See More Post

গল্প কথায় সেল

আসসালামু আলাইকুম। 


পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। শোকরিয়া জানাই মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে। 


কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় মেন্টর আমাদের সবার প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার এর প্রতি। যিনি দিয়েছেন এই বিশাল  প্লাটফর্ম।  ১৬৪ জন নিয়ে শুরু করা এই প্লাটফর্মকে আজকের 

জায়গায় দাঁড় করাতে কতইনা পরিশ্রম করেছেন।এর সুফল পাচ্ছি আমরা ও আমাদের আজীবন মেয়াদী সদস্যরা।


#গল্পকথায়সেল


হালকা শীতের আমেজ চারিদিকে।  এই শীতে চলছে পিঠা পুলির উৎসব।  শীত শীত আবহাওয়ায় বিশেষ যত্ন নিতে হয় আমাদের বাচ্চাদের ও বাড়ীর বয়স্কদের। খাবারের প্রতি রাখতে হয় বিশেষ খেয়াল তেমনি এক গল্প ছিল রহিমা ভাবীর। 


🌹🌹রহিমা ভাবী একজন চাকুরীজীবী। তার দুই ছেলে মেয়ে। বয়স তাদের  ৩ ও ৬। সব সময় বাহিরের খাবার খেতে চায়। এ নিয়ে ভাবীর চিন্তা।  


একদিন ভাবি বেড়াতে গেলেন তারই কলিগের  বাসায়।  নানা রকম কথা জুড়ি নিয়ে,পাশেই বাচ্চারা খেলছিল। এর মাঝে নাস্তা চলে এল। নাস্তায় কিছু ময়দার পাঁপড় ও পয়সা পিঠা। 

নারিকেল এর নাড়ু। 


রহিমা ভাবীর বাচ্চারা খুবই তৃপ্তি সহকারে খেল।তাদেখে ভাবী তার কলিগকে বললেন এগুলো আপনি বানিয়েছেন?


কলিগঃ না, ভাবি আমি এত সময় কই পাই বলেন।


রহিমাঃ তাহলে? 


কলিগঃ আমি অনলাইনে এক আপুর থেকে নিয়েছি। 


রহিমাঃ অনলাইনে?  কি বলেন আপু যে দাম? 


কলিগঃ জি ভাবী, জিনিস যেটা ভালো দাম একটু বেশিই। তাছাড়া আমরা আমাদের বাচ্চাদের এত ভালবাসি তাদের কিভাবে খারাপ জিনিস দিতে পারি। এই যে দেখছেন  পয়সা পিঠা  এগুলো জন্য আপু চাল গুলো ধুয়ে নিজেই পঁাচতালার উপরব উঠে শুকিয়েছেন। এরপর মিলে গিয়ে নজস্ব তত্বাবধানে গুঁড়ো করে এনেছেন

 তারপর পিঠে বানিয়েছেন  এবং আবারো  রোদে দিয়েছেন । শুধু কি তাই, রোদে শুকানোর সময় পাতলা নেট এর ওড়না দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। তারপর এগুলো  আমাদের জন্য প্যাকেট করেছেন।  এবং আমি বাসায় এনে নতুন তেলে ভেজেছি। আর বাজারের চিপস কি তেলে বাজে আল্লাহই জানেন।


রহিমা ঃ কিন্তু  এত কিছু যে বললেন, আপনি তো দেখেন নি তাহলে কিভাবে  বিশ্বাস করলেন?


কলিগঃ ভাবী বিশ্বাসে মিলায় বলেন তর্কে বহুদূর।  আমি বিশ্বাস  করেছি আমাদের  গ্রুপকে।


রহিমাঃ গ্রুপ? কোনটা?


