আসসালামু আলাইকুম, আশাকরি সবাই খুব ভালো আছেন।
আমাদের একটু চেষ্টাই পারে আমাদের জীবনের মোর পাল্টে দিতে।
আমি আমার জীবনের সামান্য কিছু মজার গল্প শেয়ার করতে চাই....
১২ বছর বয়স থেকে কর্ম জীবনে পা রাখা। প্রথমে টেক্সটাইল, তারপর গার্মেন্টসে চাকরি করলাম। সুতা, নীট ফেব্রিক্স, সার্ট,প্যান্ট,বিকিনি,সব ধরনের কাজের সাথে নিজেকে দক্ষতার সাথে নিয়জিত করেছিলাম।
১৪/১৫ বছর মানে মনের মাঝে হাজার টা রঙ্গিন চিন্তা ভাবনা। হাহাহাহাহা, হুম সবার মত আমারো ক্রাশ ছিল।রঙিণ জীবনের রঙহীন মানুষের সাথে আমার সম্পর্ক ও বেশ ভালো ছিল।
কিন্তু কয়েক মাস পর জানতে পারলাম ঐ ছেলের যোগ্য আমি ছিলাম না, আহারে আমার ছোট্ট মনটা সেদিন কি ভিষণ কষ্ট যে পেয়েছিলো।
১২ বছর বয়সে গার্মেন্টসে চাকরি করা মেয়ে আমি,টেইলারিং কাজের অবিজ্ঞতা আমার ঐখান থেকেই শুরু। জীবনের একটা মোর আমাকে ঢাকা থেকে বগুড়ায় নিয়ে আসে।বগুড়ায় এসে পার্লারের কাজ শেখার জন্য সবাই উৎসাহ দেয়, পার্লারোর কাজ শিখলাম।
নিজে পার্লার দেওয়ার জন্য টাকা ইনভেস্ট করলাম।কেন জানি আমার মন সারা দিচ্ছে না পার্লার দেওয়ার জন্য।( কারণ ঐ কাজটা টা আমার পছন্দের ছিল না) হিহিহি তারপর বিশাল লস খেয়ে শুধুমাত্র ভালো না লাগার জন্য ঐ বিজনেস টা ছেড়ে দেই।
এবং নতুন করে আমি টেইলারিং প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজে একটা লেডিস্ টেইলাস্ দিলাম।
আমার নিজের কথা গুলো বলার একটাই উদ্দেশ্য,, আমাদের বয়সটাই এমন যে শয়তান এসে কাতুকুতু দেই সব সময়।
যেই সময় আমরা আমাদের জীবনের মোর পাল্টে ফেলতে পারি ঠিক, সেই সময় ই আমাদের মাথায় এমন কিছু কাজের ইচ্ছে আসে,
যা আমাদের জীবন টা শুরুতেই শেষ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এই সময় টা আমাদের জীবন থেকে চলে গেলে আর কখনোই ফিরে আসবে না।
আমরা আর কখনোই কিছু করতে পারবো না।
বন্ধু নিয়ে বা প্রেমিকা নিয়ে ঘুরতে যেই টাকা টা খরচ হয় সেই টাকা দিয়ে খুব সহজেই কিন্তু বিজনেস শুরু করা সম্ভব।
সম্ভব বিভিন্ন ট্রেনিং ওয়ার্কসপ সেমিনারে অংশ গ্রহণ করা। কিন্তু আমরা সেটা না করে বেশিরভাগই সময়টা অপচয় করতে পছন্দ করি।
কিন্তু আমরা এই বয়সে যদি মন দিয়ে পড়াশুনা করে বিজনেস করি অথবা একটা জব, এগুলো কিছু করতে না পারলেও তো নিজের শখের কাজ গুলো শেখা যায় করা যায়, তাই না !
নিজের জীবন গুছিয়ে নেয়ার বয়সে আমরা নিজের জীবনে টা কে ভাসিয়ে দিতে পছন্দ করি, আর ভাসতে ভাসতে জীবন ঢুবে গেলে করি হাহুতাস। দোষ দিয়ে ফেলি সহজেই পরিবার পরিস্থিতি বা আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থানের, কি অদ্ভুত না?
ছেলে হোক বা মেয়ে প্রতিটা মানুষকেই তরুণ বয়সেই নিজের জীবন কে গুছিয়ে নেয়া প্রয়োজন।
আমার জীবনটাও হয়তো এলোমেলো হয়ে যেত।
এই গ্রপের সাথে যারা,আছেন তারা মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ বলবেন, good luck আমাদের কেন বলুন তো?
ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার আমাদের পাশে আছেন, আমাদের এত সুন্দর প্লাটফর্ম তৈরী করে দিয়েছেন।
ইকবাল স্যারের মত মেন্টর আমাদের জীবনের মোর পরিবর্তন করে সফলতার পথে নিয়ে যাচ্ছে, আমি কৃতজ্ঞ স্যারের কাছে,
আমি কৃতজ্ঞ নিজের বলার মত গল্প এই পরিবারের কাছে।
ধন্যবাদ💕💕
নিচে আমার কাজের কিছু অংশ,,,
Sod no: 160
Date: 10.03.2020
সালমা ইসলাম
সপ্তম ব্যাচ
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বর: ৩৩০৭
জেলা: বগুড়া
ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥
আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।