্তু কাউকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেনা নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প কিছুই নেই তাই তড়িঘড়ি করে টেইলার্সের সমস্ত কাজগুলো আমি শিখে ফেলি এবং একপর্যায়ে তাড়াহুড়ো করে একটি দোকান ভাড়া নেই সেখানে টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স একটি বিজনেস করি-- বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানের 4/5 জন কর্মচারী নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ নিজের পাশাপাশি আরো চার-পাঁচটি পরিবারের দায়িত্ব নিতে পেরেছি এটা আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া আমার মায়ের শিক্ষকদের দোয়ার বরকত--- আমার স্ত্রী তিন সন্তান নিয়ে আমার মা সহ আমরা অনেক সুখে শান্তিতে দিন কাটাচ্ছি-- পাশাপাশি কয়েকটি পরিবারের দায়িত্ব নিতে পেরে নিজেকে খুব গর্বিত মনে করছি-- আমার জন্য সকলেই দোয়া করবেন যাতে আগামী দিনে আমার প্রতিষ্ঠান আরো বড় করতে পারি --এবং কমপক্ষে 20 জন বেকার যুবক কে কর্মসংস্থান করে দিতে পারি-- আপনাদের সকলের দোয়া ও ভালোবাসা পেলে আমার মায়ের আদর মাখা হাতখানি আমার মাথার উপর থাকলে আমি এক বছরের ভিতর আমার প্রতিষ্ঠানে আরো অনেককে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ-----!!!!

🇧🇩🇧🇩কিছু করার জন্য ইচ্ছাটাই যথেষ্ট_________

ইচ্ছে বা স্বপ্ন মানুষকে পথ দেখায়-দেখায় নতুন দিনের স্বপ্ন বাঁচতে শেখায় স্বাধীনভাবে -

Where there is a will There is a way.

ইনশাআল্লাহ উপরে দেয়া শিরোনামের আলোকে নিজের জীবনে ছোট একজন উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি অন্যকে উদ্যেক্তা করার  ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি আমি স্বপ্ন দেখি অবশ্যই ঘুমিয়ে নয় সজাগ থেকে যে স্বপ্ন সারাক্ষণ আমার  মস্তিষ্কে বিরাজ করে --আমাকে  নিয়ন্ত্রণ করে, আলো পথ দেখায় -আমি সেই স্বপ্নের কথা বলছি-মহামূল‍্যবান উক্তি জানি যে প্রত‍্যেক কাজ নিয়‍্যতের উপর বা ইচ্ছের উপর নির্ভরশীল।

