শিক্ষা জীবনঃ
. 🌷 ১৯৯৮ সালে SSC, ২০০০ সালে HSC পরিক্ষা শেষ করে।
কর্মজীবনঃ
কর্মজীবনে জীবনের প্রথম প্রবাসে পাড়ি জমাই। ২২/১১/২০০০ ইং তারিখে মালায়েশিয়া যাই। ১৯ বছর বয়স।
ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানি ফোন ফ্যাক্স এসএম বলি হতো।
আমি ম্যাশিন সেকশনে কাজ নিলাম অতিরিক্ত ঠান্ডার ভিতর কাজ করা লাগতো লোহার মেশিন ঠান্ডা রাখার জন্য সেন্টাল এসি ২৪/৭ সব সময় চলতো।
প্রচন্ড ঠান্ডায় কাশি, কান ভারি সহ নানান ঠান্ডা জনিত সমস্যা হতো
কিন্তু আমি টানা ৫ বছর নাইট শিপ্টে কাজ করেছি।
এবং বৃহস্পতিবার সন্ধা ৫ টা হতে টানা ৩৬ ঘন্টা কাজ করতাম, প্রতি সপ্তাহে।
বেতন তেমন ছিল না মাত্র ১৫ হাজার।
নিজে রান্না করে খেতাম। ভিসা নিজের ছিল মাসে ৭/৮ হাজার সেভ হতো।
সাত বছরের মাঝে একটা সময় কোম্পানি বন্ধ হয়েছিল ১৩ মাস বেতন পাইনি শুধু খাওয়ার টাকা দিতো।
তখন বয়স আমার ১৯ থেকে শুরু ২১ হবে।
আবার ১৩ মাস পরে কোম্পানি চালু হলো অন্য মালিকের মাধ্যমে। নতুন নিয়মে।
১২ ঘন্টাই খাবার, রেস্ট, ও নামাজের টাইম বাদে দাড়িয়ে কাজ করা লাগতো।
আমি লাইন লিডার বা এসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার ছিলাম। ৮০জন লোকের দ্বায়ীত্য নিয়ে কাজ করতাম। প্রতিদিন সকালে ম্যানেজারের সাথে দেখা করা লাগতো।
টার্গেট ভালো হলে ভালো, না হলে নানান কথা, তার পরেও ম্যানেজার অনেক ভালো ছিল। ইন্ডিয়ান ম্যানেজার।
🌴জাপানি কোম্পানি( ন্যাশনাল প্যানাসনি কোম্পানি)
আমার আয়ের অংক তেমন ভালো ছিল না কিন্তু আমি যে সংসারে বড়ো (নিজের কোন একাউন্ট নেই।)
এভাবেই সাতটি বছর শেষ ২০০৭/১১/২২ তারিখে বাড়ি আসলাম। (সংসারে অনেক কথা বলা ঠিক না)
দুই তিন মাস পরে খালাতো ভাই এর থান কাপড়ের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মৌচাক মার্কেট আনার কুলি নিজ তলায় মাহি ফ্রেবিকস এ বসতাম বেতন ছাড়া চাকরি ১বছর করলাম।
ভালো লাগলো না।
দেশে এসে নিজ এলাকায় মুদি মালের দোকান দিলাম পুজি দুই লাখ।
একবছরে বাকি ১লাখ দোকানের আসবাবপত্র চল্লিশ হাজার টাকা মালামাল সহ দোকান ছেড়ে দিলাম। কারণ পিছনে পুজি ছিল না কেহ দেয়নি (বড়ো কাহিনি)।
ঔ সময় এলাকায় দোকানের যাত্রার মাঝে সামান্য পরিসরে এলাকার ভিতরে বিবাহ সেরে ফেললাম। (২০১০/০৩/১২ইং) ইনকাম ছিল না আপনজন সবাই মনে হতো আমায় এড়িয়ে যাচ্ছে।
রাতে ঘুমানোর পূর্বে চোখের জলে বালিশ টা ভিজে যেতো। কিন্তু আমি কাউকে বুঝতে দিতাম না।