কলিগঃ" নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন"

 এই গ্রুপ টা অন্য আট দশটা গ্রুপের মত নয়। এখানে উদ্যোক্তারা আগে পজিটিভিটি চর্চা করে, বিভিন্ন স্কিল বিনামূল্যে  শিখেই মাঠে নামে। এখানকার  এডমিন জনাব ইকবাল বাহার বাহার একজন অভিভাবক ও শিক্ষক।  শিক্ষার্থী বুক ফুলিয়ে বলতে পারে, আমি একজন ভালো মানুষ।  এখানে ব্যাচ আকারে চলে ৯০ দিনের কর্মশালা  এবং আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন ১৪০০ + দিনের মত চলছে এই কর্মশালা , পৃথিবীর ইতিহাসে এমন বিনামূল্যে টানা কর্মশালা কোথায় ও নেই। আপনি এখানে পাবেন সাপ্তাহিক অনলাইন হাট প্রতি মংগলবারে। আর আমাদের মত তিন লাখেরও অধিক রেডিমেড ক্রেতা ও ভালো মানুষ  আছে।


রহিমাঃ আমিও থাকতে চাই, আর আপনি কার থেকে এগুলো পেয়েছেন?


কলিগ ঃ আমিই আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দিব।

এবং আমি পেয়েছি আমাদের লক্ষ্মীপুর জেলার সুপার এক্টিভ সদস্য khadija akter থেকে, ওনার পেইজ Fashion & Style   ও Khadija's gallery  ঘুরে দেখবেন। ওনার কাছে পাবেন 


১. পয়সা পিঠা 

২.বিভিন্ন ধরনের পাঁপড়।

৩.মুরালী বা আংগুলী 

৪.শীতকালে পিঠা খেতে চাইলে 

পাবেন চালের গুঁড়ো ও নারিকেল,


৫. আমড়ার চাটনি, 

৬.বিভিন্ন ধরনের আচার।

৭. হেলন ডাল।


আর ও পাবেন


৮. হাফ সিল্ক জামদানী শাড়ি 

৯.হাফ সিল্ক জামদানী থ্রিপিস 

১০. টিস্যু জামদানী শাড়ি। 


👉👉👉চাইলে থ্রিপিস ও গাড়িগুলো নিয়ে আপনি ও ব্যবসা করতে পারেন।


রহিমাঃ এত কিছু কেমনে করে? 


কলিগঃ এটাও আমাদের স্যার এর শিক্ষা, তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে আপু প্রবাসী স্বামী দেশে চলে আসে তাই বাচ্চাদের ও সংসারের  হাল ধরতে চায় আপু। বাবা মায়ের এক মাএ মেয়ে তাই আপু দায়িত্ব অনেক। 


রহিমা ঃ খুব ভালো লাগল এখানে এসে। নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হতে পেরে এবং আমাদের  মায়েদের তথা মেয়েদের নিজের পরিবারের জন্য এত সুন্দর চিন্তা শুনে।


কলিগঃ আমাদের  স্যারের কথাগুলো  আমরা সেশান ও ভিডিও  আকারে  পাই। এক ভিডিও তে দেখেছি  নারীদের পরিশ্রম এর মূল্য দিতে গেলে পকেট খালি হয়ে যাবে।  নারীদের আর্থিক অবদান আমরা হিসেব করি না। এই প্লাটফর্ম এ আমরা নারীরা নিজেদের প্রতিভা বিকাশে  পেয়ে ছি অনেক সুযোগ।এখানকার  ভাইয়েরাও খুব আন্তরিক। ❤❤


রহিমা ঃ ঠিক আজ তাহলে আসি।


কলিগ ঃ জি, আবার দেখা হবে, আমি যাই শপিং এ,  আজ নিজের বলার মতো  একটা গল্প ফাউন্ডেশনের হাটবার। 


🌹🌹🌹🌹🌹


ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। 


🌹🌹পয়সা পিঠা - ২৫০ গ্রাম - ১৩০ টাকা।


আর গুলোর দাম ছবির নিচে কমেন্টে থাকবে ইনশাআল্লাহ। 



📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৬৯

Date:- ০৯/১১/২০২১ ইং

খাদিজা আকতার 

ব্যাচ ১২

রেজিষ্ট্রেশন নং৪৮৯০৪ 

কমিউনিটি ভলান্টিয়ার 

নোয়াখালীর মেয়ে 

লক্ষ্মীপুর আছি।

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।