🇧🇩🇧🇩ভালোবেসে ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়া🇧🇩

দিনের বেশিরভাগ সময়ই কাটে অফিসে সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে, প্রতিদিন খুব সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে যেতে হয় অফিসে সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যেও একটু ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করতাম । যেহেতু আমি বিজনেস এর সাথে জড়িত তাই কিভাবে বিজনেস তাকে উন্নত করা যায় এইসব ভিডিও ফেসবুকে ইউটিউবে এবং গুগলের সার্চ করে দেখার চেষ্টা করতাম প্রতিনিয়ত আর এর থেকে কিছু শিক্ষা নিয়ে নিজের ব্যবসাকে উন্নতি করার জন্য চেষ্টা করতাম । আর এভাবে গুগল ফেসবুক ইউটিউব ঘাটাঘাটি করার মধ্যে হঠাৎ একদিন আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো আমাদের এই প্ল্যাটফর্মের প্রিয় mentors' বর্তমান সময়ে সবার প্রিয় আইকন, শিক্ষক, ভালো মানুষ হওয়ার কারিগর, আর্দশবান ব্যাক্তি জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের একটা ভিডিও ভিডিওটি দেখার পরেই তার কথা তার এই সুন্দর সন্ধ্যায় মোটিভেশনাল কথা আমাকে অনেক বেশি উচ্ছাস ও উদ্দীপনা আরো বেশি সাহস পাই বিশ্বাস করি এবং আমরা জানি পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না একদিন এর ফলে আসবে ইনশাআল্লাহ তবে জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার বলেছেন আমাদের সমাজ আমাদের দেশ পরিবর্তন করতে হলে সবার আগে আমাদের নিজেদেরকে পরিবর্তন হতে হবে উদ্যোক্তা জীবনের কাজ শুরু করতে হবে স্টুডেন্ট লাইফ থেকে আমি স্যারের কথা গুলোর প্রেমে পড়ে গেলাম । এবং জানার চেষ্টা করলাম যে এই ভার্সনে কিভাবে যুক্ত হওয়া যায় এবং আমি মেসেজ দিলাম এখানে কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করে বা কিভাবে যুক্ত হতে পারি খুজতে থাকলাম কিভাবে যুক্ত হয়ে এই প্ল্যাটফর্মের আদর্শ এবং নিত্য নতুন বিজনেস আইডিয়া শেখার জন্য উপায় খুঁজতে শুরু করলাম, এই সময়ে এক বোনের সাথে যোগাযোগ করে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর রেজিস্ট্রেশন করি আমাদের ঝালকাঠি কৃতিসন্তান লেবানন প্রবাসী আমাদের সকলের প্রিয় বোন শারমিন আপি আপু আপু আমাকে ঝালকাঠি টিমে যুক্ত করিয়ে দেন এবং গুলসান জনে যুক্ত করার ব্যবস্থা করেন কারণ আমি থাকি বাটারা নতুন বাজার। নিজে উপস্থিত থেকে প্রতিদিন আমাদের সেশন কেলাস লিংক দিয়ে আমাদের সকলকে যুক্ত করিয়ে কেলাসে গাইড দেওয়া শুরু করেন স্যার এর পাশাপাশি। আমি  সাবিনা ওপি আপুর কথাগুলো মন দিয়ে শুনতে থাকি এত সুন্দর করে আমাদেরকে বুঝান মনে হয় কোন শিক্ষক তার ছাত্রছাত্রীকে বুঝাচ্ছেন এতটাই মগ্ন হয়ে তার কথা আমরা সকলেই শুনি যে শুনতে মনে চায় প্রিয় আপু এত কিছু শিখেছে আমাদের কেউ তার মতো শিখতে হবে। এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে আমরা আঘাতে থাকি বর্তমানে আমাদের ঝালকাঠিতে 69 তম ধারাবাহিকতার সেশন ক্লাস চলছে আমি প্রতিদিনই সেখানে উপস্থিত থাকে এবং সেশন ক্লাস থেকে নিজেকে তৈরী করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতিদিনই কারো না কারো জীবন গল্প শুনি পাশাপাশি প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের আমাদেরকে উৎসাহ অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য অনেক রকম টপিক দিয়ে থাকেন আমি স্যারের টপিক গুলো নিয়ে বারবার বিশ্লেষণ করি এবং প্রিন্ট করে নিজের কাছে হার্ডকপি সংরক্ষণ করে রাখি যেন পরবর্তীতে কোন সমস্যায় পড়লে ওখান থেকে বের করে সমস্যা সমাধান করা যায় তার জন্য। আরো শক্ত করে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার শক্তি সঞ্চয় করে প্রতিনিয়ত সকলের সাথে পরিচিত হয়েছি এবং নিজের বেন্ডিং তৈরি করছে আসলে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সবার আগে নিজেকে তৈরী হতে হবে অন্যদের কাছে নিজেকে পরিচিত করে তুলতে হবে তাহলে আমরা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা জীবনে সফল হতে পারব ইনশাআল্লাহ।

স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন,শুরু করুন , এবং লেগে থাকুন সাফল্য আসবেই।

কেন স্বপ্ন সেটা নয় যা মানুষ ঘুমিয়ে দেখে স্বপ্ন স্বপ্ন হচ্ছে যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।

স্যার আমাদের প্রতিনিয়ত যে মন্ত্র যে সুন্দর মোটিভেশনাল কথা শোনার পর সত্যিই বলতে আমি আর ঘুমোতে পারছি না মনের মধ্যে কথাটা বেড়েই চলছে মনে হচ্ছে আমার মধ্যে যে ভুল গুলো আছে তা সরিয়ে নতুন করে আবার শুরু করব তবে আর আমাকে হেরে যেতে হবে না।