🌷দোকান ছেড়ে অপসোনিন ঔষধ কোম্পানিতে চাকুরী নিলাম ৬মাস বেতন পেলাম ৭/৮ হাজার। এটাতে আমি খুশি না মনে মনে আবার বিদেশে যাওয়ার চিন্তা চলছে, একদিন প্রথম আলো নিউজে দেখলাম দুবাই তে G4s security কোম্পানি তে লোক নিবে। সবাই কে না জানিয়ে সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সকাল ১০টায় বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় মুন্সী ট্রেভেলসের অফিসে হাজির হলাম।২০১১/০৫/০৪ ইং তারিখে।
ইংলিশ অবশ্যই যানতে হবে
নিম্নে SSC পাশ হতে হবে,
হাইট ৫'৬হতে হবে,
ইত্যাদি ইত্যাদি।
যার সব গুলো গুনই আমার আছে।
ইন্টারভিও দিলাম পাশ করলাম।
🌷২১ দিনের মাথায় ভিসা এলো ২০১১/০৫/২৫ দুবাই জয়েন্ট করলাম এখানে এসে ও দুই তিনটা পরিক্ষা দিলাম পাশ হলো কার্ড বা লাইসেন্স হলো কাজ করছি
প্রতি দুই বছর পর পর ছুটি পাই দুই মাস এভাবে চলছে।
কষ্টের বিষয় হচ্ছে আল্লাহু একটা মেয়ে সন্তান দিয়েছেন
কাছে থাকতে পারিনি বাবার আদর দিতে পারিনি, দেখতে দেখতে তার বয়স ১০বছর হয়েছে এখন সে তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ে।
🌴আমরা বিদেশিরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছি, কিন্তু সারা জীবন এভাবে কাজ করতে পারবো না,
তাই আমাদের ফাউন্ডেশনের সেশন চর্চার মাধ্যমে আমি বা আমরা অনেক কিছু শিখতে পারছি।
এই শিক্ষা কে পুঁজি করে ভবিষ্যতে একজন ভালো উদ্যোক্তা হতে চেষ্টা করবো। সবাই মন থেকে দোয়া করবেন।
🌷 বেতন মুটামুটি ভালো, আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু দেশেতো একদিন যেতেই হবে।
দেশে গিয়ে কি করবো সে চিন্তা ইউটিউব দেখি নানান শিক্ষার পেইজ দেখি হটাৎ একদিন দেখতে পেলাম প্রিয় স্যারের একটা ভিডিও সেই থেকে ২০১৯/০৭/২৭ তারিখ প্রথম সন্ধান নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপের পরে সকলের দেয়া ভালোবাসা ও চেষ্টায় ফাউন্ডেশনে রুপ নিল।
চাকরি করছি ঠিক আছে, কিন্তু এই বয়সে বিনা বেতনের গঠন মূলক শিক্ষা, মানবিক কাজের শিক্ষা।
লাখো মানুষের পজিটিভ চিন্তা করার নিয়ম ও সমাজে একজন ভালো মানুষ হওয়া।
সমস্ত ভালো কাজের সাক্ষাৎ করার জন্য সহায়তা ও গাইড লাইন হিসেবে পেয়েছি সেই প্রিয় স্যারের সুস্থতা কামনায়,
আজ এই পর্যন্ত।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬০৩
Date:- ২২/০৮/২০২১
➡️ কাজী ওহিদুজামান
➡️ সপ্তম ব্যাচ,
➡️ রেজিষ্ট্রেশন নং ৫৫৪৩।
➡️ জেলা ফরিদপুর
➡️ নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের
গর্বিত সদস্য।
➡️ বর্তমান অবস্থান দুবাই।
➡️ FB Link: https://www.facebook.com/kazi.ohid.12
ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥
আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।