________🇧🇩আমার __প্রাণের __শিক্ষক_________

 _____জনাব -Iqbal -Bahar- Zahid- স্যার____

""অন্তরের অন্তস্তল থেকে জানাই শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর সীমাহীন ভালোবাসা,,,,আমার এত   আপন মানুষ  থাকতে কেন আপনার নাম টি ভেসে আসল আমার হৃদয়ে প্রিয় স্যার?কেন আপনার কথা মনে পড়তে আমি আবেগ প্রবণ হয়ে যাই? মনচায় আপনার  সামনে  দারিয়ে একটা  স্যেলুট করি।আপনার কাছে আমারা ঋণী তবে ঠিক কতখানি ঋণী তা হয়তো আমারা  কোনদিন  আপনাকে   বুজিয়ে  বলতে  পারবনা-

জীবনে  অনেক  কিছু  অর্জন  করেছি, সবার ভালোবাসা উৎসাহ অনুপ্ররেণা  মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ছিলো বটে। তবে জীবনে চলার জন্য একজন আর্দশবান মানুষ হবার জন্য মানসিক /মানবিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আর সেই মহান শিক্ষাটা আপনার কাছ থেকে পেয়েছি প্রিয় শিক্ষক Iqbal Bahar Zahid স্যার-আপনার সহনীয়তা  না পেলে হয়ত জানাই হতো না -জীবন টা কতো রঙিন হতে পারে। ৯০ দিনের আপনার দেওয়া সেশন ক্লাসগুলো আমি কম্পিউটার সফটওয়্যারে টাইপ করে রেখেছি - যাতে প্রতিক্ষণ প্রতিটি মিনিটে বের করে  একটি লাইন পড়ে দেখতে পারি - এবং আপনার দেওয়া সেশন থেকে আমি জ্ঞান আহরণ করে নিজের জীবনটাকে আরো সুন্দর করে সাজাতে পারি- সত্যিকারে যেন একজন ভালো মানুষ হয়ে পৃথিবীতে সবার মনে বেঁচে থাকতে পারি- প্রিয় ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন গুলশান ঝালকাঠি জেলা মেসেঞ্জারে সেশন ক্লাসগুলোতে যুক্ত হয়ে সকলের কথা শুনি- বিশেষ করে, আপনার পরে যাকে আমি আপন এবং আইডল বলে মানি -যার কথায় আমি সব সময় মুগ্ধ হয়ে যাই-- যার ভালোবাসায় আমার মাঝে আরো কাজ করার আগ্রহ অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়েছে --তার কথা না বললে নিজেকে ঠকানো হবে-- আমাদের ঝালকাঠি জেলার কৃতিসন্তান একজন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমই রেমিটেন্স যোদ্ধা- পরিবারের আদর যত্নে বঞ্চিত একজন প্রবাসী আমাদের সকলের কলিজার টুকরা বোন Sabina Opi- আপু আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন-- তার কাছে আমরা সকলেই অনেক ঋণী --সে নিজের পাশাপাশি আমাদেরকেও দেশজুড়ে ব্র্যান্ডিং করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন-- প্রতিদিন সেশন ক্লাসের সকলের কথা শুনি নিজেও কিছু বলার চেষ্টা করি -নিজেকে আরো মোটিভেশনাল ভাবে তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি পাশাপাশি নিজের পরিবারের আপনজন ও বন্ধু বান্ধব কে যুক্ত করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি - প্রতিদিন সেশন ক্লাসে কারো না কারো জীবনের সফলতা ব্যর্থতার গল্প শুনি - তাদের গল্প থেকে নিজের জীবনের ভুলগুলো

শেষ

শোধরানোর চেষ্টা করি -- এবং নিজেকে আরো সফল ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি ---------------------

🌺🌸🌺🌸🌺🌸🌺🌸🌺🌸🌺🌸🌺🌸

📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭০৫

Date:- ২৪/১২/২০২১ইং

___🏅মোঃ মিজানুর রহমান

___🌽ব্যাচ --নং-- 16

___🌽রেজিঃ--নং-- 75875

___🌽উপজেলা --রাজাপুর

___🌽জেলা-- ঝালকাঠি 

___🌽বিভাগঃ --বরিশাল 

___🌽স্থায়ী ঠিকানা- 1 নং সাতুরিয়া ইউনিয়ন

___🌽ব্লাড -গ্রুপ